পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি-
হে আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার শাশুড়ি মায়ের মুরগি পালন নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আমরা প্রত্যেকেই খুব শখ করে বিভিন্ন গৃহপালিত পশু পাখি পালন করে থাকি। বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকে তারা হাঁস মুরগি, গরু ছাগল, ভেড়া, কুকুর বিড়াল এগুলি পালন করে থাকে। আবার যারা শহরে থাকে তারা বিভিন্ন ধরনের পাখি খরগোশ, একুরিয়ামে মাছ, কবুতর এগুলো পালন করে থাকে। এসব প্রাণী গুলো আমরা সবাই খুবই শখ করে লালন পালন করে থাকি। আবার শহরের দিকে অনেক মানুষ বিদেশি কুকুর ও বিড়াল পালন করে থাকে। এই প্রাণীগুলি লালন পালন করতে গিয়ে মানুষ অনেক টাকা ব্যয় করে থাকে। যারা কুকুর এবং বিড়াল প্রতিপালন করে এটা সম্পূর্ণই শখের বসে করে থাকে। কুকুর বারি পাহারা দেয়, বিড়াল ঘরের ইদুর মারে। মানে প্রাণী প্রতিপালন করলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।
এছাড়া যারা অন্যান্য প্রাণীগুলি প্রতি পালন করে থাকে তারা অবশ্যই কিছু না কিছু লাভের আশায় এগুলো পালন করে। যেমন হাঁস মুরগি পালন করলে ডিম পাওয়া যায়,হাসঁ মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়,হাঁস মুরগি জবাই করলে মাংস খাওয়া যায়। এছাড়াও গরু ছাগল কবুতর সবগুলোতেই লাভ রয়েছে।
আপনারা সবাই জানেন আমার হাজবেন্ডের চাকরির সুবাদে আমি এবং আমার হাজব্যান্ড শহরে থাকি। মাঝে মাঝে আমরা গ্রামে যাই। গত জুলাই মাসে আমার ইনকোর্স পরীক্ষার জন্য আমি গ্রামে গিয়েছিলাম। আমার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আবার শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি আমার শাশুড়ির একটি গুণ লক্ষ্য করেছি। তিনি খুব যত্ন সহকারে হাঁস মুরগি প্রতিপালন করে থাকেন। আমি শুনেছি তিনি অনেক আগে থেকেই এই প্রাণীগুলোকে খুব শখ করে পালন করে থাকে। প্রত্যেকের ঘরে প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার নষ্ট হয়। এ খাবারগুলো বাহিরে না ফেলে এগুলো হাঁস মুরগিকে দিলে তারা খেতে পারে। একদিকে যেমন অপচয় রোধ হয় অন্যদিকে হাঁস মুরগি পালন হয়ে যাই।
একদিন বিকেলবেলা আমার শাশুড়ি মুরগিকে খাবার দেওয়ার সময় আমি বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। বর্তমানে তিনির তিনটি মুরগি রয়েছে। দুইটি মুরগি বর্তমানে অনেকগুলো বাচ্চা দিয়েছে। আরেকটি মুরগি এখনো বাচ্চা দেয়নি, বাচ্চা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শ্বাশুড়ি আম্মা যখন বাড়ির উঠানে মুরগি গুলোকে খাবার দিচ্ছিল তখন আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। নিজের লালন পালন করা মুরগি দেখে সবার কাছেই ভালো লাগে।
একটা মুরগি প্রায় ১০ থেকে ১২ টা করে বাচ্চা নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। তবে আবার অন্যদিকে আরেকটি ঝামেলাও রয়েছে। যতদিন বাচ্চাগুলো ছোট থাকে, তখন এই মুরগিগুলো বিভিন্ন জায়গায় তাদের পা দিয়ে মাটি তুলে ফেলে। তাছাড়া মুরগির বাচ্চাগুলো সারাদিনই চেউ চেউ সাউন্ড করে থাকে। তবে এটাও একটি আনন্দের বিষয়।
এই বাচ্চাগুলো যখন বড় হবে, তখন বাজারে বিক্রি করে কিন্তু অনেক টাকা পাওয়া যাবে। আবার বিভিন্ন সময় মেহমান আসলে এই মুরগি গুলো জবাই করে মেহমানকে দেওয়া হয়। এগুলো নিজের পালিত মুরগি, পিওর খাবার খেয়ে এগুলি বড় হয়ে থাকে। আমি এবং আমার হাসবেন্ড যখনই বাড়িতে যাই, তখনই আমার শাশুড়ি মা নিজের পালিত মুরগি জবাই করে থাকে। আর একটা না একটা মুরগি সারা বছরের ডিম দিয়ে থাকে। আমার শাশুড়ি মায়ের হাসঁও রয়েছে, তবে হাঁসগুলো ওই সময় আমার আশেপাশে ছিল না। আমাদের বাড়ির সিঁড়ির নিচে ইট দিয়ে সুন্দর করে হাঁস মুরগির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার শাশুড়ি প্রতিদিন হাঁস মুরগি থাকার জায়গাটা পরিষ্কার করে থাকে। আসলো বাড়িতে গৃহপালিত পশুপাখি থাকলে খুবই ভালো লাগে। আমি যদি গ্রামে থাকতাম তাহলে আমিও আমার শাশুড়ি মায়ের মত হাঁস মুরগি পালন করতাম।
যাইহোক বন্ধুরা আমার শাশুড়ি মায়ের মুরগি নিয়ে আমি আমার নিজের অনুভূতি শেয়ার করলাম। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | আমার শাশুড়ি মায়ের মুরগি পালন দেখার অনুভূতি। । |
স্থান | কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৩-০৭-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপনার শাশুড়ির হাঁস মুরগি প্রতিপালন খুব ভালো লাগলো। ভীষণ যত্ন করে তিনি এই হাঁস মুরগি গুলিকে লালন পালন করেন এবং খাবার দেন। তাঁকে আমার তরফ থেকে অনেক শ্রদ্ধা পাঠিয়ে দিলাম। কিন্তু ছবিগুলি যে একটি আপলোড হয়নি। আপনি মনে হয় খেয়াল করেননি। একবার দেখে নিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার শাশুড়ী আম্মার হাতের গুণ আছে আপু। সবার হাতে এসব হয় না। ওই যে মা মুরগীটা তার ছানাপোনা নিয়ে দল বেধে যাচ্ছে কী সুন্দর ফেখতে লাগছে। চোখ জুড়িয়ে যায় এসব দৃশ্যে।
গৃহপালিত পশু থাকা ভালো। বাড়ির খাবার দাবারের কোন নষ্ট নেই। ওরাই খেয়ে নেয়।
খুবই ভালো করেন আপনার শাশুড়ী আম্মা। ওনাকে শ্রদ্ধা জানালাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের বাসায় গেলে আমিও এরকম দৃশ্য অনেক দেখি আপু। আমার মায়ের অনেকগুলো মুরগী আছে। আপু আপনি আপনার শাশুড়ি মায়ের মুরগি পালনের দৃশ্য গুলো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটা সময় ছিল আমার আম্মু প্রচুর মুরগি হতো। বড় মুরগির প্রায় 50 টার বেশি থাকতো। এমন এমন দিন যেত রাত পোহালেই মুরগির ঘর খুললেই ঘরের মধ্যে দশ বিশটা করে ডিম পাওয়া যেত। যাইহোক সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা যেন এক মুহূর্তের মধ্যে স্মরণ হয়ে গেল আপনার এই পোস্ট পড়তে গিয়ে। বেশ দারুন ছিল আপনার আজকের এই মুরগি পাখির পোস্টটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু যারা গ্রামে থাকে তারা হাঁস-মুরগি এবং গরু ছাগল অনেক কিছু লালন পালন করে। তবে এটি ঠিক বলেছেন যারা শহরে থাকে তারা খরগোশ পাখি এগুলো লালন পালন করে। যদি আপনার হাসবেন্ডের চাকরির কারণে আপনি শহরে থাকেন। আপু যারা শহরে থাকে তারা গ্রামে আসলে হাঁস মুরগি দেখলে তাদের কাছে খুব ভালো লাগে। যখন মুরগিগুলো বাচ্চা নিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে তখন অন্যরকম লাগে দেখতে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই মুরগি প্রতিপালনের পোস্টটি আগেই দেখেছিলাম। আজ ছবিগুলো আমার মোবাইলে খুলল। খুব ভালো লাগলো সমগ্র পোস্টখানা আসবে। ভীষণ সুন্দর করে ছবিগুলো তুলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit