হ্যাল্লো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি।
গত ১২-১৩ জুলাই যারা যারা গুগোলের সার্চ ইঞ্জিন গুগোল ক্রম এ গিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে গুগোলের লোগোতে কিছুটা পরিবর্তন ছিলো.... আমি প্রথম খেয়াল করি আমার মোবাইল ক্রিনে। আমি একটি স্ক্রিনশট ও নিয়ে রেখেছিলাম।
যদিও সত্যি কথা বলতে, লোগো দেখে প্রথমে বুঝতে পারি নি যে কিসের জন্য এমন চেঞ্জ লোগোতে। পরে লোগোতে ক্লিক করলে দেখি গেম এ চলে যাচ্ছে। যেখানে বিভিন্ন রকমের ফুসকা বা পানিপুরি সার্ভ করতে হবে কাস্টমারদের তাদের অর্ডার অনুযায়ী। তো, স্বাভাবিকভাবেই মনের মধ্যে প্রশ্ন আসে, কিসের জন্য এমন লোগো পরিবর্তন? পরে জানতে পারি, ২০১৫ সালের ১২ জুলাই ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের একটি রেস্তরা ৫১টি ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পানিপুরি পরিবেশন করে বিশ্বরেকর্ডে নাম লিখায়। সেই বিশেষ দিন উৎযাপন এর জন্যই দুইদিন ব্যাপী গুগোলের এই উৎযাপন।
এখন, সারাদিন যতবার কোন কাজে গুগোলে গিয়েছি, ততবার মনে পরেছে ফুসকা-পানিপুরির কথা!! মন তো ফুসকা ফুসকা করে লাফাচ্ছিলো সারাদিন!! তাই মন শান্ত করতে এবং ফুসকা -পানিপুরি ডে উৎযাপন করতে আমিও বাসায় ফেরার পথে চলে গেলাম আমাদের এলাকার জনপ্রিয় ফুসকার দোকানে। নাম-" মাসুম চটপটি ও ফুসকা এন্ড জুস বার"। নামেই বোঝা যাচ্ছে এখানে চটপটি ফুসকার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। ওদের খাবারের স্বাদ ও মান দাম অনুযায়ী ভালো।
ওখানকার দই ফুসকাটাও বেশ মজার। তবে দই ফুসকার চেয়ে আমার নরমাল ফুসকাটাই বেশি পছন্দের। তাই নিজের জন্য এক প্লেট নরমাল ফুসকা অর্ডার দিয়ে ভেতরে বসলাম। ভেতরে ১০ জন মানুষ বসবার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। মিনিট পাচেক এর মধ্যে চলে আসলো ফুসকা। তবে ফুসকা এমন এক খাবার এর জন্য পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করাও যেন অনেক বেশি সময়...😋😋
দিন শেষে ফুসকা খেয়ে আমিও গুগোলের সাথে সাথে এই বিশেষ দিন উৎযাপন করে মনের সাধ মিটালাম 😍
আজ এ পর্যন্তই থাকলো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবার দিনটি ভালো কাটুক এই শুভকামনা 😃