হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "গ্যাটক্র্যাশের"। গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো যে, মীরার হসপিটালে আলী নামের একজন ডাক্তার এই ষড়যন্ত্রের বিষয়টা জেনে ফেলে আর এইটা নিয়ে মোটামুটি মিরা একটা সমাধানে আসে। এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
এই পর্বে দেখা যায় যে, আসলে এসপি পৃথ্বী এই যে সমস্ত কিছুর একটা প্ল্যান করেছিল সেটার একটা নির্দিষ্ট স্থানও আছে। তবে এই ঘটনা মূলত তার বাবাও জানতো। একদিন তার বাবা হঠাৎ ফোন করে তাকে বলে যে যেখানে মূলত তাদের এই প্ল্যান-পরিকল্পনা করা ছিল, সেখানে ড্রাগ এর সূত্রপাতে পুলিশ রাতে রেট করবে। এখন তারা সাধারণত কন্টেইনার এর মধ্যে এই প্লানটা করে, যাতে সহজে বিষয়টা কেউ টের না পায়। এখন সেখানে সমস্ত প্রমাণগুলো লোপাট করার জন্য পৃথ্বী প্ল্যান করে সেখানে রাতের দিকে যায়, আর ওখানে মেইন গেটের সিকিউরিটি গার্ড মূলত একপ্রকার ঘুমাতেই থাকে, তাই মাঝে মাঝে বাইরের কে আসলো না আসলো জানেই না। কিন্তু ওখানে মেইন গেটে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে। তবে ওখানে অন্ধকারে যদি কেউ মুখোশ বা ক্যাপ এর আড়ালে থাকে, তাহলে ধরতেও পারবে না যতক্ষণ না খতিয়ে দেখা হবে । এখন যাইহোক, সে লুকিয়ে লুকিয়ে সেই কন্টেইনারের মধ্যে প্রবেশ করে আর ওখানে এই মীরার পরিবারের ছবি সহ পুরো একটা ম্যাপের মতো ছক সাজানো ছিল।
এখন পৃথ্বীর হাতে একটাই অপসন ছিল যে, এইগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা, তাই সে কেরাসিন ঢেলে দিয়ে পুরো কন্টেইনারটিকেই আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে ওই রাতে পুলিশের রেট ঠিকই পড়ে, আর ড্রাগ এর ছানবিন করতে গিয়ে এই কন্টেইনারে যায় এবং পরে আগুন নিভিয়ে সেখানে আধা পড়া যা যা ডকুমেন্টস বা অন্যান্য যা কিছু ছিল, সবই নিয়ে আসে অফিসে। এরপর ওখানে তারা সিসি ক্যামেরায় মাথায় ক্যাপ সহ পৃথ্বীকে দেখতে পায়, কিন্তু তাদের কাছে সে অপরিচিত, তাই খতিয়ে তার বিষয়ে বের করতে বলে। আর বাকি যেসব কাগজ আধা পড়া ছিল, তার মধ্যে থেকে মীরার একটা খন্ড করা আধা পড়া ছবি পায় আর সেটাকে জোড়া লাগিয়ে মীরার চিত্র হুবহু ফুটে ওঠে।
আর তাকে চিনতেও পারে, কারণ সিটি হসপিটালের এতো বড়ো ডাক্তার, জেক সবাই চেনে। এদিকে মিরা আর তার হাসব্যান্ড প্ল্যান করতে থাকে তাদের ছেলেমেয়েকে সেখান থেকে কিভাবে বের করে দূরে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সেটা একপ্রকার তাদের নজরের থেকে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে মীরার বড়ো মেয়ের বয়ফ্রেন্ড এসে ডাকাডাকি করতে থাকে, সে আবার একজন মিলিটারি অফিসার। এখন সে আসলে একটা সন্দেহ মতো করে আর সে লুকিয়ে অন্য সাইড দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আর সেই সাইকো মতো একটাকে ধরে সবার সামনে নিয়ে আসে, কিন্তু সাইকোর পাগলামির জন্য গোলাগুলি চললে মীরার হাসব্যান্ড এর বুকে গিয়ে লাগে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই পর্বে শুধু একটাই ঘটনা ঘটেছে যে, মীরার বড়ো মেয়ে চালাকি করে তার বয়ফ্রেন্ডকে মেসেজ দিয়ে দেয়। কিন্তু সেটা অন্য বিষয়ে আসতে বলে। এখন এখানে তাদের ছোট ছেলে হলো আরো বেশি চালাক, সে রুমের ভিতর থেকে একটি ফোন সেরে তার কাছে রাখে। কারণ তাদের সমস্ত ফোন তাদের কাছে জমা রাখা। সেই হিসেবে তারা পুলিশের সাথে মোটামুটি যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে লাগে, কিন্তু কোনোমতে পেরে ওঠে না। এর মধ্যে তার বয়ফ্রেন্ড চলে আর সে যে মিলিটারি এইটা বলার পরে একটু ভয়ভীতি কাজ করে তাদের মধ্যে। এখন তাদের কাজই তো কোনকিছুতে সন্দেহ করা, মীরার মেয়ের সাথে কথা বলে তার কাছে মনে হয় যে সবকিছু স্বাভাবিক নেই ঘরে। তাই সে নিজের মতো করে পরীক্ষা করার জন্য ঘরে প্রবেশ করে উপরের দিক থেকে আর তারপর এই ঘটনা ঘটে। এখন গুলি লাগার পরে কি হলো সেটা পরে দেখা যাবে। আর এদিকে পুলিশ যে নথি পেয়েছে সেটা নিয়ে কি করবে দেখা যাক পরে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৭/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরার বড় মেয়ে তার মিলিটারি বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে আসাতে ভালোই হয়েছে। কারণ যেহেতু সে একজন মিলিটারি, সেহেতু মীরার পরিবারকে যদি এই ঝামেলা থেকে মুক্ত করতে পারে। তবে গোলাগুলির কারণে মীরার হাসবেন্ডের বুকে গিয়ে গুলি লাগে, এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। দেখা যাক মীরার হাসবেন্ড সুস্থ হয় কিনা। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit