সবজি দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা করেছিলাম তিন প্রকার সবজির সমন্বয়ে। ভেন্ডি, আলু, বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপিটা করেছিলাম একদম কম ঝোলের মাধ্যমে, একপ্রকার আঁটো আঁটো বলা যায়। তবে সত্যি বলতে মাছটা খেতে তেমন একটা স্বাদ লাগেনি, তার কারণ হলো অনেকদিন ফ্রিজে রাখা ছিল। আসলে বাড়িতে কয়েকদিন ধরে আমি আছি একা আর ঠান্ডা যা পড়েছে তাতে রান্না করতে যেতে আর ইচ্ছা করে না রাতের দিকে বা সকালের দিকে। আর দুপুরেও টাইম হচ্ছে না, কারণ কয়েকদিন আমারো বাইরে কিছু কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ফলে আমাদের এখানে swiggy নামক অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে করে খেয়েছি। আসলে কতদিন আর খাবার অর্ডার করে খাওয়া যায়, একভাবে ফ্রাইড রাইস আর বিরিয়ানি। তাই গতকাল বাড়িতে ছিলাম আর দুপুরের দিকে কয়েকটা সবজি দিয়ে কাতলা মাছের কিছু পিস দিয়ে রান্না করে ফেললাম।

ভেন্ডি দিয়ে আসলে বিভিন্ন ধরণের মাছের তরকারি বা নিরামিষ কিছু করলেও ভালো লাগে। আর সাথে বেগুন থাকলে সেই তরকারি আরো বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। তবে ভেন্ডি সাধারণত আমি তেমন একটা ভেজে রান্না করিনা, তবে গতকাল একটু ভেজে রান্না করে দেখলাম কেমন হয়। মাছটা বেশি একটা স্বাদ না লাগলেও সবজির তরকারি খেতে বেশ ভালোই লেগেছিলো। সবজিতে বেগুন দিলে একটু কম ঝোলে খেতে বেশ মজাই লাগে, আসলে কার কাছে কেমন লাগে জানিনা, কিন্তু আমার কাছে একটু শুকনো শুকনো ভালো লাগে। আমি এমনিতেও খাওয়ার সময় শুকনো শুকনো করে খাই বেশি ঝোল থাকলেও। যাইহোক, এখন সবজি দিয়ে কাতলা মাছের এই রেসিপিটার প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

❦উপকরণ
পরিমাণ❦
কাতলা মাছ
৭ পিস
ভেন্ডি
২০০ গ্রাম
আলু
২ পিস
বেগুন
১ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
৭ টি
গোটা জিরা
১.৫ চামচ
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৫ চামচ
হলুদ
৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১.৫ চামচ


কাতলা মাছ, ভেন্ডি, আলু, বেগুন


পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


➤ভেন্ডিগুলো প্রথমে একটু লম্বা সাইজ করে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম এবং সেই সাথে আলুর খোসাগুলো ছালিয়ে নিয়ে পিস করে করে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুন কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

➤পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কুচি মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলোও কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤কাতলা মাছের পিসগুলো জল দিয়ে একবার ভালোভাবে ধুয়ে তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পিসগুলোর গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নেওয়ার পরে তাতে মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤মাছ ভাজার সময়ে আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হালকা ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤আলু ভাজার পরে তাতে আরেকটু তেল দিয়ে বেগুনের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর বেগুন ভালোমতো ভাজা হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে ভেন্ডির পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। ভেন্ডি ভালোমতো ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে লাস্ট আরেকবার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং হালকা ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।

➤ভাজা হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে ভেজে রাখা বেগুন আর আলুর পিসগুলো পর পর দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে ভেন্ডির পিসগুলো দিয়েছিলাম এবং পরে কেটে রাখা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর একসাথে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।

➤সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে আসলে তাতে ভাজা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা আরো কিছুক্ষন মিডিয়াম আঁচে জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।

➤জ্বাল দিয়ে ঝোলটা শুকনো শুকনো মতো করে নিয়েছিলাম এবং তরকারিতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে অল্প করে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঠিক বলছেন দাদা মাছ যদি বেশি দিন ফ্রিজে রাখা হয় তাহলে স্বাদ চলে যায়। আসলেই বাজার থেকে তাজা এনে খাওয়া এবং ফ্রিজ থেকে বের করে খাওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। যাক আপনি অবশ্যই অনলাইন থেকে অর্ডার করে খেতে খেতেই বিরক্ত হয়ে গেলেন।শেষমেষ অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করে নিলেন। ভেন্ডি আমার খেতে খুব ভালো লাগে। যদি এভাবে একটু একটু ঝোল করে রান্না করা হয় খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কাতলা মাছের সুস্বাদু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আহ্ বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। শীতের তিনটি সবজি আলু বেগুন আর ঢেঁড়স দিয়ে রান্না করলে স্বাদ তো সুন্দর লাগবে। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

ভেন্ডি এবং বেগুন দুটোই আমার বেশ পছন্দের । তবে ভেন্ডি বেগুন ও আলু দিয়ে কাতলা মাছ এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা বাড়িতে আপনাকে একা ফেলে সবাই বেড়াতে গেছে না কি। বাসায় রান্না করার মতও কেউ নেই। যার ফলে swiggy নামক অনলাইন সাইট থেকে খাবার অর্ডার করে খাচ্ছেন। এখন বাড়িতে কেউ না থাকলেও ছেলেদের তেমন টেনশন করতে হয় না। বাংলাদেশে ফুড পান্ডাটা বেশি চলে। তাদের নিকট অর্ডার দিলে খুব দ্রুত ডেলেভারি দেয়। তবে আরেকটি বিষয় হলো এভাবে অনলাইন থেকে খাবার কিনে বেশি দিন খাওয়া যায় না। নিজের ঘরের খাবারের মত স্বাদ অনলাইনের খাবারে নেই। যার ফলে আপনার অনিচ্ছা সত্বেও রান্নার প্রয়োজন হলো। আজকে দেখলাম তিন প্রকারের সবজি তথা ভেন্ডি, আলু, বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি করেছেন। আর আজকের রেসিপিতে লক্ষনীয় বিষয় হলো তরকারিতে ঝোল দিয়েছেন কম। এমনিতে বেগুনের সাথে ঝোল কম দিলেই ভাল,খেতে স্বাদ লাগে। আর একটি বিষয় হলো আপনি সব কিছুই ভাজা ভাজা করে তারপর রান্না করেন। সেই সূত্র ধরে আজকে বেগুন,ভেন্ডিও আগে ভাজা করে তারপর রান্না করেছেন। তারপর আসি ফ্রিজের মাছের ব্যপারে। ফ্রিজে মাছ বেশিদিন থাকলে মাছের স্বাদ এমনিতেই চলে যায়। খেতে তেমন মজা লাগে না। তারপরও সান্তনামূলক খাওয়া। সব শেষে ফটোগ্রাফি গুলো স্পষ্ট ছিল। বর্ণনাও দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।

সত্যিই দাদা মাছ বেশিদিন থাকলে খেতে কেমন যেনো লাগে।তবে আজ একটা টিপস দিচ্ছি আপনাকে যেকোনো মাছ বেশিদিন হলে মাছ ভালো মতো ধুয়ে লেবুর রস দিয়ে মেখে ধুয়ে নিয়ে রান্না করবেন।দেখবেন বুঝতেই পারবেন না যে মাছ এতোদিন ঘরে ছিল।মনে হবে তাজা মাছ খাচ্ছেন।😊 কাতল মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ।এটা ঠিক বেগুন দিয়ে রান্না করলে মাখা মাখা ঝোলই ভালো হয়।বেশী ঝোল একদম ভালো লাগে না।আপনার রেসিপিটি খেতে খুব মজা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। মাছের পাশে এমন সবজি দিয়ে ও ভাত খেয়ে নেওয়া যায়। মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন কামনা করি।

কাতলা আমার পছন্দের একটি মাছ। খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। দেখতে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অসময়ে ভেন্ডি!ভেন্ডি ও বেগুন আমার খুবই পছন্দের।যাইহোক শীতকালে আসলেই আলসেমি কাজ করে।আর আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে এতগুলো সবজির সমন্বয়ে।বেশ শুকনো করে রান্না করেছেন, ধন্যবাদ দাদা।

দাদা বাহিরের খাবার এমনিতেও বেশি খাওয়া যায় না। ফ্রাইড রাইস এবং বিরিয়ানি দু-এক বেলা খাওয়ার পর, আর ভালো লাগে না খেতে। যাইহোক বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং কাতলা মাছ দিয়ে তৈরি রেসিপিটা, দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। ঢেঁড়স আমার খুব পছন্দের একটি সবজি। বেগুন খেতেও বেশ ভালো লাগে। যাইহোক রেসিপির কালারটা চমৎকার এসেছে দাদা। ঝোল কম রাখায় খেতে মনে হচ্ছে আরো বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। মাছ ফ্রিজে বেশিদিন রাখলে খেতে এমনিতেও স্বাদ লাগেনা তেমন। যাইহোক রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সবজির সমন্বয়ে কাতলা মাছের রেসিপি করে দেখিয়েছেন দাদা। আপনার রেসিপি প্রস্তুত কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। যেখানে ভেন্ডি আলু বেগুন ব্যবহার করেছেন মাছের সাথে। আশা করি অনেক সুস্বাদু ছিল সবজি সমন্বয়ে রান্না আপনার মাছ এর রেসিপি।

দাদা আপনি সবজি দিয়ে কাতলা মাছের এরকম মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে আমার। সবজি যেমন আমার অনেক বেশি পছন্দের, তেমনি কাতলা মাছ ও খুবই ফেভারিট। দাদা এমনিতে ই আমি শুনেছি যে, বেশি দিন ধরে কোন কিছু ফ্রিজে রাখলে তার স্বাদ চলে যায়। আর এই কারণেই হয়তো কাতলা মাছটা খেতে আপনার কাছে ভালো লাগেনি। আপনি তিনটা সবজির সমন্বয়ে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন, যেটা আমার কাছে সত্যি খুব ইউনিক লেগেছে। মাছটা যদি তাজা হতো তাহলে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগতো এই রেসিপিটা খেতে। কারণ তাজা মাছ যদি এভাবে রান্না করা হয় তাহলে অনেক সুস্বাদু হয়। বাড়িতে যেহেতু আপনি একা ছিলেন এবং ব্যস্ত ছিলেন তাই অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার করে খাওয়া হতো। এভাবে কিন্তু একই জিনিস প্রত্যেকদিন খেতে ভালো লাগে না। আর তাই আপনি রেসিপিটা তৈরি করে নিয়েছিলেন এটা দেখে ভালো লেগেছে। যেহেতু কয়েকটা সবজির সমন্বয় এটা তৈরি করা হয়েছে, তাই এটা কিন্তু অনেক পুষ্টি সম্পন্ন হবে দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা, এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।

এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন, বেশিদিন বাইরের খাবার কিনে কিনে খাওয়া যায় না। বাইরের খাবার বেশি দিন খেলে এমন পরিস্থিতি হয়, প্রিয় খাবারের টেস্টও ভালো লাগেনা।শীতকালে বিভিন্ন প্রকারের সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করলে বেশ ভালই লাগে। আপনার আজকের শেয়ার করা ভেন্ডি, আলু, বেগুন দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। শুকনো শুকনো এমন রেসিপি করলে খেতে অনেক বেশি টেস্টি হয় , বেশি ঝোল দিয়ে রেসিপি করলে তা আবার ভালো লাগেনা।

দাদা সব সময়ের মতো আজকেও একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করেছেন সবার মাঝে। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে আমার তো ভালো লেগেছে অনেক বেশি। আসলে বাইরের খাবার খুব একটা খাওয়া যায় না। বিশেষ করে একটানা তো একেবারেই খাওয়া যায় না। ফ্যামিলিতে কেউ না থাকার কারণে যদিও বাহিরের খাবার অর্ডার করে খাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব সময় আর খেতে ভালো লাগতেছে না বলে নিজে রান্না করেছেন। আপনার রেসিপি গুলো দেখলেই বুঝতে পারি দাদা কতটা ভালো লাগে খেতে। বেশি দিন যদি কোন কিছু ফ্রিজে রাখা হয়, তাহলে সেটার স্বাদ চলে যায়, যা খেতে খুব একটা ভালো লাগেনা। বিশেষ করে মাছ যদি বেশ কয়েকদিন ফ্রিজের মধ্যে রাখা হয়, তাহলে রান্না করলে একটুও ভালো লাগে না খেতে। খাবারের স্বাদটা কেমন জানি অন্যরকম হয়ে যায়। আপনি তিন ধরনের সবজি দিয়ে কাতলা মাছ তৈরি করেছেন। তবুও খেতে খুব একটা ভালো লাগেনি। কারণ অনেকদিন ধরে এটা ফ্রিজে ছিল। তবে কাতলা মাছ যদি তাজা হতো, তাহলে বেশ জমিয়ে খেতে পারতেন দাদা। কারণ তাজা তাজা মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।

দাদা আপনি সবজি দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন, তাও দেখছি ভিন্ন ভিন্ন রকমের সবজি ছিল। আমি একবার কয়েকটা সবজির মিশ্রণে মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম, তবে কাতলা মাছের রেসিপি ছিল না। কাতলা মাছের রেসিপি না হলেও আমি ভিন্ন একটা মাছ দিয়ে করেছিলাম যেটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। মাছ কিন্তু বেশ কয়েকদিন ফ্রিজে রাখলে, খাওয়ার টেস্ট থাকে না আর সেই মাছের মধ্যে। আর কয়দিনই বা অর্ডার করে একই খাবার গুলো খাবেন। তাই এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন আপনি। কিন্তু বেশিদিন ধরে মাছটা থাকার কারণে খাওয়ার টেস্টটাই ছিল না। আপনার কাছে খেতে খুব একটা ভালো লাগেনি বুঝতেই পারতেছি দাদা। আপনি এই রেসিপির মধ্যে দেখছি ঝোলটা রাখেন নি, শুকনো শুকনো করে করেছেন। যাইহোক দাদা আপনি এভাবে কাতলা মাছ দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে, নতুন একটা রেসিপি আমি শিখে নিলাম। তাই আমিও কিন্তু এই রেসিপিটা তৈরি করে দেখব। তবে তাজা মাছ দিয়ে করতে হবে, তাহলে খেতে আশা করছি ভালো লাগবে।

দাদা বাহিরের খাবার সব সময় খেতে একটুও ভালো লাগে না। যেহেতু আপনার ফ্যামেলির কেউ ছিলনা তাই আপনি বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। বাহিরের খাওয়ার অর্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু এই খাবারগুলো সব সময় খেতে খেতে আর খেতে ইচ্ছে করছিল না বলে রান্না করেছেন আপনি। সবজি দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলেন তখন। আর বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত এই মাছ ফ্রিজে ছিল বলে, রেসিপিটা তৈরি করার পর খেতে ভালো লাগেনি। এটা ঠিক বলেছেন দাদা, সবজিতে যদি বেগুন হয়, তাহলে ঝোল একটু কম করে দিলে বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি একদম কম ঝোলের মাধ্যমে পুরো রেসিপিটা তৈরি করেছেন, একটু আঠো আঠো ভাবে তৈরি করলেন, দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। ইশ দাদা যদি তাজা কাতলা মাছ হতো তাহলে কতই না মজা করে খেতে পারতেন। কাতলা মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন, খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় এরকম বিভিন্ন সবজির মিশ্রণে, তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগবে এই শীতের সময় খেতে। আপনার রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি ও খুব দারুণ ছিল।