পরীক্ষার ফরম পূরণ।

সবাই কে আমার নমস্কার /আদাব। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন ও সুস্থ আছেন। আমি ও ভালো আছি ও সুস্থ আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার অর্নাস প্রথম বর্ষের ফরম পূরণ করতে যাবার অভিজ্ঞতা। গতকাল গেছিলাম ফরম পূরণ করতে। আমাদের কলেজ এ শেষ তারিখ বলে দিয়েছিল ছয় তারিখ।যদি ও অনেকে বলে সময় নাকি আবার ও বারিয়ে দেয়। আর আমি কলেজ যেতে নিলেই কেন যানি বৃষ্টি পরে।কলেজ থেকে খোঁজ নিয়ে জানলাম ফরম পূরণ এর জন্য ৪২০০ টাকা লাগবে, এছাড়া বেতন ৩৭৫০,অনলাইন চার্জ,টেস্ট পরীক্ষা তে যে কয় বিষয় ফেল প্রতি বিষয় এর জন্য ২০০ টাকা লাগবে।এছাড়া কিছু কাগজ লাগবে যেগুলো ভর্তির সময় দিয়েছিল। আমি আগের রাতে সব প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম।সকাল ৬:৫০ এ বাসা থেকে বের হই।

একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল আর আবার বুথ থেকে টাকা তুললাম তখন আবার অনেক সময় লাগল সব মিলিয়ে আমি ট্রেন টা আমি মিস করি।

সেই মহিমাগঞ্জ থেকে সোনাতলা গেলে আমি আমার কলেজ বাস পাব। আমি জান্তাম কলেজ বাস আটটায় ছাড়ে।মহিমাগঞ্জ হতে সোনাতলা যেতে একঘন্টা লাগে, আমি যখন অটোতে উঠি তখন প্রায় আটটা বাজে। আমি মনে করেছিলাম বাস ও মিস হবে তাই আর কলেজ যাব না তখনই আমাদের কলেজের ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্র অটোতে উঠল।আমি বললাম ভাই বাস না চলে গেছে আপনি এত দেরি করে, তখন সে বলল পরীক্ষার জন্য বাস নয়টায় নিয়েছে। তখন আমি ওর সাথেই গেলাম।

কলেজ পৌঁছে দেখি খুব ভিড়।আমাদের কলেজের সামনের ফটোকপির দোকদার এই কয়দিন এ বড়লোক হয়ে গেল।আমি অনেকক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে ফটোকপি ও টাকা জমা দিলাম আমার বেতন আগেই দেওয়া ছিল শুধু ৪৩০০টাকা অনলাইন এ দেওয়া লাগল।আবার গেলাম কলেজ এর অফিস এ সেখানে দুই তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে সব কাগজ জমা দিলাম। এদিকে আমার বগুড়া যাবার সাড়ে এগারোটার ট্রেন ও মিস হলো।আর আমার আর ২০০ টাকা লেগেছিল কারন আমি এক বিষয়ে ফেল করছিলাম।
অবশেষে এ আমার ফরম পুরন হলো।

এবার কলেজ গেছি ছবি তুলতেই হবে।

অবশেষে এ সিএনজি করে বগুড়া আর বাসে করে গোবিন্দগঞ্জ আসলাম।এই ট্রেন মিস হবার কারনে আমার প্রায় ১০০ টাকা বেশি লাগল।
এই ফরম পূরণ বা এই ধরনের কাজ গুলো আমার খুব বিরক্তি লাগে।
আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের পোস্ট টি। ভুল এুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ে আপনার মতামত জানাবেন।

_{Posted using SteemPro Mobile}