২১ শে ফেব্রুয়ারির কিছু স্মৃতি।। 10% beneficiary for @shyfox and 5% for abb school ।।

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামুআলাইকু,

কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আপনাদের সাথে আমি ২১ শে ফেব্রুয়ারির নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন শুরু করি।

501.jpg

আপনারা সবাই জানেন যে আমার এক আপুর বাড়ি চাদঁপুরে। আমি প্রায় সময় চাদঁপুরে আপুর বাড়িতে যেতাম। চাদঁপুরে আপুর বাড়িতে আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। আপুর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আপুর ছেলেটা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে আর মেয়েটা এই বছর পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। আপুর ছেলে মেয়েরা আমার জন্য অনেক পাগল। আমি যখন তাদের বাড়িতে যেতাম তখন আমি তাদেরকে স্কুলে নিয়ে যেতাম। আবার স্কুল ছুটির সময় হলে গিয়ে নিয়ে আসতাম। সেই সুবাদে আপুর ছেলে মেয়েরা আমাকে অনেক ভালবাসে আমিও তাদেরকে অনেক ভালবাসি।

গত বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে আমার ভাগিনা এবং ভাগনির রিকুয়েষ্টে আমি চাদঁপুরে গিয়েছিলাম। তাদের অনেক শখ আমি তাদের সাথে তাদের স্কুলে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে যেতে। তাই আমি আমার মায়ের সাথে আপুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন আমার হাতে কোন মোবাইল ছিল না। আপুর মোবাইল দিয়ে আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এই বছর স্টিমিটে জয়েন হওয়ার পরে ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিন হ্যাংআউটে এই বিষয়ে আলোচনা শুনে আমার সেই ছবি গুলোর কথা মনে পড়েছে। তারপর অনেক কষ্টে আপুর মোবাইল থেকে সেই ছবি গুলো আমার মোবাইলে ট্রান্সফার করি। আর সেই ছবি গুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।

502.jpg

503.jpg

সকাল বেলা ফুল নিয়ে স্কুলের বাচ্ছারা শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । বাচ্চাদের মধ্যে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভের ছাত্র-ছাত্রী সবাই ছিল । মেয়েরা সামনের দিকে আর ছেলেরা পিছনে ছিল । সবার হাতেই কিছু কিছু ফুল ছিল। ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে তারা অনেক খুশি ছিল।

504.jpg

505.jpg

গ্রামের বিভিন্ন পাড়া থেকে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের মাঠে জড়ো হতে লাগলো। সবার হাতে বিভিন্ন ধরনের ফুল ছিল। কারো হাতে পতাকা ছিল। কারো মাথায় ফুলের ব্যান ছিল।

506.jpg

507.jpg

বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্কুলের মাঠ ছাত্র ছাত্রী দ্বারা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেল। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছাত্রীরা একটি পুষ্পস্তবক নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

510.jpg

509.jpg

আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছাত্রীরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছে। স্কুলে কোন শহীদ মিনার ছিল না। তাই ছাত্র ছাত্রীরা নিজেরা একটি শহীদ মিনার তৈরী করেছে।

508.jpg

ছাত্রীদের পরে ছাত্ররা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে ফুল কিনে ভাষা শহীদের স্বরণে পুষ্পস্তবক বানিয়েছে।

514.jpg

515.jpg

শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পরে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছে। সবাই যে যার মত করে সময় কাটিয়েছে।

512.jpg

513.jpg

ঐদিন আমরা বিকাল পর্যন্ত স্কুলে থেকে বাড়ি চলে আসি। আমার ভাগিনা ভাগনি আসতেই চায় না। অনেক জোর করে তাদের নিয়ে আসতে হয়েছে। ঐদিনটি আমার স্মৃতির পাতায় লেখা রইল। খুব মিস করি আমার ভাগিনা ভাগনিদের।

আজ এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন। সব গুলো ফটোগ্রাফি আমি আমার আপুর রেডমি নোট-৭ মোবাইল দিয়ে ধারুন করেছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের উপস্থাপনাটি অনেক ভাল লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ @titash

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7jpbMNKdA1Swxiey857mvDu4v9YQGGGa7u8o3aSuH2T9hohoCpGA4xjXECnmqJUuaGBR4n9tutUQsJX8FzZckBvZL.png

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPrexwcy6xHQHfFaMXGPra6UPL.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

চাঁদপুরে আপনার আপুর বাড়িতে গত বছর ঘুরতে গিয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে তোলা যে ফটোগ্রাফি গুলি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেগুলি সত্যি অনেক অসাধারণ হয়েছে । দেখে মনে হচ্ছে আপনি আপনার ভাগিনা ভাগ্নিদের কে নিয়ে অনেক মজা করেছেন ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে । ছাত্রছাত্রীরা সবাই একসাথে শহীদ মিনারে ফুল দিতেছে এটি সত্যি অনেক সুন্দর ।

আপনি আপনার আপুর বাসায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে ভাগ্নে ভাগ্নিদের আবদার পূরণ করার মাঝে আলাদা রকমের শান্তি রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রত্যেকটি স্কুলে দারুন আয়োজন করা হয়েছে। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল।

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। আপনি একটি স্কুলের একুশে ফেব্রুয়ারি হচ্ছে তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।

এবার আমরাও যথাযথ মজাদার সাথে স্কুল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করেছি আমাদের বিদ্যালয়। আপনাদের এই সুন্দর স্মৃতি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আমাদের সকলের একুশে ফেব্রুয়ারি ইতিহাস জানতে হবে এবং সেভাবে শ্রদ্ধা করতে হবে।