আপুর বাসায় যাওয়ার পথে সদরঘাটের কিছু ফটোগ্রাফি।।

in hive-129948 •  last year 

আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

হ্যালো বন্ধুরা, আমি নীলা আক্তার,আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে @titash নামে পরিচিত। আজকে আমি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত কয়েকদিন যাবৎ কিছুটা অসুস্থ। যার কারনে ঠিক ভাবে কমিউনিটিতে সময় দিতে পারতেছি না। আগামীকাল ডাক্তারের কাছে যাবো,ইনশাআল্লাহ। সবার কাছে সুস্থতা কামনা করে নতুন ব্লগটি শুরু করতেছি।

photo_2023-03-09_07-38-10 (2).jpg

আমার আপুর বাড়ি চাদঁপুরে হওয়ার সুবাদে আমি ছোট সময় অনেকবার চাদঁপুর গিয়েছিলাম। তবে লঞ্চে করে হাতে গুনা দুই একবার গিয়েছিলাম। বাকি সময় স্থল পথে বাস যোগে গিয়েছিলাম। আমার বিয়ে হওয়ার পর এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাসবেন্ড সহ আপুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমনের কয়কটি পোষ্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। খুব আনন্দময় একটি ভ্রমন ছিল।

আপনরা সবাই জানেন যে শ্যামবাজার লালকুঠি ঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। আমাদের লঞ্চ ছিল সন্ধা ছয়টার পরে আমরা একটু আগে আগে সেখানে পৌছে গিয়েছিলাম। তাই আমার হাসবেন্ড বললো চলো যেহেতো সময় আছে সেহেতা তোমাকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালটা ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। আমি এর আগে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কখনো যায়নি। তাই আগ্রহ নিয়ে বড় বড় লঞ্চ দেখার জন্য চলে গেলাম। বিশাল বড় বড় লঞ্চ দেখলাম।

03.jpg

প্রথমেই টার্মিনালে দশ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম। ঐদিন আমি প্রথম জেনেছিলাম যে টার্মিনালে প্রবেশ করতেও টাকা লাগে। শুনেছি এই ঘাট গুলো নাকি তারা সরকার থেকে লিজ নেয়। আমার কথা হলো জনগন তো সরকারকে কর দেয়। তাহলে এখানে আবার প্রবেশ ফি দেওয়া লাগবে কেন। হয়তো আমার এই কথায় বা প্রতিবাদে কারো কোন কর্নপাত হবে না। বাংলাদেশের কোন সরকারই কোন সময় জনগনের চিন্তা করে নাই। ভবিষ্যতে কেউ চিন্তা করবে কিনা তাও জানি না। যায়হোক ভিতরে গিয়ে দেখলাম নদীর কিনারে বিশাল বড় একটি ভাসমান ঘাট।

photo_2023-03-09_07-38-11.jpg

photo_2023-03-09_07-38-12 (2).jpg

সারি সারি ভাবে বিশাল লঞ্চ গুলো ঘাটে লাগানো আছে। প্রত্যেকটা লঞ্চের গায়ে আলাদা আলাদা নাম লিখা আছে। কয়েকটি বড় লঞ্চের নাম হলো পারাবত-১৮,শুভরাজ-০৯, এ্যাডভেঞ্চার-০৯,সুন্দরবন-১২ সহ আরো অনেক লঞ্চ রয়েছে। প্রত্যেকটা লঞ্চ কোথায় থেকে কোথায় যাবে সেটাও বড় অক্ষরে লিখা রয়েছে।

02.jpg

আমি একটি লঞ্চে উঠে ভিতরে প্রবেশ করেছিলাম। লঞ্চটি ছিল তিন তলা বিশিষ্ট। দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখলাম এ যেন এক রাজপ্রাসদ। বিশাল জায়গা,মানুষ লঞ্চে উঠে সাথে থাকা বিছানার চাদর বিছিয়ে ব্যাগ গুলো বালিশ বানিয়ে শুয়ে আছে। শুনেছি লঞ্চ গুলো সন্ধার পরে ছাড়লে সকাল বেলা বরিশাল গিয়ে পৌছে। ঘুম থেকে উঠেই বাসায় চলে যায়। আহা কি আনন্দ।

photo_2023-03-09_07-38-11 (2).jpg

photo_2023-03-09_07-38-12.jpg

আমরা যখন লঞ্চের সামনে দিয়ে যায় তখন লঞ্চের বয় গুলো বার বার করে বলছে ভাই কোথায় যাবেন। সিট লাগবে না কি, কেবিন লাগবে না কি। তারপর ডেকে ডেকে মানুষ লঞ্চে তুলছে। ভাড়া তুলনামূলক কম দেখলাম। দুইশো থেকে আড়াইশো টাকা দিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়া যায়। লঞ্চ গুলো খুবই সুন্দর ভাবে লাটিং করে সাজানো। দেখতে খুবই ভাল লাগে। এই লঞ্চ গুলো দিয়ে ভ্রমন করলে বুঝাই যায় যাবে না বাড়িতে আছি না লঞ্চে আছি।

আমাকে আমার হাসবেন্ড লঞ্চ দিয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার কথা বলেছিল,কিন্তুু আমি ভয়ে বলেছিলাম লঞ্চ দিয়ে যাবো না। গাড়ি দিয়ে যাবো। এখন এত বড় বড় লঞ্চ দেখে আমার ভয় কেটে গেছে। লঞ্চ দিয়ে কুয়াকাটা যাবো ইনশাআল্লাহ।।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন ভুল হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আমাদের জন্য সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল।

arabesko.ru_13-11.png

ফটোগ্রাফির বিবরণ

ডিভাইসমোবাইল
ক্যামেরারেডমি নোট-৮
স্থানসদরঘাট,ঢাকা
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzHS2hwsG5azEF84yt3ga6DmwCLsTqRUEgWKwQvqiScprfMaYXoTtwJ631bGQmXhKYK1RyvGSkn4sfzPm2RBSiXvWXWPCD6m35iu8S.png

gPCasciUWmEwHnsXKML7.png

ddddoo.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

এমন ফটোগ্রাফি আপু কখনো দেখিনি আমি এই প্রথম আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ হয়ে গেল। বেশ সুন্দর একটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বরিশালে যাওয়ার পথে অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি আপনার মাধ্যমে আরও ইউনিক ইউনিক ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো।