হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটি অনেক পুরানো এবং এর গল্প খুবই সুন্দর। এই মুভিটির নাম হলো "সুভাষ চন্দ্র"। সুভাষ চন্দ্র এর জন্মদিন যেহেতু হলো সেহেতু সেই উপলক্ষে তার এই মুভিটি আমি রিভিউ দেওয়ার কথা ভাবলাম। মুভিটি আমি আজ প্রথম দেখলাম এবং অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। এখন আমি মুভিটির কিছু মূল বিষয়ের দিকে আলোকপাত করবো।
☫কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:☫
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় সুভাষ বাড়িতে তার রুমে বসে ভারতবর্ষের মানচিত্র দেখতে লাগে( কাহিনীটা সুভাষ এর ছোট অবস্থা থেকেই)। তখন বাড়ির একজন এসে তাকে খেতে নিয়ে যায় কারণ তার স্কুলে যাওয়ার সময় ছিল আর ওইদিন স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিন ছিল সুভাষের । যাইহোক এরপর সে বাড়িতে সবাইকে প্রণাম করে আর তার বাবার কাজের স্থানে গিয়ে প্রণাম করে তার কাকার সাথে ঘোড়ার গাড়িতে করে স্কুলে পৌঁছিয়ে যায়। এরপর হেড মাস্টার মশাইয়ের কাছে গিয়ে বলে ক্লাস ৪ এ ভর্তি হবে আর তখন তাকে ক্লাসে নিয়ে গিয়ে অন্যান্য ছাত্রের সাথে বসিয়ে দেয়। এরপর সেই ক্লাসে যে মাস্টার বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলো সে তার কাছে নাম জিজ্ঞাসা করে আর আগে কোনো স্কুলে পড়তো সেটা বলতে বলে। যেহেতু সুভাষ আগে মিশনে পড়তো আর সেখানে সব ইংলিশ এ পড়তো তাই সে যখন বললো আমি বাংলার এইসব কিছু জানিনা তখন মাস্টার সহ কিছু ছাত্র হেসে ওঠে আর বলে তুমি বাঙালির ছেলে হয়ে বাংলা জানো না । তখন সুভাষ বলে এইজন্য তো আমি ওখানে ছেড়ে দিয়ে এই স্কুলে ভর্তি হলাম আর এখন সব ১-২ দিনের মধ্যে শিখে নেবো। এরপর সুভাষের সাথে একজনের বন্ধুত্ব হয় আর তারা ক্লাস ছুটির পরে একসাথে বেরিয়ে বাড়ির দিকে যায়। সুভাষ এর সব বন্ধুরা ধুতি আর পাঞ্জাবি পড়ে স্কুলে আসে তাই সুভাষও তাদের মতো এবং তাদের সাথে মিলেমিশে চলার জন্য ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে স্কুলে যাওয়া আশা করে। সুভাষ তার সেই বন্ধুটির সাথে নদীর পাড়ে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগে কিন্তু তার বন্ধুটি তার সাথে দৌড়িয়ে বেশিদূর যেতে পারে না, তখন সুভাষ তার মনে সাহস জাগিয়ে বলে তোমাকে যেতেই হবে তখন সেও তার কোথায় সাহস নিয়ে তার সাথে সামনে এগিয়ে যেতে লাগে। বিকালে সেখানে নদীর পাড়ে তারা তাদের হেড মাস্টারমশাইকে দেখতে পায় এবং সেখানে গিয়ে তারা কথা বলে।
সুভাষ আর তার বন্ধু তাদের মাস্টারমশাইয়ের সাথে কথাবার্তা বলতে লাগে এবং সুভাষ তার স্যার কে জিজ্ঞাসা করে যে তার স্যার প্রতিদিন এইসময়ে এখানে নদীর পাড়ে বেড়াতে আসে কিনা। তার স্যার বলে এসময়টায় আমি প্রায় আসি কারণ এই সময়ে সূর্য ডোবার দৃশ্যটা খুবই সুন্দর লাগে আর মনে হয় জীবন থেকে একটা দিন চলে গেলো। আর এই নিয়ে তাদের স্যার তাদেরকে বলে যে জীবনের একটা দিনও নষ্ট করবে না। এরপর সুভাষ এর স্কুলের রেজাল্ট বের হয় এবং সুভাষ এর বন্ধু প্রথম হয় আর সুভাষ দ্বিতীয় হয়। সুভাষ তার একজন স্যার এর কাছে যায় এবং তার সেই স্যার এর কাছ থেকে কিছু উপদেশমূলক কথা শোনে। এরপর তার সেই স্যার কিছু বিবেকানন্দ এর বই দেয় আর সেগুলো পড়তে বলে ভালো করে। সুভাষ রাতে সেই বই পড়তে লাগে আর বিবেকানন্দ এর বাণীগুলো স্মরণ করতে লাগে এবং বাড়ির ছাদে গিয়ে কিছু একটা চিন্তা করতে লাগে আর হাঁটাহাঁটি করতে লাগে। এরপর দেখা যায় সুভাষ নদীর পাড়ে একা বসে থাকে আর তখন সেখান দিয়ে একজন লোক আর তার মেয়ে একতারা বাজিয়ে একটা দেশত্ববোধক গান গাইতে গাইতে যায় আর সুভাষ সেইটা মন দিয়ে শুনতে লাগে। এরপর সুভাষ দোকানে দোকানে গিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর ছবি খুঁজতে লাগে এবং কিছু নিয়ে বাড়িতে যায়। এরপর তার বন্ধুটি তাকে ডেকে হেড মাস্টারের কাছে যায় আর ক্ষুদিরাম এর ছবি দিয়ে কি করবে জিজ্ঞাসা করে। তখন সুভাষ বলে পুজো করবো কারণ যে দেশকে ভালোবাসে আমিও তাকে ভালোবাসি। এরপর সুভাষ ক্ষুদিরাম এর ছবি নিয়ে ক্লাসে তার সব বন্ধুদের দেখিয়ে বলে ইনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন এই দিনে তাই আজকে সারা ভারতবর্ষের কাছে শোকের দিন। আজকে আমরাও সবাই শোক পালন করবো না খেয়ে। এরপর সবাই সুভাষ এর কথা মতো কেউ খায় না, উপোস করেই থাকে।
তাদের স্কুলের হেডমাস্টার বেণীমাধব বাবু সুভাষ সহ সবাইকে হোস্টেলের বাইরে ডেকে আনে এবং তাদের সবাইকে একটা স্বদেশী গান গাইতে বলে। এরপর সুভাষ আর তার বন্ধুটি প্রথম গান শুরু করে আর সবাই তাদের সাথে গাওয়া শুরু করে। এরপর জেলার ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে খবর চলে যায় যে একজন বিপ্লবীর জন্য দেশপ্রেম দেখাতে গিয়ে স্কুলের সবাই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে হেডমাস্টারের কাছে প্রশ্ন তোলে যে আপনি মানা করেননি কেনো ছাত্রদের। ফলে এই অভিযোগ নিয়ে হেডমাস্টার কে বদলি করে দেয় কৃষ্ণনগর স্কুলে। আর এই খবর পেয়ে সুভাষ সহ বাকি অন্যান্য ছাত্ররা দুঃখ পায়। এরপরে সুভাষ বড়ো হয়ে যায় এবং তার মাকে মহান সাধুদের বাণী শুনাতে লাগে। এর মধ্যে তার বন্ধু তার মাস্টার বেণীমাধব বাবুর একটা চিঠি নিয়ে আসে এবং সেখানে তার স্কুলের হেমন্ত নামক একজন ছাত্রকে পাঠিয়ে দেয় আর তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে। হেমন্ত ছেলেটি সুভাষ এর বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিল এবং সেখানে সুভাষ দেখা করতে যায়। এরপর তার সাথে সুভাষের কথা হয় দেশ স্বাধীনতার বিষয়ে, কিভাবে দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করা যায় সেই বিষয়ে। সুভাষ এর পরীক্ষার পরে হেমন্ত এর সাথে মুর্শিদাবাদ আর পলাশী বেড়াতে যায়। প্রথমে পলাশীর আমবাগানে নিয়ে যায় যেখানে মোহনলাল আর মিরমদন তাদের সর্বস্ব উজাড় করে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করেছিল। এরপর তারা সেখানে ইংরেজদের প্লেসি স্তম্ভ এর কাছে যায় আর সেখানে স্তম্ভের গায়ে লিখে আসে চরম বিশ্বাসঘাতকতার স্তম্ভ।
সুভাষরা সেখান থেকে বেরিয়ে যায় এবং নবাব সিরাজ এর সমাধি স্থানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে সুভাষ গাছের থেকে কিছু ফুল তুলে নিয়ে এসে সমাধি স্থানে ছড়িয়ে দেয়। এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে নৌকায় করে গান গাইতে গাইতে চলে যায়। এরপর সুভাষ কলেজের হোস্টেলে ফিরে তার বন্ধুর সাথে দেশের স্বাধীনতার জন্য সাহায্য করতে বলে কিন্তু তার বন্ধু এসবের মধ্যে আবার যেতে চায় না। এরপর সুভাষ হেমন্ত এর সাথে সাধু সন্ন্যাসি বেশে হিমালয় পর্বত ঘুরে সবকিছু দর্শন করতে করতে হরিদ্বারে যায়। সেখানে গিয়ে তারা আবার দেখতে পায় এখানেও ধর্মের জায়গায় বিভিন্ন জাতিভেদ আছে। সব জাতিদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গায় খাবার স্থান তৈরি করা। কোনো কিছু নিতে গেলে আগে জাত জিজ্ঞাসা করে বসে। এইসব দেখে তারা বুঝতে পারে যে দেশের পরাধীনতার জন্য আজকাল মানুষের মন মানসিকতাও পরাধীনতার জালে জড়িয়ে গেছে। এরপর সেখান থেকে তারা দুইজন কলকাতায় বাড়িতে ফিরে যায়।
বাড়িতে ফিরে এসে সুভাষ তার বাবার সাথে তার রুমে গিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। এরপর সুভাষ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে একটা অনুষ্ঠানে তাদের ইংরেজ প্রফেসরের সামনে বিপ্লবী গান গায় আর সেটি শুনে গা জ্বলে যায়। এরপর সেই ইংরেজ প্রফেসর বাঙালিদের কটূ ভাষায় মন্তব্য করে আর এটি শুনে সুভাষ সহ সবাই রেগে যায় আর সেখান থেকে সবাই বাইরে চলে আসে। এরপর তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমাদের কাছে ক্ষমা না চাইলে আমরা কলেজে ধর্মঘট ডাকবো আর এটি ততক্ষন কার্যকর থাকবে যতক্ষণ না ক্ষমা চাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে সুভাষের সাথে কলেজের কিছু মাস্টারও সহমত ছিল। এরপর প্রফেসরের সাথে সুভাষের বেশ কিছুক্ষন তর্ক হয় এবং অবশেষে ক্ষমা চায়। এরপর সেই ইংরেজ প্রফেসর স্টুডেন্টদের ক্লাস নেওয়ার সময় ভারত দেশকে হেয়ালি করে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করছিলো আর বারের দিকে একজন শব্দ করে করে হেটে যাচ্ছিলো। এইটা দেখার পর প্রফেসর বাইরে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আর সুভাষ এবং তার বন্ধুরা এইটা দেখে রেগে যায়। এরপর প্রফেসর কে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য একদিন একা পেয়ে কলেজের সিঁড়িতে বেধর মার দেয়। আর এই ঘটনা প্রফেসরদের মধ্যে ছড়িয়ে যায় আর পরে সুভাষ করেছে জানতে পারলে তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়। ফলে সুভাষ আর কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এরপর সে তার বন্ধুদের নিয়ে একটা দল গঠন করে এবং কটক এর একটা আশ্রমে যায় আর বিভিন্ন প্রান্তে তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়ে মানুষের সেবা করতে লাগে।
সুভাষ কলেরা আর বসন্ত রোগে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশুনো করে এসে বাড়িতে তার বাবার সাথে দেখা করে আর তার বাবা বলে সারাটা জীবন এইভাবে কাটিয়ে দেবে নাকি। দেশের মুক্তির জন্য লড়ছো ভালো কথা কিন্তু সেটা করতে গেলেও অনেককিছু জানা লাগে, অর্জন করতে হয়। তাই তার বাবা সুভাষ কে কলকাতার একজন বড়ো প্রফেসর আশুতোষ মুখার্জির সাথে দেখা করতে বলে যাতে তাকে আবার কলেজে পুনরায় ভর্তি নেয়। এরপর সুভাষ কলকাতায় গিয়ে আশুতোষ বাবুর সাথে দেখা করে আর তাকে পারমিশন দিয়ে দেয়। এরপর সে কলেজের পাশাপাশি সৈনিকের ট্রেনিংও নিতে লাগে। এরপর পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে তার বাবা এসে বলে যে বিলেতে তুমি যেতে পারো কিন্তু আইসিএস পরীক্ষার জন্য যেতে পারো। এদিকে পাঞ্জাবের জালিওয়ানালাবাগ এ ইংরেজরা নৃশংস অত্যাচার শুরু করেছে যেটা দেখে সুভাষ এর যেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু পরে অনেক চিন্তা করে সুভাষ বিলেতে চলে যায়। এরপর সেখানে পরীক্ষা দিয়ে সবার মধ্যে চতুর্থ হয়ে পাশ করে যায় এবং চাকরিও পেয়ে যায়। এরপর সুভাষ চাকরি ছেড়ে দেয় দেশের মানুষের সেবা করবে তাই কারণ চাকরি করা মানে ইংরেজের গোলামী করা । তাই সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে চিত্তরঞ্জন বসুর সাথে দেখা করে। সুভাষ প্রথমে কলেজের প্রিন্সিপল হিসেবে যোগ দেয় এবং পরে জাতীয় সেচ্ছাসেবক বাহিনীর নেতা হয়ে যায় এবং নেতৃত্ব দিতে থাকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে। আর সবাই সুভাষ এর নেতৃত্বে রাস্তায় রাস্তায় মিছিল দিতে লাগে কিন্তু পুলিশ সবাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর একজন এসে সুভাষকে বলে যায় যে কালকে পুলিশ তোমাকে গ্রেফতার করবে। এরপর সকালে পুলিশ বাহিনী চলে আসে সুভাষের বাড়িতে গ্রেফতার করার জন্য এবং গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যায়।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
সুভাষ চন্দ্র মুভির এই গল্পে সুভাষ এর কিছু অংশ মাত্র তুলে ধরেছে। এই মুভিটি মূলত ইংরেজদের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিবাদী আন্দলন গড়ে তুলতে হয় কিভাবে দেশের মানুষের সেবা করতে হয় তার কিছুটা সুভাষের চরিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এখানে সুভাষ তার বাবার কথা রাখতে বিলেতে গিয়ে পড়ে পরীক্ষায় পাশ করে কিন্তু সে ইংরেজদের অধীনে কাজ করতে চায় না বলে কাজ ছেড়ে দেয় কারণ ভারতবর্ষের মানুষ হয়ে ইংরেজের অধীনে গোলামীর মতো কাজ করা তার কাছে একপ্রকার অপমানের মতো মনে হয়েছিল ফলে সে রাজনীতির পথ ধরে একজন শ্রেষ্ঠ দলনেতা হওয়ার পথে অগ্রসর হয়। এই মুভিটা আমার কাছে শেষ পর্যন্ত অনেক ভালো লেগেছে। তাই আপনারাও যদি এই মুভিটি শেষ পর্যন্ত দেখে বুঝতে পারেন তাহলে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৭/১০
✔মুভির লিঙ্ক:
মুভিটি দেখা হয়নি তবে মুভির রিভিউ পড়ে দেখার সাধ জাগলো।অনেক পুরনো মুভি ,আর এই পুরনো মুভি গুলোতে সুন্দর কাহিনী আর সুন্দর সব ক্যারেক্টার গুলো থাকে ,যা থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিতে পারি।ধন্যবাদ দাদা আপনার একটি সুন্দর মুভি রিভিউ ব্লগ শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গতকাল বাংলা মায়ের বীর সন্তান সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন ছিল।তারই মুভি অসম্ভব সুন্দর, আমি এটি দেখেছি।পুরো মুভি জুড়ে প্রতিবাদী চিত্ৰ ও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দৃঢ় বাণী প্রচার করেছেন এই বীর সন্তান।যা আজীবন স্মরণ রাখবে মানুষ।শেষটা স্পর্শকাতর ছিল।সুন্দর রিভিউ করেছেন, আপনার মুভি রিভিউ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
১৯৬৬ সালে নির্মিত মুভিটি ! অনেক পুরনো হলেও কাহিনী পড়ে মনে হচ্ছিল খুবই সামাজিক এবং তথ্যবহুল । আপনার সুভাষচন্দ্র মুভি রিভিউ পড়ে পুরো কাহিনীর অনেকটা বুঝে ফেললাম । সুভাষের ইংরেজদের প্রতি যে প্রতিবাদি মনোভাব সেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । সুভাষ চন্দ্রের উপর নির্মিত মুভিটি সত্যিই খুব সুন্দর ছিল দাদা । ধন্যবাদ আপনাকে দাদা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার মুভি রিভিউ পোস্ট আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মুভি কাহিনী উপস্থাপন করেন। তবে আমি এই মুভি টি দেখিনি ,কিন্তু পড়ে অনেক ভালো লাগলো আর সুবাষ চন্দ্র সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি মাঝ অব্দি দেখেছি কিন্তু পুরোটা দেখা হয়নি। বিদুৎ চলে গিয়েছিল। দারুন একটি মুভি। অনেক কিছু শেখার আছে ইতিহাস থেকে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি দারুণ ভাবে বাংলা মুভি সুভাষ চন্দ্র এর উপর একটি রিভিউ পোস্ট তৈরী করেছেন। সত্যি কথা বলতে এই মুভি রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তার ছেলেবেলা ও তার জীবনের বিভিন্ন কাটানো মুহূর্তগুলো জানতে পারলাম। তিনি একজন দেশ প্রেমিক এবং দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। একটি মুভিতে তো আর সবকিছুই তুলে ধরা সম্ভব নয়। হয়তো তার জীবনের আরো বাকি কর্মগুলো এখনো অজানাই রয়ে গেল। তবে আমি একটি কথাই বলতে চাই এই মুভি রিভিউ এর মাধ্যমে আপনি সুন্দরভাবে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। আমি অবশ্যই এই মুভিটি দেখব। এই মুভি দেখার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে পারবে। দেশপ্রেমের প্রতি তাদের আরও আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আমরা সবাই একটি কথাই বলতে চাই আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি। যে যার অবস্থান থেকে নিজের দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি এবং দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করার চেষ্টা করি। পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মুভি রিভিউ পোস্ট তৈরী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুভাষচন্দ্র মুভির উপর আপনি যে রিভিউ পোস্ট করেছেন সেটি অসাধারণ ছিল দাদা। আমি এই মুভিটি একবার দেখেছিলাম। সত্যি কথা বলতে আপনি খুব নিখুঁতভাবে এই মুভির প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনীর উপর তৈরি করা এই মুভি আমাদের মাঝে দেশপ্রেমের শিক্ষা প্রদান করে। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমের প্রতি আগ্রহী হওয়ার জন্য এই মুভিটি খুবই জরুরী। আসলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা উচিত এবং নিজের দেশকে ভালোবাসা উচিত। এই মুভিটি দেখার মাধ্যমে অনেকেই নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করবে এবং পুরনো সেই ইতিহাস গুলো জানতে পারবে। ইংরেজদের কবলে দেশের মানুস গুলো কতটা অত্যাচারিত হয়েছিল এবং এই অত্যাচারের হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পেয়েছে প্রতিটি বিষয়ে তারা জানতে পারবে। আমার মনে হয় যুগ যুগ ধরে এই মুভিটি সকলের কাছেই জনপ্রিয় থাকবে। অনেক শিক্ষনীয় একটি মুভির রিভিউ পোস্ট তৈরী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit