হাতে মেহেদি ডিজাইন

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম



আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।


বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মেহেদি ডিজাইন নিয়ে হাজির হয়েছি । ঈদের পরদিন আমি আমার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে দেখি আমার সকল মামাতো বোনেরা হাতে মেহেদি পড়েছে এবং এক বোন মেহেদী নিচ্ছে । বিয়ের আগে এমন কোন ঈদ ছিল না যে ঈদে আমি হাতে মেহেদি করিনি । কিন্তু এখন আর সেরকম সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না । আবার অন্য কেউ দিয়ে দিলে নিতে বেশ ভালো লাগে । নিজে নিজে নিতে বেশ ঝামেলা মনে হয় । কিন্তু নানু বাড়িতে যেয়ে যখন দেখলাম আমার মামাতো বোনকে পাশের বাসার একটি মেয়ে খুব সুন্দর করে মেহেদী পড়িয়ে দিয়েছে তা দেখে আমাদের দু বোনেরই নিতে ইচ্ছা করলো ।প্রথমে আমার মেজ আপু নিল তারপর আমিও নিলাম । আসলে কোন ডিজাইন দেখে দেখে আমি বেশ নিতে পারি । কিন্তু নিজে নিজে খুব একটা ভালো নিতে পারি না ।এই জন্যই খুব একটা নেওয়া হয় না ।তবে মেয়েটি কিন্তু বেশ ভালো মেহেদী দিতে পারে ।বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে । আমার হাতের সেই ডিজাইনটিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।



20230423_163750.jpg

হাতে মেহেদি ডিজাইন


20230423_154835.jpg

প্রথমে হাতের নিচের অংশে তিনটি ফুল এঁকে তারপর দাগ দাগ দিয়ে ভরাট করে নিয়েছি ।

20230423_155504.jpg

তারপর আরো কয়েক লাইন দাগ দাগ দিয়ে আরও একটি ফুল এঁকে নিয়েছি ।

20230423_160027.jpg

তারপর গোল গোল করে ফুল এঁকে ভেতরের অংশ ভরাট করে নিয়েছি ।

20230423_160531.jpg

তারপর পাশের অংশটা লাভের মত এঁকে ভেতরের অংশ ভরাট করে নিয়েছি ।

20230423_161259.jpg

তারপর ভেতরের অংশটা শেষ হলে উপরের দিকে ফুলের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এঁকে নিয়েছি ।

20230423_161728.jpg

এভাবে হাতের মাঝের অংশটা ফুলের মত করে ভরাট করে নিয়েছি ।

20230423_163226.jpg

তারপর আঙ্গুল গুলোতে ছোট ছোট ফুল এঁকে নিয়েছি।

20230423_163747.jpg

এভাবে সবগুলো আঙ্গুল কমপ্লিট করার পর ব্যাস আমার মেহেদী ডিজাইন নেওয়া শেষ হয়ে গেল।এভাবে বেশ কিছুক্ষণ রেখে মেহেদীটা শুকিয়ে নিতে হবে ।

20230423_182233.jpg

কিছুক্ষণ রাখার পর মেহেদি শুকিয়ে গেলে হাত দিয়ে তুলে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে । বেশ রং হয়েছিল কিন্তু । আপনারাও এভাবে নিয়ে দেখতে পারেন।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মামাতো বোনদের হাতে মেহেদী দেখে আপনার নিজেরও মেহেদী লাগানোর ইচ্ছা জাগলো। তবে সময়ের কারণে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন আপনি বিয়ের আগে সব ঈদে মেহেদি লাগাতেন। মামাদের পাশের বাসার মেয়েটি মনে হয় চমৎকার মেহেদী লাগাতে পারে। আপনারা দুই বোন মিলে খুব সুন্দর করে মেয়েটির হেল্প নিয়ে মেহেদি লাগিয়েছেন। তবে মেহেদির ডিজাইন দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তবে ছেলেদের তুলনা মেয়েরা মেহেদী লাগাতে অনেক বেশি পছন্দ করে।

হ্যাঁ ভাইয়া আমরা দুই বোন মিলে দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে মেহেদী নিলাম। এই জন্য বেশ ভালো লেগেছে ।আর মেয়েটি মেহেদী দিতেও পারে খুব সুন্দর ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

সময়ের সাথে সাথে কেন জানি ইচ্ছে গুলো হারিয়ে যায়। প্রিয় কাজগুলো কেন জানি সময়ের সাথে সাথে বদলে যায়। একটা সময় ঈদে মেহেদী দেওয়ার ধুম পড়ে যেত। এমনকি মেহেদীর ডিজাইন পর্যন্ত সিলেক্ট করে রাখতাম। আর এখন হাতে মেহেদী পড়া হয় না অনেক বছর। যাইহোক আপু নানু বাড়িতে গিয়ে হাতে মেহেদি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পাশের বাসার মেয়েটি অনেক সুন্দর করে মেহেদি পড়াতে পারে বোঝাই যাচ্ছে।

  ·  last year (edited)

একদম মনের কথাগুলো লিখেছেন আপু ।একটা সময় আমরাও আগে থেকে সিলেক্ট করে রাখতাম কে কোন ডিজাইনটা ঈদের আগের দিন রাতে হাতে পড়বো । রাত জেগে জেগে আমরা চার বোন মিলে মেহেদী নিতাম । সত্যি সেই মুহূর্তগুলো ছিল অনেক আনন্দের । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব যেন হারিয়ে গিয়েছে । তারপরেও কয়েক বছর পর আবার হাতে মেহেদি পড়েছি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আসলে এই মেয়েটি অনেক ভালো সুন্দর মেহেদী দিতে পারে। আর অল্প সময়ে আমাদের দুজনের হাতে কত সুন্দর দিয়ে ফেললো। আমার তো ধৈর্যই কুলায় না। বসে থাকি তাই আমার কষ্ট হয়। ওরা যে কিভাবে দেয়। যাক মেয়েটির অছিলায় আমরা হাতে মেহেদি দিতে পেরেছি ভালই লেগেছিল ।আপনার ডিজাইনটি অনেক সুন্দর হয়েছিল।

আপনি ঠিকই বলেছেন বেশ ভালো মেহেদী দিতে পারে।আপনি নিয়েছেন এ জন্যই তো আমিও নিতে বসে গেলাম ।বেশ ভালই দিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক সুন্দর একটি মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করেছেন ।এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপু আমার মেহেদি ডিজাইন টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ঠিকই বলেছেন আপু আসলে বিয়ের পর থেকে অনেক ইচ্ছা থাকলেও কিছু ইচ্ছে সময়ের কারণে বিভিন্ন কারণে করা হয়ে ওঠে না। নানুর বাড়িতে গিয়ে দুই বোনে মিলে হাতে মেহেদী পরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার হাতে মেহেদি পরায় দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আপনার হাতের মেহেদি ডিজাইন টি দেখে ভালো লাগলো।

আপু আমার হাতের মেহেদি ডিজাইন টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন।

মানুষের রুচি ইচ্ছা সবকিছু সময়ের সাথে সাথে বদল ঘটে। আগে দিতেন কিন্তু এখন দিতে পারেন না বা ইচ্ছে হয় না তবে কারো হাতে দেখলে বেশ আগ্রহ জাগে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু মেহেদীর ডিজাইন আর্ট। ধাপ গুলো ক্রমান্বয়ে শেয়ার করেছেন অনেক ভাল লেগেছে।

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিক বলেছেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। তারপরেও দীর্ঘদিন পর মেহেদী নিতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুই বোনে খুব সুন্দর করে হাতে মেহেদি লাগিয়েছেন। তবে ঠিক বলেছেন আপনার মত আমিও বিয়ের আগে একটা ঈদ বাকি ছিল না হাতে মেহেদী না লাগিয়ে। তবে কারো হেল্প নিয়ে মেহেদি লাগাতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মামাদের পাশের বাসার মেয়েটি মনে হয় খুব সুন্দর মেহেদী লাগাতে পারে। তবে মেহেদি ডিজাইন খুব চমৎকার লাগলো আমার কাছে। এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে মেহেদী ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন কেউ একজন হাতে মেহেদি দিয়ে দিলে বেশ ভালো লাগে। আর মেয়েটি বেশ ভালো মেহেদী দিতে পারে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আগে একটা সময় ছিল ঈদ আসলে হাতে মেহেদি দেয়ার উৎসব লেগে যেত, আগে থেকেই বুকিং করা থাকতো যে আপুরা ভালো মেহেদী দিতে পারতো, যে একবার মেহেদী দিয়ে শিখেছেন তার আর চাঁদ রাতে ঘুম নেই। দিন দিন সবকিছু যেন হারিয়ে যাচ্ছে ঈদের আনন্দ এখন সেভাবে অনুভব করতে পারি না। তবে আপনার মেহেদি ডিজাইন টা খুব চমৎকার হয়েছে।

হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন ,আসলে ঈদের রাতে আগের দিনে যেভাবে আনন্দ হতো এখন আর সেরকম হয় না আমার মনে হয়। সবার হাতে মেহেদি পড়ার একটা ধুম পড়ে যেত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার হাতে খুবই সুন্দর মেহেদী ডিজাইন করেছেন।সত্যিই ডিজাইনটি দেখে খুবই ভাল লাগল এবং সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন। আপনার হাতের ডিজাইনের আসলেই অনেক ভালো লাগছে।

আমার হাতের মেহেদির ডিজাইনটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভাইয়া ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন ।

ঠিক বলেছেন আপু আগে ঈদে মেহেদি না নিলে ঈদই মনে হতো না। আর এখন সময়ের অভাবে নেওয়া হয় না। আমি গত বছর একটা মেহেদী কিনে রেখেছিলাম যা এখন পর্যন্ত রয়েছে। নেওয়াই হয়নি। এ বছর একটা কিনেছিলাম তা ডিপ ফ্রিজে রাখতে হয় জন্য ওখানে রেখে ভুলে বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। যাইহোক আপনার মেহেদির ডিজাইন অনেক সুন্দর হয়েছে। মেয়েটি আসলেই ভালো মেহেদি দিতে পারে।

আসলেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায় ।এই জন্য আপনি মেহেদী কেনা সত্ত্বেও হাতে নেওয়ার কথা মনে থাকল না। কিন্তু আগের দিনে হলে নিতে ভুলতেন না । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ওরে বাপরে খুব গর্জিয়াস একটা মেহেদী ডিজাইন করেছেন দেখছি। আসলে মেহেদী ডিজাইনগুলো আমার খুব ভালো লাগে যদিও তেমন একটা লাগানো হয় না।তবে কেউ লাগালে সেটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ।

হ্যাঁ ভাইয়া দীর্ঘদিন পর খুব গর্জিয়াস একটা মেহেদী নিলাম। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।

ওয়াও জাস্ট অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই মেহেদির ডিজাইন। আপনার মেহেদির ডিজাইন আর্ট অংকন দেখে আমি তো একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। খুবই নিখুঁত কাজ ছিল খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে মেহেদির ডিজাইন টা। মেহেদির কালারটা ও খুবই সুন্দর ছিল। সবশেষে হাতের মধ্যে মেহেদির কালার টা এবং ডিজাইন টা দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছে। মেহেদির ডিজাইন গুলো খুবই নিখুঁতভাবে অঙ্কন করা লাগে। এবং অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এগুলো করতে। আপনার অনেক সময় লেগেছিল একটি করতে দেখে বুঝতে পারছি।

ভাইয়া এই মেহেদির ডিজাইনটি আমি করিনি । একজন আমার হাতে দিয়ে দিয়েছে । আর হ্যাঁ তার এটি দিতে বেশ সময় লেগেছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

হাতের নিচের অংশে প্রথমে ফুলের চিত্র অঙ্কন করে তারপর আস্তে আস্তে অনেক সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন তৈরি করে ফেলেছেন আপনি। আসলে আপনার মেহেদি ডিজাইনটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। খুবই চমৎকার একটি মেহেদীর ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার হাতের মেহেদির ডিজাইন টি আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে জেনে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ।

ওয়াও!আপনি খুব সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন অংকন করেছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আমার হাতের মেহেদি ডিজাইন টি আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ভালো থাকবেন । আপনার জন্য শুভকামনা ।

ঠিক বলেছেন আপু একটা সময় প্রচুর হাতে মেহেদি দেওয়া হতো কিন্তু এখন সময়ের অভাবে আর হয় না। আপনার মেহেদি ডিজাইনটি অনেক গর্জিয়াস লাগছে। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপু আমার মেহেদির ডিজাইন টি আপনার কাছে গর্জিয়াস লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । আসলে অনেকদিন পর দিলাম একটু গর্জিয়াসই দিলাম ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।