নতুন বছরে পদার্পন-শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

সবাইকে শুভ নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

বাংলায় আরেকটি বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন আরেকটি বছরে আমরা পদার্পন করেছি। আজ সারা বাংলা জুড়ে একটা উৎসবময় দিন। আজকের এই দিনটা এপার এবং ওপার বাংলার সমস্ত বাঙালিদের কাছে একটি খুশির দিন। এই দিনটার জন্য বাঙালিরা অনেক প্রতীক্ষা করে থাকে যে কবে পহেলা বৈশাখ আসবে। আমাদের এখানেও রাত ১২ টার থেকে শুরু করে সবাই অনেক্ষন বাজি ফুটিয়ে বাংলার নতুন বছরকে সাদরে আহব্বান জানিয়েছে। এই দিনটাকে আমরা বাঙালিরা নানাভাবে পালন করে থাকি। মিষ্টিমুখ থেকে শুরু করে আরো নানাকিছু, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি। পুরানো সব দুঃখ , কষ্ট ভুলে গিয়ে সবাইকে আপন করে কাছে টেনে নেওয়া এইসব আমাদের বাঙালিদের মধ্যে নতুন বছরের শুরুতে হয়ে থাকে। নববর্ষের আগে আরো অনেক কিছু পুজো, পার্বন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, যেমন নীল পুজো, চড়ক পুজো। গতদিন চড়ক পুজো হয়ে গেছে।

চড়ক পুজো হিন্দু ধর্মের বহু প্রাচীন একটি ঐতিহ্যবাহী পুজো। চড়ক পুজোতে সবথেকে যে বিষয়টা পালন করে থাকে সেটা হলো বড়শি ফুটানো। সন্ন্যাসীরা এই বড়শি ফুটানোর বেশ কিছুদিন আগের থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। বড়শি ফুটিয়ে ঝুলতে থাকে এবং চরকি পাকের মতো ঘুরতে থাকে। তবে সবজায়গায় একইভাবে পালিত হয় তা কিন্তু না, কোথাও কোথাও ছোট ছোট একধরণের বটির মতো থাকে যার উপরেও অনেক উপর থেকে খালি গায়ে ঝাঁপ দিয়ে থাকে। তবে আমাদের এখানে কিছু কিছু জায়গায় দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে দেয় বা ঘুরিয়ে থাকে। আগে গ্রামের দিকে ছোটবেলায় যখন দেখতাম তখন পিঠে বড়ো বড়ো বড়শি ফুটিয়ে অনেক উপরে ঝুলে থাকতো, দেখে আমার তখন ভয়ও করতো, আর ভাবতাম যদি চামড়া ছিড়ে পড়ে যায় তাহলে কি হবে। যদিও এগুলো তখন বুঝতাম না, আসলে অনেকদিনের প্র্যাক্টিস থাকে আর যে জায়গাটায় বড়শি ফুটাবে সেখানে আগে থেকে ঘি বা কিছু মালিশ করে করে মজবুত করে রাখে, এটা আমি চোখে দেখিনি কিন্তু শুনেছি আর কি ।

আর এই বড়শি ঝুলানো দেখার জন্য সেই সময়ে গ্রামের দিকে অনেকদূরে হতো আর চলেও যেতাম দেখতে, একটা আলাদা আকর্ষণ ছিল তখন, এখন অতটা ইচ্ছাও করে না। যাইহোক, এই নববর্ষে প্রথম দিন বিভিন্ন ভাবে পালন করার পরের দিন থেকে বিভিন্ন মেলা, যাত্রা এইসব অনুষ্ঠিত হয়। শহরে বেশি একটা আনন্দ হয় না, যতটা গ্রামের পরিবেশে এইটা হয়। এখন তো অনেক কিছুই হয় না, প্রায় সব উঠে গেছে বলতে গেলে। আগে গ্রামের দিকে ছোট বেলায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হতে দেখেছি কত, কিন্তু এখন সেইটা আর হয় না, বন্ধ করে দিয়েছে অনেক জায়গায়। ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আলাদা একটা আকর্ষণ ছিল, ২-৩ দিন ধরে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হতো আর বিকেলের দিকে মাঠে সবাই বন্ধুরা মিলে একসাথে তখন দেখতে যেতাম আর রাতে হতো বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তবে বেশি রাত করে তখন দেখতে পারতাম না, বাড়ির দিক থেকেও কড়াকড়ি ছিল খুব, রাত ৮ টার বেশি বেজে গেলে বাড়িতে পড়তে হতো সমস্যায় ।

বাড়ির সবাই মিলে নতুন জামা কাপড় পরিধান করে নববর্ষের মেলায় যাওয়াটাও একটা অনেক আনন্দময় দিন ছিল। খুবই আগে আমাদের সময়ে অনেক কিছু নববর্ষের সময়ে দেখেছি যেটা এখন বর্তমান সময়ের কাছে অনেকটা বঞ্চিত। বাড়ির সবাই মূলত যেত যাত্রা শুনতে কিন্তু আমার ওসব অতটা ভালো লাগতো না, আমি বন্ধুদের সাথে মেলার মধ্যে চলে যেতাম ঘুরতে। আর বাড়ির লোকজন যদি থাকে তাহলে আরেকটা সুবিধা থাকতো রাত বেশি হলেও কিছু বলতো না। মেলায় ঘোরার মধ্যে একটা বিশাল মজা হতো, ছোট ছোট একধরণের কাঁটা মতো ফল হতো খুব তখন যা শুকিয়ে গেলে যার মাথায় মেরে দেওয়া হবে চুলে আটকে যাবে একদম।

আমরা বন্ধুরা মিলে মেলায় যাওয়ার আগে ওই ফলগুলো অনেকটা করে তুলে নিয়ে যেতাম পকেটে করে আর চেনা মুখ হোক আর অচেনা মুখ হোক মেরে দিতাম চুলে, ধরতেও পারতো না যে ভিড়ের মধ্যে কে মেরেছে, শুধু পিছনে হালুক-ফালুক করতো হা হা। আর স্কুলের চেনা বান্ধবীদের চুলে তো আরো বেশি করে দিয়ে দিয়ে ক্ষেপাতাম। খুবই সুন্দর একটা সময় ছিল তখন, ভাবলে সেইসব স্মৃতিগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসে। মাঝে মাঝে মনে হয় যে আবার যদি সেই সময়ে ফিরে যেতে পারতাম তাহলে কত ভালো হতো। যাইহোক এই ছিল নববর্ষের সময়ে স্মৃতিময় সময়গুলো থেকে কিছু কথা তুলে ধরা।

এই নতুন বছরে সবার সময় ভালো কাটুক, সবার আনন্দের সাথে দিন অতিবাহিত হোক, এই কামনা ব্যক্ত করে আজকে শেষ করছি।

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা প্রথমে আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। সকল গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন ভাবে জীবনের অধ্যায় শুরু হবে এটাই কামনা করছিলাম। সত্যি বাংলা নববর্ষ দেখতে দেখতে ১৪৩০ শুরু হয়ে গেল। আর এভাবেই বাংলা বছরকে বরণ করে নিই প্রতিবছরের মতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এবং পান্তা ইলিশের সাথে নতুন বছরকে বরণ করা হয় আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।ছোটবেলা আমরা এই গোটা দিয়ে খেলাধুলা করতাম। মাথায় ক্লিপ বানিয়ে দিতাম। সত্যি এগুলো মাথায় লাগিয়ে দিলে লেগে থাকতো বুঝাই যেতো না। নতুন বছর যেন সবাই মনে আনন্দময় হয়ে উঠেই এটাই কামনা করি।

দাদা প্রথমেই আপনাকে জানাই নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর আজকে তো আপনার পোস্ট পড়ে একেবারে ছোটবেলার জগতে হারিয়ে গেলাম। আর আপনি তো দেখছি অনেক দুষ্টু ছিলেন। বিশেষ করে বন্ধু বান্ধবীদের মাথায় আটকে যাওয়া ফলগুলো লাগিয়ে দিতেন। আর চড়ক পুজো সম্পর্কে আজকে জানতে পারলাম। আসলে এই পুজো সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া ছিল না। কিন্তু আপনার পোস্ট করা অনেক কিছুই জানতে পারলাম। তাছাড়া ছোটবেলায় পহেলা বৈশাখের মেলা হতো আমাদের এখানে। কিন্তু এখন আর মেলাটা দেখা যায় না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল।

দাদা আজকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ভিন্ন ধররের একটি পোষ্টে নতুন পুরাতন অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন। আমার কাছে সব থেকে ভয়ের যে বিষয়টি সেটি হলো বড়শি ফুটিয়ে ঝুলে থাকা। এটা কিভাবে সম্ভব। আমার মনে হচ্ছে এখানে অবশ্যই কোন ফাকঁ ফোকর আছে যেটা আমরা বুঝতেছি না। এগুলো দেখলে শরীর কেমন যেন করে। আর নববর্ষের মেলাতে ঘুরাঘুরির স্মৃতি মনে পড়লে নিজে নিজে হাসিঁ। কি দিন কাটিয়েছি তখন। আর এখন সেই আনন্দ কোথায় গেল। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা প্রথমেই আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আপনার নতুন বছর ভালো কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। চড়ক পুজোর চামড়ার মাঝে বড়শি গেঁথে ঝুলিয়ে ঘোরা, এই দৃশ্য দেখা আমার স্বচক্ষে হয়েছিল। কারণ আমার দাদুর বাড়ির খুব কাছেই এই পুজো হতো।

তোমার লেখাটা পড়ে আসলে সেই অতীতের দিনে ফিরে চলে গেলাম। তোমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ঘটনার সাথে আমি চির পরিচিত এবং ছোটবেলা আমার থেকে এভাবেই কেটেছে।

চড়ক পুজোতে সবথেকে যে বিষয়টা পালন করে থাকে সেটা হলো বড়শি ফুটানো।

শুধু ছোটবেলায় না আমি এখনো যদি এই জিনিস চোখের সামনে দেখি তাহলে রীতিমত ভয় পেয়ে যাই।

ছোট ছোট একধরণের কাঁটা মতো ফল হতো খুব তখন যা শুকিয়ে গেলে যার মাথায় মেরে দেওয়া হবে চুলে আটকে যাবে একদম।

হা হা হা.. অনেকদিন পর একটা সুন্দর স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমি নিজেও এগুলো খুব করতাম।

দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে নিজের অতীতের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। কাটার মত ফলগুলোকে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় ঘাগরা কাটা বলে। ছোটবেলায় তো খেলার ছলে মাথার ক্লিপ বানাতাম। আবার পিছন থেকে অনেকের চুলে লাগিয়ে দিতাম। সে বুঝতেই পারত না। আর আমরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম আর হাসতাম। সেই সময় গুলো সত্যিই অনেক দারুন ছিল। আসলে আমাদের জীবনের শৈশব গুলো অনেক আনন্দের ছিল। বিশেষ করে স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলো বেশি মনে পড়ে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন আর সেই আনন্দ নেই। এখন জীবন কেন জানি রংহীন হয়ে গেছে। সবাই যে যার মত ব্যস্ত। আনন্দ করার সময় কারো নেই। যাই হোক দাদা নতুন বছর উপলক্ষে আপনি অনেক সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পুরনো দিনের সব গ্লানি মুছে যাক এবং নতুন বছর নতুন ভাবে শুরু হোক এই প্রত্যাশাই করি। শুভ নববর্ষ দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সত্যি দাদা আপনার আজকের কষ্টের মাধ্যমে ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল। নববর্ষ আসলেই আমাদের এখানে অনেক সুন্দর মেলা হত। বিশেষ করে মেলায় অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র পাওয়া যেত। আর তার মধ্যে মাটির হাড়ি পাতিল গুলো ভীষণ সুন্দর লাগতো। তবে চড়ক পুজোর কথা আমার জানা নেই। অবশ্য আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আর অবশ্য ঠিক বলেছেন গ্রামে বেশি মজা হয় শহরে খুব একটা মজা লাগে না। আর কাঁটাযুক্ত ফলগুলোর কথা বলছেন এগুলোর নাম মনে পড়ছে না কিন্তু আমার অতি পরিচিত। আপনার মত আমরাও ছোটবেলায় একজন আরেকজনের মাথায় লাগিয়ে দুষ্টামি করতাম। এখনো আমাদের বাড়ির পেছনে গেলে ওইগুলো দেখতে পাই।

আপনাকে নতুন বছরের শুরুতে জানাই শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা নতুন বছরটি খুব সুন্দর এবং ভালো কাটুক এই কামনা করি। প্রতিবছর শুভ নববর্ষের দিন অনেক আনন্দ করতাম যখন কলেজ জীবনে ছিলাম কিন্তু আস্তে আস্তে সেই আনন্দ কমে যাচ্ছে যদিও সীমিত পরিসরে পালন করা হয়। এই বছর তো একদম পালন করা হয় নাই কারণ এখন আমাদের রোজা চলতেছে তাছাড়া ও বাচ্চারা অনেক অসুস্থ তাই। এই দিনে ছোটখাটো মেলার আয়োজন হয় আমাদের এখানে। ভালো মন্দ খাওয়া দেওয়া হয় ইলিশ, পান্তা, ভাজি, ভর্তা আরও অনেক কিছু। সবাই মিলে অনেক আড্ডা দেওয়া হয়। বলতে গেলে দিনটি অনেক আনন্দময় একটি দিন সব বাঙালির জন্য। অনেক সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নতুন বছর নিয়ে বেশ ভালো লেগেছে দাদা।

দাদা আপনাকে জানাই নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পুরনো সবকিছু দূরে ফেলে নতুন করে হোক আবার পথচলা।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভাল লাগলো। যদিও গ্রামের মেলা দেখার সুযোগ আমার কখনো হয়নি।কিন্তু মনে পরে গেলো নানু বাড়িতে বেড়াতে গেলে মামাতো বোনরা ওই কাটাগুলো চুলে লাগিয়ে দিত।বুঝতাম না, চুল ছিঁড়ে যেত তখন খুব খারাপ লাগতো। যাই হোক খুব ভাল লাগলো। আমরা ঢাকাতে ছোটবেলায় ভাই বোনরা মিলে মেলায় যেতাম।বাঁশির শব্দ শুনলে এখনও আমার ছেলেবেলার সেই দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে।মাটির খেলনার প্রতি আকর্ষন আমার তখন আর এখন এক রকমেরই আছে।আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো তুলে ধরেছেন। আমার কাছে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ দাদা। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভাল থাকবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

দাদা আপনাকে নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা জানাই।আপনার নতুন বছর অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করি।জি দাদা বাঙালিরা এই দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন।রাত ১২ টা থেকেই শুরু হয়ে যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

নববর্ষ উপলক্ষে দারুন কিছু কথা লিখেছেন দাদা। আপনার কথাগুলোর সাথে ছোটবেলায় কিছু বিষয় একদম মিলে গিয়েছে। আপনার মত ছোটবেলায় আমরাও নববর্ষ উপলক্ষে অনেক বেশি আনন্দ করতাম। বিশেষ করে নববর্ষের মেলায় যেতাম। আপনি যে চুলের কাটাযুক্ত ফলগুলোর কথা বলছেন, এগুলো দিয়ে আমি নিজেও অনেক বেশি মজা করতাম বন্ধুদের সাথে। আসলেই এগুলো চুলে আটকালে একদম জড়িয়ে যায়। চড়ক পুজোর সম্পর্কে এত কিছু আমার জানা ছিল না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আজকে আপনার নববর্ষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভীষণ ভালো লেগেছে পোস্টটি পড়ে

দাদ প্রথমেই আপনাকে জানাই নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আসলে আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে কিছু সময়ের জন্য চলে গিয়েছিলাম সেই নিজের ছেলা বেলায়। খুব সুন্দর করে আপনি ছেলেবেলার সেই বৈশাখ গুলো তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। তো আপনার সেই ঘাঘড়া ফুল নিয়ে কিন্তু অনেক ঝগড়া হতো ছেলেবেলায়। কারন কত মানুষের চুলে যে এ ফুল লাগিয়ে দিয়েছি। তার বকা খেয়েছি। হি হি হি