মাকে নিয়ে সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসা (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  16 days ago 

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত আবার হাজির হয়েছি সুইচ গেটে মাকে নিয়ে ভ্রমণের শেষ পর্ব নিয়ে। মূলত বেশ কিছুদিন হয়ে গিয়েছে সুইচ গেটে গিয়েছিলাম। তারই কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে আগের পর্বে শেয়ার করেছিলাম।আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। তবে সব জায়গায় মাকে নিয়ে ঘুরতে যাবার খুবই ইচ্ছা করে। যদিও সব সময় সব জায়গায় মাকে নিয়ে যাবার সুযোগ হয়ে ওঠে না ।তাই আমাদের শহরের যে জায়গা গুলো রয়েছে সেখানে মাকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করি। যদিও আম্মা খুব একটা যেতে চায় না। তাকে নিতে হলে বেশ জোরাজুরি করে নিতে হয়। যাইহোক সুইচ গেটের আরো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

মাকে নিয়ে সুইচ গেট থেকে ঘুরে আসা (শেষ পর্ব)


IMG20240711185234.jpg

IMG20240711181850.jpg

মূলত আমরা সুইস গেটে গিয়েছিলাম বিকেল বেলায় ।সেখানে যাবার পর পুরনো সুইচগেট এবং নতুন সুইচগেট দুটিই আমরা ঘুরে ফিরে দেখেছিলাম। বেশ কিছু সময় সেখানে কাটিয়েছিলাম ।বেশ কিছুক্ষণ আমরা ওখান দিয়ে হাটাহাটি করেছিলাম । বাইরের প্রকৃতি, পানি সব কিছু বেশ সুন্দর উপভোগ করছিলাম। তারপর একটা পর্যায়ে আমরা সেখান থেকে ফুচকা ,ভেলপুরি এগুলো খেয়েছিলাম। সেখানে বেশ কিছু খাবারের দোকান ছিল। ছিল কিছু রকমারি বাচ্চাদের খেলনার দোকান ।যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে যখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসবে তখন আমরা সেখান থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম।


IMG20240711182007.jpg

IMG20240711182518.jpg

সুইস গেটের ওখানে অসংখ্য লোকের আনাগোনা ছিল। যার কারণে বিভিন্ন খাবারের আইটেম ছিল ।এছাড়া প্রচন্ড গরমের কারণে সেখানে কিন্তু আইসক্রিমের ব্যবস্থা ছিল। কুলফি আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছিল ।অনেকেই আইসক্রিম খাচ্ছিল ।কেননা গরমের সময় এ ধরনের আইসক্রিম খেতে বেশ ভালই লাগে। তবে লোকজনে একদম ভরপুর ছিল যার কারণে হাটাহাটি করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল ।তারপরেও বেশ কিছু সময় সেখানে আমরা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।


IMG20240711182503.jpg

IMG20240711182422.jpg

তারপর সন্ধ্যার একটু আগে আমরা যখন সুইচগেট ত্যাগ করবো তখন চিন্তা করলাম বাসায় আমার ভাই একা রয়েছে। তার জন্য কিছু খাবার নিয়ে যেতে হবে ।তারপর তার জন্য আমরা পেঁয়াজু, চপ ,বেগুনি এগুলো কিনে নিলাম। ওখানে বেশ কিছু খাবারের দোকান ছিল এবং সেগুলো ব্যাপক বিক্রি হচ্ছিল ।সবাই বেশ মজা করে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছিল আর বিভিন্ন ধরনের খাবারগুলো খাচ্ছিল ।যাই হোক আমরা খাবার গুলো নিয়ে নিলাম।


IMG20240711185018.jpg

IMG20240711184956.jpg

IMG20240711185011.jpg

IMG20240711182001.jpg

গরম গরম ভেজে উঠাচ্ছিল ।প্রতিটি খাবারই খেতে বেশ ভালো মচমচে ছিল। যাইহোক আমরা খাবার গুলো নেবার পর সিদ্ধান্ত নিলাম ওখান থেকে আমি আম্মাকে নিয়ে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যাব। যদিও আম্মা যেতে চাইছিল না প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল ।তারপরেও তাকে বলেছি সেখানে বেশি সময় আমরা দেরি করব না ।ওখানে যেয়েই আমরা তাড়াতাড়ি বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিব ।তারপর আমরা পদ্মা পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সুইচগেট থেকে পদ্মা পাড়ের দূরত্ব খুব বেশি ছিল না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা পদ্মার পাড়ে পৌঁছে গেলাম। সেই মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে আরও একদিন শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।



আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মায়েরা এমনই হয় বাসা থেকে বের হতেই চায় না। আমার আম্মাও তাই করে।কোথাও যেতে চায় না। কেবল আত্মীয়দের বাসা ছাড়া। তবে আপনি আন্টিকে নিয়ে সুইস গেট দেখতে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন। তাতে মন ভালো থাকে। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন সুইস গেটে বেড়াতে গিয়ে। আনন্দ ময় কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু আম্মা সত্যি কোথাও বের হতে চায় না। জোর করে নিতে হয় ।আপনার মা ও এরকম জেনে মিল খুঁজে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে । আর ফরিদপুরের সুইচ গেটে আগে আমরা ছোটবেলায় কত গিয়েছি এখন তো আম্মা যেতে চায় না ।কোথাও নিয়ে যেতে হলে তাকে জোর করে নিয়ে যেতে হয় । আসলে পরিবারের সবাই মিলে ঘুরার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।

হ্যাঁ পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।