আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
একদিন পদ্মা নদীর পার থেকে ঘুরে আসা পর্ব - ১
পদ্মা নদী তারপরও নদীতে খুব একটা মাছ পাওয়া যায় না। তবুও লোকজনকে দেখি বরশি নিয়ে নদীর পাড়ে বসে মাছ ধরতে। অনেক সময় পর একটা ছোট মাছ হয়তো পায়। তবে এদের মাছ ধরার নেশা যার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা এরা বসে থাকতে পারে ।এছাড়াও সকালবেলায় নদী থেকে জেলেরা মাছ ধরে। নদীর খুব একটা পাওয়া মাছ যায় না ।পদ্মা নদী নাম অনুসারে মাছের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যখন নদীতে পানি থাকে তখনও খুব বেশি মাছ পাওয়া যায় বলা যাবে না। তবে এমনি সময় একেবারেই পাওয়া যায় না।
এখন নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। যেখানে কিছুদিন আগে থৈথৈ পানি ছিল। সেই জায়গাগুলোতে এখন চর যে। যার কারণে অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে আমাদেরকে মূল নদীর কাছে যেতে হয় ।মাঠের পর মাঠ পেরিয়ে তারপর সেই পদ্মার পারে গিয়ে পৌঁছাতে হয়। এই জায়গাটা দিয়ে হাঁটতে বেশ ভালই লাগে। চর জাগার পর সেখানে ঘাস দিয়ে ভরে গিয়েছে।
হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পেলাম কিছু লোকজন বাজার করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। মূলত তাদেরকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে। এই চর পাড়ি দিয়ে তাদেরকে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার ওপারে যেতে হবে। এরা মূলত ওপারের বাসিন্দা।এদের দুর্ভোগের সীমা নেই। যদিও এই পদ্মার উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। তখন হয়তো এই লোকগুলোর অনেকটা সুবিধা হবে। এছাড়া মহিলাদের দেখতে পেলাম চড়ে কি যেন তুলছে, ঘাস জাতীয় কিছু একটা তুলতে দেখলাম। বেশ কিছু ছাগল ছিল সেখানে ।যেগুলো ছোট ছোট গাছ ঘাস খাচ্ছিল।
হাঁটতে হাঁটতে শেষ পর্যন্ত আমরা নদীর পাড়ে যেয়ে পৌছালাম। মূলত আমার ইচ্ছা ছিল নদীর ওপারে যাবার। কেননা নদীর ওপারে না গেলে নৌকায় চড়া যাবে না। আমরা মূলত নৌকায় করে নদীর উপরে যাব। ওখানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আরো একটি নৌকায় করে আবার ফিরে আসবো। এই উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা মূলত ওখানে পৌঁছালাম। বাকি অংশ আরেকদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পদ্মা নদীর পাড়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু। নিরিবিলি এই জায়গা গুলোতে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। মনে একটা প্রশান্তি কাজ করে এই জায়গাগুলোতে গেলে। ভালো লাগলো আপনার ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ওই জায়গা গুলোতে গেলে একটা মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পদ্মা নদীর পাড়ে ভ্রমণের মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। দৃশ্যগুলো অসাধারণ ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা আপনি ঠিকই বলেছেন নদীর পাড়ে গেলে মন ভালো হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit