আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আজকে আমি আরেকটা নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
https://w3w.co/groomed.pounce.stated
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা প্রায় সময়ই বিরক্তিকর জীবন হয়ে দাঁড়ায়। মাঝে মাঝে অনেক ভালো কথাও ভালো লাগেনা। বন্ধুরা মিলে যদি একদিন আড্ডা না দিতে পারি তাহলে পুরো সপ্তাহর ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে রোবট মনে হয়। যান্ত্রিক এই শহরে নিজের মনের ভিতর একটু আনন্দ দেওয়া সেটাও সম্ভব হয় না। চারিদিকে গাড়ির হর্ন, অফিস, পরিবারের চাপ সবকিছু মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। তাইতো মাঝে মধ্যে বন্ধুদেরকে নিয়ে আড্ডার জন্য দূর থেকে দুরান্তরে ছুটে বেড়াই। আড্ডার ছলে একটু নিজের হৃদয়ের প্রশান্তি অনুভব হয়। পুরো সপ্তাহের ক্লান্তি দূর হয়।
শুক্রবার সকালে হঠাৎ ছোট ভাই আকাশ কল দিল আমাকে। তাদের এলাকা বসুরহাট যাওয়ার জন্য। তবে আমার হাতে কোন সময় ছিল না, তাকে স্ট্রেট বলে দিলাম। তারপরও সে বুঝতে রাজি না, অনেকদিন দেখা হচ্ছে না বলে দেখা করার বায়না করতেছে। তারপরও তাকে বললাম যদি সময় করতে পারি অবশ্যই তোমার সাথে দেখা করব। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে সময় বের করলাম তার জন্য। বিকেলবেলা তার সাথে দেখা করার জন্য বসুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমাদের দাগনভূঞা বাজার থেকে বসুরহাটের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার হবে। আমি সিএনজি করে বসুরহাট পৌঁছলাম।
বসুরহাট পৌঁছে সর্বপ্রথম আমি তার অফিসে গেলাম। সেখানে প্রায় আধা ঘন্টার মত বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বললাম। খুবই ভালো লাগলো কারণ বিভিন্ন বিষয়ে একটু ডিসকাস করা গেলো। ব্যবসায়িক বিষয়েও অনেকে বেশি আলোচনা হলো আমাদের মধ্যে। খাতা-কলমে অনেক প্লান প্রোগ্রাম করলাম আমরা। তবে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়াটাই মূল চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর একটা বিষয় হচ্ছে আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আবার এটা সত্য যে, আকাশ আমার চেয়ে অনেক বেশি বেগবান। সে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারে।
কথোপকথনের মধ্যে বেজে গেলো সন্ধ্যা ৭ টা। এই সময় দিন অনেক ছোট হওয়া সন্ধ্যা হয়ে যায় ৫:৩০ টা। তাই ৭ টা সময়টা অনেক বেশিই মনে হলো। তাই নাস্তা করার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা। তখন আকাশ বলল, বসুরহাটে স্পেশাল একটি দোকান আছে যেখানে সিরিয়াল দিয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তো সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সেই হোটেলের দিকে যাবো। হেঁটে হেঁটে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে হোটেলে পৌঁছলাম আমরা। গিয়ে দেখলাম অনেক ভীড়। বসার জন্য সিরিয়াল দিতে হয় এবং টেবিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এমন অবস্থা।
সেখানে গিয়ে দেখলাম একেকটি কোরাল মাছ ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের। ৬ থেকে ৭ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছের কাবাব চার হাজার টাকা। শুনেই বেশ অবাক লাগলো। কিন্তু তারপরও মানুষকে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকজনের সাথে যখন কথা বললাম, তারা বলতেছে এক ঘন্টার উপরে দাঁড়িয়ে আছে অর্ডার দিয়ে কিন্তু এখনো কাবাব আসছেনা। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম মাছের কাবাব খাওয়া আমার দ্বারা সম্ভব নয় এই মুহূর্তে। তাই আমি হাঁসের অর্ডার দিলাম। আধা ঘন্টা অপেক্ষার পর আমাদের অর্ডার অনুযায়ী হাঁস এবং পরোটা নিয়ে আসলো। তবে হাঁসের বুনাটা অসাধারণ ছিল।
খুবই তৃপ্তি সহকারে খেলাম। এত সুস্বাদু খাওয়ার আসলেই আমাদের আশেপাশে আছে তা জানা ছিল না। সেখানে কি কি পাওয়া যায় তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণী আমি দিচ্ছি - হাঁসের কড়াই, দেশি মুরগির কড়াই, মাছ কাবাব, কাঁকড়ার জোল, বিরিয়ানি, খিচুড়ির সহ আরো অনেক কিছু। তবে সবগুলোই অনেক বেশি মুখরোচক। আমার কাছে খেয়ে অনেক ভালো লেগেছে, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম মাঝে মাঝে খাবার জন্য সেখানে যাবো। খাওয়া শেষ আবার পুনরায় ফিরে এলাম দাগনভূঞাতে। এরপর বাসা ফিরে ফ্রেশ হয়ে জব্বার একটি ঘুম দিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই। সবাইকে অন্তরের অন্তস্থল হতে মোবারকবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। ফি আমানিল্লাহি ওয়া রাসুলিহিল কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাঝে মাঝে এভাবে বাইরে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনি বন্ধুদের সাথে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।তবে খাবার গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। এতরাতে এখন খাবার গুলো কোথায় পায়।বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সুন্দর এই লাইফ স্টাইল পোস্ট করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানারও দেখার সুযোগ হয়ে গেল। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পোস্টটি পড়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি স্টেপ বাই স্টেপ সবকিছু সুন্দরভাবে বলার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাছের কাবাব চার হাজার টাকা এটা শুনে সত্যি অবাক লাগছে ভাইয়া। তবে মাঝে মাঝে এরকম মজার মজার খাবার খেতে ভালোই লাগে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি দেখতেছি ছোট ভাই আকাশের সাথে ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন।বসুরহাট স্পেশাল কাবাব হাউসটির নাম করা। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে কোরাল মাছের কাবাব চার হাজার টাকা। যাইহোক সন্ধ্যার সময় আপনি এবং আকাশ ভাই মিলে হাঁসের মাংস এবং পরোটা খেলেন। ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে। সুন্দর করে পোস্টটি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit