মজাদার জাম মাখা

in hive-129948 •  last year 

হ্যাল্লো, আমার বাংলা ব্লগবাসী। আজ ২৫ শে জুন, ২০২৩। আশা করি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সুস্থ আছি, ভালো আছি।

গ্রীষ্ম কাল সময়টাই হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মজার মজার ফলের সময়! লিচু, আম, কাঠাল, জামের মতো মজাদার সব ফল নিয়ে গ্রীষ্মকাল হাজির হয় আমাদের মাঝে। জাম আমাদের দেশীয় ফল। যদিও জামের সময়কাল খুব কম থাকে, তবুও এই রসালো ফলের চাহিদা থাকে প্রচুর। পাশাপাশি এই ফল পুষ্টিগুণেও ভরপুর। জামে রয়েছে ভিটামিন সি,গ্লুকোজ, ফাইবার, আয়রণ, জিংক, এন্টি অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়ামের মতোন উপাদান। স্বাদের চেয়ে জামের উপকারিতার জন্যই বোধ হয় জাম বেশি জনপ্রিয়। জাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারি কারণ জাম রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, জাম অবসাদ দূর করে, জরায়ু ক্যান্সার, মলদ্বারে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে, হার্ট ভালো রাখে, ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগের নিরাময় করে। বয়স্ক ব্যক্তিদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি তে সহায়তা করে থাকে। তো এক কথায় জাম হচ্ছে 'ছোট ফলে বড় ধাকামা' প্যাকেজ।

গতপরশু ছিলো আমাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সন্ধ্যায় মজার এই সিজোনাল ফল জাম মাখা করেছিলাম। সেই রেসিপিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
এটা আসলে খুব সহজ একটা থ্রি স্টেপ রেসিপি। ৩-৪ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়।

উপকরণ :
১/ জাম
২/ঝাল অনুযায়ী কাচামরিচ
৩/ বীটলবণ
৪/ লবণ
৫/ সরিষার তেল পরিমাণ মতো

ধাপ-১:

প্রথমেই জামগুলোকে ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিতে হবে।

ধাপ-২:
জামগুলো হাত দিয়ে একটু খানি কচলে নিয়েছি যেন জামগুলো আধা ভাঙা হয়, পুরো আলাদা না হয়ে যায়।

ধাপ-৩:

কাচামরিচ গুলো ধুয়ে কুচি করে নিয়েছি। এবার কাচামরিচ, বীটলবণ, লবণ, সরিষার তেল দিয়ে জামগুলো একসাথে মাখিয়ে নিয়েছি।
ব্যাস! চটজলদি মজাদার জাম মাখা তৈরি।

তবে, এই জাম মাখা যতটা মজার, তার থেকেও আমার বেশি মজা লাগে লাস্টে বাটিতে যে এক্সট্রা রস/জুস টা পরে থাকে সেটা। এটার ভাগ আমি আবার কাউকে দেই না।

আজ এ পর্যন্তই। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। মৌসুমি দেশি ফলগুলো মিস করবেন না যেন..

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি জাম মাখা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে।বেশ ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আপু শুধু জানতাম জাম উপকারী ফল,ভিটামিন সি। কিন্তু এত ধরনের উপকার রয়েছে তা আসলে আমার জানা ছিল না। ঠিক বলেছেন আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে আমারও মনে হচ্ছে জাম ছোট ফলে বিশাল বড় ধামাকা। জাম এমনিতেই আমার খুব পছন্দ ।এভাবে মাখলে আরো বেশি ভালো লাগে। জিভে জল চলে এসেছে আপনার জাম মাখা দেখে।

জাম আমার খুবই পছন্দের। এভাবে মেখে খেতে আমার কাছে ভালো লাগে।জাম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনার জামা মাখা রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। মজাদার ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সবার এত জাম মাখানো পোস্ট দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছেনা। আপনার জাম মাখানো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে জাম মাখানো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

মজাদার জাম মাখা দেখে তো যে কেউ খেতে চাইবে আপু। জাম খেলে শরীরের অনেক উপকার । কিছুদিন আগে আমিও জাম এভাবে মেখে খেয়েছি। আপনার পোস্ট দেখে তো আবারো খেতে ইচ্ছে করছে।

আপু একদম মনের কথা বলেছেন। এখন মধুমাস চারিদিকে ফল আর ফল।আমিতো সব রকমের ফলই পছন্দ করি।আমিও আজ জাম মাখা করেছি।দারুন লাগে খেতে।আপনি আজ মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করলেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাকে। মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

জাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। জেনে খুবই ভালো লাগলো।ছোটবেলায় আমাদের গাছের জাম এভাবে মেখে খাওয়া হতো খুবই ভালো লাগতো।অনেক দিন পর জাম মাখা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনা।