বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ মূলত বৃক্ষ মেলার তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। বেশ কিছুদিন আগে আমাদের শহরে বৃক্ষ মেলা হয়েছিল। যার কিছু ফটোগ্রাফি এর আগে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ।আজ বৃক্ষ মেলার আরো কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি।বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা যায় । আজ আমি যেই গাছের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করব সেগুলো দেখতে ভীষণ চমৎকার । তবে এগুলো ফুলের গাছ নয় ,সৌন্দর্য বর্ধক কিছু গাছ । যা বিভিন্ন প্রজাতির এবং আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ।এগুলো দিয়ে বাড়িঘর সাজালে দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগবে। এগুলোকে পাতাবাহার জাতীয় গাছ ও বলা যেতে পারে। আবার সবগুলো একই প্রজাতির গাছ নয়। তবে গাছগুলো বেশ ভিন্ন রকমের দেখতে। ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে । যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আপনাদেরকেও সেই গাছগুলো দেখিয়ে নিয়ে আসি।

---

বৃক্ষ মেলা থেকে ঘুরে আসা পর্ব-৩

---

প্রথমেই যে ফটোগ্রাফিটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি টবের মধ্যে লাগানো ঝিরিঝিরি পাতার একটি গাছ। যা দেখতে ভীষণ চমৎকার। সামনাসামনি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় ।আমার কাছে তো বেশ ভালো লেগেছে। বিভিন্ন অফিস আদালত বা বাসা বাড়িতে এই গাছগুলো দিয়ে সাজানো থাকে, যা বাড়ির কিংবা অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এই গাছ গুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে গাছগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে ।

---

এখানে বেশ কিছু গাছ সারি সারি ভাবে লাগানো রয়েছে। এই গাছগুলো টবের মধ্যে লাগালে বেশ ঝোপালো হয় যা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। এগুলো দিয়েও বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। বেশ ভালো লাগে এই গাছগুলো দেখতে ।আসলে কিছু কিছু গাছ রয়েছে যেগুলোতে ফুল না ফুটলেও সেই গাছগুলো নিজেই নিজের সৌন্দর্য ছড়ায়।

---

এখানে ভিন্ন রকমের দুটি গাছ দেখা যাচ্ছে। উপরের গাছটি দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে ।একদম ঝিরিঝিরি চিকন চিকন পাতা দেখতে চমৎকার। এ ধরনের গাছ এর আগে আমি দেখেছি বলে মনে হয় না। যার কারণে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই আপনাদের কাছেও এই গাছটি বেশ আনকমন লাগবে।

---

এই ফটোগ্রাফিতে দুটি গাছ রয়েছে। উপরের গাছটির নাম আমার জানা নেই। তবে নীচের গাছটি দেখতে অনেকটা বট গাছের মতো মনে হচ্ছিল ।এই গাছটি বটগাছের বনসাই হবে হয়তো।গাছটি কিন্তু দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। হয়তো আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

---

এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা যেই গাছটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি সবার পরিচিত ঝাউ গাছের ফটোগ্রাফি ।এই গাছটি আমার মনে হয় সবাই কমবেশি চিনে থাকে। আমি তো সেই ছোটবেলা থেকে এই গাছটি দেখে আসছি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এই গাছের কিছু ভিন্নতা একবার লক্ষ্য করেছিলাম ।বেশ কিছুদিন আগে এই ঝাউগাছে ফল ধরতে দেখেছিলাম যা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম ।

---

এই গাছটির নাম আমার জানা নেই। তবে গাছটি দেখতে কিন্তু বেশ ভালই লাগছিল ।কেমন যেন জঙ্গলের গাছ মনে হচ্ছিল ।তবে টবের মধ্যে সুন্দর পরিপাটি করে লাগানো যার কারণে দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।

---

এটিও আরও একটি চমৎকার গাছ। যেটি দেখতে অনেকটা ক্যাকটাস প্রজাতির গাছ হবে হয়তো। এটিও আমার দেখা নতুন একটি গাছ এর আগে এই ধরনের গাছ আমি দেখিনি ।এবারে বৃক্ষ মেলায় প্রথম দেখলাম ।আসলে বৃক্ষ মেলায় গেলে নতুন নতুন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দেখতে পাওয়া যায় । যেটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে । তাইতো প্রতি বছর যখন বৃক্ষ মেলা হয় চেষ্টা করি যাওয়ার জন্য, আর নিজের পছন্দমত কিছু গাছ কেনার জন্য। যদিও এবার খুব বেশি গাছ কেনা হয়নি। তার পরেও বৃক্ষ মেলায় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লেগেছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার বৃক্ষ মেলার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।

---

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:	@wahidasuma
ডিভাইস:	OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy