কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ৮ )

in hive-129948 •  11 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। গত পর্বে সন্ধানী দেখার পরে আমরা চলে গিয়েছিলাম কে.এন.সি রেজিমেন্ট নামের একটি ক্লাব এর পুজো দেখতে। এই ক্লাবের পুজো মানে পুরো জমজমাট, সব থেকে সেরা পুজোর মধ্যে এই একটি। প্রতিবারই অসাধারণ চিন্তাভাবনা নিয়ে হাজির হয়, আর উপচে পড়া ভিড় হয় সন্ধ্যার থেকে। সন্ধ্যার থেকে বললে ভুল হবে, বিকেল থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রতিবারই আমি বা আমরা যারাই বের হইনা কেন সন্ধ্যার দিক থেকে আগে এইসব ক্লাব এর পুজোগুলো শুরু করি আর সেই লাইন টানতে টানতে ঘন্টা লেগে যায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবে এইবার ছিল বিষয়টা অন্যরকম, মানে একটু আরামদায়ক আর কি হা হা। এক বাইক করে দেখা আর তারপর বিনা লাইনে ঢুকে গেলাম। এই ক্লাব এর প্যান্ডেলের অনেক আগে থেকেই লাইটিং সাজায় বেশ দারুন আর দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে সারিবদ্ধ লাইটিং এর ডিজাইন-কারুকার্য। সবকিছুই একদম ইউনিক আর আনকমন থাকে সমস্ত বিষয়ে। এইবার তারা সবকিছুই নিজস্ব কাল্পনিক ভাবনা থেকেই এইটা করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এইবছর তাদের চিন্তাধারা ছিল "ত্রিদেব"। গেট টা দেখলে বুঝতে পারবেন সপ্ত ঘোড়া অর্থাৎ রথের মতো করে সাজিয়েছে, যেন দেবরাজ ইন্দ্রের রথ আকাশ পথে নেমে এসেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আর ভিতরেও করেছে খুবই সুন্দর আর জাকজমক। এখানে ভিতরে ত্রিদেবের মূর্তি দেখতে পাবেন যেখানে, ব্রম্মা, বিষ্ণু আর শিব আছে। এছাড়া আরো অনেক মূর্তি আছে যেগুলো পাহাড় আর গুহার মতো যেখানে তৈরি করেছে সেখানে সাজানো ছিল। অনেক বড়ো করে করেছে। লোকমুখে এই পুজোটা নিয়ে অনেক কোথাও শোনা গিয়েছে যে, কলকাতার দূর্গা পুজোকেও হার মানিয়ে দেওয়ার মতো। প্যান্ডেলটিও সাজিয়েছে দেখুন কত সুন্দরভাবে। এই প্যান্ডেলটির মাধ্যমে উপরের বিভিন্ন ডিজাইনগুলো দেখুন 'সর্ব বর্ণ নির্বিশেষে' বিষয়টা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে অর্থাৎ প্যান্ডেলের উপরের ডিজাইনটা করেছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা এইরকম বিভিন্ন ভাবে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এছাড়া এখানে শুধু যে ত্রিদেব এর চিত্রটা তুলে ধরেছে তা কিন্তু না, মেইন থিম ত্রিদেব, কিন্তু এখানে সবাইকেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো মায়ের মণ্ডপটা, যেভাবে সাজিয়েছে তাতে শুধু তাকিয়ে দেখার মতো ছিল। নজর হাঁটাতে পারবেন না এক দেখায়। এতো সুন্দর লাইটিং আর ডিজাইন করেছে যেন সত্যিকারের কোনো জঙ্গলের ভিতরে মায়ের পুজো চলছে। কেউ মায়ের সামনে বসে প্রার্থনা করছে, সেই বিষয়টাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যে গাছটা এখানে ডিজাইন করেছে তাতে, লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে, একটা অজগর সাপের ডিজাইন ফুটিয়ে তুলেছে এখানে। একটা এডভেঞ্চার বিষয়ও লুকিয়ে আছে এই মন্ডপের ডিজাইনের মাধ্যমে। আমি সত্যি বলতে এই মণ্ডপটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, অনেক সুন্দর করেছিল। এইসব চিন্তাভাবনা আসলেই ভাবা যায় না। আসলে এই বিষয়গুলো সামনের থেকে না দেখলে অনুভব করা যায় না আসল ফিলটা। যাইহোক, এটাই ছিল মোটামুটি এই পর্বের আলোকচিত্র।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনবারাসাত
তারিখ১৩ নভেম্বর ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র বড় দাদার পোস্টে দেখেছিলাম ৩/৪ দিন আগে। আপনারা মনে হচ্ছে বড় দাদা সহ একসাথেই পূজা প্যান্ডেলে ঘুরাঘুরি করেছিলেন। যাইহোক এতো চমৎকার আয়োজন দেখতে তো এক ঘন্টা লাইন ধরে ঢুকলেও ভালো। পূজা প্যান্ডেলে ঢোকার পর মনটা একেবারে ভরে যাবে। তাদের আয়োজন আসলেই সেরা। ত্রিদেবের মূর্তি সহ অন্যান্য মূর্তি গুলোও দেখতে দারুণ লাগছে। অনেক নিখুঁতভাবে মূর্তি গুলো তৈরি করেছে। পূজা মন্ডপটা সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে বড় বট গাছের নিচে পূজা মন্ডপটা সাজিয়েছে। আসলেই একেবারে চোখ ধাঁধানো আয়োজন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার কালী পুজোর অষ্টম পর্বের আলোকচিত্র গুলো সত্যিই দারুন ছিল। এক মন্ডপের মধ্যে অনেক কিছু দেখতে পেলাম। কে.এন.সি রেজিমেন্ট ক্লাব নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা করেছে। একের ভিতরে অনেক কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছে। সম্পূর্ণ চিত্র দেখে বুঝা যায় যে, কোন গুহার মধ্যে জঙ্গলের ভিতরে মন্ডপটি সাজিয়েছে। মন্ডপের পিছনে এত সুন্দর করে গাছের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে যে, সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। মন্ডপের কারুকার্য গুলো দেখে আমার ভিতরে শুধু একটা প্রশ্নই জাগে যে,তারা দূর্গা পুজোর পরে কালী পুজোর জন্য এত বড় আয়োজন করার সময় পায় কোথায়। আমার তো মনে হয় এই সব কাজ করতে কমপক্ষে ছয় মাস লাগার কথা। আর এত ইউনিক চিন্তা ভাবনা কোথায় পায়। এই মন্ডপের কারুকার্য তাদের সুনাম অক্ষত রাখবে। ধন্যবাদ দাদা।

কালীপুজোর অষ্টম পর্বে দারুণ কিছু আলোকচিত্র দেখতে পেলাম ৷ ভীষণ ভালো লাগলো দাদা , অষ্টম পর্বের মাধ্যমে কে.এন.সি রেজিমেন্ট নামের একটি ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল এবং থিম দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ এই পুজো মন্ডপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে ৷ এতো এতো ঠাকুরের মূর্তি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ বিশেষ করে কালী মায়ের মূর্তি তো অসাধারণ হয়েছে ৷ অসম্ভব সুন্দর লাগছে ৷ যাই হোক , অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা , আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত এবং আলোকচিত্র গুলো শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

আপনি তো কালী পূজার কিছু আলোকচিত্রের অষ্টম তম পর্ব শেয়ার করলেন। তবে আপনার কিছু পর্ব পড়েছিলাম সব গুলো পড়ি নাই। গত পর্বের শেয়ার করা সন্ধানী দেখার পরে কে.এন.সি রেজিমেন্ট ক্লাব দেখতে গেলেন সরাসরি। আপনাদের পুজার পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যায় অনেক টাকা খরচ করা হয়। এত জাকজমক এবং ব্যয় বহুল আয়োজীত কালী পূজার ফটোগ্রাফি পর্ব শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে দাদা।

দাদা কালীপুজোর ৮ তম পর্বটা ভালো ছিল অনেক বেশি। সবগুলোর থেকে এটাই একেবারে বেস্ট একটা প্যান্ডেল হয়েছে। কারণ এরকম নিঁখুত এবং বড় একটা প্যান্ডেল আমি দেখলাম এই পর্বে। কে.এন.সি রেজিমেন্ট ক্লাবের আয়োজনটা এত সুন্দর ভাবে করেছে যে, আমি তো আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর দিকে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম দাদা। আর তাদের চিন্তা-ভাবনা ও ছিল এক কথায় অসাধারণ। অনেক সুন্দর একটা চিন্তাভাবনা থেকেই এটা করেছে।"ত্রিদেব"চিন্তাভাবনা থেকে এটা করেছে দেখে ভালো লাগলো। আর 'সর্ব বর্ণ নির্বিশেষে'এটাকে যেমন সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে তেমনি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। সবমিলিয়ে দাদা আমার কাছে পুরো প্যান্ডেলের সৌন্দর্য খুব ভালো লেগেছে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শুধু আমি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখছিলাম। আপনাদের মায়ের মন্ডপটাকেও এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দেখে ভালো লাগলো দাদা। প্রত্যেকটা মুহূর্তে কেউ সুন্দর করে তাদের পজিশনে দাড়ানো করা হয়েছে এবং বসানো হয়েছে। এইসব সৌন্দর্য খালি চোখে দেখতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল যা দেখে বুঝতে পারতেছি।

কে এনসি রেজিমেন্ট ক্লাব এর পূজা দেখতে গিয়েছিলেন সন্ধানী দেখার পর।এই ক্লাবের পূজা অনেকটা জমজমাট আর এজন্য এখানে ভিড় ও খুব বেশি।পুরো প্যান্ডেল টি ঝলমলে আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিল।আমার বেশ ভালো লেগেছে দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

কে.এন.সি রেজিমেন্ট ক্লাবের আয়োজন বলা যায়, দাদা এক কথায় দুর্দান্ত। কেননা যেমন আলোকসজ্জা, তেমন ডেকোরেশন। সব মিলিয়ে দারুন উপভোগ করলাম ছবিগুলো।

কে.এন.সি রেজিমেন্ট বরাবরই ভালো প্যান্ডেল তৈরি করে।রাতের দিকে গেলে ভিড় কম হয়, তাছাড়া দাদা
কালী পুজোতে মনে হচ্ছে দূর্গাদেবীর পরিবারকে তুলে ধরা হয়েছে।আর জঙ্গলে কালি মায়ের মূর্তিটি অপূর্ব সুন্দর।মুগ্ধ হলাম দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা কে.এন.সি রেজিমেন্ট ক্লাবের প্যান্ডেল কালী পূজার সময় সুন্দরভাবে সাজানো হয়ে থাকে যা ৮ তম পর্বটা দেখেই বুঝতে পেরেছি। এরকম সুন্দর প্যান্ডেল কখনোই দেখিনি। অনেক বড়সড়োভাবে এই প্যান্ডেলটা সাজানো হয়েছে। অনেকগুলো মূর্তি ও ছিল। ঢোকার যে গেটের লাইটিং টা ছিল এটা ছিল সবথেকে বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। আর ভিতরের সৌন্দর্য এবং লাইটিংও খুব ভালো লেগেছে দাদা। ত্রিদেব এর চিন্তাভাবনা থেকেই তারা এইটা করেছে এটা বুঝলাম। আর অনেক সুন্দর করে সাপের দৃশ্যটাকেও ফুটিয়ে তুলেছে, এটা দেখে তো আরো সুন্দর লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে বাস্তবের একটা সাপ এখানে। দাদা সব কিছুর সৌন্দর্য আপনি সরাসরি খুবই ভালো উপভোগ করেছিলেন নিশ্চয়ই। সবকিছুর সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করলেন, আর পুরোটা ভালোভাবে লিখে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দাদা এরকম ভিন্ন ভিন্ন প্যান্ডেল গুলোর আলোকচিত্র আশা করছি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখার সুযোগ হবে আমাদের। এই সুন্দর মন্ডপের কাজ করতে মনে হচ্ছে অনেক দিনের সময় লেগেছিল। ধন্যবাদ দাদা, এই পর্বটা শেয়ার করার জন্য।