হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ব্ল্যাক শিপ"। গত পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম যে, বহু বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা কারাগারে একটা লোক এসে শুয়ে থাকে, অথচ থানার কেউই সেটা জানে না। আজকে দেখবো সেই লোকটাকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
প্রথমত তো ওই লোকটাকে থানার ভিতর থেকে পাগল অবস্থায় বের করে চুল কাটিয়ে একটু ভদ্র মানুষের মতো করে, কিন্তু এই লোকটাকে তারা অনেক জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করেছে যে, আসলে এই লোকটা কে? কথার থেকে আসলো আর এই জেলের ভিতরে কিভাবে ঢুকলো। যেখানে এই জেল এর সেল ৫০ বছর ধরে বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। লোকটা কোনোমতেই কোনো কিছু বলে না। এরপর সবাই বিরক্ত হয়ে তাকে সেলের ভিতরে নিয়ে যায় আর থার্ড ডিগ্রি দেওয়া শুরু করে দেয়। দুই পায়ের পাতায় ভীষণ মারা মারতে থাকে, রক্তাক্ত করে ফেলে এক পর্যায়ে, কিন্তু তাও লোকটা মোটেও মুখ খোলে না। অরে বলবে তা কি, সে তো কানেই শোনে না আর কোথাও বলতে পারে না। কিন্তু অফিসাররা একজনও তা সেটা বুঝতে পারছে না। এছাড়া অন্যান্য ক্রাইম ডাটা এর চেহারার সাথে মিলিয়েও দেখে যে কারো সাথে মিলছে কিনা।
কিন্তু সেটাও খুঁজে পেলো না। ফারুখ নামের ওই অফিসারটা পরে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে নিতে বলে আর তার এক বন্ধু এইসব বিষয়ে ভালো পারদর্শী, ফলে সে ভাবে এইভাবে তার আইডেন্টিটি বের করাও যাবে। কারণ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমেও আজকাল ডিজিটাল যুগে একজন ব্যক্তির ব্যাপারে সমস্ত তথ্য খুঁজে বের করা যেতে পারে। এছাড়া ফারুখ অফিসারটি তার একটা ছবিও তুলে নেয় ফোনের মাধ্যমে, যাতে তার ছবি কাউকে দেখিয়ে তার বিষয়ে কিছু জানতে পারে। তবে এখানে যতজন অফিসার আছে সবার সাথে জেলের কয়েদীগুলোর সাথে আবার ভালো সম্পর্ক আছে, মানে সবার সাথে একটুআদ্দুক কারবার চলে ভিতরে ভিতরে। আর এইগুলো সব গোপনে রাতের দিকে। ফারুখ তার বন্ধুকে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে খোঁজ লাগাতে বলে এবং সে নিজে সেলের কিছু কয়েদির সাথে দেখা করে ছবি দেখায় আর জানার চেষ্টা করে যে তাদের দলের কেউ কিনা বা তাদের চেনাপরিচিত কেউ হয় কিনা।
এটা করেও কোনোকিছু পেলো না এবং পরে ফারুখ অফিসার ওই লোকটার কাছে যায় এবং পরে জানতে পারে যে লোকটা কোথাও বলতে পারে না আবার শুনতেও পায় না। এই নিয়ে পড়ে আরেক ঝামেলায়, কিন্তু ইশারার মাধ্যমে দেখায় সে লিখতে পারে কিনা, লোকটা ঘাড় নাড়িয়ে তখন বলে যে লিখতে পারি। এরপর খাতা কলম নিয়ে লিখতে বলে, কিন্তু সে আবার ফার্সি ভাষায় লেখা শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এইসব ভাষা তারাও কেউ জানে না। তারা আরো আরবি ভেবে একজন মৌলানার কাছে গিয়ে জানতে চায় কি লিখেছে আর সেই বলে এটা ফার্সি ভাষা আর আমিও জানিনা। কিন্তু আরবির মতো কিছুটা দেখতে তাই কিছু শব্দ বুঝতে পারে, যেমন-ওখানে একটা নম্বর আর একজনের নাম বুঝতে পারে শুধু। কিন্তু ওই নামটা আবার ওই লোকটার না সেটা জানতে পারে তার কাছে শুনে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই কাহিনীতে ব্ল্যাক শিপ নাম দেওয়ার একটাই কারণ হলো যে, এদের একজন অফিসার এর একটা দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত রেখে দিয়েছে। তাদের একজন অফিসার রাতের দিকে ডিউটি সেরে বাড়ি যাওয়ার পথে বাড়িতে কার সাথে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলো আর বাইক যেহেতু নিজেই ড্রাইভ করছিলো, তাই সামনে একটা হঠাৎ ভেড়া চলে আসায় আর কন্ট্রোল করতে পারেনি, এক্সিডেন্ট করে বসে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই নামকরণ করেছে আর কি। এখন এই লোকটার আইডেন্টিটি তারা কোনোমতেই বের করতে পারছে না আর সব থেকে বড়ো যে রহস্যটা রয়ে গেছে সেটা হলো, এই লোকটা এই সেলের ভিতরে কিভাবে ঢুকলো, না আছে কোনো সুড়ঙ্গ, না আছে কোনো আসা যাওয়ার পথ। এমনকি তাদের সিসি ক্যামেরাতেও কোনোকিছু এইসব ধরা পড়েনি। তাহলে লোকটা আসমান থেকে উড়ে এসে বসলো! এটা তাদের সামনে একটা বড়ো রহস্য। এদিকে তাদের অফিসার এইসবের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে দ্রুত। এখন আইডেন্টি খুঁজতে গিয়ে তারা ভাষার গরমিল পড়ে গিয়েছে, কি লিখেছে সেটা উদ্ধার করতে গেলে সেই ভাষা জানার লোক লাগবে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৮/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বন্ধ থাকা সেলের লোকটিকে নিয়ে পুলিশ অফিসাররা এখন মহা মুশকিলে পতিত হয়েছে। এরা এখন কোন ভাবেই বুঝতে পারছে না যে,লোকটি কিভাবে সেলের ভিতরে আসলো। আজকের রিভিউ পড়ে আমিও স্তব্ধ হয়ে গেলাম। এত মারার পরে জানা গেলো যে ছেলেটি,কথা বলতে পারে না,কানেও শুনে না,হা হা হা। আবার যাও লিখতে পারে সেটা আবার ফার্সি ভাষায়। চিন্তা করা যায় ব্যাপারটা কেমন। এখন তো সবার মাথা ঘুরছে। কিভাবে প্রমান করবে লোকটি কোথায় থেকে কিভাবে বন্ধ থাকা সেলের ভিতরে আসলো। আর তাদের আইন অনুযায়ী যত রকম চেষ্টা আছে,সব কিছুই তারা প্রয়োগ করেছে। তাতেও কোন ফলাফল পাচ্ছে না। এখন দেখা যাক পরের পর্বে আমারা কি জানতে পারি। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা গত পর্বের চেয়ে এই পর্ব পড়ে আরও বেশি ভালো লেগেছে। কারণ পুলিশেরা লোকটাকে এতো মারধর করার পর জানতে পারলো যে, লোকটা কানেও শুনে না আবার কথাও বলতে পারে না। লিখে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফার্সি ভাষায়😂। পুলিশদের মাথা তো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমন কেইস জীবনেও হ্যান্ডেল করেনি তারা। তবে ফারুখ নামের অফিসারটি বেশ বিচক্ষণ মনে হচ্ছে। তার বুদ্ধি অনুযায়ী মোটামুটি ভালোই এগিয়ে যাচ্ছে তারা। ফার্সি লেখা গুগল ট্রান্সলেট এর মাধ্যমে ইংরেজি করে নিলেই তো পারতো 😂। এই পর্বের নাম ব্ল্যাক শিপ কেনো দেওয়া হয়েছে, সেটাও জানতে পারলাম। সব মিলিয়ে এই পর্বটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন ১ এর ২য় পর্ব শেয়ার করেছেন। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "ব্ল্যাক শিপ"। আমার কাছে কিন্তু প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বের রিভিউটাও অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। এখানে তো দেখছি তাদের একজন অফিসার রাতের বেলায় বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় সামনে ভেড়া আসার কারণে এক্সিডেন্ট করেছিল। আর এর কারণে এটার নাম দেওয়া হয়েছিল ব্ল্যাক শিপ। ব্ল্যাক শিপ নাম দেওয়ার কারণটা তো জানতে পারলাম দাদা, ভেবেছিলাম লোকটা এখানে কিভাবে আসলো এটাও জানবো এই পর্বে। কিন্তু দেখলাম এরকম কিছুই হলো না বরং তারা সবকিছুর মাধ্যমে খুঁজতে লাগলো লোকটা এখানে কিভাবে এসেছে। যেহেতু এখানে আসার জন্য কোন রাস্তা ছিল না, তাহলে কিভাবে লোকটা আসলো এটা তো বুঝতেই পারতেছি না। তারা আইডেন্টিটি খুঁজতে গিয়ে দেখলাম ভাষার গরমিল পেয়েছিল। এখন দেখতে হবে যে, এই ভাষা জানার লোক তারা পাবে কিনা এবং লোকটার সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবে কিনা। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে দ্বিতীয় পর্বের রিভিউটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি খুব সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। আপনার শেয়ার করা ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। তাই তো সব সময় পড়ার চেষ্টা করি রিভিউ পোস্টগুলো। আমি তো কোনরকম এটাই বুঝতে পারতেছি না যে, ওই কয়েদি কিভাবে সেলের মধ্যে এসেছে, সেখানে ঢোকার কোন রাস্তা ছিল না। এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর ২য় পর্ব টা লিখেছেন অনেক সুন্দর করে। ব্ল্যাক শিপ নামের এই পর্বটা রিভিউ পোস্ট পড়তে ভালো লেগেছে। একজন অফিসারের একটা দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত রেখে দেখছি ব্ল্যাক শিপ নামটা দেওয়া হয়েছিল। আর যদিও সবাই তদন্ত করার চেষ্টা করতেছে কিভাবে লোকটা এখানে এসেছে কিন্তু পাচ্ছে না। কিন্তু ভিন্ন ভাষায় লেখা কিছু ডকুমেন্ট পেয়েছে। আর ভাষার গরমিল পড়ে গিয়েছিল দেখছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। চঞ্চল চৌধুরী সত্যিই দারুণ অভিনয়শিল্পী। উনার অভিনয় আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর এই কারাগারে ওই লোকটি কি করে এলো এটা সত্যি অনেক রহস্যের ব্যাপার। একদিকে লোকটি কথা বলতে পারেনা অন্যদিকে কানেও শোনে না। এজন্য উনাকে সনাক্ত করার বেশি ঝামেলা হয়েছে। ফারুখ সাহেব বেশ ভালোই চেষ্টা করেছেন উনার সাথে কমিউনিকেশন করার। কিন্তু সব কিছুই বৃথা হয়েছে। আর অবশেষে যখন সবাই জানতে পারে তিনি লিখতে পারেন তখন সবার মনে মনে হয় আশার আলো ফুটেছিল। কিন্তু শেষমেষ কি হল। এটা তো অন্য কিছু হয়ে গেল। কারণ তিনি অন্য ভাষায় লিখেছিলেন। আর এই ভাষা কেউ সহজে বুঝতে পারছিল না। ফার্সি ভাষা কেউ বুঝতে পারে না। তাইতো তারা আরো বেশি ঝামেলায় পড়েছে। তবে এই বন্দি কারাগারে এই লোকটির আসা একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু তবুও তিনি সেখানে আছেন। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit