বিয়ের খদর তৈরী করার অনুভূতি।।

in hive-129948 •  3 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি

হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার দেবরের বিয়ের খদর তৈরী করার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।

বন্ধুরা আপনাদের সাথে কিছুদিন আগে আমি আমার দেবরের বিবাহ উপলক্ষে পিঠা বানানোর রেসিপি শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে সেই পিঠাগুলো ভেজে আমার দেবরকে যে একটি বড় থালাতে খাবার অর্থাৎ খদর দিয়েছিলাম সেই ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতিগুলো শেয়ার করবো। বন্ধুরা আমরা সবাই সবাই জানি আমরা বাঙালিরা সংস্কৃতিতে মগ্ন বেশি। আমাদের বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি থেকে আলাদা। বাংলাদেশের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের সংস্কৃতি দেখা যায়। আমার শ্বশুরবাড়ি গ্রামে। গ্রামের একটি প্রচলন হলো যে, বিয়ের আগের দিন সন্ধাবেলায় গায়ে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে ছেলেকে খদরের থালা সাজিয়ে দিতে হয়। তেমনটি আমার দেবরের বিয়েতেও হয়েছে। তবে আমাদের এলাকায় এই নিয়মটি নেই। আমাদের এলাকায় বিয়ের দিন সকাল বেলায় বরকে খদর দেওয়া হয়। যাইহোক আগে আর পরে দুই এলাকাতেই কিন্তু ছেলেকে অর্থাৎ বরকে খদরের থালায় সবাইকে নিয়ে বসে খেয়ে তারপর শ্বশুর বাড়িতে নতুন বউকে আনতে যেতে হয়। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নিয়ম থাকতে পারে। সব জায়গার তথ্য আমার জানা নেই।

আমার দেবর যখন বিদেশ থেকে আসেন তখন আমি আমার দেবরের সাথে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পরে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে। পিঠা বানানোর থেকে শুরু করে ঘর গোছানো রান্না বান্না আত্মীয় স্বজনের খেয়াল তারপর এই খদরের আইটেমটিও আমি নিজেই তৈরী করেছি। আমার দেবর বিদেশ থেকে আসার পরে হঠাৎ করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। যার জন্য সবাই শপিং নিয়েই ব্যস্ত ছিল। গায়ে হলুদের দিনও আমার দেবর আমার হাসবেন্ড আমার ননদ সবাই শপিং করতে গিয়েছিল। আর আমি একা একা আমার বড় জা-কে নিয়ে দুটি দেশী মুরগীর ঝাল রোস্ট, পোলাও, সাদা ভাত, মুরগির মাংস ভুনা, ডাল, মাছ ভুনা করেছিলাম। সবগুলো রান্না বান্না আমি লাকরি চুলাই অর্থাৎ মাটির চুলায় করেছি। যার জন্য রেসিপিগুলো ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। যাইহোক খদরের থালা সাজানোর পর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি বাকি রয়েছে সেগুলো করতে পারিনি। কারণ আমি আমার দেবরের সামনে যাই না, তাছাড়া অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে যাদের সামনে আমি যায় না। আমি একটু পর্দাশীল ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করি।

আমার হাসবেন্ডও আমার কারো সামনে যাওয়া পছন্দ করে না। এই সব গুলো রেডি করার সময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। খদরের মধ্যে আমার বড় দেবর, ছোট দেবর, বড় আপু তিনির জামাই, ভাগ্না ভাগ্নিরা উপস্থিত ছিল। এমনকটি আমার হাসবেন্ড খাওয়ার সময় যায়নি। কারন তিনি বড় ভাই হিসাবে ছোট ভাইয়ের সামনে যেতে লজ্জা পায়। তবে আমার বড় ননদ আমাদের জন্য আলাদা ভাবে আমাদের রুমে দিয়ে গিয়েছিল। আমি একটি রোস্ট আর আমার হাসবেন্ড একটি রোস্ট খেয়ে ছিল। বাকি পিঠা মিষ্টি এসব আমরা খায়নি। যায়হোক সব মিলিয়ে সবাই খুবই আনন্দ করেই সব গুলো খাবার খেয়েছে। আমার কাছেও ভালো লেগেছে।

আজকে আর বাড়াবো না। এখনই বিদায় নিবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবার আগামীকাল দেখা হবে ইনশাল্লাহ।।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামবিয়ের খদর তৈরী করার অনুভূতি।।
স্থাননিজবাসা, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ।
তারিখ০৬-১১-২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

image.png

![image.png](

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
শিরোনামনিজের হাতে ক্যাপচার করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি।।
স্থানভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।
তারিখ১০-১১-২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@titash

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSfQKFP87GjNCaLdCLKkYFWdxRmYuKurkfDpnYWoUUypXiwgziwKKNP24nNC65i32Am8Fp.png

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমার পরিচিতি

আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9uuNWjCEgJj5LnknUa3pWA9yop6dT9GDfEUZtz2oDgA9ocMHrCEtkFpngXowo13q8Mn1YvzEMh5bSRg1SNaKSZwbsLwb3YA.png

mCz6aUXpYgcE9hndDxJeFHNCvijWNENnxm5KqcEUM3o1siCoMX3by8iWdE4qYzWA7pZHzh4KthdoHPj2eEciPaXhHTdxhx5dKApkU8hxE3mUrybeUbtQCvbs4JC247APSjksrR6prneL2GBtrunMiz4r5CiYySVGKj1e3nT19qBCX5ekz5F.png

5QqP4NVdsPNcDeePyfoZLTLv8efTACU5P6GADTBgMgfXR7uJx5fN91AE46tFfFA7GwMq22wjUwwY5XDyUBMksyZSJGUEyK1Re6UWVZ1PqVR2ntgu73qAW8iDh6yPt8YVsiJ7enc87gmY874JVVHPQo6hSZvUs47FymTjqs43bSUF1Wvtd8T.jpg

4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzL1as2zt5nA5iP9iEBmXtJKZZD3SHGtdFKZ13Up5EmSAxpDYtwYvvxyhsR48F5wdZ6ZhgEKtW9w1csKVawJHrqc3fgSkcpz8WsTY1MvhswZsey8zNe3vkwTdKjCivA3Z6dpaPre.png

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বিয়ে উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। খাবারের আয়োজন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। দারুন হয়েছে। আয়োজনগুলো।

জি আপু বিয়ে উপলক্ষে এই ধরনের খাবার সবার কাছে ভালো লাগে। আমার আয়োজনগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

Daily TASK Done

photo_2_2024-11-17_15-07-33.jpg

photo_3_2024-11-17_15-07-33.jpg

photo_1_2024-11-17_15-07-33.jpg

আপনাদের মতো আমাদের দেশেও এই খাবার খাওয়ার চল আছে। তবে নাম আলাদা৷ আমরা বলি আইবুড়ো ভাত। মানে অবিবাহিত অবস্থার শেষ ভাত। এর পর একেবারে বিয়ের পর বর খায়৷ আপনাদের নক্সি পিঠা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগছে৷ জাস্ট ওয়াও। সব মিলিয়ে দারুণ আয়োজন করেছেন৷

আপু আইবুড়ো ভাত নামটা কিন্তু দারুন। তারমানে বিয়ের পর কি বুড়ো হয়ে যায়? আপু আমাদের এখানকার নরসিংদী নকশী পিঠা অনেক বিখ্যাত। ধন্যবাদ আপু।

বাঙ্গালীদের বিয়ে উপলক্ষে আছে হরেক রকমের নিয়ম। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম নিয়ম রয়েছে। আমাদের অঞ্চলে বরকে বিয়ের পর এরকম ভাবে খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনাদের এলাকাতে দেখছি বিয়ের আগেও পরে এরকম করে খেতে দেয়া হয়। যাই হোক বেশ ভালই লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে একটি নিয়ম জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু।

জ্বী আপু বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের নিয়ম রয়েছে। একেক এলাকাতে এক এক রকমের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। আপনাদের এখানে বরকে পরে এভাবে খাবার দেওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু।