ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নভেম্বর স্টোরি ( পর্ব ২ )

in hive-129948 •  6 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "হোয়াইট ওয়াশ"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে অনুরাধা যে বাড়িটা বিক্রি করতে চেয়েছিলো সেই বাড়িতে একটা খুন হয়। এরপরে কাহিনীটা কোন মোড় নেয় সেটা দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
নভেম্বর স্টোরি
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
হোয়াইট ওয়াশ
পরিচালকের নাম
ইন্দ্রা সুব্রামানিয়াম
অভিনয়
তামান্না ভাটিয়া, বিবেক প্রসন্ন, নন্দিনী ময়না, আরুলদোস, নিশান্ত নাইডু ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯ মে ২০২১( ইউনাইটেড স্টেট )
সময়
৩৬ মিনিট ( দ্বিতীয় পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তো ওই রাতে অনুরাধা বাড়িতে এসে দেখেছিলো তার বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন এখানে অনুরাধা বুঝতে পেরেছিলো কোথায় যেতে পারে আর সেখানে যাওয়ার পরে এই ঘটনা দেখতে পায়। এখন আসলে ওখানে বলেছিলাম যে, খুনটা হয়েছিল তাদের বাড়ির একটি কাজের লোকের, কিন্তু এখানে একটা ভুল ধারণা ছিল, কারণ খুনটা বাইরের একজন অপরিচিত মহিলার। কিন্তু এখানে অনুরাধার বাবা উপস্থিত ছিল ওই সময়ে। এখন অনুরাধা পরে সবকিছু সাফ করে থানায় ফোন করে আর পরের দিন পুলিশ আসে। মানে এখানে রাতের থেকেই আসে, তবে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট থেকে সকালের দিকে আসে। এরপর সেখানে মূলত যতরকমের হাতের ছাপ, তারপর অস্ত্র এবং আরো অন্যান্য যেসব প্রমান স্বরূপ স্যাম্পল ছিল সবকিছুই তারা কালেক্ট করে নেয়। এরপর বডিটিকে পোস্টমর্টেম এর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরো বিষয় জানার জন্য।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এরপর পুলিশ নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির মালিক অনুরাধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, কারণ এই ঘরটা কিন্তু বন্ধই থাকে প্রায়সময় আর বন্ধ ঘরে লাশ এটা খুবই একটা সন্দেহজনক ব্যাপার। আর তারপর একটা বিষয় হলো এই ঘরের চাবি সবসময় অনুরাধার কাছেই থাকে। তবে এই ঘর যেহেতু সে বিক্রি করবে, তাই ব্রোকার, পার্টি, পেইন্টার এদের সবার দেখানোর জন্য একটা চাবি মিটার ঘরের ওখানে রেখে যেত। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই জবাবটাই আপাতত তাদের দিয়ে দেয়। তবে এটা একটা প্ল্যান মাফিক বক্তব্য ছিল তার। তবে সেখানে যে অফিসার ইনচার্জ ছিল সে আবার তার বাবার খুবই ভক্ত, মানে তার ক্রাইম সম্বন্ধিত লেখাগুলো তার কাছে খুবই ভালো লাগতো। সে যাইহোক, এখন ওই বাড়ির পাশেই একজন লোক হঠাৎ আসে, এই লোকটা আবার একজন বড়ো পোস্টমর্টেমর অর্থাৎ আগে করতো, এখন রিটায়ার করেছে। তাকে আবার সেখানে যারা ফরেনসিক ল্যাব থেকে এসেছিলো তাদের মধ্যে একজন চেনে আর সে থানায় স্টেটমেন্ট দিতে গেলে তাকে বলে এই কেসটাতে একটু দেখতে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

কারণ সে যেহেতু এই বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞ তাই সে দেখলে কেসটা দ্রুত সল্ভ হতে পারে। এরপর তারা পোস্টমর্টেম এর ওখানে লাশটা দেখতে যায় এবং সেখানে গিয়ে দেখে, মহিলাটাকে মারার পরেও ৪৭ বার তার বডিতে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এটা দেখে আরো অবাক করা কান্ড। এরপর তারা আবার ক্রাইমসীনে যায়, তারা যেসব অস্ত্র ওখান থেকে সংগ্রহ করেছে সেগুলোর সাথে আঘাতের স্থানগুলোর একদমই মিল নেই অর্থাৎ যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে সেটা এখনো ওখানে আছে। এই অর্থেই সেখানে যায় এবং ওখানে দেওয়ালের গায়ে একটা শিক মতো দেখতে পায় যার হাইট ৬ ফুট, এখন এখানে যে মারা গিয়েছে তার হাইট ৬ ফুট অর্থাৎ যে খুন করেছে তার হাইট সামনের দিক থেকে ৫ কি সাড়ে ৫ ফুট হবে। এখন তাদের তদন্ত এইভাবে জারি আছে।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এই দ্বিতীয় পর্বে বিষয়টা আরো ইন্টারেষ্টিং হয়ে উঠেছে। তবে এখানে অনুরাধা তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য অনেক বড়ো প্ল্যান করেছে। কারণ ওই যে মহিলা মারা গিয়েছে, সে কিন্তু সেই মহিলা ছিল যাকে ওইদিনই ট্রেনে দেখেছিলো। ওই যে বলেছিলাম একটা মেয়েকে সম্ভবত পাচারকারীর হাতে তুলে দিচ্ছে। ওই মহিলাকে দেখে চিনতে পারলেও পরে পুলিশের সামনে না চেনার অভিনয় করে। এরপর তার বাবার যে পেনটা ছিল, মূলত ওই পেন দিয়েই তার পিঠে ওই ৪৭ বার আঘাত করা হয়, সেটা কিন্তু অনুরাধা দেখার পরে সেটা আঘাতের স্থানে দিয়ে দেখে। মূলত অনুরাধা তার বাবার যেসব হাতের ছাপ ওই মহিলার গায়ে ছিল সব মুছে ফেলার জন্য তার সমস্ত শরীরে পেইন্ট করা রং ঢেলে দেয়। এতে করে সকালের মধ্যে সব শুকিয়ে যাবে আর কোনো ফুট প্রিন্ট থাকবে না। পোস্টমর্টেম এর সময়েও পাবে না কোনো প্রমান তার বাবার পক্ষে। এখন এখানে আরেকটা সন্দেহের বীজ পাওয়া গিয়েছে অর্থাৎ যে বড়ো পোস্টমর্টেমর এসেছিলো তার গাড়ির পিছনের ডিক্কিতে একটা কম বয়েসী ছেলেকে সম্ভবত রাখা পাওয়া গিয়েছে। এইবার এই বিষয়গুলো আরো কতদূর কি হবে সেটা পরের ঘটনায় বোঝা যাবে।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৭.৮/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বের চেয়ে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে বেশি ভালো লেগেছে। ওয়েব সিরিজটা সত্যিই জমে উঠেছে। অনুরাধার বাবা যেহেতু ক্রাইম সম্বন্ধিত লেখালেখি করতো এবং অনুরাধার বাবার তো মানসিক সমস্যাও রয়েছে, তাহলে কি অনুরাধার বাবা খুনটা করেছে নাকি। তবে অনুরাধা তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য দারুণ প্ল্যান করেছে। বিশেষ করে সেই মহিলা অর্থাৎ লাশের শরীরে রং ঢেলে দেওয়ার আইডিয়াটা দারুণ ছিলো। দেখা যাক পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে কি আসে। যাইহোক এতো চমৎকারভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা নভেম্বর স্টোরি ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এখন দেখছি অনুরাধা তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য অনেক গুলো প্ল্যান করেছে। অনুরাধা দেখছি মহিলাটাকে চিনেও না চেনার ভান করে। এদিকে আবার তার বাবার হাতের কোন ছাপ না পাওয়া যায় এই জন্য রং ঢেলে দেয়। আসলে এটা অনেক বড় ষড়যন্ত্র দেখছি। আবার এখানে দেখছি অন্য আরেকটা বিষয় সামনে আসলো। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের গাড়িতে নাকি একটা ছেলেকে পাওয়া গেল। এ বিষয়টা কোন দিকে যাবে সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই এর কিছু সমাধান দেখতে পাবো। এই অপেক্ষাতেই রইলাম। আশা করি পরবর্তী পর্বটা খুব শীঘ্রই দেখতে পারবো।

দাদা নভেম্বর স্টোরি ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব টা মনে হয় আমি মিস করে গেলাম। কিন্তু দাদা এই পর্বটা পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম। আসলে অনুরাধা তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য অনেক কাহিনী সাজালো। বিশেষ করে ওর বাবার হাতের ছাপ যেন না পাওয়া যায় এই জন্য মেয়েটার গায়ে রং ঢেলে দিয়েছিল। কিন্তু হাতের ছাপটা কি পাওয়া গেল নাকি এটা তো জানলাম না। অন্যদিকে আবার গাড়িতে একটা ছেলেকে পাওয়া গেল। এটাতো অন্যদিকে মোড় নিল। তবে পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই এই বিষয়টা জানতে পারবো। অনেক ভালো লাগলো দাদা আজকের ওয়েব সিরিজের পর্বটা পড়ে।