টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - কন্ট্রাইলস( একাদশ পর্ব -সিজন ১)

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির একাদশ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বটির নাম হলো "কন্ট্রাইলস"। আগের পর্বে আমরা দেখেছিলাম যে শার্লি মেয়েটাকে যেসব টেরোরিস্টরা ট্রাপে ফেলে রেখেছিলো তারা মরিয়ার্টি নামক অফিসারটিকে কিডন্যাপ করে নেয়। আজকের এই পর্বটিতে দেখা যাক কতদূর কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
কন্ট্রাইলস
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( একাদশ পর্ব -সিজন ১ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

প্রথমে প্লেনের উড়ন্ত অবস্থায় দেখা যায় যে দুইজন পাইলট অফিসার ওই দুর্ঘটনার সময় প্লেনটিকে কন্ট্রোলে আনার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু তারা দুইজন প্লেনটিকে ওই মুহূর্তে আরো উচ্চতায় তোলার চেষ্টা করছিলো কিন্তু পারছিলো না, মনে হচ্ছিলো একটা হোল এর মধ্যে কেউ আকর্ষিত করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এই দুই অফিসারের মধ্যে ফ্রাঙ্ক নামক একজন অফিসার এখন এদের মতোই বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে, সবাই তাকে দোষারোপ করছে যে প্লেনটিকে সাড়ে ৫ বছর তারাই গায়েব করে রেখেছিলো যেহেতু তারা প্লেন চালাচ্ছিল। এমনকি প্রথম দিকে প্লেনটি যখন ল্যান্ড করেছিল তখন ড্যারিল অফিসারটি তাকেই জেরা করেছিল এবং তাকেই সন্দেহ করেছিল যে প্লেনটির এতদিন গায়েব থাকার পিছনে তাদেরই হাত। যাইহোক এখন এদিকে জোশ তো এথেনার সাথে একটু পারিবারিক সমস্যার কারণে বাড়িতে আর থাকেনা, ফলে তার ছেলে জ্যাককে স্কুল থেকে বাড়িতে দিয়ে যায় এবং তার বোনের বাড়িতে গিয়ে আবারো সেইসব প্যাসেঞ্জারের লিস্ট নিয়ে বসে। এরপর ফ্রাঙ্ক জোশ এর কাছে ফোন করে ডাকে তার ওখানে এবং তাকে সাহায্য করতে বলে কারণ সবাই তাকে দোষারোপ করছে এই কারণে। এরপর জোশ সেখানে ফ্রাঙ্ক এর কাছে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ আর ফ্রাঙ্ক গাড়িতে করে বিষয়গুলো ডিসকাস করতে করতে এয়ারপোর্টে যায় এবং সেখানে ভিতরে ঢুকে সমস্ত প্যাসেঞ্জারের একটা রেকর্ডেড লিস্ট এর ফাইল জোশকে দেয়। এই ফাইলে সমস্ত কিছু ডিটেলস লেখা আছে যেটা তাদের কিছুটা হলেও হেল্পফুল হবে। যাইহোক তারা দুইজন পুনরায় প্লেন নিয়ে উড়ান দেয় এবং তারা সাহস নিয়ে উপরে গিয়ে দেখতে চাচ্ছিলো যে বিষয়টা কি ঘটেছিলো। কিছুক্ষন উপরে উড়ান দিয়ে কোনোকিছু না খুঁজে পেয়ে ফিরে আসে এবং সেখান থেকে তারা আবার অন্য একজনের বাড়িতে যায় কারণ ওই ফাইলে কিছু লোকের নাম পায় সেই বিষয়ে জানতে গিয়েছিলো আর কি। লোকটা প্রথমে বলতে চায় না কিন্তু পরে বিষয়গুলো বলে ঠিকই কিন্তু তেমন বেশি একটা ইনফরমেশন পায় না। মেলিসা অফিস থেকে ফেরার পথে জ্যাককে সাথে করে তার ওখানে নিয়ে আসে এবং সেই মুহূর্তে শার্লি নামক মেয়েটা সেখানে আবার চলে আসে আর সাহায্য চায় মেলিসার কাছে। শার্লি তাকে বাইরে কফি শোপে নিয়ে যেতে চায় কিন্তু মেলিসা না গিয়ে তাকে বাড়িতেই বলতে বলে কি সমস্যা। তারা দুইজন কথা বলছে তাদের সমস্যা নিয়ে কিন্তু জ্যাক সেখানে শার্লি মেয়েটার ছবি অঙ্কন করছে। এদিকে জোশ আর ফ্রাঙ্ক পুনরায় আবার প্লেনে উড়ান দিতে চায় এবং ট্রাই করতে লাগে সমস্যাটা খোঁজার।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

ফ্রাঙ্ক এইবার উড়ান দিয়ে সেই ডার্ক লাইটিং এর দেখা পায় যেটা প্রথমে হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ করে সিস্টেম শাটডাউন হয়ে যায় ফলে তার চেষ্টাটাও বৃথা হয়ে যায়। ফ্রাঙ্ক মূলত এই নিয়ে ছয়বার ট্রাই করেছে এবং এইবারের চেষ্টায় সফলতার ধারে অব্দি গিয়েই ফেইল হয়ে যায়। ফ্রাঙ্ক এই ৮২৮ ফ্লাইটে সবকিছু হারিয়েছে ফলে সে অনবরত এইটার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাচ্ছে। ফ্রাঙ্ক এই নিয়ে তার ঘরে অনেক কিছু রিসার্চ করেছে এবং তার ল্যাপটপেও এই ডার্ক লাইটিং এর একটা ম্যাপও তৈরি করা আছে যেটার মাধ্যমে লাস্ট ৬ বার ট্রাই করেছে। এদিকে শার্লি মেয়েটিকেও আবার ট্রাপে রেখেছে সেই টেরোরিস্টগুলো, তারা তাকে মেলিসার ঘরে পাঠায় ইনফরমেশন নিতে ফলে সে যখন যার কাছে ফোন করছে আবার কোনো ফাইল দেখলে সেইটার দিকে নজর রাখছে। প্রথমে জোশ আর ফ্রাঙ্ক যে লোকটার কাছে গিয়েছিলো সে হঠাৎ করে এক্সিডেন্ট করে মারা যায়। ফ্রাঙ্ক এদিকে আবার ফিওনার বাড়িতে চলে যায় এবং ফিওনা তাকে চেনে আর ঘরের ভিতরে ঢুকতে দিয়েছিলো কিন্তু ফ্রাঙ্ক চালাকি করে বেহুশের ঔষধ তার নাকে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে আর সে বেহুশ হয়ে গেলে তাকে নিয়ে এয়ারপোর্টের লাইনে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরে ফিওনাকে নিয়ে সে উড়ান দিতে চায় এবং এই খবরটা জোশ আর মেলিসা তার বাড়িতে গিয়েই বুঝতে পেরেছিলো যে ফ্রাঙ্ক কি করতে চলেছে। ফ্রাঙ্ক মনে করেছিল ফিওনা হচ্ছে মিসিং হওয়ার পিছনে লিঙ্ক একটা অর্থাৎ প্যাসেঞ্জার মিসিং হওয়ার পিছনে তার হাত আছে। জোশ আর মেলিসা দ্রুত এয়ারপোর্ট যায় কিন্তু তাদের ঢুকতে দিতে চায় না গার্ড, পরে যখন বলে বিষয়টা তখন যেতে দেয় আর ফ্রাঙ্ক এতদিন এসে এসে প্লেন নিয়ে এইগুলো করছে সেটা কেউ নজরেই রাখেনি,পরে জানতে পারলে সবাই তাকে আটকাতে যায় কিন্তু সে অলরেডি প্লেন স্টার্ট দিয়ে ফেলে এবং উড়বার জন্য তৈরি হয়ে যায় আর সে মোটেই থামাতে রাজি হয়নি। সে ফিওনাকে নিয়ে অনেক উচ্চতায় চলে যায় এবং তাকে রুখতে যুদ্ধ বিমান নিয়ে আরো দুইজনকে পিছনে পাঠায়। ফিওনার কাছে সবকিছু ক্লিয়ারলি সত্যি বিষয়টা জানতে চায় কিন্তু সে সবকিছু বার বার জানিনা বললেও ফ্রাঙ্ক বিশ্বাস করতে চায় না। অবশেষে তারা ডার্ক লাইট এর কাছে পৌঁছায় এবং প্রোটোকল খুলে যায় সেখানে একটা আর ফ্রাঙ্ক ফিওনাকে নিয়ে সেই প্রোটোকল এর ভিতরে চলে যায় আর বলে আবার ২০২৪ সালে দেখা হবে মানে তারা আবার মিসিং হয়ে যায় সেখান থেকে আর সেখান থেকে পুনরায় ফিরে আসতেও অনেক বছর সময় লেগে যায়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এখানে কাহিনীটা পুরো পাইলট অফিসার ফ্রাঙ্ককে নিয়েই হলো। প্লেনের একটা নির্দিষ্ট সীমা রেখা আছে আবার নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ারও একটা সীমা আছে যেটা কন্ট্রোলারদের সিস্টেমে দেখায়। ঐসময় তাদের প্লেনটিও একটা ট্রাপের মধ্যে বা সীমানা বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রটোকলের বা যেটাকে আমরা সহজ ভাষায় বলি টাইম ট্রাভেল। যেমন একটা সময়ের থেকে অন্য আরেকটি সময়ে পৌঁছানো যায়। এটাও কাহিনীটি ঠিক তাই ঘটেছে এই পর্বে। অনেক সময় আমরা দেখি যে মেশিনের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেল করতে আবার আছে না থর মুভিতে যে প্রটোকলের মাধ্যমে অন্য দুনিয়ায় চলে আসে। অনেক সময় এলিয়েনদেরও ভুলবশত চলে আসতে দেখা যায় প্রটোকল খুলে গেলে আর ডার্ক লাইট এর মতো লাইট আসে সেই প্রটোকল থেকে। এটাও ঠিক সেই কাহিনী ঘটেছে। এখন এখানে ফ্রাঙ্ক তো ইচ্ছা করেই ফিওনাকে নিয়ে চলে গেছে। আর এটার সন্ধান ফ্রাঙ্ক বাড়িতে বসে বসে অনেক কিছু রিসার্চ করেই খুঁজে পায় প্রটোকল যেটাতে সে যেতে চায়। এখন সে যে গিয়েছে সে ফিরে আসলেই তবেই জানা যাবে যে সে কি করতেই প্রটোকলের ভিতরে প্রবেশ করলো প্লেন নিয়ে। এদিকে শার্লি মেয়েটা লুকিয়ে লুকিয়ে মেলিসার বাড়িতে ডুব্লিকেট চাবি নিয়ে ঢোকে আর তখন বাড়িতে কেউই ছিল না। তো মেলিসা যখন কথা বলতে বলতে একটা ফাইল বের করেছিল ও সেইটা আলমারি থেকে খুঁজে বের করে বেশ কিছু পেজ এর ছবি ফটাফট তুলে নেয় এবং জ্যাক তার যে ডায়রিতে বিভিন্ন ছবি এঁকেছিল সেখানে কারো একটা ছবি দেখতে পায় এবং সেটা ছিড়ে নিয়ে চলে যায়। মেলিসা আর জোশ বাড়িতে আসার পরে কিছু বুঝতে পারে যে এখানে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। ফলে জোশ বাড়িতে এথেনাকে ফোন করে কিন্তু সে ফোনের ধারে না থাকায় ফোন ধরতে পারিনি কিন্তু উপরে গিয়েও সে যখন জ্যাককে খুঁজতে লাগে তখন জ্যাককে আর খুঁজে পায় না এবং পাশের খিরকি খোলা পায়।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৭/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দেখতে দেখতে টিভি সিরিজের অনেকগুলো পর্ব পেরিয়ে গেল। জানিনা আর কয়টি পর্ব বাকি আছে। তবে এক একটি পর্ব যেন নতুন করে সাজানো। মনে হচ্ছে যেন নতুন গল্পের চরিত্রগুলো এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। যতই পড়ছি ততই গল্পের মাঝে ভিন্নতা খুঁজে পাচ্ছি। একজন পাইলটকে ঘিরে এবারের পর্বটি সাজানো হয়েছে। প্লেনের পাইলট ফ্রাঙ্ক খুবই দক্ষ একজন মানুষ। গল্পের মাঝে এবার অনেকটা ভিন্নতা খুঁজে পেয়েছি দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে এই পর্বটি শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আজকের পর্বে বেশ চমক ছিল।শার্লি মেয়েটা সত্যিই ভয়াবহ,তাছাড়া ফ্রাঙ্ক নামক অফিসারটি নতুন কোথা থেকে উদয় হলো?জ্যাক আবার কোথায় গায়েব হয়ে গেল? সবকিছু যেন ঘুলিয়ে যাচ্ছে।সিরিজটা এতটাই বড় যে মনে রাখা বেশ কঠিন,প্লেনটিকে সাড়ে ৫ বছর গায়েব করে রাখা মুখের কথা নয় আমার মনে হয় যারা এই কাজটি করেছিলেন তারা বেশ চতুর।খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা,ভালো লাগছে পর্বগুলি পড়তে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

বরাবরের মতো দাদা আজও টিভি সিরিজের পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হয়ে গেলেন। কাহিনীটা দেখতে পাচ্ছি পুরোটাই পাইলট অফিসার ফ্রাঙ্ক কে নিয়ে হলো।আর এটা আমরা কিন্তু সবাই জানি যে প্লেনের একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে। কারন কোন কিছুই উদ্দিষ্ট সীমারেখার গণ্ডির বাইরে যেতে পারে না।এদিকে দেখা যাচ্ছে প্রাঙ্ক বাড়িতে বসে বসেই কিছু রিচার্জ করে ফেলে প্রটোকল যেটাতে করে যেতে চাচ্ছে।অন্যদিকে সারলি মেয়েটার লুকিয়ে লুকিয়ে মেলিসার বাড়িতে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে ঢুকে আর তখন বাড়িতে কেউ ছিলই না। আর মেলিসা এবং জোশ বাড়িতে আসার পরে কিছুটা বুঝতে পারে যে এখানে কোন না কোন সমস্যা হয়েছে। যাইহোক দাদা ইন্টারেস্টিং বেড়েই চলেছে।

দাদা আজকে ওয়েব সিরিজটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আজকে এই ওয়েবসাইট আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আজকে পুরো মূলত প্লেনের পাইলটকে নিয়ে। প্লেটের পাইলট ফ্রাঙ্ক খু্বই দক্ষতা সম্পন্ন। আসলে প্লেনের টাইম টেবিল আছে।আর টাইমটেবিল অতিক্রম করা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট টাইম পর নির্দিষ্ট টাইমের চলে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে আজকের কাহিনীটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা বরাবরের মতো আজকের পর্বটা শেয়ার করার জন্য।

কন্ট্রাইলস পর্বটা বেশ ভালোই 👌
একজন পাইলট ফ্রাঙ্ককে নিয়ে পুরোটা ঘটেছে এই পর্বে। টাইম ট্রাভেল বিষয়টি আমার কাছেও ভালোই লাগে। অনেক গল্পে পড়েছি এর মাধ্যমে অনেক এলিয়েন মাঝে মাঝেই পৃথিবীতে চলে আসে, যাক বিমানটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আবার এদিকে শার্লি মেলিসার বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকে বেশ কিছু তথ্যের ছবি এবং একটি পেজ ছিঁড়ে নিয়ে যায়। এদিকে মেলিসা আর জশ বাড়িতে ঢুকেই বুঝতে পারে কোন একটা গন্ডগোল হয়েছে বাসায়। তাই তারা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এদিকে জ্যাক কোথাও চলে যায়।

দারুন ছিল দাদা 👌

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

ম্যানিফেস্ট কন্ট্রাইলস ওয়েব সিরিজটি এখনো আমার দেখা হয়নি। তবে আপনি অনেক চমৎকার ভাবে প্রত্যেকটির ডিটেলস অনুযায়ী রিভিউ করেছেন। যা সত্যিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে দাদার টাইম ট্রাভেলের বিষয়গুলো এখনো আমি ঠিকভাবে হজম করতে পারিনি।।

আজকের পর্বে আবার পাইলটের ফ্রাঙ্ক এর কাহিনী যোগ হল। পাইলট ও তাদের মত সমস্যায় ভুগছে। ঐদিকে শার্লি মেয়েটা আবার নতুন কি ফন্দি নিয়ে হাজির হয়েছে কে জানে। পাইলট এবং জোশ প্লেনে উড়ে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে কি? আকাশে কি আর তথ্য রয়েছে? ফ্রাঙ্ক প্রটোকলের বিষয়ে রিসার্চ করে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে ফিওনাকে নিয়ে আবার সেই প্রটোকলের ভিতরে চলে যায় যেখান থেকে ফিরতে কয়েকবছর লেগে যাবে। এতে কি লাভ হল? জোশ আর মেলিসা আর একটু আগে আসলে হয়ত তাদেরকে আটকাতে পারতো। আজকের পর্বটা ভালো ছিল। তাছাড়া আজকের পর্ব জটিল ও ছিল না। ভালো লেগেছে আজকে।

দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজ রিভিউ এর এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকবার অপেক্ষায় থাকি কখন আপনি টিভি সিরিজের পরবর্তী পর্ব শেয়ার করেন। তাই আজকে নতুন একটি পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বিভিন্ন চরিত্রের মাঝে আজ নতুন একটি চরিত্র খুঁজে পেলাম সেটা হল পাইলট অফিসার ফ্রাঙ্ক। এই নতুন চরিত্রটি গল্পের অনেকটা কাহিনী জুড়ে রয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয় এবং কোন নতুন চমক অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। দাদা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে টিভি সিরিজের এই পর্বটি তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️