ধস

in hive-129948 •  4 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


copyright free image source: pixabay

আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। বিষয়টা আসলে বর্তমানে প্রাকৃতিক সমস্যা নিয়ে। আসলে এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে নানা ক্ষয়ক্ষতি আর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে, কিন্তু আসলে সরকার এই ক্ষেত্রে বলতে গেলে হাত গুটিয়ে বসে থাকে, আগে থেকে তাদের কোনো সতর্কতা অবলম্বন থাকে না বা ইচ্ছা করেই করে না। এই যেমন একটা ঘটনা দেখছিলাম আমাদের রাজ্যে না, কেরলের দিকে। আসলে বর্তমানে আমাদের এই কলকাতার দিকে বা পশ্চিমবঙ্গের থেকে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টিপাত বা বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে এইসব রাজ্যের দিকে। করলে আসলে তুলনামূলকের চেয়ে বেশিই বৃষ্টিপাত হয়েছে যেটা দেখছিলাম, কিন্তু ওখানে অনেক বড়ো ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে এর ফলে।

কারণ ওখানে একই দিনে অনেকগুলো গ্রাম ধসে গিয়েছে। ভূমিধস যে কতবড়ো একটা বিপদ সেটা না দেখলে বোঝা যাবে না, আসলে আমরা তো এইসব টিভিতে বা মোবাইলে আজকাল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওর মাধ্যমে দেখে থাকি, কিন্তু আসলে বাস্তবে যেখানে হয় সেখানে মানুষজনের দুরবস্থা কেমন হয় সেটা তারাই বুঝতে পারে। এর ফলে আসলে অনেক ঘরবাড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে সেখানে। তবে এই পূর্বাভাস নাকি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দিয়েছিলো, কিন্তু তারা নাকি সেটাকে উপেক্ষা করেছিল। আসলে এটা সেখানকার রাজ্যের মন্ত্রীদের বক্তব্য। আসলে কোথায় আছে, 'যত দোষ নন্দ ঘোষ', ব্যাপারটা হয়েছে তাই, কোনোকিছু হলেই দোষ কেন্দ্রীয় সরকারের কাঁধে দিয়ে দেয়।

বর্তমানে এখন যেসব জায়গায় আসলে অতিরিক্ত পরিমানে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সেইসব জায়গায় ধস, বন্যা লাগাতার লেগেই আছে। তবে এইটা অনেক মর্মান্তিক ছিল যা বুঝলাম, কারণ একই দিনে ৪ টা গ্রাম, আর এইসব ধস তো বেশিরভাগই গ্রামের দিকে নদীর সাইটে হয়ে থাকে। এইসব উপকূলে বসবাসরত মানুষের অনেক সমস্যা বর্ষাকালে আসলে। আর আজকাল আসলে প্রকৃতির অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে যে, আবহাওয়ার কোনো সঠিক তথ্যও মাঝে মাঝে মেলে না। বলে একটা আর হয় আরেকটা। তবে ঘটনা যা ঘটার ঘটে গিয়েছে, এখন সেনাবাহিনীর এক্ষেত্রে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করছে, দিন-রাত এক করে সমস্ত উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।

এতে তো নিশ্চিত অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং প্রচুর আহতও হয়েছে, কারণ ধস মানে একদম সব গুড়িয়ে দিয়েছে। তবে জলের স্রোতে একপ্রকার যারা এপার-ওপার আটকা পড়েছে, তাদের জন্য হাতে হাত রেখে একটা ভালো সেতুর মতো তৈরি করে সবাইকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছে অনেক যত্নশীলভাবে। তবে যেসব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো, তার ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই হয়ে গেলো। সব থেকে বড়ো বিষয় হলো এতগুলো মানুষের জীবন।

আসলে এগুলোতো বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় যে সংখ্যাটা কত, কিন্তু আসলে এর বাইরেও যে কত কিভাবে নিখোঁজ থাকে তার ইয়েত্তা থাকে না। তবে যদি সতর্কতা অবলম্বন করে অন্তত তাদের কোনো নিরাপদ স্থানে নিতে পারতো তাহলে অন্তত ঘরবাড়ির যা হয় হোক, কিন্তু মানুষের জীবনগুলো অন্তত রক্ষা পেতো বলে মনে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপরে আসলে কারো হাত নেই, এতে ক্ষয়ক্ষতি হবেই, কিন্তু বেশিটা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায় আগে থেকে যদি কোনো পরিকল্পিত পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ব‍্যাপার টা শুনে খুবই খারাপ লাগল দাদা। আসলেই ভূমিধস এর মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ গুলো জান মালের অনেক ক্ষতি করে থাকে। বিশেষ করে অসংখ্য মানুষ তাদের বাসস্থান হারায়। এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় এটা বেশি হয়ে থাকে। এইজন্য এর বিরুদ্ধে পূর্বেই ব‍‍্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

বিশেষ করে যখন বর্ষাকাল আসে তখন যারা পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করেন তাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। বিশেষ করে যারা পাহাড়ের নিচের এলাকায় এবং পাহাড়ের খুব নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করেন তাদের জন্য ঝুঁকি হয়। তবে আমাদের এখানে কক্সবাজারে যারা এই ধরনের বসবাস করে তাদেরকে প্রতি বছরই বর্ষাকাল আসলে মাইকিং করা হয় উচ্ছেদ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কার কথা কে শোনে। তবে প্রশাসন যদি জোরালোভাবে তাদেরকে নির্দেশ দেন তাহলে তারা বাধ্য। এই বছরে বেশ বৃষ্টি হওয়ার কারণে পাহাড় ধসে গিয়ে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এখানে এছাড়াও লোক মারা গেছে। এই ধরনের ঘটনা প্রতি বছরে হতে যাচ্ছে। এছাড়া ও যে সকল বিল্ডিং কিংবা স্থাপনায় ফাটল ধরেছে সেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এগুলো যদি সরকার খুব কঠোরভাবেই হস্তক্ষেপ করেন তাহলে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। বেশ খারাপ লাগলো আপনার বিস্তারিত লেখাগুলো পড়ে।

সম্পুর্ন পোস্ট পড়ে খারাপ ই লাগলো দাদা।আসলে অধিক বৃষ্টিপাত যেসব অঞ্চলে হয় সেখানেই ভূমিধস হতে দেখা যায়। তবে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব।আর এটা সত্যি খবরে মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানানো হয় তার চাইতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশীই হয়।আজকাল তো আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অনেক কিছুই জানা যায়। তবে সবাই সতর্ক না হলে ক্ষতির পরিমান কখনো ই কমবে না।

তবে এইটা অনেক মর্মান্তিক ছিল যা বুঝলাম, কারণ একই দিনে ৪ টা গ্রাম, আর এইসব ধস তো বেশিরভাগই গ্রামের দিকে নদীর সাইটে হয়ে থাকে।

ব্যাপারটা জেনে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো দাদা। সরকারের উচিত ছিলো সেসব গ্রামের মানুষদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা। মাঝেমধ্যে ভাবলে অবাক হয়ে যাই,প্রযুক্তি এতোটা উন্নত হলো,কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস কেনো সঠিকভাবে দিতে পারে না ভারত কিংবা বাংলাদেশে। অথচ জাপানে কি পরিমাণে ভূমিকম্প হয় সেটা আমরা সকলেই জানি। তবে তারা বেশিরভাগ সময়ই সঠিক পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হয়। দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকতে শীতকালে সবসময় ওয়েদার রিপোর্ট দেখে বের হতাম। কারণ সেখানে তো প্রচন্ড শীত। তো তাদের ওয়েদার রিপোর্ট একেবারে পারফেক্ট হয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।