ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষের মৃত্যু এবং এর প্রতিকার

in hive-129948 •  6 months ago 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পত্রিকায় আজকে একটা খবর দেখলাম। খবরটা মোটেও নতুন নয়। খবরটা হচ্ছে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু। এই ধরনের খবর আমরা পত্রিকার পাতায় প্রায়ই দেখে থাকি। শুধু পত্রিকার পাতায় না নিজেদের এলাকাতেও এই ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই শুনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে সাধারণত ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। তবে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। এদের ভিতরে কেউ স্বেচ্ছায় ট্রেনের নিচে এসে সুইসাইড করে। আবার কেউ অসাবধানতার কারণে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে।


IMG_20240328_175708.jpg

অসাধারনতার কারণে ট্রেনের নিচে যারা কাটা পড়ে এদেরকে নিয়ে আসলে আমার খুব একটা বলার কিছু নেই। কারণ এটা কে আমার কাছে চূড়ান্ত অবহেলা বা অসাবধানতা মনে হয়। ট্রেন কখনো নিজের ট্র্যাক ছেড়ে কোন মানুষকে এসে ধাক্কা দেবেনা। বরং মানুষ ট্রেনের চলার রাস্তায় গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে ট্রেন চলাচলের পরিমাণ বাড়ার কারণে ট্রেনের দুর্ঘটনার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমার মনে হয় এখানে কর্তৃপক্ষের দক্ষতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। দক্ষ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেয়ার কারণেই মূলত এই অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে। তবে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বরাবরই কম। আর ট্রেনে নিচে যারা সুইসাইড করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় তাদেরকে আসলে ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। এই ক্ষেত্রে মানুষকে সুইসাইড না করার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে। তাদেরকে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো সম্বন্ধে বলতে হবে। তাহলে হয়তো তারা সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে পারে।


আর বাকি রইলো যারা অসাবধানতার কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে তারা। এদের ভেতরে সচেতনতা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। আমি অনেককে দেখেছি রেল লাইনের উপরে বসে হেডফোন কানে দিয়ে গান শুনছে। আবার অনেককে দেখছি রেল লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু তার কানে হেডফোন গোজা রয়েছে। এই ধরনের অনেকেই দুর্ঘটনার স্বীকার হন। কারণ কানে হেডফোন থাকার কারণে তারা ট্রেন আসার আওয়াজ শুনতে পায় না। সাধারণভাবে ট্রেন আসার আওয়াজ অনেক দূর থেকে শুনতে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার কানের ভেতরে হেডফোন থাকলে তখন আপনি এই আওয়াজটা শুনতে পারবেন না। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক বেশি। তাই মানুষজনকে সচেতন করতে হবে যাতে তারা অমনোযোগী হয়ে বা হেডফোন কানে দিয়ে কখনো রেল লাইনের উপর বসে না থাকে অথবা হেঁটে না বেড়ায়। তাহলে আশা করি ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষের মারা যাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যাবে।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
  ·  6 months ago (edited)

লেখাটি বেশ ভালো লাগলো আমার। আসলেই তো ট্রেন কখনো নিজের ট্র্যাক ছেড়ে কোন মানুষকে এসে ধাক্কা দেবেনা।কারণ ট্রেনের চলা চলই হচ্ছে তার নিজস্ব ট্র্যাকে।তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য মানুষ নিজেরাই দায়ী । যদিও ট্রেনে এক্সিডেন্টের হার একদমই কম। তারপরও কিছু কিছু অ্যাক্সিডেন্ট হয় সেটা যার যার অসাবধানতার কারণে। ট্রেন লাইনে বসে হেডফোন কানে দিয়ে গান শোনা এটা তো আর কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারবেনা। আবার এদিক থেকে কেউ সুইসাইড করতে আসলে তাকেও তো কোন ভাবে কর্তৃপক্ষে ঠেকাতে পারবে না। আমার মতে এখানে পুরোপুরি মানুষের সাবধানতার প্রয়োজন। এতে করেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

ট্রেনে কাটার দৃশ্য আমার চোখের সামনে হয়েছিল। খুবই কষ্ট লেগেছে সেদিন। তবে এটার জন্য আমি অনেক আংশে মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করি। এবং দায়িত্বরত যে কর্মকর্তারা রয়েছে তাদের গাফেলাতিও এর জন্য কোন অংশে কম নয়। তবে সবাই সচেতন থাকলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।