জেনারেল রাইটিং :- অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি।

বর্তমান সময়ে অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির অভাব নেই। আপনি একটা বিষয় খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করবেন সেটা হল আপনি যাকে যত বেশি ভালোবেসে তার জন্য অন্যের কাছে সুপারিশ করবেন। তাকে সব কিছু সুবিধা দিবেন একটা সময় দেখবেন সে আপনার পিছন থেকে ফাল মারছে। অনেকে আছে দেখবেন যেখানে কাজ করছে সেখান থেকে জীবনের মোড় ঘুরে গেছে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবকিছু সেখান থেকে পাচ্ছে। অথচ সামান্য একটু লোভের কারণে সেখান থেকে সে দূরে সরে যাচ্ছে। এজন্যই মুরব্বির একটা কথা বলে যার জন্য করলাম চুরি সেই বলে চোর। আপনি যার জন্য নিজেকে সবকিছু বিলিয়ে দেবেন একটা সময় দেখবেন সে আপনাকে অপবাদ দিচ্ছে। কোন মানুষ কারো ছাড়া উপরে উঠতে পারে না। কিন্তু নিচের মানুষগুলো যখন উপরে উঠে যায় তখন দেখবেন যে ব্যক্তি তাকে হাত ধরে উপরে তুলেছে সেই ব্যক্তিকেই ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর মনে হয় এটাই হচ্ছে মানুষের আসল চরিত্র। কিছু মানুষ মনে করে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। আর কিছু মানুষ মনে করে মানুষের ক্ষতি করতে পারলে ভালো লাগে। কিন্তু দেখবেন যে মানুষটি আপনার জন্য এত কিছু করছে সেই মানুষটির আপনি অজান্তে ক্ষতি করে বসবেন।

যারা সারা জীবন সুযোগ নেয় নিজেকে বড় পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য সব রকম চাটোকীয়তা করে, একটা সময় সেসব মানুষ গুলোই কিন্তু ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু যে ব্যক্তি তাদের জন্য এতটা পরিশ্রম করল এতটা কষ্ট করল সেই মানুষটার মুখের দিকে একটা বারও তারা তাকিয়ে দেখে না। সেই মানুষের ভালো-মন্দ টাও তারা বিবেচনা করে না। তাই একদিন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম একজন মানুষ মোটরসাইকেলে বসেছিল আর আমি আমার মামার সাথে হাঁটছিলাম। কথার মধ্যে আমি বলে ফেলছিলাম যে যাকে উপকার করে সে তার ক্ষতি করে। এই কথা শুনে ঐ ব্যক্তি আমাকে দাঁড়াতে বলল আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমাকে প্রশ্ন করল তুমি কেন এই কথাটা বললা এ কথাটা তো চরম সত্য। উনি আমাকে প্রশ্ন করতে আমি ওনাকে বললাম আপনি আমার অনেক বড় আপনি তো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। তখন তিনি বলল এই প্রশ্নের উত্তরটা আমার কাছে জানা নেই তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন মনে হল যে ব্যক্তি এ ধরনের কাজ করে থাকে তার কাছে এই উত্তরটা জানা দরকার। চোখটা একটু খোলা রাখলেই দেখবেন আমাদের মাঝেও এ ধরনের লোক অনেক রয়েছে। যারা সময়কালের সুযোগ নেয় এবং সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে এবং সুযোগ পেলে সেখান থেকে চলে যায়।

যারা সারা জীবন সুযোগ নেয়ার পরে আমার অন্য জায়গায় যারা চলে যায় তারা ভাবে হয়তো বা তাদেরকে আর ফেরাতে পারবেনা। তারা মনে করে আমরা সবগুলো সিঁড়ি বয়ে উপরে উঠে পড়েছি এখন আর আমাদেরকে কেউ ধরতে পারবে না। কিন্তু একটা বিষয় ভুলে গেলে হবে না হয়তোবা যে ব্যক্তি আপনাকে সিঁড়ির উপরে তুলেছে সেই ব্যক্তি নিচে নামাতে না পারলেও প্রকৃতিতে তাকে একদিন মাটির মধ্যে মিশিয়ে দেবে সেই বিষয়টি তার মাথায় নেই। যদি সে বুঝতো যে প্রকৃতি কখনোই মানুষকে ক্ষমা করেনা তাহলে মানুষ কখনো মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারত না। তবে একটা বিষয় আপনারা দেখবেন আমাদের সমাজে এখনো অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির অভাব নেই। অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আমারে একজন শিক্ষক বলেছিলেন শালারা ভাত খায় ভাতারের গীদ গায় নায়ের। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আসলে কথাটা হচ্ছে কথা প্রসঙ্গত ভাবে কথাটা বলেছিলেন তিনি আমি এখানে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম না তারপরও ব্যবহার করতে হলো। মাঝে মাঝে কিছু মানুষের আচরণগত দিক থেকে এই সমস্ত কথাগুলো ইচ্ছে না করলেও মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়। আর এটার প্রমাণ কিন্তু আমরা এখন বর্তমানে সব জায়গাতে কম বেশি দেখতে পারছি।

সমাজে বা কোন জায়গা বা প্রতিষ্ঠানে বা কোন একটা সমষ্টিগত কাজের মধ্যে কিছু ভিন্ন মানুষ থাকবে যারা সব সময় সুবিধা নেবে কিন্তু দিনশেষে তারা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। এখন এক জায়গায় থাকতে হলে সব কিছুই পড়া লাগে এর জন্যই আমাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে ওই সমস্ত মানুষগুলোকে এবং তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে দূরে সরে থাকতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এ ধরনের অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি যেন কোনভাবেই আমাদেরকে ক্ষতি না করতে পারে এবং তাদের মুখের উপরে না বলে তাদেরকে সরাসরি কষ্ট না দিয়ে তাদেরকে এনে চলতে হবে এটাই হল তাদের শাস্তি। যদি মনুষ্যত্ববোধ থাকে তাহলে তাদের ভুল বুঝতে পারবে তারা ফিরে আসবে। তবে মাঝে মাঝে প্রশ্ন থেকে যায় যাকে দিয়ে যার দাঁড়ায় সে বড় হল বা সে জীবনে কিছু করতে পারলো দিনশেষে সেই মানুষগুলো কিভাবে তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। কেউ কারো কোন প্রতিদান চায় না কিন্তু ভালোবাসা সম্মানবোধ এটুকু তো মানুষ চাই। তাই সমাজে বসবাস করতে হলে এ সমস্ত অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি যে আমাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে সবসময় পাশ করে চলতে হবে। আমার মনে হয় তাহলে নিজেকে কিছুটা হলেও নিরাপদ রাখতে পারবো।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।