হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির অষ্টম পর্ব তথা অন্তিম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "পুলসিরাত"। গত পর্বে দেখেছিলাম সেই বরফকলের ওখানে গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলো চেয়ারম্যান এর লোকজন তাদের ধরার জন্য। আজকে দেখবো এর পরের থেকে কি ঘটনা ঘটে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
গাড়িতে করে সেই লোকটা আর রানা গিয়েছিলো সেই বরফকলের কাছে ঠিকই কিন্তু সেখানে পৌঁছায় মূলত একজন সেই চেয়ারম্যান এর লোকটা। তার মানে এখানে একটা বিষয় এসে দাঁড়ালো যে রানাকে ওই লোকটা পথেই মেরে দিয়েছিলো। এরপর ওই লোকটা বরফকল এর ভিতরে ঢুকলে কাউকেও দেখতে পায় না লাশসহ। তারা সেখান থেকে কিছুক্ষনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিলো, তবে তাদের আরেকটা প্ল্যান ছিল যে এই লোকটাকে যেকোনো মূল্যে মেরে ফেলতে হবে নতুন কোনো ঝামেলায় জড়ানোর আগে। ফলে তাকদীর সামনে দিক থেকে এসে তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে লাগে কে তিনি মানে একটা অচেনা ভাব করতে লাগে, কিন্তু লোকটা তাকদীরকে ঠিকই চিনতে পেরেছিলো। এই কথার মাঝে মন্টু পিছন দিক থেকে এসে পলিথিন দিয়ে তার মুখ ঢেকে দেয় যাতে দম আটকে মারা যেতে পারে। বেশ অনেক্ষন ধরে নাক-মুখ বন্ধ করে রাখে আর তার মাঝে তাকদীর লাশটাকে নিয়ে গাড়িতে তোলে।
লোকটাকে বেশিক্ষন ধরে রাখতে পারলো না আর মারতেও পারলো না, বরং তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পরে। মন্টু তাকে ধাক্কা দিয়ে পরে গাড়িতে গিয়ে ওঠে আর তারা পালতে যায়। কিন্তু লোকটা গাড়ির চাকায় গুলি করে দেয়, ফলে তারা আর বেশিদূর এগোতে পারে না। পাশে কাশফুলের বাগানের ভিতরে লুকিয়ে পড়ে। লোকটা তাও সেখানে গিয়ে গুলি করলে মন্টুর পিঠে লাগে, যা আর তার বাঁচার কোনো পথ ছিল না, সাথে সাথেই সেখানে মারা যায়। এরপর সেখানে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে আর এই লোকটা লাশ নেওয়ার জন্য গাড়ির ভিতরে যায় আর তাকদীর চুপিসারে এসে তার কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয় আর তাকে ফ্রিজারের মধ্যে বন্ধ করে দিয়ে রাখে। বেশ অনেক্ষন সময় পার হয়ে গেলে খুলে দেখে লোকটা মারা যায় ঠান্ডায়। এরপর তাকদীর এর হঠাৎ করে চোখে পড়ে আফসানার মুখের দিকে যেখানে সেই মেমোরি কার্ডটা দেখতে পায়। এরপর সেটি নিয়ে ঢাকা শহরের দিকে রওনা দেয়, তবে সে ভোরের দিকে একটা হসপিটালের কাছে গাড়িটা রেখে সাইরেন বাজিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর সকালে লোকজনের ভিড় জমা হয় আর সেখানে আফসানার হাসব্যান্ডও চলে আসে খবর দিলে। এরপর ফরেনসিক রিপোর্ট করার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু কাটাকাটির কোনো কারণ তারা খুঁজে পায়নি, তবে পুলিশ সেখানে তাকদীর সহ আরো কয়েকজনের সাস্পেক্ট করে আর তাদের ধরার জন্য তল্লাশি চালায়। পরে আফসানার লাশ কবর দিলে সেখানে তার হাসব্যান্ড এর কাছে তাকদীর চলে যায় এবং সেই মেমোরি কার্ডটা দিয়ে সবকিছু তাকে বলে আর তাকে এই মেমোরি কার্ডে কি আছে তার সত্যতা উদ্ঘাটন করতে বলে যার জন্য তাকে মরতে হয়েছে। তবে এর জন্য তাকদীর নিজে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে এবং তাকে কয়েক বছর জেলে থাকতে হয়।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই তাকদীর এর কাহিনীটার মোটামুটি কাহিনী এটাই ছিল। আসলে এই সত্য-মিথ্যার এক বেড়াজালে তাকদীর আর মন্টু ভীষণভাবে ফেঁসে যায়, যেখান থেকে সামনে বা পিছনে কোনদিকে তাদের বাঁচার পথ খোলা ছিল না। হয় চেয়ারম্যানের লোকজন ধরবে আর না হলে পুলিশ তাদের যেভাবে তাড়া করছে তাতে গুলি খেয়ে মরবে। আর এই নিয়ে এখানে-ওখানে লুকোচুরি খেলতে হয়েছে। মেমোরি কার্ড খোঁজার জন্য পেট কেটে আরো অবস্থা করে ফেলে শেষে, কিন্তু সবকিছু আসলে বৃথাই গিয়েছিলো। কারণ আফসানা যে মেমোরি কার্ডটা লুকানোর জন্য মুখে দিয়েছিলো, সেটা আসলে সে খাইনিই, তাহলে পেটের ভিতরে থাকবে কি করে। মেমোরি কার্ডটা তার মুখে দাঁতের মাঝেই রেখে দিয়েছিলো, যেটা তাকদীর পরে শেষের দিকে দেখতে পেয়েছিলো। আর এইটা নিয়েই সমস্ত কিছুর সত্যতা পরে উদ্ঘাটন হলো আর অপরাধীরা স্বাস্তি পেলো, সাথে কিছু ভালো মানুষেরাও পেলো। এর মাঝে অনেকজনকে মরতেও হয়েছে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা তাকদীর অর্থই ভাগ্য। এখানে সাধারন একটি বিষয় নিয়ে কি জামেলাটাই হলো। সত্য-মিথ্যার এক বেড়াজালে তাকদীর আর মন্টু ভীষণভাবে ফেঁসে যায়, যেখান থেকে সামনে বা পিছনে কোনদিকে তাদের বাঁচার পথ খোলা ছিল না। পিছনে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজন ধরবে আর সামনে গেলে পুলিশ তাদের ধরবে, না হয় গুলি খেয়ে মরবে। এই বিষয়টা নিয়ে এখানে-ওখানে কত লুকোচুরি খেলতে হয়েছে। মেমোরি কার্ড খোঁজার জন্য পেট কাটলো আর সেটা মুখেই আটকে রইলো। কারণ আফসানা যে মেমোরি কার্ডটা লুকানোর জন্য মুখে দিয়েছিলো, সেটা আসলে সে ঘিলেনি। মেমোরি কার্ডটা তার মুখে দাঁতের মাঝেই রেখে দিয়েছিলো, যেটা তাকদীর পরে শেষের দিকে দেখতে পেয়েছিলো। আর এইটা নিয়েই সমস্ত কিছুর সত্যতা বের হলো। এত কিছুর মাঝে কত ঘটনা ঘটেগেল। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাকদীরের শেষ পর্বটা রীতিমতো আমার চোখে পানি এনে দিয়েছিল। চঞ্চল চৌধুরী মানে তাকদীর এর কথাগুলো ছিল একেবারে বাস্তব। এখানে পরিচালক সাওকী একটা প্রশ্ন রেখে গিয়েছে আফসানার ঐ মেমরি কার্ড নিয়ে। এতে করে আমরা আশা করতেই পারি যে তাকদীর এর দ্বিতীয় সিজেন আসবে। দারুণ রিভিউ করেছেন শেষ এপিসোড টার দাদা।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাকদীর ওয়েব সিরিজটির শুরু থেকে এই পর্যন্ত প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো আমি যত পড়ছিলাম আমার কাছে ততই ভালো লাগছিল। তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের অষ্টম পর্ব শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বটির নাম ছিল পুলসিরাত। আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে এই ওয়েব সিরিজটার রিভিউ তুলে ধরেছেন দেখছি। আর আফসানা তো দেখছি সেই মেমোরি কার্ড খায়নি। মানে তার দাঁতের মধ্যে রেখে দিয়েছিল সেই মেমোরি কার্ড। তাকদীর সবশেষে এটা দেখতে পেয়েছিল এবং প্রমাণ দিয়েছিল এটা জেনে ভালো লেগেছে। আস্তে আস্তে পর্বগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেকটা রহস্য আস্তে আস্তে বেরিয়ে পড়েছে, এ বিষয়টা ভালো লেগেছে দেখতে। আর এর মধ্যে অনেক জনকে মরতে হয়েছে। আফসানার হাজব্যান্ড কেউ সব কিছু বলা হয়েছিল তাহলে। সব মিলিয়ে আমার কাছে সম্পূর্ণটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। সম্পূর্ণটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলে ধরেছেন। অসম্ভব ভালো ছিল সম্পূর্ণটা এটা বলতে হচ্ছে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি এরকম ওয়েব সিরিজের রিভিউ পোস্ট গুলো। আপনি সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের রিভিউটা তুলে ধরলেন। আসলে এই ওয়েব সিরিজের আগের পর্বগুলো যেহেতু আমার পড়া হয়েছিল, তাই এই পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম অনেক বেশি। আসলে কিছু কিছু পর্বের মধ্যে রহস্য জড়ো হচ্ছিল, আবার কিছু কিছু পর্বের মাধ্যমে রহস্যগুলো বেরিয়ে আসছিল। আমি আপনার মুভি এবং ওয়েব সিরিজের রিভিউ সব সময় পড়ে থাকি দাদা। আর যেগুলো পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন সেগুলো একটু বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আফসানার পেটের মধ্যে ভেবেছিল সেই মেমোরি কার্ড তাই তারা কেটে ফেলেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তাকদির খেয়াল করে আফসানার দাঁতের মধ্যে সেই মেমোরি কার্ড রয়েছে। খেয়াল করার কারণেই তো সেই ওই মেমোরি কার্ড পেয়েছিল। আর এর মাধ্যমে অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছিল, আবার ভালো মানুষগুলো ও শাস্তি পেয়েছিল। তাকদীর এবং মন্টু বেশ গুরুতর ভাবে ফেঁসে গিয়েছিল। যাই হোক সম্পূর্ণটা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরলেন দেখে ভালো লাগলো দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"তাকদীর" ওয়েব সিরিজটির অষ্টম পর্ব বা অন্তিম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আমরা এর আগে বেশ কিছু পর্ব রিভিউ পড়েছি। শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। তাকদীর আর মন্টু ভীষণভাবে ফেঁসে গিয়েছিল। একদিকে পুলিশ তাদের খুঁজছিল অন্যদিকে চেয়ারম্যানের লোকজন তাদেরকে খুঁজছিল। আসলে তারা খুবই বিপদের মধ্যে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবকিছুর সমাধান হলো। আর সাংবাদিক আফসানা যেহেতু মেমোরি কার্ড গিলে ফেলেনি তাইতো তার পেটে কিছুই পাওয়া যায়নি। তারা ভেবেছিল পেটের ভেতর মেমোরি কার্ড লুকানো আছে। তাই তো পেট কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু শেষমেষ মেমোরি কার্ড পাওয়া গেল তার দাঁতের মাঝেই। যেহেতু সেই মেমোরি কার্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল তাই তো অবশেষে নিরপরাধ মানুষগুলো বেঁচে গেল। আর অপরাধীতা শাস্তির আওতায় এলো। আসলে ক্ষমতার দাপটে হয়তো অপরাধীরা সবকিছু ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষমেষ সব কিছুই সামনে চলে এলো। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে শেষ পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি আবারো নতুন কোন ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit