বাণী অর্চনা ২০২৪

সবাই কে আমার নমস্কার /আদাব। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি। গত বুধবার ১৪/২/২০২৪ এ সনাতন ধর্মালম্বীদের স্বরসতী পূজা ছিল।
সাথে ছিল ভালোবাসা দিবস।বাঙ্গালীর স্বরসতী পূজাই মুলত আসল ভালোবাসা দিবস। সবাই বলে স্বরসতী পূজাতেই বলে প্রেমের শুরু হয়।যাই হোক আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব, আমার স্বরসতী পূজা কাটানোর কিছু মুহুর্ত।

আমার খুবই ইচ্ছে ছিল যে এবার পূজা আমার কলেজে করব।কারন নতুন কলেজ প্রথম পূজো এই জন্য। কিন্তু তা আর করা হলো না ঘুমের জন্য। ঘুম থেকে উঠলাম আমি আর বোন তৈরি হয়ে নিলাম অঞ্জলি দেবার জন্য। এবার কই অঞ্জলি দিব সেটা নিয়ে তৈরি হলো সমস্য।দাদা বলল দাদাদের ক্লাবে পূজা হচ্ছে সেখানে যেতে। দুএকটা বই নিয়ে আমি আর বোন গেলাম সেখানে।

সেখানে পূজা শুরু হতে অনেক দেরি তাই বই রেখে গেলাম বোনের স্কুলে সেখানে আমার ঢোকার অনুমতি নেই তাই বোন গেল। আমি বাহিরে দারিয়ে রইলাম।
তারপর গেলাম আমার স্কুল এ কিছু মিষ্টি নিয়ে।ম্যাডাম বেশ আদর যন্ত করল, অঞ্জলি টা আমার স্কুলেই দিলাম।আর অনেক পুরনো সৃতি মনে পড়ল।এই বারান্দায় কত আড্ডা কত সময় পার করলাম। মনটা কিছু টা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল।

অঞ্জলি দেওয়া শেষ করে, মা সরস্বতী কে মনের ইচ্ছে গুলো জানিয়ে দিলাম। সামনে আবার আমার পরীক্ষা। ম্যাডাম প্রসাদ দিল। ফলমুল,লুচি-পায়েস, খিচুড়ি, নাবড়া।

তারপর বাসায় আসলাম। এসে খাবার খেয়ে কিছু সময় শুয়ে বসে থাকলাম। তারপর আবার সন্ধ্যা বেলায় গেলাম দাদার ক্লাবে।
আমি, বড়মা,মা,বোন মিলে গেলাম বিভিন্ন জায়গায় ঠাকুর দেখতে।

দাদাদের ক্লাবে আগের দিন গণেশ পূজা ছিল। সেখানে খেলার আয়োজন ছিল।

ছোটদের জন্য বালিশ খেলা বড়দের শঙ্খ ধ্বনি, প্রদীপ প্রজ্জলন
ইত্যাদি।

আমার মা, বড়মা, বোন ও প্রদীপ জ্বালানোর খেলায় অংশগ্রহণ করছিল।

আমার বড়মা দশটা, মা আটটা ও বোন চারটা প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রথম দ্বিতীয় হয়েছিল। আর বোন সান্ত্বনা পুরষ্কার পেয়েছে।

বড়মা চাদর, মা পারফিউম আর বোন ঐ গিফট বক্স।
এর পর প্রসাদ নিলাম কিছু ছবি তুললাম। রাত প্রায় একটায় বাসায় আসলাম।

আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আজকের ব্লগ টি। ভুল এুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পোস্ট টি পড়ে আপনার মতামত জানাবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

_{Posted using SteemPro Mobile}