ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ৪ )

in hive-129948 •  4 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "cought off guard". গত পর্বে শেষ দেখা গিয়েছিলো যে, আজগর নবী নামের একজনকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনে পৃথ্বীর হাতে তুলে দেয়। এখন এর পরে তাকে নিয়ে কি করতে চাইছে সেটা দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
হোস্টেজেস
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
cought off guard
পরিচালকের নাম
শচীন কৃষণ
অভিনয়
রনিত রায়, মালহার রাঠোড়, সূর্য শর্মা, টিসকা চোপড়া, অনাংশ বিশ্বাস, দালিপ তাহিল, শচীন খুরানা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩১ মে ২০১৯( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৫ মিনিট ( চতুর্থ পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া

✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত ওই আজগর নবী একজন আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা সন্ত্রাসী হিসেবে হলেও সে আবার পৃথ্বীর খুবই পরিচিত মনে হলো। কারণ ভিতরে যাওয়ার পরে তার সাথে যেভাবে গলায় জড়িয়ে কথা বললো তাতে মনে হলো তার সাথে খুব ভালো একটা চেনা পরিচয় আছে। এখন আসলে তাকে যে জন্য সেখানে ডেকে এনেছে, সেটা হলো তাকে হেল্প করার জন্য অর্থাৎ এই অপারেশন এর বিষয়ে। এখন পরে যেটা মনে হলো, পেশায় আবার একটু ডাক্তারি ভাবটাও আছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর যে অপারেশনটা হবে সেটাতে সে সাহায্য করে। কিন্তু ওখানে আসলে পরিবেশটা তেমন ভালো না অপারেশন এর জন্য। কারণ ওখানে এতো ধুল, বালি পড়ে আছে যে অপারেশন এর জন্য খুবই রিস্ক। মোটামুটি সে সবটাই তাকে টুকটাক খুলে বলে আর বিষয়টা সিক্রেট রাখতেই বলে বিশ্বাস করে। এখন ভিতরে আরো একটা সমস্যা হয়েছে যে, ওখানে একজনকে আগেই মেরে রেখেছিলো এখন সেটা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আর সেটাও অপারেশন এর জন্য রিস্ক।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এখন মধ্যে কথা অপারেশন করতে গেলে তাদের সবকিছুই সরাতে হবে। এখন ওই মার্ডারের পাশে একটা আংটি পায় পৃথ্বীর শালা আর সে আংটিটা ছিল তার বাবার। এখন বিষয়টা সে বুঝে ফেলে যে, তার বাবার খুন ওই সুপ্রিমনে নামের লোকটা করেছিল। আর এটা বোঝার পরে সে উতলা হয়ে যায় তাকে মারার জন্য, কিন্তু পৃথ্বী মানা করে। কারণ এখানে এখন কোনো ঝামেলা হলে অপারেশন এর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কিন্তু সে তাও শুনলো না। কিন্তু ওখানে বাইরে যেসব অফিসার আছে এবং পৃথ্বীর বন্ধুও, তারাতো পৃথ্বীকে ফোন করেই যাচ্ছে, কিন্তু অপরাধী হয়ে সেই তো বসে আছে, ফলে এইটা যখন জানবে, ভীষণ একটা ঝটকা লাগবে আসলে সবারই। বাইরে আবার দিশাই নামের একজনকে খুন করে ফেলে, কারণ এরা তো আসলে বিভিন্ন ধান্দার সাথে জড়িয়ে থাকে, ফলে নিজেরাই নিজেদের কন্ট্রাক্ট এর ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা করলে মেরে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

আর এইসব খুনের আবার ইনভেস্টিগেশনও চলছে। এখন বাইরে থেকে ফোর্সদের যত জানালা বা যেসব ফাঁকা জায়গা দেখতে পাচ্ছে, সবাইকেই রেজার লাইট দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ভিতরে কিছু দেখা যায় কিনা। এখন এই পৃথ্বীর শালা যে, বন্দুক হাতে নিয়ে সুপ্রিমনে নামের লোকটাকে গুলি করতে যাচ্ছে, সেটা দেখে ফেলে আর এদিক থেকেও তারা ফায়ারিং করে। তারপর ওদিকে ওর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অজ্ঞান করার ইনজেকশনও দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পৃথ্বী এখন বাইরে একটা লাশ ফেলে দিয়ে দেয় দরজা খুলে আর এটা তাদের ভুলের কারণেই হলো বলে জানায়। আসলে তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়েছিল যে, বাইরে থেকে যদি কোনোরকম কোনো গুলি চলে, তাহলে তার দায় তাদের নিতে হবে। যদিও ওই লাশটা অনেক আগের, সেটাই দিয়ে দেয়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

মূলত এই পর্বে অপারেশন এর বিষয়টা কেবল শুরু হয়েছে। কিন্তু এখানে গন্ডগোলটা বেশি পাকিয়ে গিয়েছে। এখন এখানে বাইরে পুলিশ অফিসার + সাংবাদিক আয়েশার চিন্তায় একটা জিনিস এসেছে যে, এতো মাস্টারমাইন্ড বুদ্ধি তো কোনো সাধারণ ক্রিমিনালের মধ্যে আসবে না। তাহলে এটা নিশ্চই কোনো ট্রেনিং প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের মধ্যে কারো প্ল্যান হবে। কারণ এইরকম প্ল্যান একমাত্র পুলিশের মাথায় আসতে পারে। সন্দেহটা করেছে এখন ফাইন্ড আউট বা সন্দেহ কারো দিকে করেনি। কিন্তু এই যে পৃথ্বীর ফোন নিয়মিত বন্ধ পাচ্ছে, এতে তাদের মনের মধ্যে একটা সন্দেহ তৈরি হতে পারে যে, পৃথ্বী এইসবের মধ্যে নেইতো! তবে এটা তাদের ডিপার্টমেন্ট এর মধ্যে কারো না এলেও আয়শার মনে সন্দেহ উৎপন্ন হতে পারে। এখন পরে এই বিষয়টা কতদূর যায়, সেটা দেখলে বোঝা যাবে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৮/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের অনেকগুলো পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে একটা সিজন শেষ হয়ে আরেকটা সিজনের চারটা পর্ব শেষ। আমার কাছে দ্বিতীয় সিজনের চতুর্থতম পর্ব টাও অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু এই পর্বে তো দেখলাম অপারেশন মাত্র শুরু হলো। গন্ডগোলের বিষয়টা দেখছি বেশি পাকিয়ে গিয়েছে। যেহেতু পৃথ্বীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তাই সন্দেহ তাকেও করতে পারে। নিয়মিত বন্ধ পাওয়ার বিষয়টা কিন্তু সন্দেহজনক। তাদের ডিপার্টমেন্টের আয়শার মনে অবশ্যই এই সন্দেহটা আসবে। আর এটা খুব তাড়াতাড়ি আমরা বুঝতে পারবো। তবে এখন এটা দেখতে হবে যে এই বিষয়গুলো শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে। আশা করছি সব কিছু আরো ভালোভাবে ক্লিয়ার হবো পরবর্তী পর্বে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

পৃথ্বী তাহলে শেষ পর্যন্ত আজগর নবীকে তাদের কাছে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং অপারেশন শুরু করার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছে। পৃথ্বী আসলেই স্মার্ট। তবে পুলিশ অফিসার ও সাংবাদিক আয়েশা মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি জেনে যাবে যে, পৃথ্বী সব প্ল্যান করেছে এবং পৃথ্বী তখন ঝামেলায় পড়ে যাবে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। এই ওয়েব সিরিজটা বেশ জমে উঠেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।