মুভি রিভিউ: জীবন তৃষ্ণা

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি যে মুভিটি রিভিউ দেবো সেটি হলো 'জীবন তৃষ্ণা'। এই মুভিটি উত্তম, সুচিত্রা দ্বারা অভিনীত একটি মুভি। এই মুভিটি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম আর আজকে আবার দেখে অনেক ভালো লাগলো। উত্তম কুমারের অভিনয় এক কোথায় অসাধারণ যা বলার উপেক্ষা রাখে না। আর সাদা-কালো পর্দায় উত্তম-সুচিত্রার জুটি সেরা জুটি, তাদের রোমান্টিক মুভিগুলো দেখলে চোখ সরানো যায় না পর্দার থেকে। যাইহোক আশা করি গল্প পড়তে যারা অনেক পছন্দ করেন তাদের কাছে এই কাহিনীটি পড়তেও অনেক ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
জীবন তৃষ্ণা
পরিচালকের নাম
অসীত সেন
লেখকের নাম
আশুতোষ মুখার্জি
প্রযোজক
রাখাল চন্দ্র সাহা
গানের পরিচালক
ভুপেন হাজারিকা
অভিনয়
উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, বিকাশ রায়, তরুণ কুমার, দীপ্তি রায়, শীলা পাল ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯৫৭ সাল ( ভারত )
সময়
২ ঘন্টা ৬ মিনিট
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় সুচিত্রা গভীর মনোযোগ দিয়ে চিঠি লিখছে আর সেই মুহূর্তে উত্তম কুমার বাবু এন্ট্রি নেয়। তিনি দরজার সামনে এসে নক করতে থাকে কিন্তু সুচিত্রা প্রথমে কোনো সাড়া দিতে চাইছিলো না। এরপর কিছুক্ষন দরজায় নক করার পরে সুচিত্রা এসে দরজা খোলে এবং খুলতেই ভাড়ার টাকা চেয়ে বসে। কারণ সুচিত্রা আগে উত্তম কুমারের বাড়িতে ভাড়া হিসেবে থাকতো কিন্তু কাউকে কিছু না বলে আর ভাড়ার টাকা না দিয়ে অন্য আরেকটি বাড়িতে এসে ভাড়া থাকে। সুচিত্রা এদিকে একজন আর্টিস কিন্তু পয়সা না থাকার কারণে কিছুই করতে পারছিলো না, তাই উত্তম কুমার সেই সময় তাকে বলে যে আমাকে বললে আমি ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম। এরপর ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে চলে আসে আর এই ভানু বাবুই উত্তম কে সুচিত্রার সব খবরাখবর দিয়ে থাকতো। এরপর উত্তম কুমারের কথা মতো সুচিত্রা আবার আগের জায়গায় ফিরে যায় এবং পরের তারিখ উত্তম কুমার সেখানে সুচিত্রার সামনে গিয়ে হাজির হয় আর উত্তম কে দেখে একটু রাগান্বিত মুড হয়ে যায় সুচিত্রার। উত্তম মূলত গিয়েছিলো সুচিত্রার সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা, তারপর ভাড়ার কিছু টাকা এনে উত্তমের হাতে ধরিয়ে দেয়। এরপর উত্তম কুমার সুচিত্রাকে তাদের ক্লাবে যেতে বলে একদিন কিন্তু সুচিত্রা সোজাসাপ্টা মানা করে দেয়। তবে উত্তম যখন বললো সেখানে বিভিন্ন আর্টিস, গায়ক লোকজনেরা আসবে তখন ভেবে দেখবে বলে। এদিকে ভানু বাবু বাড়িতে বসে আছে কিন্তু যখন তার পরিচিত একজন লোক এসে তাকে ডাকে তখন একজনকে দিয়ে বলায় যে আমি বাড়ি নেই, আর সেই লোকটি পেছন থেকে এসে জানালা দিয়ে তাকে দেখে ফেলে যে সে খাটের উপরে বসে আছে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ভানু বাবুর পরিচিত যে লোকটি এসেছিলো সে ছিল মূলত বিকাশ রায় আর ইনি সুচিত্রার দাদা হতো সম্পর্কে। এরপর ভানু আর বিকাশ বাবু গল্প করলো কিছুক্ষন আর ভানুর কাছ থেকে সুচিত্রার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে তার সাথে দেখা করতে চলে গেলো। সুচিত্রা আর দীপ্তি রায় দুইজনই উত্তম কুমারদের বাড়িতে থাকতো। আর বিকাশ বাবু তাদের ওখানে গিয়ে সুচিত্রার কথা বলতেই উপরে আছে বলে দেয় আর বিকাশ বাবু সেই মতে উপরে গিয়ে না দেখে সুচিত্রা মনে করে দীপ্তি রায় কে ঘুষি মেরে বসে। এরপর দীপ্তি বিকাশ বাবুর উপরে রাগান্বিত হয়ে পড়ে এবং লোকটি সুচিত্রার দাদা বলে পরিচয় দিলে তখন রাগ কমিয়ে বসতে দেয় আর চা খাওয়ায়। এরপর সুচিত্রা আসলে দেখা হয় আর তার দাদাকে অনেকদিন পর দেখে ভীষণ খুশিও হয়। এরপর উত্তম কুমার তাদের ওখানে আসে আর সুচিত্রার দাদার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে লাগে। এরপর সুচিত্রাকে যে ক্লাবে যাওয়ার কথা বলেছিলো সেই কথাটা তার দাদার সাথে শেয়ার করে আর তার দাদা ও সুচিত্রা তাদের ক্লাবে যাবে বলে আশ্বাস দেয়। এরপর তারা দুইজন রাতে ক্লাবে যায় আর সেখানে উত্তম কুমার আর তার বাবার সাথে দেখা করে। এরপর সেখানে ডিনার করতে লাগে আর সবার সাথে পরিচয় হয় আর কিছু বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে থাকে। এরপর উত্তম কুমার, তার বাবা-মা রাতে গাড়িতে করে বাড়িতে যায়। তার বাবার একটু শরীর খারাপ তাই নিয়েও একটু দুশ্চিন্তায় আছে। তার বাবা রাতে ঘুমাতে পারে না তাই রাতে একটা করে ঘুমের ইনজেকশন নিয়ে ঘুম পড়তো, উত্তম কুমারও ডাক্তারি পড়েছে কিন্তু শেষে আর না পড়ার কারণে ডাক্তারি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

সুচিত্রার দাদা তাকে উত্তম কুমারের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার সাথে কথা বলে কিন্তু সুচিত্রা রাজি হতে চায় না। সুচিত্রার দাদার একটু টাকা পয়সার দিকে লোভী ভাব ছিল আর সেই জন্য তার বোন কে তাদের বাড়ির বউ করে পাঠাতে চেয়েছিলো। আর এদিকে তার দাদা উত্তম কুমার খারাপ বলে একটা নাটক সাজায় আর তাই তাকে শাস্তি দিয়ে সর্বশান্ত করার জন্য তার বউ হিসেবে বাড়িতে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে কিন্তু সুচিত্রা একদমই রাজি হয় না। এরপর দীপ্তির শ্বশুরমশাই অসুস্থ হয়ে পড়ে আর তাদের একটা ডাক্তার ডেকে আনতে বলে। এরপর উত্তম কুমার ডাক্তারি করতে চলে আসে আর শারীরিক অবস্থা চেক করে কিছু ঔষধ লিখে দিয়ে যায় কিন্তু তারা ভয়ে সেই ঔষধ আর না খাইয়ে রেখে দেয়। কিন্তু এর ফলে শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায় এবং তখন সুচিত্রার দাদা একজন ডাক্তার কে ডেকে আনে আর সেই ঔষধ দেখে বলে ঠিকই তো লিখে দিয়েছিলো কিন্তু আপনারা না খাইয়ে অনেক দেরি করে ফেলেছেন । এদিকে উত্তম কুমারের ক্লাবে আর্টিসদের ছবির কেনার একটা বড়োসড়ো আয়োজন ছিল আর সেখানে সবার যাওয়ারও দিন ছিল ঐদিন। এরপর ক্লাবে সুচিত্রার আঁকা একটি ছবি তার দাদা চালাকি করে দিয়ে আসে টাকা তোলার জন্য। কিন্তু উত্তম কুমার তাদের চালাকি বুঝে যাওয়ার পরেও সেই ছবিটি কিনে নিয়ে আবার সুচিত্রাকে টাকা, চিঠি সহ চিত্রটি পাঠিয়ে দেয়। এরপর সুচিত্রা সেই টাকা নিয়ে উত্তম কুমারের সাথে দেখা করতে যায় কিন্তু তাকে পায় না, ফলে সে তার বাবার চেম্বারে বসে কথা বলে আর টাকাটা তাকে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু তিনি সেটি তাকেই তার সাথে বোঝাপড়া করে নেওয়ার কথা বলে দেয়। এরপর উত্তম কুমারের বাবা তাকে বলে যেন তার একটা অল্প বয়েসের ছবি এঁকে বর্তমান বয়েসে কেমন চেহারা হয়েছে সেইরকম রূপ দিতে। সে রাজি হয় এবং তিনি সুচিত্রার সাথে দীপ্তির স্বশুরমশাইকে দেখতে যায় আর দেখে ঔষধ লিখে দিয়ে আসে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

তিনি কিছুদিন কলকাতার বাইরে থাকবেন তাই কোনো সমস্যা হলে তার ছেলে উত্তমকে ডেকে আনতে বলে। তিনি চলে যাওয়ার পরে রাতে হঠাৎ করে মানুষটির মৃত্যু হয়ে যায়। এদিকে যে চিত্রটি উত্তম কুমারের বাবা আঁকতে বলেছিলো সেটি আঁকার সময় উত্তম কুমার এসে উপস্থিত হয় আর দেখতে ভালো লাগছে বলে কিন্তু সেই যে একটা ছবি নিয়ে চালাকি করেছিল সেটি নিয়ে একটু খোঁচা মেরে যায় অর্থাৎ ছবিটি হয়ে গেলে পাঠিয়ে দিতে আর সাথে বিলটাও। এদিকে দীপ্তি বাড়িটা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় কারণ সেখানে তাদের থাকার আর কোনো মানে নেই তাই। এরপর সুচিত্রার উত্তম কুমারের বাড়ির যাওয়ার সময় তার দাদা একটা চিঠি আর একটা আংটি দেয় যাতে লেখা ছিল উত্তম কুমার কোনো একটা মেয়েকে ঠকিয়েছে আর সুচিত্রা সেইটা বিশ্বাস করে তার বাড়িতে গিয়ে কথা শুনিয়ে দেয়। এরপর উত্তম কুমার তার আগের জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয় অর্থাৎ যেখানে একটা মেয়ে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল। এরপর সবকিছু শোনার পরে সুচিত্রার মন একটু নরম হয়ে আসলো। এরপর বাড়িতে সুচিত্রা চলে আসে সেখান থেকে। তার দাদা বাড়িতে বসে বসে ফন্দি আঁটতে থাকে কিভাবে তার মানসম্মান আঘাত হানানো যায়। এদিকে সুচিত্রার সেই পেইন্টিং এর বিষয়ে একটা খবর বের হয় যেটাতে লেখা ছিল যে সুচিত্রা তার পেইন্টিং থেকে প্রাপ্ত পয়সা গরিব অসহায়দের মধ্যে দান করে দিয়েছে, এটি মূলত উত্তম কুমারই করেছিল।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

উত্তম কুমারের বাবা কলকাতার বাইরের থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলো, মূলত তার বাবা তার প্রথম স্ত্রীকে খুঁজতে বাইরে চলে যেত মাঝে মাঝে। এই তারিখ খুঁজতে গিয়ে সে আর বেঁচে নেই খবরটা পায়। উত্তমের বাবার অতীত ঘটে যাওয়া অনেক বড়ো ঘটনা আছে যার জন্য জীবনে তাকে পশ্চাতে হয়েছিল। উত্তম কুমারের বাবা তার ব্যক্তিগত জীবনে ভুলবশত আরেকটা বিয়ে করে ফেলেছিলো তার বর্তমান স্ত্রীকে না বলে, আর এই জন্য তার প্রথম স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চিরতরে চলে গিয়েছিলো। আর শেষ বয়েসে সেইসব কথা মনে করে করে শুধু আপসোস করছেন তিনি। এরপর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে সম্পত্তির উইল রেখে যায় আর তাতে দুই ছেলের নামে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দেওয়ার কথা বলে। উত্তম কুমার আগে জানতো না যে তার আরেকটা বড়ো ভাই আছে এবং জানার পরে তার বাবার চিঠি নিয়ে তার বড়ো ভাইয়ের কাছে চলে যায়। এরপর সবকিছু নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে চায় কোর্ট এর ঝামেলায় না গিয়ে। উত্তম তার সাথে সব ঝামেলা মিটিয়ে নিতে চায় কিন্তু তার বড়ো ভাই নিজের গোমরে আটকে থাকবে, রাজি কোনোমতে হবে না। তার বড়ো ভাই সোজা বাড়িতে চলে যায় এবং পুরো সম্পত্তিটা তার নামে লিখে দিতে বলে আর এই কথাটা সে উত্তম কেও চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে । উত্তম এরপরে সব সম্পত্তি, অফিসের কাজকর্ম তাকে বুঝিয়ে দিয়ে দিতে চায়। সুচিত্রা তাকে বাধা দিতে চায় এইসব বাড়াবাড়ি না করতে কিন্তু সে কারো কোনো কথা শোনার মধ্যে নেই। তাই সুচিত্রা শেষ পর্যন্ত উত্তম কুমারের মধ্যে ভালো মানুষের মন খুঁজে পায় আর তার কাছেই চলে যেতে চায় সারাজীবনের মতো।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

উত্তম কুমার আর সুচিত্রার এই মুভিটি এক কোথায় বলতে গেলে মনোমুগ্ধকর। দেখে অনেক ভালো লাগলো মুভির কাহিনী। এখানে সুচিত্রার দাদা হিসেবে যে বিকাশ বাবু ছিলেন তিনি আসলে আপন দাদা ছিলেন না, সম্পর্কে দাদা ছিলেন। আর এখানে বিকাশ বাবু আর উত্তম ছিলেন প্রকৃত অর্থে দুই ভাই অর্থাৎ তার বাবার দুই স্ত্রীর দুই ছেলে । ছোট বেলায় তার বড়ো ছেলে ফুটপাতে ফুটপাতে দিনযাপন করেছে আর সেই রাগ ক্ষোভ থেকে মনের মধ্যে একটা বড়ো লোক হওয়ার আক্রোশ জন্ম নেয়। এইরকম বেশি বেশি টাকা চাই করতে করতে একসময় তার মধ্যে সীমাহীন লোভের বাসা বাঁধে, ফলে সামনে পিছনে কে কাকে কি বলছে সেটা নিজেও জানে না। পরে যখন সে জানতে পারলো উত্তমের বাবাই তার বাবা তখন সম্পত্তির লোভে আরো হর্ণে হয়ে যায় এক প্রকার। তখন তার অর্ধেক ভাগ হলে হবে না, পুরোটাই চাই। শেষে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দিলেও সে নিজের মনের মধ্যে কোনো শান্তি পায় না, যেন পাগলের মতো অবস্থা। এদিকে উত্তম কুমার যাকে মাসিমা বলে ডাকতো সেও যে তার মা ছিল সেটাও গোপন রেখেছিলো সবাই।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৭/১০


✔মুভির লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

উত্তম-সুচিত্রার মুভি এককথায় অসাধারণ।মুগ্ধ হওয়ারই কথা দাদা।পূর্বের মুভিগুলো সাদা-কালো হলেও অভিনয়ের মধ্যে এক জীবন্ত চরিত্র ফুটে উঠতো।মনেই হতো না এটি কোনো অভিনয়, মনে হতো চোখের সামনে বাস্তবে ঘটছে।পূর্বের মুভিগুলো রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিল ও অনেক শিক্ষণীয় ছিল।আমার এই মুভিটি দেখা হয় নি, তবে উত্তম-সুচিত্রার প্রত্যেকটি মুভি এককথায় দারুণ।তাই এটি সময় পেলে দেখতে হবে অবশ্যই।তাছাড়া তাদের দুইজনেই একই পিতার সন্তান ছিলেন ।মুভিতে রহস্য আছে।আপনি খুব সুন্দর করে মুভিটি রিভিউ করেছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে,ভালো থাকবেন।

  ·  3 years ago (edited)

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovqXYqtnvTwyujR3e6QABJn4NcxC3bdgrwX6NgAN649cHgfxhe5ph4GRfCVnb7WW5KRh8RjMmS8SJiGa3FeiiFtjQ.png

পুরাতন মুভিতে মারপিট কম থাকলেও থাকে অসাধারণ কিছু গল্প। উত্তম কুমার ও সুচিত্রা দুই জনই আমার আম্মুর খুব পছন্দের তারকা। আমি যদিও তাদের মুভি খুব একটা দেখি নাই। তবে আজকে আপনার রিভিউ পড়ে ইউটিউবে কিছুক্ষন দেকগেই আপনাকে কমেন্ট করতেছি। সুচিত্রার দাদা কিছুটা লোভী প্রকৃতির লোক। সুচিত্রার দাদা সুচিত্রার ছবি নিয়ে যায় উত্তম কুমারের ক্লাবে চালাকী করে টাকা তোলার জন্য।উত্তম কুমার তার চালাকী বুঝতে পারে কিন্ত তবু তার ছবিটি কিনে নেয়।
এখানে সুচিত্রার বড় ভাই অর্থাৎ বিকাশ বাবু লোভী মানুষ। মানুষ বলতেই বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট। অভাব মানুষকে অনেক সময় খারাপ কাজে ধাবিত করে। মুভিটি আমাদের অনেক ভালো একটা মেসেজ দিয়েছে। লোভ মানুষকে অনেক সময় অমানুষে পরিণত করে।
এই মুভি থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে।মুভির শেষ টা অনেক সুন্দর ভাবে মিল করে দিছে। সব মিলিয়ে মুভিটা অনেক ভালো লেগছে। আপনার মুভি রিভিউ একদম পারফেক্ট হয়। সত্যি বলতে মুভি দেখার একটা অনুভূতি জাগে আপনার রিভিউ দেখার পর। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। আর হ্যা, পরবর্তী আকর্ষনের অপেক্ষায় রইলাম।

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovqXYqtnvTwyujR3e6QABJn4NcxC3bdgrwX6NgAN649cHgfxhe5ph4GRfCVnb7WW5KRh8RjMmS8SJiGa3FeiiFtjQ.png

আর সাদা-কালো পর্দায় উত্তম-সুচিত্রার জুটি সেরা জুটি, তাদের রোমান্টিক মুভিগুলো দেখলে চোখ সরানো যায় না পর্দার থেকে।

উত্তম-সুচিত্রা জুটি মানে হচ্ছে সুপারহিট জুটি। পুরনো দিনের ছবি গুলোতে উত্তম সুচিত্রার অভিনয় দেখে সকলে মুগ্ধ হয়েছে। আমাদের সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় উত্তম-সুচিত্রাকে পছন্দ করে না এবং তাদের অভিনয়ের প্রশংসা করে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। এই গুণী শিল্পীরা আমাদের মাঝে আজ আর বেঁচে নেই কিন্তু তারা তাদের কাজের মাঝে নিজেকে চিরজীবনের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। আপনার এই মুভি রিভিউ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। এই মুভিটির শুরুতে উত্তম-সুচিত্রার মাঝে অনেকটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। এরপর যখন সুচিত্রা উত্তম কুমারকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলেন এবং বুঝতে পারলেন উত্তম কুমার একজন ভালো মানুষ তখন তিনি তার জীবন সঙ্গী হিসেবে তাকে বেছে নিলেন। সত্যিই অনেক সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। পুরনো দিনের মুভি গুলোর কাছে বর্তমান সময়ের মুভিগুলো কিছুই না। এই মুভিটি আমি আগে কখনো দেখিনি। তবে আপনার এই মুভি রিভিউ পোস্ট পড়ে আমারও ইচ্ছে করছে এই মুভিটি দেখার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মুভি রিভিউ আমাদের সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন এ জন্য অনেক ভালো লাগলো দাদা। সেই সাথে দারুন একটি মুভি রিভিউ সকলকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শ্রদ্ধেয় স্যার উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা ম্যাম তাদের অভিনয়ের জাদুতে সবার মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন। সেই সময়কার মুভিগুলোতে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন এই দুটো নাম শুনলেই সেই মুভি দেখার জন্য সবাই আগ্রহ প্রকাশ করত। উত্তম সুচিত্রা জুটি হচ্ছে সর্বকালের সেরা জুটি। বাংলা মুভিতে কিছু কিছু জুটি রয়েছে যেগুলো সবসময়ই সবার কাছে সেরা থাকে। তেমনি করে এই জুটি আজীবন মানুষের অন্তরে থেকে যাবে। "জীবন তৃষ্ণা" এই মুভিটি এর আগে দেখিনি। তবে আপনি যখন আপনার এই রিভিউ পোস্ট করছিলাম তখন খুবই ভালো লেগেছিল আমার। জীবন যখন যে যার মত। জীবনের এই পথ চলা কে কেন্দ্র করে অনেক সুন্দর একটি মুভি তৈরি করা হয়েছিল। এই ছবিতে যিনি নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধেয় উত্তম কুমার স্যার তার প্রিয় মানুষটির পাশে সব সময় থেকেছেন। তাদের এই সুন্দর প্রেমের গল্প আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একটি মুভি সার্থক হয় তখনই যখন মুভির গল্প গুলো সুন্দর হয়। আর এইসব সার্থক বাংলা মুভিকে আরও বেশি সুন্দর করার জন্য যারা প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন তাদের অভিনয়ের জাদুতে মুভি গুলো আরো বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। অনেক সুন্দরভাবে এই বাংলা মুভি "জীবন তৃষ্ণা" রিভিউ পোস্ট তৈরী করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

আসলেই দাদা মুভিটা অসাধারন। আমি দেখেছি এই মুভিটা। সত্যি বলতে কি মুভি থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। বিশেষ করে আগের মুভি গুলো থেকে যদি কেউ শিক্ষা নেয় একজন আদর্শ মানুষ হওয়া সম্ভব। এখন যে মুভি বানায় কি আর বলো। প্রেম ছাড়া কিছুই বুঝে না। কিন্তু প্রেম টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন। আগের মুভিতে সেই সব দিক গুলো বুঝা যেতো। কিছু কিছু জায়গাতে জিদ কাজ করা ভালো তবে অমানুষ হয়ে গেলে সমস্যা। আমরা অনেক সময় টাকা উপার্জন করতে গিয়ে মানুষকে মানুষ মনে করি না এটাই বড় একটা সমস্যা।


আমি এবার দ্বিতীয় হয়েছি কমেন্ট প্রতিযোগীতায়। মনের ভীতর জিদ কাজ করা ভালো যে আমি এবার প্রথম হবো তাই বলে সপন ভাইকে হিংসে করা মোটেও ঠিক হবে না। আরেকটা বিষয় আমি অনেক লক্ষ করেছি টাকা আর বংশ ২ টা ভিন্ন জিনিস। বংশ ভালো হলে টাকা না থাকলেও সে অনেকটা ভালো মানুষ হয়। কিন্তু খারাপ বংশের মানুষ অনেক টাকাওয়ালা হলেও তার স্বভাব ভালো হয় না। অল্প পানির মাছ বেশি পানিতে পরলে যা হয় আর কি। যাই হোক এখান থেকে শিক্ষার বিষয় হচ্ছে টাকা থাকলেই মনে শান্তি থাকে না। অল্প টাকায় আদর্শ মানুষ হলে মনে শান্তি থাকে।

বেশ আগের মুভি, তবে আগের মুভি গুলোর মধ্যে চমৎকার অভিনয় এবং গল্প থাকতো। এই মুভি আমার দেখা হয়নি, তবে আপনার পোস্ট পড়ে এর গল্পের সারাংশ টা কল্পনা করতে পারছি।

115.png

উত্তম কুমার সুচিত্রা সেনের অনেক কয়েকটি ছিলাম আমি দেখেছিলাম।খুব ছোটবেলায়।আসলে মুভি দেখে রাখ শরীফের ছোট বেলা থেকেই আমার একটু কম।মুভি দেখা হয় না তেমন একটা।প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমি টেলিভিশন দেখি না।সিরিজ দেখা হয়না।তবে আপনার। জীবন তৃষ্ণা মুভি রিভিউ দেখে সত্যি নতুন কোরে মুভি দেখার ইচ্ছে জাগলো মনে।♥♥
  ·  3 years ago (edited)

আসলেই ভাইয়া উত্তম-সুচিত্রার মুভি সত্যিই খুব অসাধারণ এবং চমৎকার। আগের মুভি গুলো দেখতে সত্যিই খুব ভালোই লাগতো। আপনার এই মুভি রিভিউটা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।'জীবন তৃষ্ণা'এই মুভিটি আমার দেখা হয়নি কিন্তু আপনার রিভিউটা পড়ে বুঝতে পারলাম যে মুভিটি সত্যিই খুব চমৎকার দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব এবং উত্তম-সুচিত্রা খুব রোমান্টিক প্রেমের গল্প আমি অবশ্যই এই মুভিটা দেখব। আগের মুভিগুলো রোমান্টিক হলেও অনেক শিক্ষানীয় বিষয় ছিল। তাই আগের মুভি গুলো দেখতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে বিশেষ করে ভারতি বাংলা মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আমি এখনো প্রায় সময় ভারতি বাংলা আগের মুভি গুলো দেখি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

উত্তম সুচিত্রা জুটি মানেই সিনেমা হল গুলোতে মানুষের ঢল। আমি তখন বুঝতে শিখেছি। বাবা তখন ভিসিপি তে মুভি গুলো দেখতো। বাবার একটি ডাইরী ছিল সেখানে সে প্রতিটি মুভির নাম লিখে রাখতো। অনেক মুভি দেখেছি উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের। তখন সব বাঘা বাঘা অভিনেতা অভিনেত্রী ছিল। খুবি ভাল লাগতো সকলে মিলে মুভি গুলো দেখতে।আপনার মুভি রিভিউ দেখে আবারো পুরোন স্মৃতির জাগরিত হল। ভাল থাকবেন দাদা। সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দিয়েছেন। সময় পেলে আবারো দেখবো। ধন্যবাদ।

দাদা আপনি আজকে চমৎকার ভাবে মুভি রিভিউ করেছেন। জীবন তৃষ্ণা মুভিটি যদিও আমি দেখিনি ‌‌তবে দাদা আপনার রিভিউ পড়ে দেখা হয়ে গেলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি

আমি কিন্তু এই ধরনের মুভি একটু কম দেখি। তবে আপনার মুভি রিভিউ পড়ে খুবই মজা পেলাম। অনেক সুন্দর একটা মুভি। ধন্যবাদ দাদা।

আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের এক অমর জুটির নাম হল উত্তম-সুচিত্রা জুটি। মহানায়ক উত্তম কুমার কে যতবারই পর্দায় দেখি আমি কিছুক্ষণের জন্য হলেও যেন থমকে দাঁড়াই। একদম সত্যি বলতে এই মুভিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা দেখা হয়নি কখনোই। কোনদিন শুরুর দিকে অল্প করে দেখেছি আবার কোনদিন হয়তোবা শেষের দিকে দেখেছি। খুবই চমৎকার লেগেছে। আজকে তোমার রিভিউটা পড়ছিলাম আর আমার চোখে যেন সিনেমার দৃশ্য গুলো ফুটে উঠছিল। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছো দাদা।

উওম কুমার আমার অনেক পছন্দের একজন অভিনেতা। উনার অনেক ছবি দেখেছি তবে এই ছবিটি কখনো দেখিনি। যাইহোক মুভিটার কাহিনী বেশ শিক্ষনীয় ছিল। মানুষ যত পাই তত চাই। মানুষের লোভের কোনো সীমা নাই। কিন্তু লোভের পরিণাম কখনোই ভালো সময় না। অনেক সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা👌👌👌

উওম কুমার আর সুচিএা সেনের জুটি একটি অসাধারণ জুটি।তাছাড়া আগের সাদা কালো ছবিগুলো অনেক জনপ্রিয় ছিলো।আগের ছবিগুলো দেখে অনেক শিক্ষা নেওয়া যায়।তাছাড়া আগের দিনের জীবন যাএা নিয়ে অনেক কিছু জানা যায়।আমি জীবন তৃষ্ণা ছবিটা দেখি নাই। কিন্তুু আমার রিভিউ টা পরলাম। ভালো লাগলো।সুযোগ পেলে দেখে নিবো।ধন্যবাদ

উত্তম সুচিত্রা জুটি ছিল সেই সময় কার সবথেকে সফল এবং জনপ্রিয়। তারা এত সুন্দর সুন্দর সিনেমা আমাদের উপর দিয়ে গেছেন যা সত্যি মনমুগ্ধকর। বাসা ভাড়ার টাকা দিতে না পেরে সুচিত্রা যখন অন্য বাসা নেয় এবং উত্তম কুমার সেখানে যায় তারপর তাকে নিয়ে পূর্বের বাসায় ফিরে আসে পরবর্তীতে যখন আবার তার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য দেখা করতে আসে তখন সুচিত্রা রেগে যায় বিষয়টি ভালো লেগেছে কারন সুচিত্রা মনে করেছিল সে টাকার জন্য এসেছে। পুরো রিভিউটি পড়লাম দাদা শেষ অংশটি খুব ভালো লেগেছে উত্তম কুমার তার দাদাকে সমস্ত সম্পত্তি, অফিসের কাজ বুঝে দিতে চাই। প্রথমে যখন দুই ভাগে ভাগ করে নিতে যাচ্ছিল কিন্তু তার বড় ভাই তাতে রাজী হচ্ছিল না সবকিছু দাবি করে বসে উত্তম কুমার নিঃস্বার্থভাবে সব দিতে রাজি হয় কিন্তু তার এই নিঃস্বার্থ মনোভাব দেখে সুচিত্রা কুমারের কাছেই সারাজীবনের জন্য যায়।মুভির ইন্ডিং অনেক ভালো আছি ।

বাংলা চলচ্চিত্রের দুই মহাতারকা দুই নেত্রী উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনের এই মুভির কাহিনী পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও বা পুরাতন কিন্তু এরকম মুভি মাঝে মাঝে দেখলে বেশ ভালই লাগে। আর আপনার রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।