মুভি রিভিউ: দ্যা বডি

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "দ্যা বডি"। এই মুভিটির কাহিনী রহস্যময় আর থ্রিলার চরিত্র নিয়ে তুলে ধরা। তাহলে কাহিনী দেখা যাক কিভাবে কি শুরু হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
দ্যা বডি
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
জিথু জোসেফ
লেখকের নাম
ওরিওল পাওলো
অভিনয়
এমরান হাশমি, ঋষি কাপুর, শোভিতা ধুলিপালা, বেধিকা,রাজোশি বিদ্যার্থী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯( ইন্ডিয়া )
সময়
১ ঘন্টা ৪০ মিনিট
মূল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এই গল্পে মায়া বর্মা আর অজয় পুরি নামের দুইজনের কাহিনী নিয়ে গল্পটা শুরু হয়। এখানে মায়া বর্মা মুম্বাই সহ বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো ফ্যাক্টরি আর কোম্পানির মালিক, ফলে তার কাছে প্রচুর অর্থ। আর এই অর্থ দিয়ে সবকিছু সে নিজের করে নিতে চায়, একটা অহংকার মতো কাজ করতো তার মধ্যে। একদিন অজয় পুরি নামের একজনের সাথে তার পরিচয় হয় আর মায়া বর্মা তাকে পছন্দও করে ফেলে আর তার কিছুদিন বাদেই তারা বিয়ে করতে চায়। এখানে মায়া বর্মাও যেমন তার অর্থের বিনিময়ে সবকিছু নিজের করে নেওয়ার মতো কাজ করতো, তেমনি অজয় পুরিও মায়াকে বিয়ে করতে রাজি হয় তার অর্থের লোভে। কারণ অজয় পুরীর এই বিয়েতে মত থাকলেও মন ছিল না। সে সবসময় একটা এভোইড করে চলার চেষ্টা করতো, কারণ সে রিতু নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতো।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এখন তাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় মাজখানে এই সমস্যাটা হয়ে যায়। আর মায়া যদি তাদের এই রিলেশনের কথা জানতে পারে, তাহলে অজয়কে কিছু করুক না করুক রিতু নামের মেয়েকে মেরে ফেলবে। অজয় একদিন রিতুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার আগে মায়াকে একটা ড্রিংক দেয় এবং তাতে নিউরোটক্সিন নামের একধরণের বিষ দেয়, যাতে খাওয়ার ২৪ ঘন্টা বাদে হার্ট এটাক হয়ে মারা যায়। এতে তাদের ফায়দা ছিল একটাই, কারণ কারো সন্দেহ হবে না যে মায়াকে খুন করা হয়েছে, সিম্পিল হার্ট এটাক হিসেবে কেস ক্লোস করে দেবে। কিন্তু মায়ার বডি যখন মর্গে নিয়ে আসে, তার কিছু মুহূর্ত পরে সেখান থেকে বডি গায়েব হয়ে যায়। আর তার পরেই পুলিশকে ফোন করলে চলে আসে, কিন্তু যে গার্ড ছিল সে নাকি মায়াকে চলতে দেখেছে ওখানে, এটা একটা অদ্ভুত রহস্যের কথা তুলে ধরে, কিন্তু এখানে সিসি ক্যামেরায় কিছুই ধরা পড়েনি।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এরপর অজয়কে ফোন করে ডেকে আনলে এইসব কিছু বলে, কিন্তু অজয়কে সেখান থেকে মুভ করতে দেয়না কোথাও, কারণ অজয়কে যখন পুলিশ জিজ্ঞাসা করেছিল, এতো রাতে যখন তাকে ডাকতে পুলিশ পাঠিয়েছিল, তখন সে বাড়ি ছিল না অর্থাৎ তার পরিবর্তে সে বলে ওষুধের দোকানে গিয়েছিলো। এতেই সন্দেহ হয়ে যায়, কারণ এতো রাতে ওই চত্বরে কোনো ২৪ ঘন্টা সার্ভিস এর দোকান নেই। এরপর ইন্টারোগেশন চলতে থাকে সারা রাত ধরে এবং জয়রাজ নামের পুলিশ অফিসারটি তার উপর নানা ধরণের দোষারোপ করতে থাকে যে এই খুনের পিছনে তার কোনো হাত আছে কিনা। এরপর আস্তে আস্তে তার উপর প্রেসার ক্রিয়েট করতে থাকে আর শেষে গিয়ে সে মুখ খোলে যে সে তাকে মেরেছে আর রিতু নামের যে মেয়েটাকে ভালোবাসতো তাকেও কেউ একজন মারার প্ল্যান করেছে, তাই সে পরে তাকে নিয়ে যায় সেখানে। তবে অজয়কে একটি জঙ্গল মতো জায়গায় নিয়ে গেলেও সে পালতে গেলে সেও হঠাৎ হার্ট এটাক করে মারা যায়।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

এই গল্পে সাধারণত একটা বড়ো রহস্য আর টুইস্ট হলো, এই যে এতক্ষন এই কেসটা অজয়ের উপরে হলো, এটা এই পুলিশ অফিসারের সম্পূর্ণ সাজানো একটা প্ল্যান ছিল। এর কারণ জয়রাজ আর তার পরিবারের সবাই মিলে একদিন রাতে বাড়ির দিকে ফিরছিলো এবং এই অজয় আর মায়াও তার বিপরীত দিক থেকে খুবই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে আসছিলো আর মায়া সাধারণত ড্রিংক করে গাড়ি চালাচ্ছিল তাই তাদের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যায়। এর ফলে জয়রাজের গাড়ি পাহাড়ের একদম কিনারায় গিয়ে ঠেকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মেয়েকে ছাড়া তার ওয়াইফকে বাঁচাতে পারেনি। তবে এরা দুইজন ইচ্ছা করলে তাদের বাঁচিয়ে হসপিটালে নিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু সেখান থেকে চলে যায়। এরপরে তার মেয়ে এই রিতুর সাথে প্ল্যান করে তাদের ধংস করার একটা প্ল্যান সাজায়। রিতু প্রথমেই তার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে ফাঁদে ফেলে এবং পরে তার হাত দিয়েই মায়াকে মারে আর শেষে রিতুই তাকে একইভাবে সেই ড্রিংকে একই বিষ মিশিয়ে দেয় এবং তারও ২৪ ঘন্টা পরে হার্ট এটাক আসে। মূল রহস্য এটাই ছিল কাহিনীর।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা মুভি রিভিউ পোস্ট করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দ্যা বডি মুভিটার রিভিউ আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। এই মুভিটার কাহিনী রহস্যময় ছিল দেখছি। সেই সাথে থ্রিলার চরিত্র হওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লেগেছে রিভিউটা পড়তে। মায়া ড্রিংকস করে গাড়ি চালানোর কারণে তাদের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছিল। শেষ পর্যন্ত তার মেয়েকে ছাড়া ওয়াইফকে বাঁচাতে পারেনি এটা দেখেই খারাপ লেগেছে। তার মেয়ে তো দেখছি এই রিতুর সাথে প্ল্যান করেছিল, ওদেরকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। কাহিনীর মূল রহস্যটা দেখছি অনেক ডেঞ্জারাস ছিল। আমার তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে এমনিতে এই মুভিটার রিভিউ পোস্ট। এই মুভিটা এখনো পর্যন্ত আমার যেহেতু দেখা হয়নি, তাই আমি ভাবছি সময় পেলে এই মুভিটা দেখে নেব। আমি সময় পেলে এই মুভিটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ দাদা সম্পূর্ণ মুভির রিভিউ সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।

দাদা আপনার শেয়ার করা মুভিগুলোর রিভিউ আমি খুবই পছন্দ করি সব সময়। আপনি নতুন নতুন মুভি গুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেন, যেগুলোর বেশির ভাগই আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার বেশিরভাগ মুভির রিভিউ পোস্ট পড়ার পরে আমি ওই মুভিগুলো দেখার চেষ্টা করেছি। এবং কি আপনার শেয়ার করা বেশিরভাগ মুভি আমি দেখেছি। থ্রিলার টাইপের মুভি গুলো এমনিতে দেখতে ভালোই লাগে। আর এই মুভিটা দেখছি রহস্যময় এবং থ্রিলার দুটো চরিত্র নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আমার যেহেতু এই মুভিটা দেখা হয়নি তাই এটিও দেখবো ভাবছি। জয়রাজ আর তার ফ্যামিলির সবাই বাড়ির দিকে ফেরার পথেই এক্সিডেন্ট করেছিল। কারণ মায়া নেশা করে তাদের বিপরীত দিক থেকে স্পিডে গাড়ি চালিয়ে আসছিল, আর তার জন্যই এক্সিডেন্টটা হয়েছিল। মেয়েকে বাঁচাতে পারলেও তার স্ত্রী মারা গিয়েছিল। তবে রিতু দেখছি ড্রিঙ্ক এ বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। আর তারও ২৪ ঘন্টা পর হার্ট এটাক হয়েছিল দেখছি। এটা তারা প্ল্যান করে করেছিল যার কারণে এতসব কিছু হয়েছে। রিভিউটা অনেক দারুন হয়েছে দাদা।

রহস্যময় মুভি দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার এই রিভিউ টি দেখে আমারও দেখার আগ্রহ জাগলো। আমি খুব শীঘ্রই দেখে নেব। আমাদের গাড়ি চালানোর সময় ড্রিঙ্ক না করাই উত্তম। অনেক সুন্দর মতামত দিয়েছেন ভীষণ ভালো লাগলো

Posted using SteemPro Mobile

রহস্যময় মুভির কাহিনীটি পড়েই আমার গা শিউরে উঠেছে।আসলে এই মুভিগুলোর গল্প আলাদা উত্তেজনার থাকে।আপনি খুবই সুন্দর রিভিউ করেন দাদা।অনেক সহজভাবে যেটা বুঝতে সবারই সুবিধা হয় কাহিনীগুলো।অনেক আগে এমরান হাশমির এই মুভিটা দেখেছিলাম পুরোপুরি মনে না থাকলেও আপনার রিভিউ পড়ে সবই মনে পড়ে গেছে।ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন।

দাদা আজকের মুভির নামটাই কেমন যেন অদ্ভুত। মুভির নামের মাঝেও রহস্য লুকিয়ে আছে। মায়া সাধারনত ড্রিংক করে গাড়ি চালায়। আর ঐদিন ও তাই করেছে। ড্রিংক করেছে ঠিক আছে। তাই বলে এত স্পিডে গাড়ি চালায়। গাড়ির যত গতি তত ক্ষতি। আর সেটাই হয়েছে। মায়ার গাড়ি জয়রাজের গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যায়। আর জয়রাজের গাড়িও একেবারে পাহাড়ের খাদের কিনারায় পড়ে গিয়েছিল। যেহেতো মায়ার গাড়ি ধাক্কা লেগেছে সেহেতো তাদের হেল্প করার দরকার ছিল,তাদের কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছি।। সেটা না করে মায়া গাড়ি নিয়ে চলে এসেছিল। ঐ দিকে। যার ফলে জয়রাজের স্ত্রী মারা যায়। তবে রিতু সেটা ভুলে যায়নি। সে ঠিকই ছলে বলে কৌশলে প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে তার মায়ের প্রতিশোধ নিলো। যদি শেষে গিয়ে রহস্যা উন্মোচন হয়েছে তাবে মুভিটা ইন্টারেস্টিং ছিল। আপনাদের দেশের এমরান হাশমি ভাইয়ের মুভি এমনিতেও অনেক সুন্দর হয়। বেচারা সবসময় রোমান্টিক মুডে থাকে। দর্শকদের মাঝে উনার মোটামুটি ভালোই শুনাম আছে। সব মুভির মধ্যেই উনার পার্সোনাল বাড়ি,গাড়ি থাকে। যায়হোক দ্যা বডি মুভিটা কিন্তু দারুন ছিল। অনেক মুভি দেখা যায় না। আপনার রিভিউ পড়ে কিছুটা ধারনা পায়। ধন্যবাদ দাদা।