ষষ্ঠীর দিনে ঘুরোঘুরি...

in hive-129948 •  6 days ago 

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি।আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। গতকাল আপনাদের সাথে কি পোস্ট করবো ভেবে যখন ছবির গ্যালারি তে যাই, তখন দেখলাম এবারের পুজোর অনেকগুলো ছবি রয়ে গেছে। পুজোর কোন কিছু নিয়েই কোনো কিছুই শেয়ার করা হয় নি আপনাদের সাথে! তাই সেগুলো দেখে মনে হলো আজ এ নিয়েই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার ষষ্ঠী পূজোর ঘুরোঘুরির কিছু মুহূর্ত। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷

IMG20241009164213.jpg


আগেও আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে যে আমার বাবার বাড়ি আর শ্বশুড়বাড়ি - দুই বাড়িরই বাড়ির পুজো হয়। তাই প্রতিবার ই গ্রামে যাওয়া হয়ই! কোনোবারেই মিস যায় না। যেহেতু এখানে পুজোর সরকারি ছুটি কেবলমাত্র দশমীর দিনই থাকে, তাই সাধারণত ষষ্ঠী পর্যন্ত অফিস করে রাতে রওনা দেয়া হয় প্রতিবছর বাড়ির জন্য। তবে এবছর আমার তো অফিস নেই, বরমশাই অফিসে! ওদিকে রংপুর থেকে আমার দুই ননদ এসেছিলো কাজে। আমরা একসাথেই ফিরবো একই বাসে। তাই আমার ননদদের সাথেই বের হয়েছিলাম পুজো দেখতে। গতকাল যে মেট্রোরেল এ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নির পোস্ট করেছিলাম, তা মূলত ওই ষষ্ঠীর দিনেরই যাত্রার অভিজ্ঞতা ছিলো। তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেমে একটু হাটলেই রমনা কালী মন্দির। ওখানেই গিয়েছিলাম ষষ্ঠীর পুজো দেখতে। সেদিন বেশ ভালো বৃষ্টি হচ্ছিলো। আর একদম ষষ্ঠীর দিন বলে খুব বেশি মানুষ ও ছিলো না মন্দিরে। আমরা দুপুরের পর গিয়ে দেখি তখনও সম্পূর্ণ ডেকোরেশন ও শেষ করে নি! তারপরেও মায়ের মুখটি দেখে প্রণাম করে বেশ ভালো লাগলো। বৃষ্টির মাঝে বেশি ভীড় হলেও অবশ্য বেশ ভোগান্তি ই হতো! তবে বাহিরে বেশ মেলা বসেছিলো। বিশেষত পুজোর সামগ্রী এবং খাবার এর দোকান ই ছিলো বেশি। নানা রকমের মিষ্টি থেকে শুরু করে লুচি-লাবড়া, নিরামিষ খাবার থেকে শুরু করে চিকেন, বিরিয়ানি, মোমো, ফুসকা সবকিছুই ছিলো।

IMG20241009164127.jpg

IMG20241009164015.jpg

IMG20241009163933.jpg

IMG20241009163135.jpg

IMG20241009162208.jpg




এরপর আবারো সেখান থেকে মেট্রোতে করেই খামারবাড়ি চলে আসি- কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট এ। ওখানেও দেখি বেশি মানুষ ও নেই, কিন্তু সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আবার বেশ কড়াকড়ি ছিলো। যদিও বেশ কিছু স্টল এর ব্যবস্থা সেখানেও ছিলো, তবে আমরা যখন যাই, সে সময়ে সবগুলো স্টল ওপেন ও হয় নি। কারণ ষষ্ঠীর দিনে তেমন জমজমাট হয় না আসলে। তাও আবার রাতের বেলা গেলে কিছুটা জমজমাট হতো হয়তো, কিন্তু আমাদের তো গ্রামের বাড়ি ফেরার বাস ধরতে হবে রাতে, তাই আমরা গিয়েছি দিনের বেলায়! তাই সময় থাকতে থাকতেই সংক্ষেপে এই দুই টি পুজো দেখেই ফেরত এসেছি বাসায়। কারণ এমনিতেই ঢাকা শহরের জ্যামের কোন ভরসা নেই, তার উপর চলছিলো বৃষ্টি!! তবুও একদমই না দেখার চেয়ে দুইটি প্রতিমা দেখাও ভালো! তো এই ই ছিলো আমার এবারের ষষ্ঠীর পুজোর ঘুরোঘুরির কাহিনী।

IMG20241009172848.jpg

IMG20241009172637.jpg

IMG20241009164324.jpg


আজ আর আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

PUSS.png

2ADPRBseKViTiLXUVCVcyKFFWwAQqRwPpNQSzHtUi2RNRAqmtaYXVePNznvthWTiKKFEk4EbRfwux6CuwsJ5AdzuSvjS6fzMA5fAA4Y1CW...qejroL7Ny1fgjD8vjRSRCARb7j8ome286FSutyVqFH96mi8ANj6PyFMjnWZcArE6PJDNk8DXMW8gVmYMokCaY4CX44YupoyUxF6CSnmBhY5cK3FBL7XWc4rv6.webp

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাসা থেকে মেহমান এসেছিল জেনে ভালো লাগলো আপু। পুজোর সময় ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। পূজো মানেই সবার সাথে ঘোরাঘুরি আর বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া। দারুন সময় কাটিয়েছেন আর শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

পূজোর সময় বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করা হয়। আপনি আজকে ষষ্ঠীর দিনে ঘুরোঘুরি কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঘোরাঘুরি শেষ করে বেশ কিছু খাওয়া দাওয়া করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অসাধারণ হয়েছে আপু।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।