হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আশা করছি আমার পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।
source: pixabay
আজ ১২ নভেম্বর, ২০২৩। আজ আমাদের সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য একটি বিশেষ দিন- কালি পুজো, অনেকেই যেটাকে দ্বীপাবলি হিসেবেই বেশি চিনে থাকেন। এই দ্বীপাবলি উৎসবটির পালিত হওয়ার পেছনে অবশ্য অনেক অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে। সেসবে যাচ্ছি না। তবে প্রতিটি কাহিনীর মূলেই রয়েছে এমন একটা বার্তা যার সারমর্ম হচ্ছে- পৃথিবী থেকে অন্ধকার দূরীভূত করে আলো ছড়ানোর উৎসব দ্বীপাবলি। । সে অন্ধকার হতে পারে কোন অশুভ শক্তির অসুর.... হতে পারে কোন শোষক রাজা.... হতে পারে কোন দুর্নীতি বা দুষ্কৃতকারী।
তো এই দিনে সনাতন ধর্মালম্বীরা সবাই নিজ নিজ পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে দ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে থাকেন। এছাড়াও কালের বিবর্তনে, এখন খুবই প্রচলিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের বাজি ফাঁটানো, ফায়ারওয়ার্কস করা ইত্যাদি।এবং এটি নিউ ইয়ার উৎযাপনের মতোই বেশ বড়সড় করেই পালন করা হয়। এই ব্যাপক বাজি ফাটানো এবং ফায়ারওয়ার্কস এর প্রতিক্রিয়া আসলে আমাদের পরিবেশে অনেকদিন পর্যন্তই থাকে। যা শব্দ দূষণ এবং পরিবেশের বায়ুদূষণ এর কারণ। এর বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে আবার আরেকটি কনসেপ্ট এসেছে যার নাম " গ্রীন দিওয়ালি "। এর মূল কনসেপ্ট ই হচ্ছে দ্বীপাবলিতে বাজি ফাটানোর শব্দে শব্দদূষণ যেন পরিবেশের শিশু/বৃদ্ধ/অসুস্থ কোন ব্যক্তির বা কোন পশুপাখির অসুবিধার কারণ না হয়। পাশাপাশি, ফায়ারওয়ার্কস এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করা। বিশেষ করে ভারতে অনেক বিদ্যালয়েও ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন এসাইনমেন্ট এবং প্রজেক্ট তৈরির মাধ্যমে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে " গ্রীন দিওয়ালি " কনসেপ্ট এ।
Source: Pixabay
আজকের এই দিনে সকলের কাছে আবেদন থাকলো উৎসব পালন করতে গিয়ে আমরা যেন পরিবেশের লং টাইম বা শর্ট টাইম কোন ক্ষতি না করি। কোন উৎসব ই যেন কারোর ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। সকলের মংগল হোক, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। সকলের দিনটি ভালো কাটুক।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।