দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০৭

in hive-129948 •  2 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আজকে আমি আবার চলে আসলাম দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। আসলে দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু ঘটে যায় যা আমরা কখনো চেষ্টা করলেও ভুলতে পারিনা। কেননা এইসব জিনিসগুলো আমাদের মনে দাগ কেটে যায়। আসলে আমরা চলার পথে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পাই। এছাড়াও যখন বাড়ির বাইরে বের হই তখন আমাদের সামনে আমরা বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য দেখতে পাই যে দৃশ্যগুলো দেখে আমরা সবাই খুব কষ্ট পাই। তো কিছুদিন আগে আমি সকাল বেলায় কাজের জন্য বেরিয়েছিলাম। আসলে বাইরের রোদের তেজ এতটাই কয়েকদিন বেশি হচ্ছে যে এতে করে কাজ করতে গিয়ে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। আসলে এই প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীর খুব ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে এবং কাজ করার মন-মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসলে মাঝে মাঝে ভাবি যে এর থেকে মনে হয় বৃষ্টিই ভালো। এই রোদের ভিতর যতটা প্রটেকশন নিয়ে পারা যায় ততটা প্রটেকশন নিয়ে আমরা বাইরে বের হচ্ছি।


আসলে কাজের ওখানে গিয়ে কাজের দিকে বেশিক্ষন মন দেওয়া যায় না। কেননা সারারাত ঠিকঠাকভাবে ঘুম হয় না। আর যদি ঠিকঠাকভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলায় ঝিমুনি মোটেও যায় না। যাইহোক প্রতিদিনকার মত আমি কাজ থেকে একটু রাতের দিকে বাড়ি ফিরছিলাম। যেহেতু কাজের পরিমাণ বেশি থাকে তাই বাড়ি ফিরতে একটু বেশিই রাত হয়। যাইহোক আসার সময় আমি একটা চায়ের দোকান দেখে দাঁড়ালাম। যেহেতু আমার খুব খিদে লেগে গিয়েছিল তাই আমি দুটো বিস্কুট এবং এক কাপ চা নিয়ে বাইরের একটা বেঞ্চে বসলাম। আসলে চায়ের দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে এই সন্ধ্যার দিকে ভিড় হয়। তাই আমি একটু পাশে গিয়ে বসে রইলাম এবং চুপচাপ চা পান করতে লাগলাম। আমার ওই চায়ের দোকানে প্রায় দশ মিনিট কেটে গেছে। তাই আমি আর বেশি দেরি না করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।


আসলে আমি যখন বাড়ি ফিরি তখন ওই সময় রাস্তায় অনেক বেশি ভিড় থাকে। আসলে তখন সবাই বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে কাজকর্ম থেকে বেরিয়ে পড়ে। রাত আটটার পরে রাস্তায় বেশি হয় বোঝাই করা ট্রাকগুলোর জন্য। আসলে এই ট্রাকগুলোর জন্য রাস্তার দুইপাশ প্রায় আটকানো থাকে। তাও আমি চেষ্টা করি কি করে বাড়ির দ্রুত যাওয়া যায় এজন্য রাস্তার সাইডে নেমে সেখান দিয়ে আস্তে আস্তে বাইক চালাতে থাকি। যেহেতু এর আগে একবার আমার রাস্তার নিচ দিয়ে বাইক চালানোর জন্য আমার পিছনে চাকাটি লিক হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করি যে রাস্তার নিচে যাতে নামতে না হয়। এরপরে কিছুদূর যাওয়ার পর আবার রাস্তা ফাঁকা পেলাম। তাই আমি আমার বাইকের স্পিড অনেক বেশি বাড়িয়ে দিলাম। কারণ এদিকে প্রায় অনেকটা বেশি রাত হয়ে গেছে। কিছুদূর যেতে যেতে দেখি রাস্তার একপাশে অনেক বেশি ভিড় করে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে।

আসলে আমি কিছু না বুঝে উঠতেই তখন বাইকটা হালকা স্লো করে পাশের দিকে তাকালাম। দেখলাম যে একটা মর্মান্তিক ঘটনা। একটা লোকের উপর দিয়ে বড় কোন গাড়ি চলে গেছে এবং আরেকজন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার সাইডে পড়ে আছে। আর ঐ লোকটিকে নিয়ে লোকজন ধরাধরি করে একটা এম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছে এবং পাশে দেখলাম যে একটা ভাঙ্গা বাইক। তখন আমি বুঝলাম যে কিছুক্ষণ আগে বাইক এক্সিডেন্ট হয়েছে। আসলে এখানে একজন ছেলে রাস্তাতেই মারা গেছে এবং আরেকজনের কি অবস্থা তা আমার জানা নেই। তাই তো আমি আর বাইকের স্পিড না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ি যেতে লাগলাম। কারণ সময়ের থেকে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই আমরা সবাই কখনো জোরে গাড়ি চালাব না।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!