আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আমি এই পরিবারের নতুন একজন সদস্য। নতুন মানুষের নতুন জায়গায় চলতে একটু সমস্যা হয়। আশা করি সেই সমস্যা গুলোর সমাধান আপনাদের কাছে থেকে পাবো।
আমি শুরুতেই মা কে নিয়ে আজ একটা ছোট্ট গল্প বলবো। কারণ মায়ের ভালোবাসা ছেলের জন্য এক প্রকার শক্তি।
একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করত রিনা নামের একটি মেয়ে। রিনার বয়স মাত্র দশ । সে ছিল খুবই চঞ্চল আর মিষ্টি মেয়ে। তার মার নাম ছিল সুমি সারাদিন কাজ করত। সকাল থেকে রাত অবধি সংসারের সব কাজ সামলাতেন। তবুও রিনার প্রতি তার ভালোবাসা আর যত্নের কোনো কমতি ছিল না।
একদিন রিনার স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। রিনা দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, কিন্তু তার পায়ে নতুন জুতা নেই। রিনা ভেবেছিল তার মা হয়তো তার জন্য নতুন জুতা কিনতে পারবে না। তবুও সে তার মাকে বলল মা আমাকে কি নতুন জুতা কিনে দিতে পারবে ?
সুমি একটু হেসে বললেন, হ্যাঁ রে মা হ্যাঁ তুমি নতুন জুতা পাবে।
পরের দিন সকালে রিনা ঘুম থেকে উঠে দেখল তার মাথার কাছে একটি নতুন জুতা। তার আনন্দের সীমা রইল না। রিনা দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরল ,রিনা বলল মা তুমি এত ভালো! তুমি আমার জন্য নতুন জুতা কিনে আনছো ।
সুমি মৃদু হেসে বললেন, তুমি তো আমার সবকিছু। তোমার জন্য কিছু করতে পারলে আমি খুশি হই।
তার পরের দিন রিনা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিল এবং দৌড়ে প্রথম হলো। মায়ের মুখে সেই গর্বের হাসি দেখে রিনার মনে হলো, এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। সে মায়ের গলা জড়িয়ে বলল মা, আমি তোমার জন্যই জিতেছি।
সুমি বললেন ,না রে মা তুমি তোমার কঠোর পরিশ্রম আর ভালোবাসার জন্যই জিতেছো। আমি শুধু তোমার পাশে ছিলাম।
রিনার বুঝতে পারলো মায়ের ভালোবাসা আর প্রেরণার কোনো তুলনা নেই। মায়ের মমতা সত্যিই অমূল্য। সেই দিন থেকেই রিনা প্রতিজ্ঞা করল, সে মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করবে এবং মায়ের মুখে সবসময় হাসি ফুটাবে।