আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে সন্তানদের উপর চাপ দিতে নেই সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে এই পৃথিবীতে যখন আমরা জন্মগ্রহণ করেছি তখন আমাদের সময়টা অনেক বেশি ভালো ছিল। কেননা তখন কিন্তু আমাদের মা বাবারা কখনো আমাদের পড়াশোনা নিয়ে তেমন একটা বেশি চাপ দিত না। আসলে তখনকার মা-বাবারা মনে করত যে সন্তান যতটুকু পারবে ততটুকুই মন দিয়ে বই পড়বে। কেননা তাদের যদি চাপ দিয়ে অতিরিক্ত বই পড়ানো হয় তাহলে তারা কখনোই ঠিকঠাক বই থেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না। আসলে আপনাকে যদি একটা জিনিস জোর করে পড়ানো হয় হয়তোবা আপনি সেই জিনিসটা করবেন কিন্তু মন দিয়ে কখনো সেই কাজটি করবেন না। ঠিক তেমনি বাচ্চাদেরকে যদি চাপ দিয়ে পড়াশোনা অথবা কোন কাজ করানো হয় তারা কিন্তু সেই সময়ের জন্য জিনিসটা করবে কিন্তু সেটি কখনো মন দিয়ে করার চেষ্টা করবে না।
আসলে বর্তমান সময় আমরা দেখি যে প্রত্যেকটা মা-বাবা তাদের সন্তানদেরকে জোর করে পড়াশোনার অনেক বেশি চাপ দেয়। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা প্রথমে সকালবেলা ভোরে উঠেই স্কুলে যায় এবং স্কুল থেকে ফিরে এসে পুনরায় বিভিন্ন স্যারের কাছে অথবা ম্যাডামের কাছে বিভিন্ন ধরনের সাবজেক্টে পড়ার জন্য চলে যায়। এছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের একই সাথে নাচ-গান, বিভিন্ন ছবি অংকন ইত্যাদি শেখানো হয়। আসলে এত ছোট্ট একটা বাচ্চাদের উপর যদি এত প্রেসার চাপানো হয় তাহলে বাচ্চাদের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা স্বাভাবিক। আসলে এখনকার মা-বাবারা শুধুমাত্র তাদের বাচ্চাদেরকে জোর করে পড়াশুনা শেখানোর জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেয়। এতে করে এইসব বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে যে কতটা আঘাত হানে তা তারা কখনোই বুঝতে পারে না।
আসলে এখনকার সময় আপনি দেখবেন যে অল্প বয়সে তারা বিভিন্ন উঁচু ক্লাসে উত্তীর্ণ হয়ে যায়। আসলে প্রত্যেকটা সন্তানদের একটা নির্দিষ্ট বয়স থাকে যে বয়সে একটা নির্দিষ্ট ক্লাসে উঠতে পারে। আমাদের সময় কিন্তু আমরা যখন ক্লাসের সবাই মিলে যেতাম তখন কিন্তু সবার বয়স ঠিকঠাক ছিল। আর এখন একটা দশম শ্রেণীর একটা ক্লাসে গেলে মনে হবে যে সবে তারা ষষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আসলে যে বয়সে তারা এই ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার বয়স সেই বয়সে তারা দশম শ্রেণীর বই পড়াশোনা করে। আসলে এভাবে যদি বর্তমান প্রজন্মকে পড়ালেখার বিষয়ে চাপ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে দেয়া হয় তাহলে কিন্তু তারা কখনোই ঠিকঠাকভাবে মানুষ হতে পারবে না। আসলে একটা বাচ্চা যা চায় তাকে কিন্তু সেই জিনিসটা করতে দেয়া উচিত। কেননা সে যখন তার চাহিদা মত জিনিস করবে তাহলে সেটি সে মন দিয়ে করবে।
আসলে তাদের মনের বিরুদ্ধে যদি আমরা সব সময় কাজ করার চেষ্টা করি এবং আমাদের সকল চাহিদা পূরণ করার মেশিন হিসেবে তাদেরকে সামনের দিকে পরিচালনা করার চেষ্টা করি তাহলে তারা কিন্তু কখনোই ঠিকঠাকভাবে মানুষ হয়ে উঠতে পারবে না। আসলে এই পৃথিবীতে আমরা আর একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি যে যারা কিনা সব সময় অন্যদের বাচ্চাদের সাথে নিজের বাচ্চা তুলনা করে তারা কখনো তাদের বাচ্চাদের সাথে সঠিক আচরণ করতে পারে না। আসলে এই পৃথিবীতে সকল বাচ্চারাই কিন্তু সমান। আর ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে যদি অন্য কোন বাচ্চার তুলনা করা হয় তাহলে এতে করে দুটো বাচ্চার মনেই একটা বড় ধরনের ইফেক্ট তৈরি হতে পারে। আসলে আমরা যদি এই বাচ্চাদেরকে স্বাভাবিকভাবে জীবনে বড় করে তুলতে পারি এবং তাদের সঠিক চাহিদা মত আমরাও চলতে পারি তাহলে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে অনেক বেশি উন্নতি লাভ করতে পারবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit