উৎসবের মাঝে দুর্ঘটনায় তিনটি প্রাণ ঝরে গেলো

in hive-129948 •  last month 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। বর্তমানে এখন সব জায়গায় দুর্ঘটনার প্রবণতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। এই বছর পুজোর শুরুতেই ৩ জনের তাজা প্রাণ চলে গেলো। কেউ নিজের দোষে গিয়েছে তো আবার কেউ গাড়ি দিয়ে মেরে চলে গিয়েছে। যদিও এখন পুজোর সময়ে বেশিরভাগই বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালায়, কারণ এই পুজোর সময়ে পুলিশ বলে না কোথাও। হেলমেট না থাকলেও কিছু বলে না আবার ওভার স্পিডে গাড়ি চালালেও কিছু বলে না। এক্ষেত্রে একটা ছাড় রয়েছে, তবে এটাকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু পাবলিক আছে যে, লাগামহীন ভাবে চলাফেরা করে। ষষ্ঠী-সপ্তমী দুইদিনে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে দেখলাম। আর মাঝ রাতের দিকে আসলে রাস্তা একটু ফাঁকাই থাকে, ফলে গাড়ি চালানোর সময়ে হুশ থাকে না কারো আর তাও যদি মদ খেয়ে চালায়, তাহলে তো হয়েছেই।

এই যেমন মাঝ রাতে হাইওয়েতে দুইজন বাইক আরোহীর যাওয়ার সময়ে কথার থেকে এক বেপরোয়া লড়ি চালক এসে মেরে দিয়ে চলে গিয়েছে তাদের। এতে করে আসলে বাঁচার আসা আর থাকে না, কারণ একটা চলন্ত বাইকে যদি আরেকটা ওই বড়ো লড়ি এসে ধাক্কা মারে, তাহলে কোথায় ছিটকে যেতে পারে সেটা বোঝাই যায়। যদিও ওখানে ডিউটি প্রাপ্ত পুলিশ বা লোকাল লোকজন নিয়ে গিয়েছিলো হসপিটালে, কিন্তু আসলে শেষ রক্ষাটা আর হয়নি, নিয়ে যেতেই লেট্ হয়ে যায়। কারণ তাকে দেখেই নাকি সেখান থেকে জানিয়ে দেয় যে, সে কিছুক্ষন আগেই মারা গিয়েছে। অকালে প্রাণটা গেলো লোকটার, বয়স আবার তেমন একটা বেশিই না। এদিকে আবার আরেকটা ঘটনা ঘটেছিলো বাইক এক্সিডেন্টকে ঘিরে, মদ খেয়ে চালাচ্ছিল না প্রতিযোগিতা করছিলো তার ঠিক নেই। তবে স্পিড ছিল নাকি অতিরিক্ত।

শেষে ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পেরে রাস্তার পাশে এক রডের গায়ে মেরে দেয়। তবে মনে হয় মদ খেয়েই চালাচ্ছিল, কারণ পুজোর সময়ে ওই রাতে বেশিরভাগই মদ খেয়ে চালায়। কারণ তাছাড়া আর অপশন নেই, ভিড়ের মধ্যে আর প্রতিযোগিতা কোথায় দেবে! তবে পুলিশগুলো আসলে আন্দাজে ঢিল মারার মতো কথা বলে সবসময় কোনো তথ্য না খুঁজে পেলে। এই দুইজনের মধ্যে একটা মারা যায় আর আরেকজনের অবস্থাও নাকি খারাপ, বাঁচবে কিনা ঠিক নেই। বর্তমানে বাইক আর লড়ি এই দুইটার এক্সিডেন্ট অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে আসলে। আর বাইক এক্সিডেন্ট বেশিই করে, কারণ কিছু কিছু বেপরোয়া ছেলেপিলে আছে, যাদের স্পিডের কোনো ধারণা থাকে না, যেন রাস্তায় উঠলেই কি একটা চালাচ্ছে এইরকম মনে হবে।

এরা না মানে কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল আর না মানে কোনো নিয়মকানুন। এদের জন্য সাধারণ মানুষও বিপাকে পড়ে যায়, কারণ এরা যে স্পিডে চালায়, তাতে সামনে হঠাৎ কোনো সাধারণ মানুষ বা কোনো ভবঘুরের মতো লোক বা পাগল এইরকম কেউ চলে আসলে সেটাও মরবে আর নিজেও মরবে। এই করে করে ঘটনাগুলো বেশি উৎপন্ন হচ্ছে মাঝে মাঝে। এইরকম ঘটনাও ঘটেছে এখানে, যেখানে একজন পথচারীকে মেরে চলে গিয়েছিলো। এখন আসলে এদের ধরা একটা মুশকিল বিষয়, কারণ রাতে কে কথার থেকে মেরে চলে যায়, বোঝা যায় না, তবে যদি সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকে তাহলে পরে সেটা বের করা যায়। যদি পুলিশ সেভাবে তৎপরতা নেয় ঘটনাটাকে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এ ধরনের ঘটনা আমাদের এখানে ও হর হামেশা হয়ে থাকে।এদের জীবনের মায়া নেই বললেই চলে।নয়তো বাইক নিয়ে নিয়মকানুন না মেনে রাস্তা- ঘাটে চলা মারাত্মক ঝুঁকি ই বটে।দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে আসলে খারাপই লাগলো।বড় উৎসব অথচ এই সময়ে মানুষ গুলো পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো।খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

এই যেমন মাঝ রাতে হাইওয়েতে দুইজন বাইক আরোহীর যাওয়ার সময়ে কথার থেকে এক বেপরোয়া লড়ি চালক এসে মেরে দিয়ে চলে গিয়েছে তাদের।

এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো দাদা। বাইক এক্সিডেন্ট খুবই মারাত্মক। আর বেশিরভাগ লড়ি চালক গুলো অনেক সময় মদ খেয়ে মাঝরাতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। তাই তারা ট্রাফিক নিয়মকানুন একেবারেই মানে না। আশা করি পুলিশ তাদেরকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এরকম মৃত্যু মেনে নেওয়া সত্যি অনেক কষ্টের। আসলে উৎসবের সময়গুলোতে মানুষের বেপরোয়া চলাফেরা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবাইকে সতর্কভাবে চলাফেরা করা উচিত। আর দুর্ঘটনা ঘটার আগে সাবধানে চলাফেরা করা উচিত।

এগুলো খুব বাজে একটা ব‍্যাপার দাদা। বিশেষ করে এইসব বেপরোয়া ছেলেদের কাছে গাড়ি দেয় কে এটাই আমার প্রশ্ন। আমাদের দেশেও ঈদের সময়ে পুলিশ কিছু বলে না। ঐসময় দূর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। অধিকাংশ সময় ফলাফল দাঁড়ায় মৃত্যু।

সত্যিই এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তাছাড়া বাইক দুর্ঘটনা আজকাল অহরহ শোনা যায়। এতে কখনো কখনো বাইক আরোহীদেরও দোষ বা অসচেতনতা দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাক ড্রাইভারদের নেশাগ্রস্ত হয়ে ট্রাক চালানোর ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। পুলিশ প্রশাসন যদি এই বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নেয় তাহলে হয়তো অ্যাক্সিডেন্ট কিছুটা কম হবে।