ইংল্যান্ডকে বড়ো ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো ভারত

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল সেমি-ফাইনাল এর শেষ ম্যাচ ছিল আর এই ম্যাচটা একটা লড়াই সম্পন্ন হবে এটা আশা করা গিয়েছিলো। কারণ এই ইংল্যান্ড আর ইন্ডিয়া টোটাল বিশ্বকাপে যতবার সামনাসামনি হয়েছে তাদের রেজাল্ট ৫০/৫০, আর এই ম্যাচেও যে ছেড়ে কথা বলবে না তা নয়। তবে ম্যাচটা দুইদিনে হয়ে গিয়েছে বৃষ্টির জন্য। আর সেমি-ফাইনালে চাইনি যে, এটা dls মেথডে যাক। তবে ভারত সেমি-ফাইনালে উঠলেও তাদের ফাইনালে যাওয়া কিন্তু একপ্রকার সুপার-৮ এর ম্যাচে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। কারণ তাদের নেট রান রেট এতো ছিল যে, যদি এই সেমি-ফাইনাল ম্যাচে বৃষ্টি হয় আর টোটালি খেলা না হয়, তাহলে পয়েন্ট হিসেবে করে দিলে ইন্ডিয়া সরাসরি যাবে।

আর এটা ওইসময়েই তারা বলেছিলো খেলার মাঝে। আর এই ম্যাচে অর্থাৎ গুয়ানাতে যে বৃষ্টি হতে পারে সেটা আন্দাজও করেছিল। বৃষ্টি আসলে যেভাবে প্রথম থেকে শুরু হয়েছিল, তাতে মনে হচ্ছিলো যে, রান-ওভার না কেটে দেয়। কারণ এটা করলে অবস্থা খারাপ। টসে যদিও জিতেছিল ইংল্যান্ড, কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেনি, কারণ একে তো পিচ স্লো ছিল, তার উপর বৃষ্টি। পরে ব্যাট করলে পর পর আরো স্লো কাজ করবে আর প্রেসারও তৈরি হবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে আবার আরো একটা প্রশ্ন থেকে যায় যে, ইংল্যান্ড ব্যাটিং এর মুহূর্তে যদি বৃষ্টি হঠাৎ করে শুরু হতো, তাহলে নিশ্চিত রূপে dls মেথডে ম্যাচ হতো, আর এতে ইন্ডিয়ারই ক্ষতি হতো। কারণ তারা যে আন্দাজে রান আর ওভার কাটে, বাস্তবে সেটা কখনোই মিল হয় না। তবে ইন্ডিয়া ব্যাটিং করতে এসে প্রেসারে পড়েছিল ভালোই প্রথম দিক থেকে।

কোহলি তো এক ৬ মেরে পরের বলেও বড়ো শর্ট হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়ে যায়। কিন্তু প্রেসারটা এসে পড়ে রোহিত এর উপরে। যদিও রোহিত নিজের রানের জন্য কখনোই খেলে না, সেটা দেখা যায় খেলা দেখলে, ১ রানের জন্য ৫০ হোক বা সেঞ্চুরি, ৬ মারতে পিছুপা হয় না। এই ম্যাচেও কিন্তু একটা বড়ো দায়িত্ব নিয়ে খেলে গিয়েছিলো আর সাথে সূর্যকুমারও ছিল। মূলত যদি এই ম্যাচের কৃতিত্ব ধরা হয়, তাহলে ই দুইজনেই ম্যাচের হিরো। এদের দুইজনের আদলে রানটা বেশি উঠেছে। আর এই পিচে বল বলতে গেলে বেশি একটা উঠছিলও না, যেন তাড়িয়ে ধরে উঠিয়ে মারতে হচ্ছে ম্যাক্সিমাম সময়ে। তবে সূর্যকুমার অনেকগুলো ট্যাকনিক ইউস করে ভালো খেলে দিয়েছিলো। হার্দিকও লাস্টে যে দুটি ৬ মেরেছিলো, ওটা ওই সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিল, আউট হলেও কাজ করে দিয়ে গিয়েছিলো। লাস্ট ৫ ওভারে ১৭০ রানে পৌঁছিয়েছে, অনেকটা কঠিন বিষয় ছিল, প্রায় ৬০-৬৫ রান নিয়েছিল।

তবে এই পিচে মোটামুটি ১৬০+ স্কোর তুলতে পারলে ইংল্যান্ড এর সাথে মোকাবেলা হবে এটা সবাই বলছিলো। তবে যাইহোক এই পিচের উপরে ১৭০ রান মানে অনেক করেছিল। তবে ইংল্যান্ড যে এইভাবে এতো দ্রুত নমস্কার জানাবে ভাবিনি হা হা। ৬ ওভারের পরের থেকে খেলা দেখে আমার সত্যি একপ্রকার হাসি পাচ্ছিলো, কারণ শুধু উইকেট পড়তেই আছে। ইন্ডিয়ার আসলে কয়েকজন বিপদজনক উইকেট টেকার আছে, যাদের কবলে পড়লে শেষ একদম। যদিও পেস বলেঅতটা কাজ না দিলেও স্পিনে ধংস হয়ে গিয়েছিলো তাদের। কুলদীপ আর অক্ষর দুইজনেই ম্যাচের নিষ্পত্তি করে দিয়েছিলো।

মানে ৮ ওভারেই মোটামুটি ম্যাচ এর জিত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো ৯০% ইন্ডিয়ার পক্ষে। ১৬ ওভারে একদম পুরো ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান ধরাশায়ী, অলআউট করে ছেড়েছে। তবে ইন্ডিয়া ফিল্ডিংও জবরদস্ত করেছিল, ডাইরেক্ট থ্রোও মিস যায়নি এই তারিখ, মানে ইংল্যান্ড একপ্রকার এসেছে আর গিয়েছে। সব থেকে কাজে দিয়েছে পরে রৌদ্র ওঠায় ইন্ডিয়ার জন্য সুবিধাই হয়েছিল। অনেক রানের ব্যবধানে জিতেছে সেমি-ফাইনাল। তবে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে একটু কঠিন হতে পারে, কারণ দক্ষিণ আফ্রিকাও এই প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছে। খেলাটা আশা করি একটা ফাইনাল খেলার মতোই হবে।