হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের প্রথম পর্ব রিভিউ দেব। সিজন ১ শেষে দেখা যায় জেলে থাকা সেই লোকটা মাহাকে আলফ্রেড নামের একজন এর কাছে পাঠায় তার বাবার খোঁজ পাওয়ার জন্য। এই সিজনে দেখবো কি হয়। এই সিজনের প্রথম পর্বের নাম হলো "দ্যা বার্থ"।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
তো মাহাকে আলফ্রেড নামের যে লোকটার সাথে দেখা করার জন্য চার্জে পাঠায়, তার সাথে গিয়ে দেখা করে। এখন সেখানে দেখা করার পর তাকে তার অফিস কক্ষে যেতে বলে, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে যে কিছু হিস্টোরি সম্বন্ধিত বই আর তাতে ওই জেলে থাকা লোকটার ছবি। এইটা দেখে মাহার তো একপ্রকার হুশ উড়ে যায় যে, একটা কিভাবে সম্ভব একদম হুবহু। এরপর আলফ্রেড সেখানে আসলে তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে সে হলো ডেভিড আর তার বন্ধু। আর সে একজন প্রকৃত অর্থে লেখক। এই বিষয়গুলো শোনার পরে তো তার আরো হুশ উড়ে যায়, মানে সে কিছুই বুঝতে পারছে না কোথার থেকে কি হচ্ছে। সে যদি লেখক হয়ে থাকে তাহলে জেলে কি করছে! এটাও একটা বড়ো প্রশ্ন তার সামনে।
এখন এই বিষয়গুলো আলফ্রেড তার কাছে খুলে বলার জন্য প্রস্তুত হয়, কারণ ওই ডেভিডই তাকে এখানে এইজন্য পাঠিয়েছে যাতে সে সবকিছু জানতে পারে। আসলে ডেভিড এর প্লানের একটা অংশ তারা সবাই, সেখানে এই মাহাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। কারণ ডেভিডের মনে হয়েছে সেও তাদেরই মতো একজন। আর এইসব আড়াইশো বছর এর কথাবার্তা সবকিছুই ভুয়া ছিল সেটাও আলফ্রেড তাকে বলে। যদিও এইসব কথা মাহাও বিশ্বাস করেনি, আর এই ডেভিড ওই বন্ধ থাকা জেলে কিভাবে ঢুকলো সেটাও তাকে জানায়। আসলে ওই জেলের ভিতরে একটা জায়গায় সুড়ঙ্গ মতো ছিল আর সেটাকেই সে ব্যবহার করে ঢুকেছে। সে আসলে ওখানে কি জন্য অভিনয় করছে সেটা এখনো অব্দি ক্লিয়ার বোঝা যায়নি, তবে এইসব কিছুই ডেভিড এর প্ল্যান মাফিক চলছে। আর এখানে মাহা যে তার বাবাকে খোঁজার জন্য আলফ্রেডকে বলে, তার আগে থেকেই তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে, কিন্তু সেই বিষয়ে মাহা অবগত আছে।
এরপর মাহা সেখানে এইসব কথাবার্তা একপ্রকার অযৌক্তিক মনে করে রেগে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে,কিন্তু ওইসময় তাদেরই টিমের একজন মহিলা সেখানে এসে একটা উইল দেখায় এবং সেটাতে লেখা আছে তার মা সমস্ত সম্পত্তি তাকে আর তার বাবার নামে লিখে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানে আরো একটা ঝামেলা বাধে, কারণ মাহা তার বাবার নাম জানে এক আর সেখানে উইল-এ দেখে আরেক নাম। কিন্তু যেটা লেখা আছে সেটাই আসল বলে তারা বলে। এইসব দেখে মাহা মহা কনফিউশানে পড়ে যায়। এরপর এদিকে জেলের ভিতরে ডেভিড একজনের সাথে পরামর্শ আর প্ল্যান তৈরি করতে থাকে আর সেখান থেকে বেরোনোর জন্য অর্থাৎ তালা খোলার জিনিসও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলো, কিন্তু সেগুলো আবার তারা কেড়ে নেয়, ফলে এখন আবার সেখানে কারো মাধ্যমে কোনো তার জাতীয় খুঁজতে পাঠায় যাতে সে মাঝে মাঝে সেখান থেকে বেরোতে পারে। আসলে এগুলোতো তার নিজেরই সাজানো প্ল্যান, ফলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বিষয়গুলো সে করতে পারবে।
মূলত এই পর্বে এই বার্থ এর বিষয়ে যেটা বোঝা গেলো, ১৯৭২ সালে এক চার্জে এই একটা শিশুর জন্ম হয়েছিল আর যতদূর মনে হলো সেটা এই ডেভিড। আর তার মাও এখনো বন্দি এইরকম একটা আভাস আলফ্রেড মাহাকে দেয়। আর একটা বিষয় যেটা বোঝা গিয়েছে যে, মূলত এই জেলে একজন যে মহিলা প্রবেশ করেছিল সেটা এই ডেভিড এর টিমের একজন। কারণ সেই মহিলাই মাহার সাথে দেখা করে। আর এই মোস্তাকের পিছনেই একপ্রকার স্পাই হিসেবে কাজ করেছে। আর প্রথম দিকে একজন যে পুলিশ অফিসার বাইকে এক্সিডেন্ট করেছিল, সেটা মূলত ডেভিডের একজন লোকই করিয়েছিলো, কারণ সেই অফিসার ডেভিডের গায়ে হাত তুলেছিল। আর এখন তার জন্য তাকে ভয় পায় সবাই আর জেলের কয়েদীগুলোও ক্ষেপে রয়েছে তার গায়ে হাত দিলেই ঝামেলা তৈরি করে দেবে জেলের ভিতরে। যাইহোক,এই মাহা আলফ্রেড এর কাছে সবকিছু শোনার পরে জেলার মোস্তাকের সাথে দেখা করতে যায় বাড়িতে। এরপর কি হয় সেটা পরের পর্বে বোঝা যাবে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৮.৭/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা বরাবরের মতো এই পর্বের রিভিউ পড়েও ভীষণ ভালো লাগলো। ধীরে ধীরে রহস্যের উদঘাটন হচ্ছে তাহলে। তাহলে জেলে থাকে সেই লোকটার নাম হচ্ছে ডেভিড। এই লোকটার বয়স তো তাহলে ততোটা বেশি না। তাহলে চঞ্চল চৌধুরী অর্থাৎ ডেভিড জেলের মধ্যে ঢুকেছে সুড়ঙ্গের মতো একটি জায়গা দিয়ে। আলফ্রেড এর কাছে গিয়ে তো অনেক তথ্য পেয়েছে মাহা। তবে ডেভিড আসলেই খুব চালাক। সে সবকিছুর সেটিং এমনভাবে দিয়েছে যে,কেউ কিছু বুঝতে না পারে। এমনকি জেলের কয়েদীরা তো তার একেবারে অন্ধ ভক্ত। তাকে কিছু করলে কয়েদীরা একেবারে ক্ষেপে যাবে। মূলত ডেভিডের কারণেই জেলের মধ্যে এতো ধরনের ঘটনা ঘটেছে বা ঘটছে। দেখা যাক মাহা মোস্তাকের সাথে দেখা করে সবকিছু বলার পর কি হয়। পরবর্তী পর্বে অনেক কিছু জানা যাবে তাহলে। যাইহোক এই পর্বের রিভিউও চমৎকার ভাবে দিয়েছেন দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন ২ এর প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে, আমার কাছে এই রিভিউ পোস্ট পড়তে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দাদা দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "দ্যা বার্থ"। আর আপনি সুন্দর করে পুরো কাহিনীটাকে তুলে ধরেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। দাদা এখানে তো দেখছি ১৯৭২ সালের যে শিশুর জন্ম হয়েছিল সেই ছেলেটা হচ্ছে ডেভিড। আর তার মাও বন্দি রয়েছে এরকম আভাস দিয়েছিল মাকে। আর ওই মহিলাটিও দেখছি ডেভিডের টিমের লোক ছিল যে কিনা এখানে ঢুকেছিল। সত্যি দাদা এখন আসতেছে সবকিছু সামনে বেরিয়ে আসতেছে। অফিসার ডেভিড এর গায়ে হাত তুলেছিল বলেই ওনাকে এক্সিডেন্ট করানো হয়েছে বিষয়টা এখন ক্লিয়ার হলাম। এখন জেলার মোস্তাকের সাথে দেখা করার পর কি হবে এটাই তো আমি ভাবতেছি শুধু। আলফ্রেড এর কাছ থেকে মহা সব কিছুই শুনেছে দেখলাম। এখন মোস্তাকের সাথে বাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছে, দেখা যাক এরপরে কি হতে চলেছে। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা, এই ওয়েব সিরিজের সিজন 2 এর দ্বিতীয় পর্ব পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কারাগার পার্ট - 2 আমি অনেক আগেই দেখেছি। এখানে ডেভিড এবং আলফ্রেড মাহাকে তাদের প্রয়োজনে একটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে। কারণ কারাগার থেকে যোগাযোগের জন্য তাদের মাহা কে প্রয়োজন। এবং ঠিক ঐ কারণেই দিয়া ঐ উইলটা খুজে বের করেছে। সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit