লাইফস্টাইল :- বিদেশিদের সাথে সাক্ষাৎ এর প্রথম পর্ব।

in hive-129948 •  last month 

আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বর্তমান সময়ে যে আবহাওয়া চলছে এই সময় বাচ্চাদেরকে অবশ্যই দেখে শুনে রাখতে হবে কারণ ঠান্ডা কখনো গরম আর এর মধ্যে বাচ্চারা বেশি অসুস্থ হয়। বেশ কিছুদিন আগে আমি কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ি টগর লেজে গিয়েছিলাম। কখনো সেখানে আমার যাওয়া হয়নি এটাই প্রথম আর সেখানে আমার বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর সেটাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক আমার আজকের ব্লগ ...।


IMG_20241226_135126.jpg

পৃথিবী গোলাকার কোথায় কার সাথে কিভাবে দেখা হবে এটা বোঝা অনেক কঠিন। বেশ কিছুদিন আগে আমি গিয়েছিলাম রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। হঠাৎ করে দেখি সেখানে বলতে গেলে বলা যায় যে বাংলাদেশের ছোট্ট একটা মিনি রাশিয়া। অর্থাৎ সেখানে অনেক গুলো বিদেশে ছিল এবং তারা সবাই রাশিয়ার। তাদের দেখে ইচ্ছা হয়েছিল তাদের সাথে কিছু ছবি তুলি বা তাদের সাথে একটু কথা বলি। কিন্তু ইচ্ছা করলে তো সবকিছু হয় না কারণ আমি তখন বাসের মধ্যে ছিলাম এবং তাদের সাথে দেখা তো দূরে থাক শুধু মনে মনে ভাবছিলাম এদের সাথে সামনে গিয়ে কথা বলতে পারলে বেশ ভালো লাগতো। যাইহোক এটা সেদিন আমার পূর্ণ না হলেও এই বিষয়টি আমার পূর্ণ হয়েছে কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি থেকে। কুঠিবাড়ি বলতে যদি আপনারা মনে করেন কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ির আরেকটা আছে সেইটা না কিন্তু এটা আছে টেগর লজ। আমি কিন্তু কখনো ভাবি নাই এখানে কোন বিদেশীর সাথে দেখা হবে। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে এটা দেখার দেখে আমি তার ভিতরে প্রবেশ করলাম গিয়ে দেখি একজন বিদেশী। প্রথমেই তার সাথে গিয়ে আমি কুশল বিনিময় করলাম। সেখানে গিয়ে বিদেশিদের সাথে কুশম বিনিময় করা তাদের সাথে কথা বলা এবং তাদের সাথে ছবি ওটার বিষয়টি আমার দারুন লেগেছিল এবং আমার ইচ্ছাগুলো পূরণ হয়েছিল।


IMG_20241226_135021.jpg

সেখানে আমি তার সাথে যে কথাবার্তা হয়েছিল সেটা হল আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কোথা থেকে এসেছেন এবং এখানে কি করছেন? তিনি আমাকে বলেছিলেন আমি রাশিয়া থেকে এসেছি এবং এখানে আমি কবিতা লেখার জন্য এসেছি। এবং আরো কয়েকজন ছিল তাদেরকে দেখার ছিল বলছিল যে তারা আমার সঙ্গী। এই জায়গাটা আমি প্রথম গিয়েছিলাম এবং প্রথম যাওয়াতেই আমার অনেকগুলো ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই বিদেশীদের সাথে সাক্ষাৎ। জায়গাটা বেশ মনোরম আর একটা বিষয় আমার আরো বেশি ভালো লাগছিল যখন আমি তার সাথে ছবি তুলেছিলাম তিনি যে লোক দিয়েছিল এই লোকটা আমার বেশ ভালো লাগছিল। আমি যখন গেটের ভিতর দিয়ে ঢুকছিলাম তখন আমি এখানকার লেখাটা পড়ছিলাম মানে তখন সত্যি বলতে কুঠিবাড়ির কথা উল্লেখ ছিল তখন আমি নিজেই একটু অবাক হয়েছিলাম কারণ কুষ্টিয়া শিলাইদা যে কুঠিবাড়ি সেখানে আমি গিয়েছি এবং সেখানকার সাথে এখানকার কোন মিল নেই তবে হ্যাঁ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেখানে বসে কবিতা লিখতেন সেই জায়গাটা আর এখানকার অনেক তফাৎ। তবে ভিতরে জায়গা কিন্তু খুবই কম আর ভিতরে বেশ কিছু ছবিও ছিল সেই ছবিগুলো আমি তুলেছি কিন্তু হয়তোবা ততটা নিজের কাছে ভালো লাগে নাই তাই আপনাদের সাথে এবার শেয়ার করি নাই। তবে এখানে যে কবিতা লেখার জন্য আসে এটা কিন্তু বেশ দারুন একটা ব্যাপার।


IMG_20241226_135143.jpg

এখানে যে বিল্ডিং দেখছেন বিল্ডিংটি দেখেই বুঝতেই পারছেন যে অনেক পুরনো। সে সময় রাজা বাদশাদের যেমন বাড়ি ঘর ছিল ঠিক তেমনি এর চারপাশটা। আমি সেখানে আর একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম বিদেশিদের সাথে আমাদের দেশেও কিছু মানুষ ছিল তারা তাদের সাথে চলছিল। যারা কবিতা লেখে তারা সব সময় মনোরম পরিবেশ চায় আর আমার কাছে এই জায়গাটা বেশ মনোরম লাগছিল এবং কবিতা লেখা জায়গাটাও দারুন ছিল। বিদেশের সাথে আমি কথা বলে ব্যস্ত ছিলাম তাই দূর থেকে এখানে একটা ফটোগ্রাফি করেছি আপনারা অনেক কয়েকজন মানুষ দেখছেন এর ভিতর কিন্তু কয়েকজন বিদেশে আছেন আমাদের দেশীয় আছে এর মধ্যে যে মহিলাটিকে দেখতে পাচ্ছেন উনি কিন্তু বেশ চমৎকার কিছু কথা উত্থাপন করেছিলেন যেটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। আসলে যারা কবি তাদের কথাবার্তা সুন্দর এবং তাদের ভাষা সব সময় মানুষের ভালো লাগে কারণ কবিদের ভাষায় সব সময় কবির মতই হয়ে থাকে। এখানে যে সময়টা আমি পার করেছি সেই সময়ের প্রথম অংশটি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম পরের অংশটুকু সামনের সপ্তাহে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।


ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।


আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন https://w3w.co/daggers.metadata.clutching


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_2025-02-01-21-15-37-804_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-02-01-21-20-47-032_com.coinmarketcap.android.jpg

Screenshot_2025-02-01-21-22-30-409_com.android.chrome.jpg

বাংলাদেশের এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো অতীতের অনেক স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। অতীতের বিভিন্ন শাসক সাহিত্যিক কবি তাদের পরিচয় মিলে ঠিক এভাবেই। আর সেই সমস্ত স্থানগুলো দেখার জন্য অনেক মানুষ ছুটে যায়। ঠিক তেমনি আপনাদের দুই জায়গার লোক একই স্থানে অবস্থান করা ও দেখা হয়ে যাওয়া। ভালো লাগলো ভাইয়া কুষ্টিয়ার এই সুন্দরতম স্থান আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

অনেক ভালো লাগলো ভাই বিদেশী মানুষের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন দেখে। কুষ্টিয়ার এই কুঠি বাড়িতে বিদেশী মানুষের সাথে দেখা হয়ে গেছে। আসলে আমাদের দেশে কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষের বিচরণ রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আমিও একদিন দেখেছিলাম স্মৃতিসৌধে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই মুহূর্তের ব্লগ দেখে।

গোলাকার পৃথিবীতে কখন কার সাথে কিভাবে দেখা হয় সেটা সত্যিই বোঝা যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

সঠিক বলেছেন ভাই এই পৃথিবীতে কখন কার সাথে কি ভাবে কোথায় দেখা হয়ে যাবে এটা বলা মুশকিল। কুঠিবাড়িতে দেখতেছি আপনার চমৎকার সময় কেটেছে সেই সাথে মনের একটি বড় আকাঙ্ক্ষাও পূর্ণ হয়েছে। তবে একটু বেশি ভালো লাগলো এটা জেনে যে আমাদের বাংলাদেশে রাশিয়ান কবি এসেছে কবিতা লিখতে কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি তে। সেই অনুভূতিটা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

আসলেই পৃথিবী টা গোল, কখন কার সাথে হুট করেই দেখা হয়ে যায়, কে জানে! আপনার বেশ অনেক দিনের ইচ্ছে যে পূরণ হলো, জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের দেশে ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তবে বাহিরের দেশে কবি, আর্টিস্ট এদের বেশ কদর রয়েছে। তাই ওরা এত দূর এসেও কবিতার জন্য অনুপ্রেরণা নেয়! কিন্তু আমাদের দেশে তো এমন কিছু চিন্তা করাও অনেক কঠিন। বেশ ভালো লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা জেনে।

বিষয়টা এমন দাঁড়িয়ে আছে আপু আমরা আমাদের নিজের দাঁতের মর্ম বুঝিনা। কিন্তু বাইরের দেশের মানুষেরা সেটা বুঝতে পারে তাই তারা সবকিছুতে একটু বেশি এগিয়ে।