কালী পুজো ২০২৩ || রমনা কালী মন্দির

in hive-129948 •  10 months ago  (edited)

হ্যাল্লো বন্ধুরা

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। সকলে বৃষ্টিময় শীতের দিনের শুভেচ্ছে। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। একটু আগে অফিসের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে দেখি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে! কখন থেকে হচ্ছে তা অবশ্য টের পাই নি বাসায় থাকাতে। অসময়ের বৃষ্টি দেখে বেশ ভালোই লাগলো, কিন্তু হালকা বৃষ্টির ফোঁটা যে গায়ে লাগলো, এতে আরো বেশি অসুস্থ না হয়ে পড়লেই হয়। আমি আসলে বিগত কয়দিন ধরে বেশ ভোগান্তিতেই আছি। শীতের এই সময়টা আমার অলমোস্ট এমন ই যায়। সাইনাস-মাইগ্রেইন দুইয়ে মিলে জেঁকে বসে শীত আর রাস্তার ধূলার পাশাপাশি। আমার জন্য সবাই একটু প্রার্থনা করবেন প্লিজ।
আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমার এ বছরের কালীপুজোর কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিবো। আশা করছি আমার পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করবেন।


কালী পুজোতে সাধারণত তো অফিস বন্ধ থাকে না। আর পুজোও মূলত হয় রাতে। তাই অফিস শেষ এ আমি সরাসরি আমার হাসবেন্ড এর অফিসের কাছাকাছি চলে আসি। সেখান থেকে উনার সাথে একসাথে রমনা কালী মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পরেই নেমে যাই জ্যামের কারণে। মন্দিরের অনেক আগে থেকেই ভীড় জমে ছিলো। তাই হেঁটে হেঁটে মন্দিরে প্রবেশ করতেও অনেক সময় লেগে গিয়েছিলো আমাদের। তবে এমন জমজমাট দেখে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক ননদ পড়াশুনা করে, আমরা ওকেও কল দিয়ে বলি যে আমরা রমনা কালী মন্দিরে এসেছি। ও জানায় ও তখন জগন্নাথ হলে পূজো দেখে কিছুক্ষণের মধ্যেই রমনায় আসছে।



মন্দিরের প্রবেশের গেইট খুব সুন্দর করে লাইটিং করেছিলো এবং সাজিয়েছিলো কতৃপক্ষ। কালী পূজো তো মূলত অন্ধকার দূরীভূত করে আলো ছড়ানোর ই উৎসব। সকল ভক্তরা নির্দিষ্ট জায়গায় প্রদীপ বা মোমবাতি লাগাচ্ছিল। রমনা মন্দিরে প্রতি বছর ই ফুল-প্রদীপ দিয়ে " শুভ দ্বীপাবলি" লিখে থাকে। এবারেও লিখেছিলো। কিন্তু এত মানুষের ভীড় ছিলো যে শুধু "শুভ "অংশটুকুই দেখতে পেয়েছি। বাকি অংশটুকুতে আর ভীড় ঠেলে কাছেই যেতে পারি নি।


বাঙালির উৎসব আর খাওয়া দাওয়া থাকবে না তা কি হয়?মূল মন্দিরের এরিয়ার বাইরের অংশে বিভিন্ন খাবারের স্টল বসেছিলো। এবারে দেখলাম ভেজ- নন ভেজ দুই ই ছিলো। তবে নন-ভেজ এর স্টল ই বেশি ছিলো। পাশাপাশি মিষ্টির দোকানও বসেছিলো। আমরা অবশ্য নিরামিষ লুচি সবজি এবং নিরামিষ খিচুড়ি নিয়েছিলাম। নিরামিষ লুচি সবজি এক কথায় অসাধারণ ছিলো খেতে। পুরোই অমৃত!! সব শেষ করে বের হতে যাবো এমন সময় আবার চোখে পড়লো ভাজা পাপড় বিক্রি করছে। সেখান থেকেই দুইটা পাপড় কিনে খেয়ে দেয়ে বের হলাম।

এই ছিলো আমার এবারের কালী পূজো।

এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
🌼 ধন্যবাদ 🌼

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
@rme as your proxy
witness_vote.png

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20211205_182705.jpg

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।



Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঠান্ডা তার মাঝে আবার বৃষ্টি।অবস্থা তো ভয়াবহ তাইলে। কালী পুজা বেশ উপভোগ করছেন বোঝা যাচ্ছে।আমাদের এদিকে কালীপুজা অতটা ধুমধাম করে পালন করা হয়না। রমনা কালী মন্দিরে যাওয়া হয়নি।আপনার দৌলতে দেখে ফেললাম।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

এখানে প্রতিবারই পুরান ঢাকা আর এই রমনা কালী মন্দিরে বেশ ধুমধাম করে কালী পুজো উৎযাপন করা হয়। আমারো অবশ্য কখনো পুরান ঢাকার কালী পুজো দেখা হয় নি।

Posted using SteemPro Mobile

আপু আপনি তো দেখছি শীতের সময় ভালোই ভোগেন। চিমটি আমিও তাই। তবে ব্যস্ততার মাঝেও পুজো নিয়ে ভালো একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো যেন আমাদের মনে অনেক আনন্দ অনুভূতি ঠিক করে দেয়।

হ্যা আপু, ঠান্ডা আর মাথা নিয়েই যত ভোগান্তি আমার!! সেই ছোট্টবেলা থেকেই। আর এমন উৎসব সবগুলো তো আমাদের ব্যস্ত জীবনে পালন করা হয় না আপু, তাই যতটুকু পারি ততটুকু অবশ্যই আনন্দ নিয়েই করি 😍

Posted using SteemPro Mobile

অনেক ভালো লাগলো দিদি। শুধু শ্যামা মায়ের মুখ দেখতে পেলাম না, এই দুঃখ অল্প রয়ে গেলো।। জয় মা কালী।

আসলে মূল মন্দিরে মায়ের কাছে এত ভীড় ছিলো, আমরাই বেশ দূর থেকে প্রণাম করেছি। তাই আর মায়ের ছবি তোলা হয় নি দাদা। 😥। মঙ্গলময়ী মা সকলের মঙ্গল করুক। 🙏 জয় মা কালী।

Posted using SteemPro Mobile