হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কেরালা ক্রাইম ফাইলস' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ফাইন্ডিংস"। গত পর্বে তো লাস্ট দেখেছিলাম সিজু নামের একজন পলিটিক্যাল সদস্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিলো। আজকে দেখা যাক এর পরের থেকে কি ঘটনা ঘটে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
তো আসলে ওইদিন যে সিজু নামের লোকটাকে গ্রেফতার করেছিল, তাকে ছাড়েনি আর। তবে ললিতা ওই মহিলার লিখিত স্টেটমেন্ট নিয়ে একটা কেস লাগিয়ে দেয় আপাতত। কারণ আসলে অফিসার মনোজ কোনো পারমিশন ছাড়াই গ্রেফতার করেছিল, ফলে ওপর মহল থেকে এই বিষয়ে তার উপর একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রদীপ নামের কনস্টেবল এর পরামর্শে এইটা করেছিল তাদের বড়ো অফিসার। এখন এই সিজু যে মূলত সেই সিজু না সেটা তার চোখ দেখে বুঝতে পারে, কারণ তার একটা চোখে সমস্যা আছে অর্থাৎ টেরা টাইপের আর কি। এখন তাকে খোঁজার জন্য তাদের লোকাল এরিয়ার বাইরেও অন্য থানার আন্ডারেও যেসব লজ আছে, সবগুলোতে তল্লাশি চালায় আর তার ঠিকানা পাওয়ার জন্য সমস্ত রেজিস্ট্রেশন খাতা চেক করে, কিন্তু রেজাল্ট ওই একটাই। সব জায়গায় তার এড্ড্রেস ফেক। এখন এই ফেক এড্ড্রেস নিয়ে আসলে তারা কিছুই করতে পারছে না আপাতত, কারণ যে ঠিকানা দেওয়া তার কোনো উল্লেখ নেই।
আর যারা রেজিস্টার করে নিয়েছে, তারাও বিষয়টা এক ফোটাও খতিয়ে দেখেনি, যে আসলে এই ঠিকানা আদৌ এই কেরালা ডিস্ট্রিক এর মধ্যে আছে কিনা। সবাইকে এক প্রকার উল্লু বানিয়েছে এইভাবে। এইরকম বহু লজে একই ভুল ঠিকানা দিয়ে দিয়ে কাজ করে বেরিয়ে গিয়েছে সবার নাকের ডগা দিয়ে। এখন একটা খাতায় এড্রেস এর সাথে একটা ফোন নাম্বার পায় আর সেটা কোম্পানির কাছ থেকে সমস্ত ডিটেলস বের করে অর্থাৎ এই নাম্বার-এ কোথায় কোথায় আর কাদের সাথে কথা হয়েছে। এরপর সেই হিসেবে তারা ফোর্স নিয়ে সেইসব জায়গায় কথা বলে সবার সাথে। আর তাদের একই বক্তব্য যে এই সিজুর এক চোখে সমস্যা আছে।
কিন্তু তার ঠিকানা কেউ বলতে পারে না আসলে। একজনের কাছে গেলে সে তার বিষয়ে কিছুটা ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্টা করে, কারণ সে একসময় এই সিজুকে কয়েক জায়গায় কাজে ঢুকিয়েছিল। তবে তাদের একবার নাকি থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিলো কোনো ঝামেলার কারণে আর সেখানেই নাকি তাদের সবার ডিটেলস নেওয়া হয়েছিল। এখন সবাই তো এটাই বিশ্বাস করবে যে, পুলিশের কাছে অন্তত কেউ ভুয়া ডিটেলস দেওয়ার সাহস করবে না। কিন্তু না, সেখানে সবাই গিয়ে একপ্রকার বোকাই হয়ে গেলো। সে পুলিশকেও ছাড় দেয়নি, তাদেরও উল্লু বানিয়ে চলে গিয়েছে ফেক এড্ড্রেস এর মাধ্যমে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এখন আসলে এই কেসের চতুর্থ দিনেও কোনো সুরাহ হয়নি, বরং আরো বিষয়টা জটিল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ যতটা এই কেসটাকে আসলে সহজ ভাবে নিয়েছিল যে, দ্রুত সল্ভ হয়ে যাবে কেস। কিন্তু না, তারা যাকে খুঁজছে, সে আসলে তাদের থেকেও ধুরন্দর। তাদেরও বোকা বানাচ্ছে এই কেসে। কেসটা পরপর জটিল করে দিচ্ছে এক ভুয়া এড্রেস। কারণ পুলিশ এড্রেস ছাড়া তাকে ধরতেও পারছে না, আর সে যে বর্তমানে কোথায় আছে সেটাও সে বলতে পারছে না। সে যাদের সাথে মিশেছিল বা কাজ করেছিল, সবার সাথেই ভুয়া এড্ড্রেস দিয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছে, আর এটা কেউ আমুলেও নেয়নি, যার ফলে এই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তারা সিজু মনে করে যে রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করেছে, তাকে তো তাহলে আটকে রেখে কোনো লাভ নেই। আর সিজু তো দেখছি অনেক চালাক। লজের মধ্যে ভুয়া এড্রেস দেওয়ার পাশাপাশি থানায়ও ভুয়া এড্রেস দিয়েছে। এককথায় সবাইকে উল্লু বানিয়েছে😂। সিজুর ক্যারেক্টার আমার কাছে বেশ ভালোই লাগছে। বেশ হাসিও পাচ্ছে তার কাহিনী শুনে। পুলিশদের আরও অনেক কষ্ট করতে হবে সিজুকে ধরার জন্য। কারণ সিজু পুলিশদেরও বাপ। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit