হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
copyright free image source: pixabay
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। আজকের এই লেখাটাও একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আসলে বর্তমানে চারিদিকে বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনার পরিমান বেড়ে গিয়েছে। এগুলো সাধারণ হয়ে থাকে প্রশাসনের গাভিলতির কারণে। কারণ দেখুন, আজকাল বেশিরভাগ দুর্ঘটনা কিন্তু হয়ে থাকে ট্রেন বা গাড়ি থেকে। আসলে ট্রেনের বিষয়টা আলাদা, কারণ এটা একটা সোজা লাইনে নির্দিষ্ট গতিতে চলে। কিন্তু মাঝে মাঝে বেপরোয়া হয়ে যদি লিমিট ক্রস করে গতি বাড়িয়ে চলে, তাহলে লাইন চ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটবেই জয়েন্ট এর স্থানগুলিতে। আর এইগুলো দূরপাল্লার ক্ষেত্রে রাতের দিকেই চালকগুলো মাতব্বরি করে বেশি করে। তবে যাইহোক, এই দুর্ঘটনাটা মূলত একটা বাসের সাথে একটি ট্রাকের সংঘর্ষের কারণে হয়েছে।
আসলে এখন রাস্তাঘাটে কিন্তু আরেকটা বিষয় বেশি লক্ষ্য করা যায় যে, ওভার টেকিং এর মাত্রাটা বেশি। আর এইগুলো বেশিরভাগই বাস চালকগুলো করে থাকে। এটা আসলে আমাদের এখানে বলে কথা না, যেকোনো জায়গায় আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, লোকাল বাস ব্যাতিত যেসব বাস অর্থাৎ বড়ো বড়ো বাস আছে, এরা মাঝে মাঝে সরু রাস্তাতেও প্রতিযোগিতা লাগায় যে কে আগে যেতে পারে। তাও আবার যাত্রী ভর্তি করে। সব থেকে বড়ো রিস্ক কিন্তু ওখানেই যে, যদি কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়, তাহলে যাত্রীগুলো মরবে। আসলে এই বিষয়গুলো একটা কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে, কিছুই বলার নেই এদের। তাছাড়া হাইওয়েতে উঠলে তো এরা আর কিছুই দেখে না, যেন উড়তে থাকে।
কারণ হাইওয়েতে এতো ট্রাফিক এর ঝামেলা নেই, মনের গতিতে চালানো যায়, কিন্তু এদের হুশ থাকে না, হঠাৎ করে তো সামনেও কিছু চলে আসতে পারে। তবে একটা জিনিস দেখবেন যে, এখন বেশিরভাগই ট্রাকের সংঘর্ষের ফলে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে, কারণ এরা হলো আরেক টাইপের, এদের আসলে বলতে গেলে কোনো বেল নেই, বেশিরভাগ সময়ে সত্যি বলতে নেশা করেই গাড়ি চালায়। এই যে উত্তরপ্রদেশের একটি জায়গায় এই ঘটনাটা ঘটলো সেটা এই ওভার টেকিং এর কারণেই ঘটলো। একটা বাস ফুল যাত্রী নিয়ে একটি ছোট ট্রাকের সাথে ওভার টেকিং করতে গিয়ে ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেললো।
এই ওভার টেকিং মারাত্মক বিপদ, কারণ যদি আপনি ওভার টেকিং করতে গিয়ে হঠাৎ স্পিডের দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে বিপদ নিশ্চিত ঘটবেই, কারণ এতে আপনি কড়া ব্রেক মারলেও উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং সেটা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে কিন্তু ঘটনাটা সেটাই ঘটেছে। তবে বিপদ হয়ে গেলে বেশ কিছু মানুষের। অনেকের প্রাণহানি হয়েছে এবং আহতের সংখ্যাও অনেক। কারণ একটা বাসে কিন্তু কম লোকজন ধরে না, তাহলে এতগুলো লোক নিয়ে যদি বাস উল্টে যায়, তাহলে কি হতে পারে!
যদিও দেখা গেছে ওখানে স্থানীয়রা অনেকের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে এবং হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই আহতের মধ্যে কতজন সুস্থ হতে পারবে সেটাই বিষয়। কিন্তু যাদের প্রাণ গেলো, তাদের বলার কিছু নেই, কারণ যাদের হারিয়ে গেলো তারাই একমাত্র বিষয়টা কতটা মর্মান্তিক সেটা বুঝতে পারছে। ওভার টেকিং না বুঝে দুম করে করতে গেলে এইধরণের বিপদ হবেই, আর এইগুলো আবার বাইক রাইডাররা বেশি করে থাকে, দুর্ঘটনার স্বীকারও হয়ে থাকে। তবে যাইহোক, অহেতুক ওভার টেকিং না করাই ভালো, নাহলে এইধরণের বিপদ এর থেকে রক্ষা নেই।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মানুষের মধ্যে ধৈর্য্য অনেকটা কমে গেছে,তাই কোনো সিগন্যাল না মেনেই একটুতেই জীবন ঝুঁকিতে ফেলে।তাছাড়া বেশি টাকা ইনকামের জন্য অনেক যাত্রী তোলে ফলে দুর্ঘটনাগুলি সহজেই ঘটে থাকে।আপনি বাস্তব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ,যেটা পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওভার টেকিং এর মত ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস আর হয় না। দারুন একটি বিষয়ের অবতারণা করলেন এই পোস্টে। গাড়ি চালাই বলে জানি, মাঝে মাঝে বেশি আত্মবিশ্বাস বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ট্রেন এক্সিডেন্ট এখন ভীষণ বেড়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাইভিং এক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের প্রত্যেককে এই বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। ভীষণ প্রাসঙ্গিক একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আমাদের সাথে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
" অহেতুক ওভার টেকিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ " এই টপিকটা নিয়ে খুবই শিক্ষনীয় এবং বাস্তবমুখী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সাথে আমিও একমত এখন যে সমস্ত ট্রাকের ড্রাইভার আছে তার অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালায়। আর বাস চালকদের কথা বলবো তারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে রেস করে। আর এ দুটো কারণোই দুর্ঘটনার মূল কারণ। যাই হোক দাদা আপনার পোস্টটা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এরকম একটি সময়োপযোগী পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার সবচেয়ে অপছন্দের ড্রাইভার হচ্ছে ট্রাক ড্রাইভার। এই গাড়িগুলো যেমন আমার পছন্দের না ড্রাইভারগুলো বেশ বাজে টাইপের। তাদের দেখলে বোঝা যায় তারা কত নেশাগ্রস্ত থাকেন। নেশাগ্রস্ত হয়ে খুব স্পিডে গাড়ি চালাই। হঠাৎ করে যখন সামনে কোন কিছু পড়ে যায় ওভারটেকিং করতে গিয়েই এক্সিডেন্ট ঘটে যায়। বর্তমান সময়ে সব জায়গায় এক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় জনবহুল এলাকা সেখানে অনেক বেশি এসব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আপনার বিস্তারিত লেখা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমাদের দেশের দূরপাল্লার বাস গুলো ওভারটেক করার চেষ্টা করে সবচেয়ে বেশি। আর সেজন্য প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ওভারটেকিং সত্যিই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে হলে এই ব্যাপারে গাড়ি চালকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit