হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ ভালো আছি, সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আমার ছোট ভাইটিকে ছাড়া ভাইফোঁটার দিনটার অনুভূতি নিয়েই আজকের পোষ্ট। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
গতকালকের দিনটি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী দের জন্য বিশেষ একটি দিন ছিলো। আপনারা তো সকলেই জানেন, আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে! গতকালকের দিনটি ছিলো ভাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। এই দিনে বোনেরা ভাইদের মঙ্গলের জন্য উপোস থেকে নানা উপাচারে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকেন। ভাইদের দীর্ঘ জীবনের জন্য যমের দুয়ারে কাঁটা দেন। বরই গাছের কাঁটা! ফোঁটা দেয়ার সময় বলতে থাকে:-
ভাই এর কপালে দিলাম ফোঁটা,
যম দুয়ারে পরলো কাঁটা
যমের বোন যমুনা,
যমুনা দিলো যমকে ফোঁটা;
আমি দিলাম আমার ভাইকে ফোঁটা।।
পরিবারের মাঝে ভাইবোনের সম্পর্ক যে কতটা মধুর হয়, কতটা খুনসুটি তে ভরপুর হয়- তা তো সকলেই ভালোমতোই জানেন।মানে সারাক্ষণ লাগালাগি, ফাটাফাটি, মারামারি, খুনসুটি লেগেই থাকবে! তবুও একজনকে ছাড়া আবার আরেকজনের ভালো লাগে না! এমনই মধুর সম্পর্ক! আমাদের ভাই-বোনের সম্পর্কে তো আমার মা বিরক্তই হয়ে যেতো প্রায় সময়েই!
যাকে চোখের সামনে জন্মাতে দেখলাম, দেখতে দেখতেই যেনো সেই ভাই বড় হয়ে গেলো! ছোট ভাই থেকে অন্যরকম একটা ভরসার জায়গা হয়ে গেলো! মাঝে মাঝে তো এমন খরবদারিই করতো যেন আমি ওর বড় দিদি না, যেনো ও-ই আমার বড় ভাই! আমিও যে বিষয়টা ইঞ্জয় করতাম না, তেমনটাও না। বেশ ভালো লাগতো আমার। কারণ আমার বড় একজন দাদা থাকা সত্ত্বেও তার সাথে আমার মন-মানসিকতায় তেমন মিলে না ছোট বেলা থেকেই। বড় জনের সাথে কেমন জানি একটু দূরত্ব!! ছোট ভাইকে দিয়েই যেন সেই অভাবটাও পূরণ হচ্ছিলো একটা সময়ে! কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে এখন সেই ছোট ভাইটাও আর ছোট্টটি নেই। পড়াশুনার জন্য বছর দুয়েক ধরে পাড়ি জমিয়েছে ভারতবর্ষে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি তে। বিয়ের পরেও, আগে আমি যখন চাকরি করতাম, তখনও ভাই আমাদের বাসা থেকেই ওর পড়াশুনা করেছে ১ বছর এর মতোন। কিন্তু এখন এমন দূরে যে চাইলেই আসা-যাওয়া করাটা বেশ সময়সাপেক্ষ বিষয়। গতকালকের সারাটা দিন এমন মন খারাপের সাথে কাটিয়েছি আমি! সারাটাদিন বারবার ভাইয়ের কথাই মনে পড়ছিলো! কাছে থাকলে হয়তো নানা আয়োজন করে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়া হতো! সেই উপায় যেহেতু নেই, সকাল সকাল অনলাইনেই ভাইফোঁটার কাজ টা সেরে ফেলেছি! তবুও মন কি মানে! বারবার ঘুরে ফিরে আগের ছবিগুলোই দেখছিলাম। হোক, তবুও ভাই আমার মানুষের মতোন মানুষ হোক। নিজের স্বপ্ন পূরণ করার যোগ্যতা অর্জন করুক- এটাই চাওয়া। সকলে আমার ভাইটার জন্য দোয়া/প্রার্থনা করে দিবেন একটু প্লিজ।
আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইফোঁটার দিন ভাইকে খুব মনে পড়ছে বুঝতেই পারছি।। সেটা খুব স্বাভাবিক বোন। তবে ভাই দূরে থাকলেও সে আপনার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে ভালো থাকবে। ভাইয়ের সঙ্গে অনেক খুনসুটি করে দিন কেটে যেত। এখন সেই সব ঘটনাকে মিস করছেন জানি। তবে খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে আপনাদের। জন্ম জন্মান্তর ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিন এই প্রার্থনাই করি। আর আমরা এতজন দাদা আছি, সবাই একসঙ্গে ফোঁটা নিতে বসবো একবার। হা হা হা। ভালো থাকবেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগের বার দাদা রাখী বন্ধনের দিন ভার্চুয়ালি প্রোগ্রাম করেছিলেন। বেশ মজা হয়েছিলো সত্যিই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit