রজব আলীর আত্মত্যাগ (পঞ্চম পর্ব)

in hive-129948 •  2 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


যে সবজি একসময় ১৫-২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হোতো। সেগুলো এখন ৬০-৭০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। কয়েক বছর আগেও ডিমের হালি ছিলো যেখানে মাত্র ৩০-৩৫ টাকা। সেখানে এখন ডিমের হালি ৫০ টাকা পার হয়ে গিয়েছে। যার ফলে নিম্নবিত্তের খাবার ডিম সেটাও তাদের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। রজব আলী শুনতে পায় সরকারের দুর্নীতির জন্য নাকি সবকিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে। তবে সে এতো শতো বোঝেনা। সে শুধু বোঝে আগে থেকে তাদের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে আগের থেকে ইনকাম বেশি করেও তারা পোষাতে পারছে না।

Polish_20240813_202051127.jpg

বাজারে জিনিসপত্রের মাত্রাতিরিক্ত দাম দেখে তার মাঝে মাঝে সরকারের উপর রাগ হয়। সে চিন্তা করে সরকার কেনো জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। তার মতো মানুষদের যে তিন বেলা খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসব সরকার না দেখলে কে দেখবে? তবে সে এটাও বোঝে তার মতো রিক্সাওয়ালার চিন্তা ভাবনাতে কারো কিছু যায় আসে না। এভাবেই রজব আলীর দিনকাল কেটে যাচ্ছিলো। বাজারে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিবাদে অন্যকেও কিছু নিয়ে তার তেমন কোনো সমস্যা ছিলো না।

সে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলো। আর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছিলো। এর ভেতরে হঠাৎ করে দেখতে পায় একদিন শহরের ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসে মিটিং মিছিল করছে। তারা মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই মিটিং মিছিল করছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু সন্ত্রাসী এসে তাদেরকে আক্রমণ করার কারণে তারা বেশ কয়েকজন আহত হয়। তারপরই সে চোখের সামনে তার শহরটাকে বদলে যেতে দেখে। শহরের সমস্ত রাস্তাঘাট ছাত্র জনতার দখলে চলে যায়। শুরু হয় তার মতো মানুষদের অমানবিক কষ্টের দিন। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, এতে রজব আলীর মতো মানুষজন সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের অবশ্যই উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। নয়তোবা মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

YES>?