ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ৯ )

in hive-129948 •  3 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর নবম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কানেকটিং দ্যা ডট"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, পৃথ্বীর যেসব দাবি ছিল অফিসারদের সাথে, সেই মতে তারা দাবি মেনে নেয়। এরপরে আজকে ঘটনাটা কি হয় সেটা দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
হোস্টেজেস
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
কানেকটিং দ্যা ডট
পরিচালকের নাম
শচীন কৃষণ
অভিনয়
রনিত রায়, মালহার রাঠোড়, সূর্য শর্মা, টিসকা চোপড়া, অনাংশ বিশ্বাস, দালিপ তাহিল, শচীন খুরানা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩১ মে ২০১৯( ইন্ডিয়া )
সময়
৩০ মিনিট ( নবম পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

পৃথ্বীর মেয়েকে কিডন্যাপ করার পর থেকে পৃথ্বী এক প্রকার উদ্বিগ্ন হয়ে যায়, তার উপর এই খবর তার মেয়ে সাবার কানেও পৌঁছিয়ে যায়। এখন তার মেয়েকে যে বিষাক্ত তরল জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে, সেটা পৃথ্বী ছাড়া আর কেউ জানে না। কিন্তু সাবা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে না পেরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে এক প্রকার পিস্তল কেড়ে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মারতে চলে যায়। মূলত এখানে সে কিছু জানতে পারে যে, তার মেয়েকে কারা এবং কোথায় কিডন্যাপ করে রেখেছে। কারণ তাদের সাথে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর হাত আছে বলে জানায়। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলে জেনারেল ইন্টারন্যাশানাল কম্পানির লোকজন এই কাজটা করতে পারে। মানে এদের আসলে তাদের সাথে বিভিন্ন ডিলের মাধ্যমে একটা কানেকশন থাকে। এদিকে পৃথ্বীর বন্ধু তাকে ফোন দিয়ে দিয়ে হয়রান হয়ে যাচ্ছে, কারণ তার উপর হিউজ একটা চাপের সৃষ্টি হচ্ছে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তার উপর আবার তাদের সেই জার্নালিস্ট আয়েশা একপ্রকার সন্দেহ করা শুরু করে, কারণ তার হাবভাব দেখে একটা সন্দেহ মতো তৈরি হয় যে, সে কিছু একটা লুকাচ্ছে। এদিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৩ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু পৃথ্বী কোনো রাস্তা খুঁজে পায় না। পরে অনেক ট্রাই করার পরে পৃথ্বী তার বন্ধুর ফোন তোলে এবং সেখানে চলে আসতে বলে, কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে সেটাও সে করতে পারবে না। কারণ সে এরেস্ট হলেও প্রিয়াকে বাঁচাতে পারবে না , কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে তাদের না দিলে ক্ষতি করে দেবে। এই কথোপকথন আড়ালে দাঁড়িয়ে আয়েশা শুনতে না পেলেও একটা সন্দেহভাজনের মতো সবসময় নজরে রাখার মতো ব্যাপার তৈরি করে ফেলেছে। এখন ওখানে টিমের মধ্যে সবাই এক কথা বললেও সে বিষয়টাকে কন্ট্রোলে রাখার জন্য চেষ্টা করে। তার পরেও যেহেতু একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে, তাই তেমন একটা পাত্তা দেয় না।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এই সন্দেহটা আরো তৈরি হচ্ছে, কারণ হোস্টেজদের যে লিডার তার সাথে দীর্ঘক্ষণ একটা কন্টাক্ট করতে পারছে না। পরে অনেক কষ্টে একটু কথা বলিয়ে দেয় এবং তাদের শর্তের কথা বলে। কিন্তু সন্দেহটা আরো বেড়ে যায়, কারণ যেখানে তাদের মুক্তি পাওয়ার একটা বড়ো সুযোগ সেখানে তার কথার মধ্যে কোনো খুশি নেই অর্থাৎ যেন কোনো ফারাকই পড়লো না। এদিকে তার শালাকে ফোন করে বলে দেয় যে, মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে টানেল দিয়ে বেরিয়ে আসতে, তা না হলে আর উপায় নেই। কিন্তু সে মুখ্যমন্ত্রী আবার ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাই তাকে নিয়ে আবার অতো পথ টানেল পাড়ি দিয়ে বেরোনো অসম্ভব। এখানে আবার আরেক সমস্যা ক্রিয়েট হয়েছে যে, বাইরে অফিসাররা তাদের বলেছিলো যে, পরেরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত তাদের সুযোগ দেওয়া ছিল, কিন্তু সেটা পরক্ষনে আবার চেঞ্জ করে সকাল সাড়ে ৮ টা করে দেয়। আর এতেই তো পৃথ্বীর বন্ধু আরো টেনশনে পড়ে যায়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই পর্বে আসলে একটা কানেকশন এর বিষয় খুঁজে পেয়েছে অর্থাৎ তাদের এই যে আগে যত খুনের ব্যাপার ঘটেছে সবই এই জেনারেল ইন্টারন্যাশনাল কম্পানির সাথেই লিংকড। এখন শিখা নামের যে ইন্টেলিজেন্স অফিসার এই বিষয়ে তদন্ত করছিলো, তখন পৃথ্বীর ফাদার ইন ল এর মৃত্যুর রহস্যটাও বেরিয়ে আসে। মূলত সেও এই কোম্পানির বিষয়ে এমন কিছু ইনফরমেশন পেয়েছিলো যেটা দিয়ে ইনভেস্টিগেট করছিলো। তবে সব থেকে যে বড়ো একটা ইনফরমেশন হাতে পায় পৃথ্বী সেটা হলো, ওই যে টাকার একটা ব্যাগ ছিল আর ওই সাইকো লোকটা এবং তার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে ভেগে গিয়েছিলো, তাদেরই একটা জার্নালিস্টদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। মানে ওই যে একটা পুরোনো বা=ভিডিও পেয়েছিলো সেটা নিয়েও একটা বিক্রির ব্যবসায় নেমেছিল। এখন এই বিষয়টা দেখে সে নিজেও হতবাক। তবে এই কাহিনীর মধ্যে একটা বড়ো টুইস্ট সামনে এসেছে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৯/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই ওয়েব সিরিজটার ফার্স্ট পার্ট টা কেমন হয়েছিল? হটস্টারের অনেকগুলো সিরিজ দেখেছি তবে এই হস্টেজেস সিরিজটা আমার দেখা হয়নি। ভালো বললে তাহলে দেখতে শুরু করব। এই পর্বের রিভিউ টা তো পড়ে মনে হচ্ছে খারাপ হয়নি ঠিকই আছে।

  ·  3 months ago (edited)

প্রথম পার্টে মীরা নামের একজন ডাক্তারকে নিয়েই মূলত কাহিনী, যাকে ফোর্স করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে অপারেশন এর সময়ে মেরে ফেলার। তবে এই দ্বিতীয় পার্টে মীরা নামের সেই ডক্টরের কোনো ভূমিকা নেই। কাহিনীটা একটু লং, তবে সিরিজটা মোটামুটি বেশ ভালোই। দেখতে পারেন।

বেশ৷ তবে বসব৷ আচ্ছা ফ্যামিলি ম্যান আর আসেনি না?

দাদা আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এই ওয়েব সিরিজটার রিভিউ শেয়ার করে যাচ্ছেন। এই ওয়েব সিরিজের সিজন ২ এর নবম তম পর্বের রিভিউ আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে পড়তে। এখানে তো দেখছি একটার থেকে একটা বিষয় বেরিয়ে আসছে। একটা খুঁজতে গিয়ে অন্য রহস্য বেরিয়ে আসলো। পৃথ্বীর ফাদার ইন ল এর মৃত্যুর রহস্য দেখছি এখন বেরিয়ে এসেছে সামনে। যাইহোক সব মিলিয়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে পুরোটা। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে এটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

তাদের এই যে আগে যত খুনের ব্যাপার ঘটেছে সবই এই জেনারেল ইন্টারন্যাশনাল কম্পানির সাথেই লিংকড।

এই পর্বে তো তাহলে বড় একটা রহস্য উদঘাটন হয়েছে। তার মানে পৃথ্বীর শ্বশুর সেই কোম্পানির ব্যাপারে কিছু ইনফরমেশন পেয়েছিল বলে, তারা পৃথ্বীর শ্বশুরকে হত্যা করেছে। এই পর্বটা আসলেই দারুণ হয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।