যান্ত্রিক শহরে পাখিদের আবাস্থল ধ্বংসের মুখে || জেনারেল রাইটিং

in hive-129948 •  last month 

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।

Photo_1733849360494.png

এডিট snapseed
আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের বিষয়টি খুবই বাস্তবসম্মত একটি বিষয়। পাখি ছাড়া প্রকৃতি যেন অসম্পূর্ণ। তাই পাখিকে প্রকৃতির অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আকাশ জুড়ে বিরামহীন ডানা মেলে পাখিরা তাদের অস্তিত্বের জানান দেয়। আমরা সবাই জানি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা পাখির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে পাখি হারাচ্ছে তার বাসস্থান। যান্ত্রিক এই শহরে পাখি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। শহরাঞ্চলে পাখির কলকাকলি এখন আর আগের মত দেখা যায় না। যান্ত্রিক এই শহর দৈনন্দিন উন্নতির পেছনে ধ্বংস হচ্ছে পাখি।

শহর অঞ্চল ডেভলপ করার জন্য ডে বাই ডে কেটে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য গাছ। পাখিদের বসবাস এই গাছগুলোর মধ্যে। যার জন্য আজকে পাখি মারা যাচ্ছে ক্রমশই। এ নিয়ে যেন কারো কোন মাথা ব্যথায় নেই। তাইতো পরিবেশ হারাচ্ছে তার ভারসাম্য। দিন দিন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। আজকে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছে, এভাবে চলতে থাকলে অসংখ্য পাখির অস্তিত্ব হারাবো আমরা। তাই পরিকল্পিতভাবে নগরী স্থাপন করা দরকার। রাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ছাড়া রয়েছে তারা যদি একটু সুদৃষ্টি দেয় তাহলে বিষয়গুলো সমাধানযোগ্য হয় গড়ে ওঠে। কিন্তু সচেতন হচ্ছে না কোন মহলের মানুষই।


গ্রাম অঞ্চল পাখিদের কলরবের মেতে থাকতো সব সময় কিন্তু আজ গ্রামেও সেরকম কিছু দেখা যায় না। নির্বিচার কাঁটা হচ্ছে গাছ, যার ফলে পাখিদের বাসস্থানের অভাব হয়ে পড়ছে। মানুষ প্রতিনিয়ত গাছ কাটছে, কেন কাটছে তা তারা নিজেরাও জানে না। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গাছ কেটে যাচ্ছে। আমরা দেখেছি রাস্তা প্রসারিত করার নামেই অসংখ্য গাছ কেটেছে, যার ফলে কোটি কোটি পাখির বাসস্থান ধ্বংস হলো। আমরা একটুও চিন্তা করিনা, গাছ কাটতেছি কিন্তু পশুপাখি কিভাবে বসবাস করবে। আমাদের উচিত পশু পাখিকে নিয়েও অনেকে বেশি চিন্তা করা কারণ তারা আমাদের পরিবেশেরই অংশ।

ইন্টারনেটের টাওয়ারগুলোর কারণে ধ্বংস হচ্ছে অসংখ্য প্রজাতির পাখি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি যত আধুনিক হচ্ছে তত মানুষ এবং পশুপাখি ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। টাওয়ারগুলো রেডিসন অসংখ্য পাখির বংশবিস্তারে বাঁধা দিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে যদি টাওয়ার গুলো নির্মাণ করা হয় তাহলে সব দিক থেকেই মানুষ এবং পশু পাখি নিরাপদ থাকবে। আমরা দেখেছি অনেকগুলো বাড়ির ছাদে বিভিন্ন টাওয়ার রয়েছে। বাড়ির কর্তৃপক্ষ না বুঝে টাওয়ার করার জন্য অনুমতি দেয়। টাওয়ারের নিচে থাকা নবজাতক শিশুরাও বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানেরা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিটা মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।

আমরা দেখেছি ছোটবেলা ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল। তারা মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াতো ডানা মেলে। স্কুলে যাওয়ার সময় দেখতাম চড়ুই, শালিক, ময়না, কাক এছাড়াও আরো কত রংবেরঙের পাখি। কিন্তু আজকে দেখা যায় না বললেই চলে। শুধু বাংলাদেশ না আমি মনে করি বিশ্বের সকল দেশ থেকেই পাখির আবাস কমে যাচ্ছে। স্টেট অফ দা ওয়ার্ডস বার্ডস নামে বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে পাখির সংখ্যা সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে ১১ হাজার প্রজাতির পাখি রয়েছে। কিন্তু আজকে তা ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়াচ্ছে। এর দায়ভার কে নিবে? কেইবা এই পাখিগুলোকে নিয়ে চিন্তা করবে?

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করি যে, সরকারিভাবে পাখি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। তাদের বাসস্থান নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিকল্পনা করা দরকার বলে মনে করছি।কৃত্তিমভাবে পাখিদের বাসস্থানের জন্য বিভিন্ন বাসভবন তৈরি করা যা আমরা অনেক জায়গায় পরিলক্ষিত করেছি। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখা এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছি। তারা এর গুরুত্ব তুলে ধরলে সাধারণ মানুষেরা সচেতন হবে। সবাই মিলে একসাথে প্রচেষ্টা করলে অবশ্যই পাখির উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা যেতে পারে। তাহলেই দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধরে রাখা সম্ভব।

images (2).png

@ti-taher

images (2).png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

1000106788.jpg

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_20241210-230826_Chrome.jpg

Screenshot_20241210-230731_Chrome.jpg

Screenshot_20241210-230541.jpg

Screenshot_20241210-230352_X.jpg

শহরগুলোতে পাখির উপস্থিতি কম এবং পাখিদের বাসায় জায়গা নেই। তবে ভাইয়া গ্রামীন পরিবেশে পাখিদের অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে পাখিদের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেওয়ার।

পাখি আমাদের ইকো সিস্টেমের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটা সত্য কথা শহর অঞ্চলে পাখি দেখাই যায় না। কারণ না আছে গাছপালা আর না আছে পাখির বাসা। ঢাকা শহরে আমি এখন পযর্ন্ত ঐভাবে পাখি দেখিনি। বেশ সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আপনাকে।।