চাল কুমড়ো দিয়ে ইল মাছের মজাদার রেসিপি

in hive-129948 •  3 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। অনেকদিন কোনো রেসিপি পোস্ট করা হয় না, তাই ভাবলাম আজকে একটা করি। রেসিপিটা করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে, কিন্তু আর সাজানো হয় না, আজ-কাল করতে করতে। এই রেসিপিটা করেছিলাম চাল কুমড়ো দিয়ে ইল মাছের। এই মাছটাকে আমি ইল বলেই জানি, তবে এর বাংলা নাম কি আছে সঠিক মনে পড়ছে না। এই মাছগুলো লম্বায় যেমন বড়ো হয়ে থাকে আবার ওজনেও অনেক হয়ে থাকে। এই মাছটা প্রায় ৩ কিলোর মতো ছিল। তবে এই মাছগুলো এর থেকেও বড়ো আর ওজনের দিক থেকে বেশি হয়ে থাকে। এই মাছগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমরা যেমন কুইচ্চা মাছ খেয়ে থাকি, এই মাছের স্বাদটাও কিন্তু অনেকটা সেইরকম লেগে থাকে।

অনেকের কাছে এই মাছটা নাকি ভাজা করে খাওয়ার সময়ে কেমন গন্ধ লাগে, কিন্তু আমার কাছে ভাজায় খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে ভাজার থেকে আরো বেশি ভালো লাগে, যদি কষিয়ে খাওয়া যায়। এই মাছগুলো খেতে বেশি মজাদার হওয়ায় তরকারির সাথে মজেও ভালো, আর চাল কুমড়োর সাথে খেতে অনেক ভালোও লেগেছিলো। চাল কুমড়োটাও অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি, স্বাদেও যেমন ভালো আবার উপকারিতাও অনেক আছে। যাইহোক, রেসিপিটার এখন মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


❄প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❄

❦উপকরণপরিমাণ❦
ইল মাছ১ টি
চাল কুমড়ো১ টি
আলু৩ টি
পেঁয়াজ১ টি
রসুন১ টি
কাঁচা লঙ্কা১১ টি
কালো জিরা২ চামচ
সরিষার তেলপরিমাণমতো
লবন৫ চামচ
হলুদ৪ চামচ
জিরা গুঁড়ো২ চামচ


ইল মাছ, চাল কুমড়ো, আলু, পেঁয়াজ, রসুন


কাঁচা লঙ্কা, কালো জিরা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


☬প্রস্তুতপ্রণালী:☬


➤ইল মাছটি প্রথমে ভালোভাবে কাটিয়ে ধুয়ে রাখা ছিল। এরপর চাল কুমড়োটি কেটে তার খোসা ছালিয়ে পিস পিস করার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কেটে রেখেছিলাম। এরপর রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।

➤মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে সব একসাথে ভালো ভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মাছের পিসগুলো দিয়ে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা হয়ে এলে তুলে রেখেছিলাম।

➤একইভাবে চাল কুমড়োর পিসগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।

➤কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে তাতে গোটা কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ-রসুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে ভেজে রাখা চাল কুমড়ো, আলু এবং কাঁচা লঙ্কা পরপর দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত।

➤সেদ্ধ হয়ে যাওয়া কিছু আলুর পিস তুলে গলিয়ে নিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

➤এরপর তরকারির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দেওয়ার পরে তাতে অল্প করে জিরা গুঁড়ো দিয়ে মিক্স করে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে এলে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।


রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনি আজকে অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে আপনার করা রেসিপি অনেক ভালো লেগেছে। মজার মজার রেসিপি গুলো তৈরি করলে খেতে খুব দারুণ লাগে। বিশেষ করে এই শীতের সময় খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। ইল মাছের নাম আজকে প্রথমবারের মতো শুনলাম। এই মাছের খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বুঝতেই পারছি দাদা , এই মজাদার রেসিপিটা মজা করে খেয়েছেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ দাদা, এত মজাদার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এবার চাল কুমড়ার তেমন খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল।আসলে ভাইয়া ইল মাছটা আসলে কি আমার জানা নেই। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

চাল কুমড়ো দিয়ে ইলিশ মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সত্যি বলতে আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এল দাদা। খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করেছেন এবং সেটা ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে দাদা।

দাদা আপনার মতো আমারও একই অবস্থা রেসিপির ফটোগ্রাফি করে রাখা হয় কিন্তু সাজিয়ে আর পোস্ট করা হয় না। আমার গ্যালারিতে এখনও অনেক রেসিপি জমা রয়েছে। যাই হোক আপনার কাছ থেকে আজ নতুন একটি মাছের নাম জানতে পারলাম। মাছটি চেনা চেনা লাগছে কিন্তু নাম জানা নেই। আপনি চাল কুমড়া দিয়ে ইল মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। চাল কুমড়া খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ দাদা মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ইল মাছ কখনোই আমার খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথমবারের মতো ইল মাছের রেসিপি দেখেছি। আপনি তো দেখছি অনেক মজাদার ভাবে চাল কুমড়া দিয়ে এই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটা দেখতে তো খুব লোভনীয় লাগছিল। একটু ঝাল ঝাল করে যে কোনো মাছের রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে আসলো দাদা।

চাল কুমড়ো দিয়ে ইল মাছের মজাদার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে। আপনার রান্না আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া কেননা আপনি আগে থেকেই সবগুলো উপকরণ ভৈজে নেন। অনেকেই আলু না ভেজেই কষিয়ে রান্না করে কিন্তু আপনি দেখছি আলু আগে থেকেই ভেজে নিয়েছেন। এমনভাবে রান্না করলে এমনিতেই রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। হ্যাঁ আমিও শুনেছি এ মাছটা নাকি ভেজে খেলে অনেকের কাছে একটু গন্ধ লাগে ।ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

এই মাছটির নাম ঠিক কি মাছ হয় বুঝতে পারছি না দাদা। তবে আপনি চাল কুমড়া দিয়ে সুস্বাদুভাবে রেসিপিটি তৈরি করলেন। এই শীতের দিনে চাল কুমড়া দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। রেসিপিটি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন অনেক ধন্যবাদ।

ইংরেজিতে মাছটির নাম ইল মাছ হলেও বাংলায় একে বাইম মাছ বলে।এই মাছটি তো আমার ভীষণ পছন্দ। তবে খাওয়া হয় কম।পরিবারের কেউ ই পছন্দ করেন না।তবে বাবার বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করেন এই সুস্বাদু মাছটি।এই মাছ ভুনা করে খেতে ভীষণ মজার।আপনি চাল কুমড়া ও আলু ভেজে এর সাথে রান্না করলেন।ভেজে নেয়াতে এর স্বাদ দিগুন হয়ে গেলো।রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা আপনাকে পছন্দের এই মাছটির চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ঈল মাছ দিয়ে কোন পদ আমি এর আগে কখনো দেখিনি। আসলে এই মাছ যে খায় সেটাই আমি জানতাম না। তবে আপনি দারুন সুন্দর করে রান্নাটি তৈরি করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। আমি শুনেছি এই মাছের গায়ে নাকি কারেন্ট থাকে। এ কথা কি সত্য? যদি কিছু ধারণা দেন তবে উপকৃত হই।

আমি শুনেছি এই মাছের গায়ে নাকি কারেন্ট থাকে। এ কথা কি সত্য?

ইল মাছের কয়েকশো প্রজাতি আছে, প্রায় ৪০০+ প্রজাতি। তবে এই ইল মাছগুলো কুইচ্চা মাছের প্রজাতির মতো। আর ইলেক্ট্রিক ইল মাছ এর প্রজাতি আলাদা, যেগুলোতে কারেন্ট থাকে।

ইল মাছের নাম মনে হয় এই প্রথম শুনলাম ভাইয়া। ইল মাছ দিয়ে চাল কুমড়ার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছিল। অসময়ের চাল কুমড়ার রেসিপি বেশ ভালোই লাগবে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ইল মাছ দিয়ে চাল কুমড়ার লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

চাল কুমড়া দিয়ে মাছের রেসিপি এখন প্রায়ই খাওয়া হয়। ইল মাছটা দেখছি বেশ বড়। ইল মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ বেশ চমৎকার উপস্থাপন করেছেন আপনি। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

ইল মাছের নাম শুনেছি, কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। তবে সাউথ কোরিয়াতে থাকতে কুইচ্চা বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম। যাইহোক রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।