ভালো একটা প্রতিযোগিতা সম্পন্ন ম্যাচ

in hive-129948 •  15 hours ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

DALL·E 2025-03-02 22.58.23 - A high-stakes cricket match between India and New Zealand in Dubai. The stadium is filled with fans waving Indian and New Zealand flags. An Indian bow.webp

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল নক আউট এর শেষ ম্যাচটি ছিল। ম্যাচটিতে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না অর্থাৎ এক টিম হেরে গেলে বাদ পড়ে যাবে। কারণ ভারত আর নিউজল্যান্ড দুই টিমই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এখানে হারা না হারার মধ্যে একটা বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা কার সাথে ম্যাচ পড়বে ভারতের। এইটা একটা বিষয় ছিল। আর সব থেকে একটা বিষয় হলো, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বে এখন নিউজল্যান্ড বেশ শক্ত একটা টিম, বিশেষ করে বোলিং এবং ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে। গতকাল দুবাইয়ে ভারতের সাথে নিউজল্যান্ড এর যে ম্যাচটি ছিল, সেটাও স্লোয়ার পিচে খেলা হয়েছে। ভারত এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটা টস জিততে পারলো না।

গতকালকের ম্যাচটিতেও টসে হেরে যায় আর নিউজল্যান্ড আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এখানে আগে ব্যাটিং করায় ভারতের একটা সুবিধা ছিল, কারণ এই পিচে ২৫০-২৮০ করতে পারলে একটা অ্যাডভান্সড লেভেলের রান হয়ে যাবে আর চেজ করা একটা মহা মুশকিলের পর্যায়ে চলে যাবে। তবে সত্যি বলতে কালকের ম্যাচটি মারাত্মক কনটেস্ট ছিল। ইন্ডিয়া আগে ব্যাট করতে নেমে মারাত্মক হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল, আমি তো ৩ উইকেট ঝপাঝপ পড়া দেখে ভেবেছিলাম, আজকে মনে হয় ডুবে গেলো। কারণ টপ অর্ডারের সব ব্যাটসম্যান ৬ ওভারের মধ্যে ২৭ রানে আউট হয়ে যায়। তবে রোহিত আর গিলের আউটটা স্বাভাবিক থাকলেও কোহলির আউট মোটেও স্বাভাবিক ছিল না।

যে জোরে মেরেছিলো আর যে ক্যাচটা ধরলো, তা খুবই ডেঞ্জারেস লেভেলের ছিল। এই ক্যাচ ধরা খুবই কঠিন, একদম ফ্লাইং ক্যাচ, তাও আবার ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ধরেছে। সেরা ক্যাচ ছিল। শুধু কোহলি না, প্রায় অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলো এই ক্যাচ দেখে, যে এটাও আসলে সম্ভব! কালকে নিউজল্যান্ড সব কয়টি ক্যাচই এক হাত দিয়ে ধরেছে, তাও বেশ কয়েকটি কঠিন ক্যাচ। ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় তো ভীষণ খারাপ ছিল, কারণ ২৪ ওভারেও ১০০ রান উঠছিলো না, সবাই ছিল ভীষণ টেনশনে, আমিতো ভাবছিলাম, কোনোমতে টেনেটুনে ২৩০ অব্দি নিয়ে যাক, তাতেই আটকে যাবে। শ্রেয়াস আর আক্সার যদি ওখানে পার্টনারশীপ বিল্ড না করতো, তাহলে খুবই মুশকিল ছিল রান করা। তবে শ্রেয়াস যে আউটটা হলো, তাতে তার ওই পজিশনে মারার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

পরে মোটামুটি সবাই মিলে টেনেটুনে ২৫০ করে ফেলে। এটা অনেক রান ছিল। আসলে এই পিচে রান করা অত্যন্ত কঠিন , বিশেষ করে স্পিনারের সামনে তো নয়। আর ভারতের ৪-৫ জন স্পিনার আছে, ফলে তাদের নামলে এই রানে আটকে দিতে পারবে নিঃসন্দেহে। নিউজল্যান্ড এর বোলিং লাইন আর ফিল্ডিং লাইন মারাত্মক হার্ড, কোনো ক্যাচ, কোনো ফিল্ডিং, কিছুই মিস করে না। বাউন্ডারিই বেরোতে দেয়নি ঠিকমতো। আর এমনিতেও প্রথম ১৫ ওভার পর্যন্ত তেমন কোনো বাউন্ডারি বের হয়নি, প্রচুর ডট বল খেয়েছে ওখানে।

তবে যাইহোক, এই আড়াইশো রানের তাড়া করতে নেমে নিউজল্যান্ড প্রথম দিকে হালকা একটু ভালো করতে লাগলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি, কারণ ভারতের বোলিং লাইনের কাছে একদম কুপোকাত। আর এমনিতেও এই ম্যাচে ৪০ ওভার পর্যন্ত ভারত স্পিনার দিয়ে বল করিয়েছে। ফলে সুবিধা করতে পারেনি, কারণ স্পিন বল খেলা মুশকিল খুব। উইলিয়ামসন অনেক্ষন টিকে ছিল যদিও, কিন্তু বাকিরা কেউ দাঁড়াতে পারেনি। বরুন চক্রবর্তী একটু ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে কম পারদর্শী হলেও তার স্পিন মারাত্মক। কারণ তার বলে একটা ভ্যারিয়েশন আছে।

আর সেটাই কাজে লেগে গেলো, বরুন প্রায় ৫-৬ টি উইকেট নিয়েছে। পুরো স্পিন দিয়ে রান আটকে দিয়েছিলো। কালকে নিউজল্যান্ড এর খেলা দেখে একটা বিষয় মনে হয়েছিল যে, তারা যেন ফাইনাল ম্যাচ খেলছে, একদম মারাত্মক সিরিয়াস নিয়ে বল আর ফিল্ডিং করেছে। বেশ ভালো একটা আকর্ষণীয় ম্যাচ ছিল। এইবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি পরশুদিন, দেখা যাক কি হয়। অস্ট্রেলিয়া কানা ঘষা করতে করতে লাস্টে এসে কি করে যেন উঠে যায়। এই ম্যাচে দুবাইয়ে কি করতে পারে দেখা যাবে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অভিনন্দন জানাচ্ছি টিম ইন্ডিয়াকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ী হওয়ার জন্য।শ্রেয়াস আর আক্সার এর পার্টনারশিপের জন্যই ভারত ২৫০ রান করে ফেলেছিলো। তবে এটা সত্য যে নিউজিল্যান্ডের বোলিং এবং ফিল্ডিং দুটোই হার্ড কোয়ালিটির। ভারত কিন্তু দারুন আইডিয়া নিয়ে মাঠে নেমেছিলো। চার স্পিনার দিয়ে ৪০ ওভার পর্যন্ত স্পিন বল করানো। বরুণ তো একাই পাঁচ ছয়টি উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মেরুদন্ডই ভেঙ্গে দিয়েছিলো। যাই হোক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হওয়া ম্যাচের জন্য অগ্রিম শুভকামনা জানাচ্ছি টিম ইন্ডিয়াকে।