পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি-
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাসার ছাদের উপর থেকে ক্যাপচার করা কিছু সবজির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে আমার জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া হলেও আমার হাজবেন্ডের চাকরির সুবাদে আমাদের নারায়ণগঞ্জ এ থাকতে হয়। আমরা যেই বাসাতে ভাড়া থাকি সে বাসার মালিক খুবই প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। তিনি প্রকৃতিকে খুবই ভালোবাসেন। তিনি বেশ কিছুদিন আগে তিনির বাসার ছাদের মধ্যে একটি সবজি বাগান তৈরি করেছেন। এখনো সবজিগুলো ঠিকভাবে বড় হয়নি। তবে তিনির প্রস্তুতি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
আমি সাধারণত প্রতিদিনই ছাদে যাই, বাড়ির মালিক ধীরে ধীরে খুব সুন্দরভাবে একটি মাচাং এর মধ্যে সবজি চাষ শুরু করেছেন। তিনি কয়েক ধরনের সবজি সেখানে চাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বর্তমানে সবজিগুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে, সবজিগুলো খুবই চমৎকার। আজকে আমি সেখান থেকে ক্যাপচার করা কিছু সবজির ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
বন্ধুরা প্রথমে আপনারা একটি লাউ গাছের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এই লাউ শাকগুলো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে যেমন তরকারি রান্না করা যায় ঠিক তেমনিভাবে এগুলোর ভিতরে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি ও তৈরি করা যায়। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে সবজিগুলো খুবই তরতাজা। বাড়ির মালিক কিন্তু বীজ রোপন করেছিল, সেই বীজ থেকে খুব সুন্দর লাউ গাছ হয়েছে।
আমি অন্য পাশে গিয়ে দেখি মাচাং এর মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে একটি লাউয়ের ডগা ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলো দেখতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। বাড়ির মালিক কয়েকটি লাউ গাছ লাগিয়েছে, একটি লাউ গাছের চারা ছোট হলেও বাকিগুলো মোটামুটি বড় হয়েছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন লাউ গাছের আগাটা কি সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখলে নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে।
প্রিয় বন্ধুরা এখানে দেখতে পাচ্ছেন পুঁইশাকের ফটোগ্রাফি। এখানে আপনারা দুই কালারের পুইশাক দেখতে পাচ্ছেন। পুইশাক আমার খুই প্রিয় একটি সবজি। কিছুদিন আগেও বাজারে পুইশাকের প্রচুর দাম ছিল। বাজারে তো সার দেওয়া পুইশাক বা হাইব্রেড পুইশাক বিক্রয় করে। আর এখানে সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পুইশাক চাষ হচ্ছে।
এখানে মাচাং এর অন্য পাশে খুবই সুন্দর একটি পুইশাকের ডগা দেখতে পেলাম। এই ডগা গুলো সাপের মত মাথা তুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির মালিকও অনেক বড় করেই মাচাংটা তৈরী করেছে। আসলে প্রকৃতির সুন্দর্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। যত দেখি ততই ভালো লাগে।
এখানে আপনারা সম্পূর্ণ মাচাং সহ লাউ গাছের ডগা দেখতে পাচ্ছেন। এখনো সম্পূর্ণ মাচাংটাই খালি পড়ে আছে। ধীরে ধীরে চতুর্পাশ থেকে পুইশাক ও লাউ গাছ এসে ভরে যাবে। তখন চিত্রটা দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখা যাবে। সবার ছাদেই এভাবে সবজি চাষ করলে অনেক ভালো হয়। এখন একটি স্লোগান বের হয়েছে “নিজের আঙ্গিনায় করবো চাষ, সবজি খাবো বারো মাস”। সবাই যথা সম্ভব প্রকৃতির দিকে নজর দিয়ে সবজি চাষে এগিয়ে আসুন।
তো বন্ধুরা আপনাদের সাথে প্রকৃতি নিয়ে অনেক কথা শেয়ার করলাম । আশা করি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। আবার আগামীকাল আপনাদের সবার সাথে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বাড়ির ছাদের কৃষি বাগান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | নিজ বাসা,নারায়গণঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩-০৮-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
বর্তমান সময়ে ছাদ বাগানের চাহিদা দিন দিন অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি মনে করি ছাদ বাগান সবার জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু বাজারে জিনিসের এত দাম তাছাড়াও বাজারের জিনিসগুলো ফ্রেশ হয়ে না সব সময়। আর ছাদে যদি বাগান করা যায় তাহলে ভালো খাবার গুলো খাওয়া যায়। আর অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচা যায়। ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার হাসবেন্ডের চাকরির সুবাদে আপনাদের নারায়ণগঞ্জে থাকতে হয়। তবে সেখানে দেখছি আপনারা ছাদে খুব সুন্দর করে সবজি তৈরি করেছেন। আসলে শহরে মানুষগুলো ছাদে খুব সুন্দর করে বাগান তৈরি করে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো আপনিও সেই উদ্যোগ তাই একজন। আর খুব সুন্দর হয়েছে সবজিগুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ছাদে সুন্দর সবজি বাগান দেখে ভালো লাগলো। আজকাল সবজির যে দাম সবার এভাবে সবজি চাষ করা উচিত তাতে হয়তো কিছুটা সংসারের খরচ কমে। আপনি আপনার হাসবেন্ডের চাকরির শোভাতে নারায়ণগঞ্জ থাকেন। সেখানে ছাদে অসাধারণ বাগান করেছেন তার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ছাদ বাগানের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো আপু। লাউ গাছটা বেশ দারুন হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরো ছাদের মধ্যেই মাচাং তৈরি করে দিয়েছেন দেখছি। খুব সুন্দর লাউ গাছ এবং পুঁইশাক গাছ হয়েছে আপনার ছাদে। নিজের বাগান থেকে কোন কিছু খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আর এগুলো একদম ফ্রেশ। আপনার ছাদ বাগান দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে বাড়ির ছাদে অনেকে অনেক ধরনের সবজি গাছ এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করে । আপনি দেখতেছি বাড়ির ছাদের কৃষি বাগান থেকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit