জরুরী কাজের সময় জ্যাম লাগে বেশি। 10% beneficary for @shyfox & 5% abb-school ❤️

in hive-129948 •  last year 

01.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই,আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি বিরক্তিকর মূহর্তের কথা শেয়ার করবো। জানিনা ঐ সময়টা কার কাছে কেমন লাগে। আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে।

গত মাসের ১৮,১৯ ও ২০ তারিখ আমার অনার্সের ইনকোর্স পরিক্ষা ছিল। প্রথম দুইদিন আমাদের পরিক্ষা ছিল একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মোট দুই ঘন্টা। এই দুই ঘন্টা সময়ের মধ্যে দুইটি বিষয়ে পরিক্ষা নেওয়া হয়। এক বিষয়ে এক ঘন্টা করে সময় দেওয়া হয়। প্রথম দিন আমি এগারোটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে গেছি। আমাদের বাসার সামনে থেকে রিকশা নিয়ে সোজা কলেজ গেইট পৌছে গেছি। রাস্তায় কোন প্রকার কোন সমস্যা হয়নি। সঠিক সময়ে পৌছে সুন্দর ভাবে পরিক্ষা দিয়েছি। কিন্তুু লাষ্টের দিন ২০ তারিখ বৃহস্পতি বারে আমাদের পরিক্ষা দুই ঘন্টা এগিয়ে এগারোটার সময় করে দেয়। তার মানে আমাকে এগারোটার জাগায় নয়টার সময় বাসা থেকে বের হতে হবে।

আমি যথা সময়ে নাস্তা করে ঠিক নয়টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমার সাথে প্রতিদিনই আমার ছোট বোন যায়। তো সেও নয়টার আগেই রেডি হয়ে গেছে। আমরা বাসার সামনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে রিকশা বা অটোর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। নয়টার বের হয়ে সাড়ে নয়টা বেজে গেছে রিকশা বা অটো পাচ্ছি না। কিছুটা বিরক্ত হলেও দেড় ঘন্টা সময় থাকায় তেমন বিচলিত হলাম না। ৩০ মিনিট হাটলে কলেজে যেতে পারতাম। কিন্তু রোদ আর অসুস্থতার জন্য হেটে যেতে পারলাম না। অবশেষে ৪৫ মিনিট পরে একটি রিকশা পেলাম।

07.jpg

08.jpg

দুই বোন রিকশা দিয়ে কলেজের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হলাম। আমাদের গ্রামের সীমানা পার হয়ে কাউতলী মোড়ে আসার পরেই জ্যামের মধ্যে আটকে গেলাম। এখানে প্রায় দশ থেকে পনের মিনিট বসে রইলাম। তখন ১০টা ২০ মিনিট বাজে। এখানে থেকে কোন রকম জ্যাম থেকে ছুটে বের হলাম। ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যাচ্ছি। ফ্লাইওভারের মাঝ খানে গিয়ে এমন জ্যামে পড়ছি রিকশা সামনের দিকেও যায় না, পিছনের দিকেও যায় না। তখন সাড়ে দশটা বাজে। বান্দবীরা একের পর এক ফোন দিতে লাগলো। জ্যামের মধ্যে পনের মিনিট বসে থেকে রিকশা থেকে নেমে হাটা শুরু করলাম। অসুস্থ হলে কি হবে পরিক্ষা তো দিতে হবে।

05.jpg

5.jpg

আমি যখন কলেজে প্রবেশ করেছি তখন এগারোটা বেগে গেছে। পরিক্ষা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। মাঠের মধ্যে অবিভাকরা বসে আছে। মাঠে কোন স্টুডেন্ট নেই। চার পাশ নিরব। আমি দৌড়ে কোনরকম পরিক্ষার হলে প্রবেশ করলাম। গিয়ে দেখি সবাই লেখা শুরু করে দিয়েছে। তারপর আমি খাতা নিয়ে প্রথম বিষয়টা কোনরকম পাশ নাম্বার আনছার করেছি। জানিনা রেজাল্ট কি আসে। আর দ্বিতীয় পরিক্ষাটা ভাল ভাবেই দিলাম।

02.jpg

04.jpg

তারপর একটার সময় পরিক্ষা শেষ হয়ে গেছে। পরিক্ষার শেষ হওয়ার পরে স্যাররা আমাদেরকে অনেক প্রকারের নাস্তা দিয়েছে সিংগারা,মিস্টি,নিমকি। আমার ছোট বোনকেও নাস্তা দিয়েছে। সবাই নাস্তা করে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছি। তবে প্রথম পরিক্ষাটার কথা মনে হলে একটু কষ্ট লাগে। যায়হোক ভাগ্যে যা আছে তাই হবে। আমি তো আর ইচ্ছা করে লেইট করি নাই।

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই,আর দীর্ঘায়িত করবো না। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার নিকট দোয়া প্রার্থী।

সবাইকে ধন্যবাদ by @titash.

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3yPNYivGJdqH6B9D1B9GXFbD3dJzQrYgDA2fPfS3ZHNhhEkcpTcJnN3QULYgUTRVotiJ123jGrA41SH2EjaT7L14Q39dw5rYykqAVuEdE1gSbZnp5vSsPJrcnUbUBfGHFw64k.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামজরুরী কাজের সময় জ্যাম লাগে বেশি।
স্থানসদর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তারিখ২0-০৭-২৩
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqrigHRpcui9esXgmzET2bzsQeMg4RmCSqymiE62YF9FX9CSeYHcZbStqFqiFen18HjyXNbtXG.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7J8W9NZEbNsUTLEMkrtgqwUMHmRbAh6UqX4xVw4ivcS7bbpBquT2w2543nYruerj3XBGzuKvCPijibJe6h1hHzcjF.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.