টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস-সার্কোভস চিলড্রেন ( পর্ব ১ )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন টিভি সিরিজ 'দ্যা ইমপারফেক্টস' এর প্রথম পর্ব রিভিউ দেব। প্রথম পর্বের নাম হলো "সার্কোভস চিলড্রেন"। এটি মূলত রিসার্চ এর বিষয়ের উপর, যা কিছু সিনড্রোম তিনজন ব্যক্তির শরীরে থাকার কারণে তাদের টেস্ট করে এবং তার ফলে তাদের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় আর তার জন্য সায়েন্টিসদের দায়ী করে থাকে। আর তারা এই সমস্যার প্রতিকার করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। প্রথম পর্বে দেখবো কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


ꕥকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:ꕥ

সিরিজটির নাম
দ্যা ইমপারফেক্টস
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
সার্কোভস চিলড্রেন
পরিচালকের নাম
শেলি এরিকসেন এবং ডেনিস হিটন
অভিনয়
ইতালিয়া রিকি, মরগান টেলর ক্যাম্পবেল, ইনাকি গোডয়, রিয়ানা জগপাল, কাইরা জাগোরস্কি, রিস নিকলসন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
সময়
৪৩ মিনিট ( প্রথম পর্ব )
মূল ভাষা
ইংলিশ
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


ꕥমূল কাহিনী:ꕥ


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

সিরিজের প্রথমে দেখা যায় ইতালিয়া রিকি নামক একজন ডাক্তার একজন পুরুষের বডি কাটা ছেড়া করে যেমনটা ফরেনসিক রুমে করে থাকে। আর সেখানে ডক্টরের সাথে উপস্থিত ছিল রুইজ, আবি সিং, সেলিনা মার্টিন সহ আরো অনেকে। এরা আসলে একদিকে মানুষের মতো দেখতে আবার আদমখোর এর মতো হয়ে যায়। যে মানুষটিকে অপারেশন টেবিলে কাটাছেড়া করছিলো ওই লোকটিকে মেরেছে রুইজ নামে ওই ছেলেটি। হঠাৎ করে মানব শরীর থেকে আদমখোর এর রূপে চলে আসে আর লোকটির গলায় কামড় দিয়ে মেরে ফেলে। এই লোকটিকেও যদি তারা বডি কেটে না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো তাহলে এই লোকটিও এদের মতো আদমখোরে পরিণত হত, এইগুলো একটা ইনফেকশন এর মতো অর্থাৎ এটা একপ্রকার ভাইরাস এর মতো। তবে এইগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও একধরণের ঔষধ আছে যেটা তাদের প্রত্যেকের কাছে ডাক্তার দিয়ে রেখেছে। যাইহোক এরপর আবি সিং এর বায়োলজিস্ট রিসার্চ এর উপর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে একটা মেইল আসে যে তাকে ইন্টারভিউ এর জন্য সিলেক্ট করা হয়েছে। আর আবি সিং যদি এই ইন্টারভিউ থেকে পাস্ করে যায় তাহলে তার সরাসরি ইংল্যান্ডে রিসার্চ এর বিষয়ে চাঞ্জ হয়ে যাবে। আর এদিকে রুইজ ছেলেটি অদ্ভুত অদ্ভুত বিভিন্ন ধরণের কমিক্সস নিজে হাতে এঁকে, ডিজাইন করে একটা স্কুলে নিয়ে যায় প্রধান শিক্ষকের এর কাছে, আর রুইজ লুকিয়ে এই সমস্ত কমিক্স ওই স্কুলের প্রিন্টার মেশিন এবং কাগজ দিয়ে করেছে প্রায় ২০০০ এর মতো কমিক্সস। আর এইসব ফালতু কমিক্সস ছাড়তে দেবে না বলে জানিয়ে দেয় শিক্ষক কিন্তু রুইজ ওনাকে ১০% কমিশন দেওয়ার জন্য জানিয়ে দেয় আর লোভে পড়ে রাজি হয়ে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

এদিকে আবি সিং যেখানে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলো সেখানে জাস্টিসরা হঠাৎ তার প্রতি এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে, শুধু তারাই না, সবাই তার প্রতি এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে। এর একটা কারণ হলো সে যে ঔষধ খেত সেই ঔষধ খাওয়ার পরে একটা ঘ্রান তার নিশ্বাসের মাধ্যমে বের হয়ে যার যার নিঃশ্বাসের সাথে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করছে তাদেরই ব্যবহার এইরকম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পরোক্ষনে আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে যখন তাদের কাছের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। আবার টিল্ডা নামক একজন পপ রক ছিল কিন্তু তারও হঠাৎ করে শারীরিক কিছু সমস্যা হতে শুরু করে গান গাইতে গাইতে। কোনো কিছুর সামান্য সাউন্ড যেন তার কাছে এতটাই উচ্চ স্বরে লাগছে যে সে সহ্যই করতে পারছিলো না। এদিকে রুইজ এর বাড়িতে একটা পার্টি হয় এবং সেখানে বিভিন্ন আর্ট এর প্রফেসররাও আসে। তবে রাতে পার্টির মুহূর্তে রুইজ এর শারীরিক পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায় অর্থাৎ সে মানব থেকে আদমখোর হয়ে যায় আর কোনো একজনকে মেরে ফেলে আর সে সকালে উঠে দেখে সে বাইরে একটা জঙ্গল মতো জায়গায় পড়ে আছে আর তার মুখে রক্তে লাল হয়ে আছে। সে ঘরে আসতেই ডার্সি তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে কিন্তু সে তাকে না বুঝতে দিয়েই ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হয়। সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিল না তাই তার বাড়ির সিসি ক্যামেরাতে দেখে যে সে কি করেছে।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

এরপর রুইজ, টিল্ডা, আবি সবাই ক্লিনিকে যায় ডাক্তার ইতালিয়া রিকির কাছে ঔষধ নিতে কারণ তাদের ঔষধ শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু রিকি ক্লিনিক এ ছিল না কিন্তু তার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাক্তার নিকলসন ছিল, তবে সে আবার সায়েন্টিস্ট ডাক্তার। তবে সে তাদের সবাইকে ডেকে ব্লাড পরীক্ষা করার কথা বলে আর প্রয়োজন হলে ঔষধ চেঞ্জ করার কথা বলে। সায়েন্টিস্ট নিকলসন ওদের ব্লাড কালেকশন করে এবং যার যার যে যে সমস্যা সেই সমস্যা অনুযায়ী ঔষধ দিয়ে দেয়। টিল্ডা এর আসলে হাইপারকিউসেস এর সমস্যা হয়েছে বলে জানায় যার ফলে ছোট থেকে ছোট শব্দও তার কাছে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো যেন এইরকম তার কাছে অনুভব হচ্ছে। নিকলসনের দেওয়া ঔষধ খাওয়ার পরেও তার শরীরে তেমন কোনো কার্যকারিতা দেখা দেয় না, এদিকে আবি এবং রুইজ এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। রুইজ ঠিক পরেরদিনও একইভাবে দেখে যে সে রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গলের মতো জায়গায় পড়ে আছে আর তার পাশে একটা বিশ্রী অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। তাদের এই ঔষধ খেয়ে কোনো কাজে আসছে না বলে আবার তারা দেখা করে এবং একসাথে ক্লিনিকে চলে যায় কথা বলার জন্য। এরপর সেখানে যাওয়ার পরে ডাক্তার ইতালিয়া রিকির সাথে দেখা হয় কিন্তু সেখানে নিকলসন ছিল না, অর্থাৎ সে সকাল থেকে বেপাত্তা। তাদের তিনজনের ধারণা যে ফেক ঔষধ তাদের দিয়েছে যার ফলে এই সমস্যাগুলো তাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে।


স্ক্রিনশর্ট: নেটফ্লিক্স

ইতালিয়া রিকি তাদের কথা শুনে একটু অবাক হয় কারণ এই ক্লিনিক এ কাজ বহুদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। নিকলসন আর রিকি যখন এই ক্লিনিকে কাজ করতো তখন একটা রিসার্চ এর বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয় আর রিকি এই ক্লিনিক ছেড়ে চলে যায়। তবে তাদের তিনজনকে প্রথমে যে ঔষধ দিয়েছিলো সেটা নিকলসন আর রিকি দুইজন মিলেই তৈরি করেছিল। তবে তাদের তিনজনকে গোপন রেখে তাদের উপর রিসার্চ করেছিল তাদের সেল এর থেকে AGDA নামক একধরণের সংক্রামক এর চিকিৎসার জন্য ডোজ বানানোর জন্য এবং সেটা বানিয়েছেও বলে জানায়। এরপর তারা মানুষ কিনা সেটা জানায় কিন্তু রিকি বলে টেকনিক্যালি হ্যা আবার টেকনিক্যালি না। তবে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হতে পারে বলে জানায় তাই ট্রাই করে দেখতে চায়। আর তাদের উপর রিসার্চ করেছিল যাতে তাদের খারাপ জিনগুলো ভালো হয়, কারণ তাদের শরীরে যে জীন ছিল সেটা তাদের পরিবারের কারোর থেকে পাইনি। আর তাদের যে ঔষধগুলো দিয়েছিলো সেটা তাদের সাইড ইফেক্ট প্রিভেন্ট করার জন্য, ওটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য না তাই জানায়।


ꕥব্যক্তিগত মতামত:ꕥ

সিরিজের এই পর্বে দেখা গেলো যে আসলে তিনজন ব্যক্তি এমন তিনটি ভিন্ন ধরণের জিনের অধিকারী যেটা তাদের শারীরিক অবস্থাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তিনজন তিনধরণের সমস্যায় ভুগছে যার মধ্যে একজন আদমখোর মানে নেকড়ে হয়ে যাচ্ছে, অন্যজন হাইপারকিউসেস এর সমস্যায় ভুগছে, তবে এই সমস্যায় সে আবার এটা শুনতে পায় যদি কেউ অনেক দূরে থাকা অবস্থায় কোনদিকে আসছে। আর অন্যজন এর সমস্যা হলো তার প্রতি যেকোনো কেউ অর্থাৎ পুরুষ বা মহিলা যে কেউ এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ে, মানে এমন একটা ঘ্রান বের হয় যেটা তার প্রতি আকৃষ্ট হতে বাধ্য করে দেয়। তো এইসব সমস্যার থেকে তাদের বাঁচার জন্য তাদের মেডিসিনও প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথমে যে ব্যক্তিকে কাটাছেড়া করছিলো সে আসলে ম্যাক্স লয়েড জোনস নাম একজন ব্যক্তি ছিলেন। যখন রিকি এবং এরা তিনজন সেই মেডিসিন নিয়ে ক্লিনিক থেকে বের হচ্ছিলো তখন এই ব্যক্তিটি গিয়ে এই মেডিসিন নেওয়ার জন্য হামলা করে। এরপর রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলে। এরপর তার বডি কেটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলো, কিন্তু তার বডি কেটে ফেলার পরেও বেঁচে ওঠে।


ꕥব্যক্তিগত রেটিং:ꕥ
৭.৬/১০


ꕥট্রেইলার লিঙ্ক:ꕥ


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দ্যা ইমপারফেক্টস-সার্কোভস চিলড্রেন সিরিজের প্রথম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আর এই পর্বটি অনেক ভয়ানকও ছিল আসলে তিনজন ব্যক্তি তাদের ভিন্ন ধরণের জিনের অধিকারী।আর যেটা বোঝা যায় তাদের শারীরিক অবস্থাকে পরিবর্তন জন্য ।তারা তিনজন তিনধরণের সমস্যায় ভুগছে ছিলো। যার মধ্যে একজন ভয়ানক নেকড়ে হয়ে যায়। অন্যজন হাইপারকিউসেস এর সমস্যা দেখা দিলো। আর অন্যজন এর সমস্যা হলো পুরুষ বা মহিলা যে কেউ এট্রাক্টিভ হয়ে পরে।একটা ঘ্রান বের হয় যেটা প্রতি আকৃষ্ট হতে বাধ্য করে ।এই বিষয়গুলো খুবই আকর্ষণীয় এবং রহস্যময় যার কারণে এই সিরিজটির সবাই দেখতে চায়। আপনার রিভিউ পগে খুবই ভালো লেগেছে। তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আজকের রিভিউটা পরে একদম ভয় পেয়ে গেলাম। আসলে পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কতটা ভয়ংকর ছিল। বিশেষ করে রুইজ যখন আদমখোরে পরিণত হয় আর হামলা করে এটা শুনে খুবই ভয় পেলাম। তার সাথে আবার একটা বিষয়ে অবাক হয়ে গেলাম যে, যে লোকটিকে কাটা ছেঁড়া করছিল ওই লোকটি আবার বেঁচে গিয়েছে। বড়ি কেটে ফেলার পরও বেঁচে যাই এই বিষয়টা অনেক ভয়ংকর লেগেছে। তারপরে তিনজন তিনটি আলাদা আলাদা জিনের অধিকারী। বিশেষ করে তারা তিনজন মানব রূপ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। মূলত ম্যাক্স লয়েড জোনস নামক ব্যক্তিটি ওদের কাছ থেকে মেডিসিন নেওয়ার জন্য হামলা করে এই জন্যই তার উপরে হামলা করেছিল। এ পর্বটা পড়ে অনেক ধরনের বিষয় জানতে পারলাম। নিশ্চয়ই পরের পর্বে আরো আকর্ষণীয় কিছু অপেক্ষা করছে।

"সার্কোভস চিলড্রেন" এর এই পর্ব টা দেখছি অনেক বেশি ভয়ংকর। বিশেষ করে রুইজ, টিল্ডা, আবি এরা তিনজন দেখছি এদের শরীর তিনটা ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়। বিশেষ করে রুইজের নেকড়ে রূপ নেওয়ার বিষয়টা ভীষণ ভয়ঙ্কর লেগেছে। আর টিল্ডা তো দেখছি ছোট ছোট শব্দ শুনলেও কানের পর্দা ফেটে। এছাড়াও আবি সিং এর প্রতি দেখছি যে কেউ এটাকটিভ হয়ে পড়ে। এদের তিনজনের আলাদা আলাদা সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আবার মেডিসিন ও প্রয়োগ করছে। কিন্তু ওষুধেও তো কোন কাজ হচ্ছিল না। এইজন্য তারা আবার যখন ডাক্তারের কাছে দেখা করতে গেলো তখন তো দেখছি আবার নিকলসন ব্যাপারটা হয়ে গেল। এদিকে যে লোকটাকে কেটে ফেলেছে সে আবার জীবিত হয়ে গেল। পুরোটাই ভয়ংকর ছিল। তবে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দ্যা ইমপারফেক্টস-সার্কোভস চিলড্রেন টিভি সিরিজটির ট্রেইলার দেখেছিলাম আমি। কিন্তু আসলে এরকম ওয়েব সিরিজ গুলো আমার দেখা হয় না। বিশেষ করে ভয়ংকর কিছু থাকলে আমার খুবই ভয় লাগে। এখন তো দেখছি আপনি একদম ভয়ংকর কাহিনীর ওয়েব সিরিজ রিভিউ দিয়েছেন। বিশেষ করে একটা মানুষকে কেটে ফেলা আবার সেই মানুষটা কিনা জীবিত হয়ে যায়। আবার একটা মানুষ মানে রুইজ দেখছি নেকড়ের রূপ নেয়। আর মানুষের উপরে আক্রমণ করে। অন্যদিকে অপর দুইজনও দেখছি ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন হয়। এই বিষয়গুলো অনেকটাই ভয়ংকর লেগেছে। আবার এই সমস্যা গুলোর জন্য ওরা মেডিসিন ও নিয়েছে। কিন্তু মেডিসিন গুলো মনে হয় ঠিক ছিল না। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই অন্য কিছু দেখতে পাবো।

আপনার আজকের ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্ব দেখে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে ।আবার ভয়ও পেয়েছি আমার কাছে এ ধরনের ভয়ংকর ওয়েব সিরিজ দেখতে ভয় লাগে। এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাচ্ছে তিনজন ব্যক্তি তিন ধরনের শক্তির অধিকারী। প্রথমে ইতালির একজন ডাক্তার একটি লোকের বডি কাটে এটি শুনেই ভয় পেয়ে গেছি। আরেকজন লোকের শরীর থেকে এমন একটি ঘ্রাণ বের হয় যে যেকোনো মহিলা আকর্ষণ হতে বাধ্য। এটি আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না কিসের এমন ঘ্রাণ বের হয়। সবশেষে রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

'দ্যা ইমপারফেক্টস' টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি সিরিজ নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন দাদা। যদিও ইংলিশ মুভি কিংবা টিভি সিরিজ খুব একটা দেখা হয় না। তবে এর প্লট গুলো দারুন হয়। এই টিভি সিরিজের মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনজন মানুষ ভয়ংকর চরিত্রের অধিকারী। হয়তো তাদের শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। জিনগত পার্থক্যের কারণে হয়তো এমনটা হয়। তারা তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে একেবারেই আলাদা। একজন নেকড়ে হয়ে যাচ্ছে আর অন্যজন হাইপারকিউসেস এর সমস্যায় ভুগছে ভাবতে অবাক লাগছে দাদা। তবে একজন মানুষকে কাঁটা ছেড়া করার পর আবারও জীবিত হয়ে ওঠে সেটা ভাবতেই অবাক লাগছে দাদা। ভিন্ন ধরনের এই টিভি সিরিজটির রিভিউ পড়তে ভালো লেগেছে দাদা। অনেকটাই ভিন্ন ধরনের একটি গল্প। নতুন কিছু পড়তে ভালো লাগে। পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

দাদা এবার কি ভয়ংকর সিরিজ শুরু করলেন।এই ধরনের ভয়ংকর জিনিস দেখতে আমার একটু ভয় লাগে। যাই হোক তারপরও মনে হচ্ছে সিরিজটি বেশ আকর্ষণীয় হবে।কয় পর্ব এই সিরিজের?
এই তিনজনের মধ্যে তিন ধরনের জিন আছে। কিন্তু সব থেকে খারাপ জিন মনে হলো আমার কাছে রুইজের। কারণ বাকিদের দ্বারা অন্যদের তেমন একটা ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু রুইজ এর মধ্যে যে জিন আছে তা ফলে সে নেকড়ের রূপ রূপ ধারণ করে রীতিমতো মানুষজনকে মেরে ফেলছে। আবার ঔষুধেও তাদের তেমন কাজ হচ্ছেনা। আবি সিং এর মধ্যে যেই জিন আছে সেটি ভালো লেগেছে। অন্যান্য লোকজন তার প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে। সবশেষে গিয়ে এমন জায়গায় শেষ হল শুনে গা শিউরে উঠেছে। কাটাছেঁড়া করার পরও মৃত লোকটি জীবিত হয়ে উঠেছে। যাই হোক মনে হচ্ছে সিরিজটি বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ দাদা নতুন সুন্দর একটি সিরিজের রিভিউ শুরু করার জন্য।

কয় পর্ব এই সিরিজের?

বেশি না, মাত্র ১০ পর্বের।

দাদা,এটা তো বেশ ভয়ংকর সিরিজ মনে হচ্ছে।প্রথমেই কাটা ছেড়া দিয়েই শুরু, পড়ে আমার শরীর শিউরে উঠছে।আচ্ছা দাদা,ছেলেটির ঔষুধের ঘ্রানে যারা এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ছিল তারাও কি পরে এই রোগে আক্রান্ত হবে?আমি ভাবছিলাম তারা নেকড়ে হয়ে যাবে কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত মতামত পড়ে বুঝতে পারলাম।রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে আবার ওর বন্ধুদের না মেরে ফেলে তারপর মেরে ফেলা মানুষ কিভাবে বেঁচে উঠেছে এটাই রহস্যের মতো লাগলো।খুবই ভয়াবহ সিরিজ এটা ,সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।দাদা রুদ্রবীনার অভিশাপ আর কয়টি পর্ব আছে?

  ·  2 years ago (edited)

আচ্ছা দাদা,ছেলেটির ঔষুধের ঘ্রানে যারা এট্রাক্টিভ হয়ে পড়ছিল তারাও কি পরে এই রোগে আক্রান্ত হবে?

ছেলেটি না, মেয়েটির মেডিসিন থেকে যাচ্ছিলো। তবে এই সমস্যাটা সোয়াছে না, এটা একধরণের সাইড ইফেক্ট।

দাদা রুদ্রবীনার অভিশাপ আর কয়টি পর্ব আছে

এটা তো কবেই শেষ হয়ে গেছে

ও আচ্ছা,ধন্যবাদ দাদা😊.

দাদা আমাদের সাথে কঠিন একটি টিভি সিরিজের রিভিউ শুরু করলেন। সিরিজের প্রথম পর্বটি পড়েই একটু ভয় ভয় লাগছে কারণ এখানে একজন মানুষ খেকো নেকড়ে হয়ে যাচ্ছে। তিনজনের মধ্যে দুই জনের ভূমিকাটা তেমন ভয়ঙ্কর না হলেও যে মানুষ খেকো নেকড়ে হয়ে যাচ্ছে তার ভূমিকাটা অনেক কঠিন। শুরুতেই একজনকে খেয়ে ফেললো। রিসার্চ ভিত্তিক মুভি গুলো এমনই হয়ে থাকে। যায়হোক দাদা প্রতিটি পর্বেই আপনার সাথে থাকার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ দাদা।