আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি তাহেরুল ইসলাম "আমার বাংলা ব্লগের" নতুন সদস্য। আমি ইতিমধ্যে লেভেল ৩ এর ক্লাসটি খুব মনোযোগ দিয়ে করেছি এবং ভাইভাতে উত্তির্ন হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেছি। ক্লাসের মধ্যেও আমাদের সম্মানিত মডারেটর @alsarzilsiam ভাইয়া খুব সুন্দরভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন, যা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি এবং লেকচার শীটও বারবার পড়েছি। সেই ধারাবাহিকতা আমি লেভেল ৩ এর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি।
তাহলে শুরু করা যাক আমার প্রশ্ন উত্তর :-
১। প্রশ্নঃ মার্কডাউন কি ?
উত্তরঃ মার্ক ডাউন হচ্ছে টেক্সট সুন্দর করে উপস্থাপন করার ফরম্যাট বা এক কথায় বলা যায় টেক্সট ফরম্যাট। মার্ক ডাউন এমন কিছু নির্দিষ্ট কোড, যার মাধ্যমে লেখাগুলো সুন্দরভাবে সাজানো যায়। একটি সুন্দর পোস্ট তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মার্কডাউন ব্যবহার করে পোস্টটাকে নিজের মত করে উপস্থাপন করা যায়। তাই বলা যায় আমরা কোন একটি পোস্ট ক্রিয়েট করার সময় গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য যে সমস্ত টেক্সট-ফরম্যাট ব্যবহার করি তাই মার্কডাউন।
২। প্রশ্নঃ মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
উত্তরঃ একটি ব্লগ পাঠকের দৃষ্টিনন্দন করতে, সুন্দর করে উপস্থাপন করতে বেশ কিছু টেক্সট ফরমেট ব্যবহার করতে হয়। আর এই টেক্সট ফরম্যাট গুলো একটি ব্লগকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে থাকে। মার্ক ডাউনের মাধ্যমে টেক্সটগুলোকে দৃষ্টিনন্দনরূপে উপস্থাপন করা যায়। তাই সুন্দর একটি কনটেন্ট তৈরি করতে, এই সমস্ত মার্ক ডাউন বা টেক্সট ফরমেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ যেমন পোষ্টের লেখাগুলো একটু বাঁকা করতে ইতালিক মার্ক ডাউন ব্যবহার করা হয়। লেখাগুলো ঘন কালো করতে বোল্ড মার্ক ডাউন ব্যবহার করতে হয়। দুই সাইডের লেখার সুন্দর শ্রেণি বিন্যাস করতে বা সমান রাখতে জাস্টিফাই কোড ব্যবহার করতে হয়। লেখা উপরে বা নিচে আনতে সুপার স্ক্রিপ বা সাবস্ক্রিপ্ট কোড ব্যবহার করতে হয়। আর এরি মাধ্যমে খুব সুন্দর একটি পোস্ট ক্রিয়েট করা সম্ভব হয়। তাই সুন্দর একটি ব্লগ সৃষ্টি করতে অবশ্যই মার্ক ডাউনের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩। প্রশ্নঃ পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায়?
আউটপুট 👇<center>আমার বাংলা ব্লগ</center>
৪। প্রশ্নঃ নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ছবিতে দেখানো টেবিল যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, তা নিচে উপস্থাপন করা হলো।
৫। সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি? উত্তরঃ ছবির সোর্স উল্লেখ করতে হলে, প্রথমে থার্ড ব্রাকেট দিব এবং তার মধ্যে সোর্স লিখবো এরপর থার্ড ব্রাকেট ক্লোজ করে দেব। এরপর ফাস্ট ব্র্যাকেট দেব সেখানে স্থানের লিংক বসাবো তারপর ফাস্ট ব্র্যাকেট ক্লোজ করে দেব। তবে উভয় ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে কোন স্পেস থাকবে না। সোর্স উল্লেখ করার বিষয়টা দৃশ্যমান করে দেখানো হলো। ৬। প্রশ্নঃ বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র - ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত হেডার গুলোর কোড লিখুন। আউটপুট ৭। প্রশ্নঃ টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোড টি লিখুন। কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে? ৮। প্রশ্নঃ কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত? উত্তরঃ আমরা যখন কোন একটি বিষয় লিখব অবশ্যই সে বিষয়ে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা থাকতে হবে। কারন আমরা যদি নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীল চিন্তাধারা না রেখে লিখি সেটা কনটেন্ট বলে গণ্য হবে না। কারণ সেই বিষয়ে তো আমার সঠিক ধারণাই নেই। তাই সঠিক একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে হলে অবশ্যই আমাদের এই তিনটি বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমরা যখন কোন একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে পোস্ট তৈরি করব তখন আমাদের সেই বিষয়ে সৃজনশীল চিন্তাধারা থাকতে হবে, যেন নিজের মতো করে বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারি। সে ঘটনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আমাদের থাকতে হবে এবং সেই বিষয়ের অভিজ্ঞতার আলোকেই আমাদের কনটেন্ট লিখতে হবে। তাই বলতে পারি একটি নির্দিষ্ট কনটেন্ট লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই জ্ঞান অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা জরুরী। ৯। প্রশ্নঃ কোন টপিকস এর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী কেন? উত্তরঃ আমরা যখন কোন একটা বিষয়ের উপর পোস্ট ক্রিয়েট করব অবশ্যই সে বিষয়ে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। মানুষের মুখ থেকে শোনার আর স্বচক্ষে দেখার বিষয় আলাদা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি একটা বিষয় এর উপর পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকলে সেই ধারণার আলোকে সঠিক কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব। আর এই জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরী। এতে পাঠক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়, পোষ্টের মান উন্নয়ন হয়ে থাকে, তাই মানুষ পড়তে পছন্দ করে। আর এর মাধ্যমে সুন্দর একটি কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব। তাই নির্দিষ্ট কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের একটি পোস্ট ক্রিয়েট করতে হলে অবশ্যই সে বিষয়ে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এছাড়া ভালো কনটেন্ট আশা করা যায় না। ১০। প্রশ্নঃ ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন? উত্তরঃ যিনি পোস্ট করেন তিনি অথর। আর যিনি ভোট প্রদান করেন তিনি কিউরেটর। একটি পোস্টে যত ভোট পড়ে ৭ দিন পর পে-আউট হয় তার ১০০% এর মধ্যে ৫০% অথর এবং ৫০% কিউরেটর পেয়ে থাকে। কিউরেটর শুধু এসপি পায়। তাই পোস্টে যেহেতু $৭ এর ভোট দেওয়া হয়েছে। তাই কিউরেটর হিসাবে কিউরেশন রেওয়ার্ড ৩.৫ [USD] পাব। ১১। প্রশ্নঃ সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি? উত্তরঃ একটি পোস্ট এর সাত দিন পর পে-আউট হয়। পোষ্টের পর প্রথম পাঁচ মিনিট এবং সাত দিনের শেষের ১২ ঘণ্টা রেড জোন। এ সময়ে ভোট প্রদান করলে কিউরেশন রেওয়ার্ড লস হয়। তাই একটি পোস্ট করার ৫ মিনিট পর থেকে ভোট প্রদান করলে সর্বোচ্চ কিউরেশন পাওয়া সম্ভব। তাই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের পোস্টে ভোট প্রদান করতে আর পাঁচ মিনিটের পরে ভোট প্রদান করতে। অন্যান্য ভোটারদের আগে ভোট দিতে পারলে বেশি ভালো হয়, এতে সর্বোচ্চ রেওয়ার্ড নিশ্চিত হয়। তাই বেশি পাওয়ারফুল আইডির পোস্টে এবং উন্নত মানের পোস্টে ভোট প্রদান করতে হবে সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পেতে। ১২। প্রশ্নঃ নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে, নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে…? উত্তরঃ @Heroism কে ডেলিগেশন করার মধ্য দিয়ে বেশি আর্ন করতে পারব। কারণ ক্ষুদ্র পাওয়ার দিয়ে বেশি আর্ন করা সম্ভব নয়। সব সময় ভোট প্রদান করে বেড়ানো সম্ভব নয়। আর আমার মত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাওয়ার আলা আইডি থেকে যখন হিরোইজমে ডেলিগেশন করা হবে তখন হিরোইজম অনেক ক্ষমতার অধিকারী হবে। আর সেই ভোটিং সেন্টার খুঁজে খুঁজে ভালো পোস্টে ভোট দিবে। এই থেকে ভালো মানের রেওয়ার্ড অর্জন করবে,আর সে রেওয়ার্ড প্রত্যেক ডেলিগেশন কারীদের মাঝে বন্টন করে দিবে। আর এভাবে ডেলিগেশনের মধ্য দিয়ে বেশি উপার্জন করা সম্ভব। তাই এই ভোটিং পাওয়ার কেই ডেলিগেশন করা বেশ লাভজনক।
| User | Posts | Steem Power |
|----|----|----|
| User1 | 10 | 500 |
| User2 | 20 | 9000 |
আউটপুট👇
User Posts Steem Power User1 10 500 User2 20 9000 # Header1
## Header2
### Header3
#### Header4
##### Header5
###### Header6
Header1
Header2
Header3
Header4
Header5
Header6
<div class="text-justify">আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
মুখে হাসি বুকে বল, তেজে ভরা মন
‘মানুষ হইতে হবে’ – এই যার পণ৷
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান
নাই কি শরীরে তব রক্ত, মাংস, প্রাণ?
হাত পা সবারই আছে, মিছে কেন ভয়?
চেতনা রয়েছে যার, সে কি পড়ে রয়?
সে ছেলে কে চায় বল, কথায় কথায়
আসে যার চোখেজল, মাথা ঘুরে যায়?
মনে প্রাণে খাট সবে, শক্তি কর দান,
তোমরা ‘মানুষ’ হলে দেশের কল্যাণ৷
https://twitter.com/titaherul/status/1785310628338626701?t=xmNKSrBgV_-QzcF28TyUag&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লিখিত পরীক্ষা দেখে বোঝা যাচ্ছে, আপনি লেভেল তিনের প্রতিটি বিষয় বস্তু খুবই সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন। আসলে ক্লাসের মধ্যে মনযোগ দিয়ে ক্লাস করতে পারলে এই বিষয় গুলো একটু সহজ মনে হবে। আপনি মনযোগ সহকারে ক্লাস করে প্রতিটি বিষয় সুন্দর ভাবে বুঝতে পেরেছেন এবং উপস্থাপনা করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি যে মার্কডাউন গুলো দৃশ্যমান করার চেষ্টা করেছিলেন, সেগুলো দৃশ্যমান হয়নি। আশা করি সেগুলো ঠিক করে আমাকে দ্রুত জানাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া,, আমি ঠিক করেছি।
একটু দেখবেন প্লিজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লেভেল তিন সম্পর্কে ভালোই অর্জন করতে পেরেছ। আসলে আমি মনে করি অর্জিত কোনো কিছুই বর্জন হয় না। তাই অর্জন করতে থাকো ভালো কিছু হবে। আশা করছি বাকি লেভেল গুলো আয়ত্ত করে নিজেকে ভেরিফাইড সদস্যে পরিণত করবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভালোই অর্জন করলেন আপনি লেভেন ওয়ান হতে ৩ পর্যন্ত। লেভেলের ক্লাস গুলো ভালোভাবে করতে পারলেই পরবর্তীতে খুব কাজে আসে। লেভেল এর মধ্যে থাকাকালীন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়। যা আপনার আজকের পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে পেরেছি আপনি খুব সুন্দরভাবে অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit